ইসলামী ব্যাংকের কর্মকর্তাদের নিয়ে একই ব্যাংকেরই কিছু অসৎ অফিসারদের পলুশি সহযোগিতায় রমরমা ব্যাবসা।
লিখেছেন লিখেছেন গেঁও বাংলাদেশী ০৫ নভেম্বর, ২০১৫, ০৬:৫৯:৩৫ সন্ধ্যা
ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেডের অফিসাররা খোদ নিজ প্রতিষ্ঠানের কিছু অসাধু অফিসারদের দ্বারা প্রতিনিয়ত শারীরিক ও আর্থিকভাবে হয়রানির শিকার হচ্ছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ কাজে অসাধু অফিসাররা পুলিশের যোগসাজশে নিরীহ অফিসারদের কাছ থেকে অর্থ হাতিয়ে নিচ্ছেন। আর টাকা দিতে অস্বীকার করলে বা অপারগ হলে শিকার হচ্ছেন জেল-জুলুমের। আদায় হওয়া অর্থ অসৎ কর্মকর্তারা পুলিশের সাথে ভাগবাটোয়ারা করে নেন।
তাদের এই ভয়ংকর কর্মকাণ্ড থেকে ব্যাংকের সহকারী অফিসার থেকে শুরু করে শাখা ব্যবস্থাপকও রেহাই পাননি।
অভিযোগ থেকে জানা যায় ২০১৩ সাল থেকে ইসলামী ব্যাংকের অফিসাররা পুলিশি হয়রানির শিকার হয়ে আসছেন। এ কাজে পুলিশকে সহযোগিতা করছে ব্যাংকেরই কিছু অসাধু কর্মকর্তা। এ অনৈতিক কাজের নেতৃত্ব দিচ্ছেন প্রধান কার্যালয়ের নিরাপত্তা বিভাগের কিছু লোক। আর সাথে আছে বিভিন্ন শাখার অসৎ কিছু অফিসার।
অভিযোগ থেকে জানা যায়, প্রথমে শাখার নিদিষ্ট কোন অফিসারকে টার্গেট করা হয়। এরপর পুলিশকে তা জানিয়ে দিলে পুলিশ ওই অফসারকে তুলে নিয়ে যায়। পরে প্রধান কার্যালয়ের নিরাপত্তা বিভাগের কিছু লোক পুলিশের কাছ থেকে ওই অফিসারকে ছাড়িয়ে আনার নামে তার কাছ থেকে দুই থেকে পাঁচ লাখ টাকা নিয়ে থাকে। আর টাকা দিতে অপারগ হলে পরদিন পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে জেল হাজতে প্রেরন করে। আদায়কৃত টাকা তারা পুলিশের সাথে ভাগাভাগি করে নেয়।
তাদের হয়রানীর শিকার মূলত ঢাকা শহরের বিভিন্ন শাখার কর্মকর্তাগণ।
হয়রানির শিকার হওয়া এ রকম একজন অফিসার নাম প্রকাশ না করার শর্তে গেঁও বাংলাদেশী কে বলেন, একদিন অফিসের কাজ কর্ম শেষে তিনি অফিস থেকে বের হলেই সাদা পোশাকের কয়েকজন পুলিশ তাকে একটি কালো মাইক্রবাসে করে উঠিয়ে নিয়ে একটি নির্জন স্থানে আটকে রাখে। ৪-৫ ঘণ্টা পর পুলিশ তাকে অন্য এক স্থানে নিয়ে যায়। সেখানে একলোক নিজেকে ইসলামী ব্যাংকের প্রধান কার্যালয় থেকে তার সাহায্যার্থে পুলিশি ঝামেলা থেকে মুক্ত করতে এসেছে বলে জানায়। দুই লাখ টাকার বিনিময়ে তিনি তাকে পুলিশের কাছ মুক্ত করেন বলে জানান যা তিনি পরিশোধ করতে বাদ্য হন। টাকা দিতে না চাইলে তাকে পায়ে গুলি করে পঙ্গু করে দেয়ার ও প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি দেয়া হয়। গেঁও বাংলাদেশী কে তিনি প্রধান কার্যালয়ের নিরাপত্তা বিভাগের ওই লোকের নামের প্রথম অক্ষর 'ম' দিয়ে শুরু বলে জানান। এ ঘটনার আগে ও পরে ওই শাখার আরও কয়েকজনকে এভাবে জিম্মি করে অর্থ আদায় করা হয়েছে বলে তিনি গেঁও বাংলাদেশী কে নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন।
হয়রানির শিকার হওয়াদের মধ্যে ঢাকার লোকাল অফিস শাখা, পল্টন শাখা, ভি আই পি রোড শাখা, খিলগাঁও শাখা, সদরঘাট শাখা, মিরপুর শাখা, রমনা শাখা ও অন্যান্য শাখার অফিসাররা রয়েছেন বলে নিশ্চিত হওয়া গেছে। হয়রানীর শিকার হওয়াদের মধ্যে খিলগাঁও শাখার সাবেক একজন ম্যানেজারও রয়েছেন বলে সূত্র জানিয়েছে। তবে সূত্রটি গেঁও বাংলাদেশী কে ওই ম্যানেজারের নাম বলতে অস্বীকৃতি জানান।
বিষয়: বিবিধ
১৩৭৮ বার পঠিত, ২ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
এখান থেকেওে কামাই এর সুযোগ বের করে নিয়েছে!!
মন্তব্য করতে লগইন করুন