বাংলাদেশের মিডিয়া চরিত্রহীন, জারজ আর হলদেমীতে এক্সপার্ট
লিখেছেন লিখেছেন গেঁও বাংলাদেশী ২৬ ডিসেম্বর, ২০১৪, ০৮:৪৮:৫১ রাত
স্পষ্টতই এটা ছিল একটি মিডিয়া ক্যু ।আরো একবার বাংলাদেশে এরকম একটা ক্যু হয়েছে ।২০০৬ সালে ।।খুবই সুকৌশলে প্রধান নির্বাচন কমিশনার আজিজকে দিয়ে যার শুরুটা করেছিল সম্মিলিত মিডিয়া সন্ত্রাসেরা ।
তার একমাত্র দোষ ! ছিল তিনি ভোটার তালিকা হালনাগাদের পরিবর্তে নতুন ভোটার তালিকা করতে চেয়েছিলেন যেটাতে সম্মতি দেয়নি বালের দালাল দুই নির্বাচন কমিশনার ।ব্যস !আর যায় কোথায় ।বেচারার দুর্ভাগ্য সে আওয়ামিলীগের রোষাণলে পড়েছে ।একবার যে এদেল শ্যেন দূষ্টিতে পড়ে তার আর রক্ষা নেই ।
অতিউৎসাহী তুমুল উৎসাহী বিএনপি মিডিয়া এনটিভি , চ্যানেল ওয়ান , বাংলাভিশনের সেসময়কার ভূমিকা ছিল ইন্টেরেস্টিং ।সবাই ছুটে যেতে আজিজ সাহেবের কাছে ।তাকে ভাঁড় , মিথ্যাবাদী , দালাল , চোর জোচ্চোর প্রমানের কী প্রাণান্তকর চেষ্টা ।
খবর সেই সময় সবচেয়ে বড় বিনোদন ।আজিজ সবচেয়ে হাস্যকর ব্যক্তিত্ব ।আহা ।বেচার আত্নহত্যা কেন করেনি বুঝতে পারছিনা ।
এরপর বাংলাদেশের ইতিহাসে সবচেয়ে সফল ! নির্বাচন কমিশনার এটিএম শামসুল হুদা এল ।সে নাকি বিএনপিকে চিনতোনা , তারপর বিখ্যাত ডকট্রিন অব নেসেসিটি ।এখনো সে প্রবাদ পুরুষ ।সবচেয়ে নিরপেক্ষ এবং সফল !
আধুনিক জনতার মঞ্চ রাকিব , আওয়ামি উন্মাদ আবুল মোবারক রা আবুল হিসেবে আমাদের করুনা পেয়ে ধন্য ।তাদের বিরুদ্ধে মিডিয়া ছিলনা ।তাই তাদের ন্যাশনাল হিরো অথবা ভিলেইন হতে হলোনা ।
আজিজ সাহেবের প্রস্থানে ক্যুর প্রাথমিক সাফল্য অর্জিত হোল ।এরপরে তো বিএনপির ঘাড় মটকে মাজা ভেঙে পঙ্গু করে দেওয়া হলো ।
সেই ক্যুর সফল বাস্তবায়নের ধারাবাহিকতায় ৫ ই জানুয়ারী বাকশালীয় চিরস্থায়ী বন্দোবস্তের মাধ্যমে আরো একটি ক্যু সম্পাদিত হলো ।এবারেরটা আরো কৌশলী এবং চমকপ্রদ ।
ইলিয়াস আলী , পদ্মা সেতু , হলমার্ক , শেয়ার বাজার , রানা প্লাজা , গণহারে রাজনৈতিক হত্যাকান্ড , হেফাজত ম্যাসাকার , সবকিছুকে ছাপিয়েই যখন মিডিয়া অগ্রযাত্রা অব্যাহত ।তখন মিডিয়া এবং সুশীলের মৃদুমন্দ ভৎসনা , বকে দেওয়া , তীব্র নিন্দার মধ্য দিয়ে গনতন্ত্রকে বালুর ট্রাকে ব্যারিকেড দিয়ে সফল বাস্তবায়িক হল পৃথিবীর ইতিহাসের অন্যতম কলংকজনক এক ক্যু ।
এরপর লাশের মিছিল আর ঠেকায় কে ।পদ্মা , মেঘনা যমুনা লাশের ভাগার ।সাতক্ষীরা , লক্ষীপুর , নীলফামারী মৃত্যুপুরি ।এগিয়ে যাচ্চে স্বদেশ ।
এসব কিছুই আমাদের স্পর্শ করেনা ।আমাদের স্পর্শ করেনা এক অসহায় বৃদ্ধার শ্রোতের বিপরীতে দাঁড়িয়ে জানবাজি রেখে লড়াই। ক্ষমতার রাজনীতি উচ্ছিশ্টভোগীরা বেঈমানি করছে ।কেউ কৌশলে গা বাঁচিয়ে চলছে ।
চলমান এইসব কোন সংকটই দেশপ্রেম , চেতনা , স্বাধীনতার সাথে সংশ্লিষ্ট কোন ইস্যু ।কর্মীরা দিশেহারা ।সাধারণ মানুষের প্রাণ ওষ্ঠাগত । আমাদের মাজা ভাঙা , কোমর ভাঙা , আমাদের চোখের সামনে নির্বিচারে আমাদের নেতাকর্মিকে হত্যা , দেশটাকে লুটেপুটে খেয়ে পৈশাচিক আনন্দে মাতা হায়েনা আমাদের চেতনা জাগ্রত করতে পারেনা ।
এইসবের জন্য আমাদের চেতনা তেতাল্লিশ বছর পর কোন এক সময় হয়ত জাগ্রত হবে ।তখন রসিয়ে রসিয়ে এর বিচার করা হবে ।এখন ইস্যু একটাই ।চেতনা , গামাত , যুদ্ধাপ্রাদি ।বাংলা পরীক্ষা চলছে ।
শুধু একটা শামসুল হুদা ইস্যুর জন্য আওয়ামিলী এই দেশ ধ্বংশ করে দিতে পারতো ।আর আমাদের সামনে এত হাজার ইস্যু আমাদেরকে জাগ্রত করতে পারেনা ।
কেমনে করবে ।নাটাই যে মিডিয়ার হাতে ।তারা যা খাওয়াচ্ছে আমরা তাই খাচ্ছি ।দেখুন বেগম জিয়ার গাড়িবহরে হামলার মত ন্যক্কারজনক ঘটনাকে পাশ কাটিয়ে মিডিয়া সন্ত্রাসীচক্র কীভাবে ঘুমপাড়ানির গান শুনিয়ে আমাদের হাসি আনন্দ আর সুখী জীবন যাপনে সহায়তা করছে ।
ফেবু থেকে...
বিষয়: বিবিধ
১৩৭৪ বার পঠিত, ১০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন