ধর্ষণে ধর্ষককে সহায়তা করলেন বাবা। অকুস্থল ধর্ষণপুরী সেই ভারত।
লিখেছেন লিখেছেন গেঁও বাংলাদেশী ১২ এপ্রিল, ২০১৪, ০৯:০৫:২৮ রাত
প্রতিবেশী মেয়েটির ওপর হামলে পড়েছে মাংসলোলুপ একটা শরীর। কামুক দাঁত-নখ এড়াতে মেয়েটি শেষ শক্তি দিয়ে প্রতিরোধ গড়ে তুলছে। খানিকটা পিছিয়ে যেতে হচ্ছে ইতর যুবকটিকে। এ সময়েই হাজির যুবকের বাবা। মেয়েটি খানিক স্বস্তিতে, এবার বোধহয় ইজ্জত বাঁচল। কিন্তু হল ঠিক উল্টোটাই। বাকরুদ্ধ মেয়েটি দেখল বাবা ছেলেকে তাতাচ্ছে। বাঁচানো তো দূরঅস্ত, মেয়েটির প্রতিরোধ কী ভাবে ভেঙে পড়ে, কত সহজে ছেলেটি অনুপ্রবেশ করতে পারে তার শরীরে, সেই চেষ্টাই করছে ওই প্রৌঢ়। বাবা-ছেলে যুগলবন্দিতে রক্তাক্ত যুবতীর এর পর যন্ত্রণায় কাতরানো ছাড়া আর গতি কী!
এমনই লোমহর্ষক ঘটনা ঘটেছে ভারতের গাজিয়াবাদের সিহানি গেট এলাকায়। ঘটনার পর থেকেই অভিযুক্ত ছেলে এবং বাবা পলাতক।
পুলিশ সূত্রে খবর, নিগৃহীতা একাদশ শ্রেণির ছাত্রী। মঙ্গলবার সে জল আনতে যান। তখনই নকুল নামে এক প্রতিবেশী তাকে জোর করে ঘরের মধ্যে নিয়ে যায়। সেখানে তাকে ধর্ষণ করে। নকুলের বাবা কারতারের বিরুদ্ধেও অভিযোগ এনেছে ওই যুবতী। সে বলে, তখনই নকুলের বাবা বাইরে থেকে এসে ঘরের দরজা বন্ধ করে দেয়। পরে সেখান থেকে বাড়ি ফিরে সকলকে সব কথা জানান ওই নিগৃহীতা। এর পরই সিহানি গেট থানায় নকুল এবং তার বাবা কারতারের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন তিনি।
ঘটনার পর থেকেই দুই অভিযুক্ত ফেরার। পুলিশ অভিযুক্তদের খোঁজে তল্লাশি শুরু করেছে।
বিষয়: আন্তর্জাতিক
১২৯০ বার পঠিত, ৪ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
ধন্যবাদ
মন্তব্য করতে লগইন করুন