এ যাবত কালের ভয়ঙ্কর ৫টি কম্পিউটার ভাইরাস

লিখেছেন লিখেছেন গেঁও বাংলাদেশী ১৭ ফেব্রুয়ারি, ২০১৪, ০৮:৫৫:০৬ সকাল





কম্পিউটার ভাইরাস এর সাথে পরিচিত না এমন কম্পিউটার ব্যবহারকারী খুজে পাওয়া মুশকিল। অন্যান্য ভাইরাসের মত কম্পিউটার ভাইরাসেরও রয়েছে অসংখ্য প্রকার ভেদ। এদের মধ্যে কিছু আছে যারা শুধু আপনার গোপন তথ্য হাতিয়ে নিয়েই ক্ষান্ত থাকবে আবার কিছু আছে যারা তথ্য হাতিয়ে নেওয়ার পাশাপাশি আপনার সিস্টেমের বারোটাও বাজিয়ে দিয়ে যাবে। কিছু কিছু ভাইরাস তো আবার জলজ্যান্ত কম্পিঊটার বোম হিসেবেও ব্যবহৃত হতে পারে। উদাহরন হিসেবে বলা যায় ডাই হার্ড সিরিজের চতুর্থ কিস্তির কথা। যারা দেখেছেন তাদের নতুন করে কিছু বলার নেই আর যারা এখনও দেখেননি তারা দেখে নিতে পারেন এই অসাধারণ মুভিটি।

যাইহোক আজ আমি মুভির আলোচনা নয় বরং এমন কিছু মারাত্মক ভাইরাস এর বৃত্তান্ত নিয়ে আলোচনা করব যারা কিনা সংগত কারনেই এজাবত কালের ইতিহাসে সবচাইতে মারাত্মক ভাইরাসের খেতাব অর্জন করে নিয়েছে।

১. কোড রেডঃ উইন্ডোজ ২০০ এবং উইন্ডোজ এনটি চালিত কম্পিউটারগুলোর একটি দুর্বলতার সুযোগে এ ভাইরাসটি বিস্তার লাভ করে ২০০১ সালে। হোয়াইট হাউজের ওয়েবসাইট সহ বেস কিছু সাইট কে অকেজ করে দেয় ভাইরাসটি। এ ভাইরাসটি ১০০টি আইপি অ্যাড্রেস চেক করে তারপর উইন্ডোজ পিছি পেলেই ঢুকে পড়ত। প্রায় ১ লাখ পিছিকে এ ভাইরাসটি বিশ্বজুড়ে প্রায় ১৬০ কোটি ডলারের ক্ষতি করেছিল।

২. আই লাভ ইউঃএটি ছড়াতো এ-মেইল এর মাধ্যমে। ইনবক্সে নিরিহ চেহারার ‘আই লাভ ইউ’ নামের একটি ই-মেইল আসত, যেটি ওপেন করলেই কম্পিউটারে ঢুকে পড়ত ক্ষতিকর ম্যালওয়ার। ইউজার ইউজার ইমেজ ফাইল নষ্ট করার পাশাপাশি পাসওয়ার্ড চুরি করার জন্য এটি তৈরি করা হয়েছিল। শুধু তাই নয়, কোন কম্পিউটারে ঢুকে পড়ার পর উইন্ডোজের অ্যাড্রেস বুক থেকে আরও ৫০ জনকে মেইল পাঠাত এটি। ২০০০ সালে প্রায় ৫ লাখ কম্পিউটারকে ক্ষতিগ্রস্ত করে এ কম্পিউটার ভাইরাসটি, যার আর্থিক মূল্য ১,৫০০ কোটি ডলার!

৩. স্ল্যামারঃ ২০০৩ সালে ওয়ার্মটি ছড়ানো শুরু হলে প্রতি ৮ দশমিক ৫ সেকেন্ডের মধ্যে আবার দিগুণ হতে থাকে। অনেক খ্যাতনামা কম্পানিকে ধরাশায়ী করেছিল এই ভাইরাসটি, যার মধ্যে অন্যতম ব্যাংক অফ আমেরিকার একটি এটিএম সার্ভিস, ওয়াশিংটনের জরুরী সার্ভিস ৯১১, কন্টিনেটাল এয়ারলাইন্স, ওহিওর একটি পারমানবিক কেন্দ্র ইত্যাদি। সব মিলিয়ে ২ লাখ কম্পিউটারে বিস্তার করে প্রায় ১২০ কোটি ডলারের ক্ষতি করেছিল এ ভাইরাসটি।

৪. মাইডুমঃ এ ওয়ার্মটি একটি ফরোয়ার্ড করা এ-মেইল এর রুপে ছড়াত। এ যাবত কালের অন্যতম ভয়াবহ ভাইরাস। কম্পিউটারে ঢোকার পর ব্যবহারকারীর আউটলুক আড্রেসে ঢুকে ব্যক্তিগত তথ্য চুরি করাই এর মূল কাজ। পাশাপাশি অন্যদের ঠিকানাতেও নিজেকে ছড়িয়ে দিত। অত্যন্ত দ্রুত ছড়িয়ে পড়া এ ভাইরাসটি প্রায় ২০ লাখ পিসিকে ক্ষতিগ্রস্থ করে, ক্ষতি করে প্রায় ৩৮ হাজার ডলারেরও বেশি।

৫. এসওবিজি ডটএফঃ ২০০৩ সালে ছড়িয়ে পড়া ট্রজান গোত্রের এ ওয়ার্মটি কোন কম্পিউটারে ঢুকে পড়ার পর নিজের বংশ বৃদ্ধি করতে পারত। এটিও কম্পিউটার আক্রমন করত এ-মেইল এর মাধ্যমে। এর পর মুহূর্তের মধ্যে অগনিত বাল্ক মেইলে চলে যেত ব্যবহারকারীর কন্টাকে থাকা অন্য ই-মেইল গুলোতে। ওয়াসিংটন ডিসির কম্পিউটার ট্রাফিক পর্যন্ত বন্ধ করে দিয়েছিল ভাইরাসটি। প্রায় ২০ লাখ ইউজারের সর্বনাশ করে এটি। সব মিলিয়ে ক্ষতি হয় প্রায় ৩৭ হাজার কোটি এর মত ডলার

বিষয়: বিবিধ

১০৯৭ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File