ভারতে ইন্টারনেট রপ্তানি কার স্বার্থে?
লিখেছেন লিখেছেন গেঁও বাংলাদেশী ০৭ ডিসেম্বর, ২০১৩, ১০:৫৪:৪৬ রাত
দেশে আবার ব্যান্ডউইথ বিক্রির চেষ্টা-তদবির দেখে কিছুটা বিচলিত। বিদেশ থেকে ঋণ করে দেশের উন্নয়নের জন্য এই ইন্টারনেট সেবা আমরা কিনে এনেছি। নিজেরা ব্যবহার করতে পারছি না-এই অজুহাত দেখিয়ে ‘ফেলে রাখা’ ইন্টারনেট বিদেশে রপ্তানি করা কতটা যুক্তিযুক্ত, তা চিন্তা করা দরকার।
যাঁরা আমাদের ইন্টারনেট সেবাসুবিধা নিয়ন্ত্রণ করেন, তাঁরাই ‘ফেলে রাখা’ বা ‘উদ্বৃত্ত’ শব্দ দুটি ব্যবহার করছেন। ইন্টারনেট সেবা দিয়ে এই দেশের কী উপকার করা সম্ভব, তা বোঝার জ্ঞান বা অভিজ্ঞতা তাঁদের নেই। তাঁরা সরকারকে ভুল বুঝিয়ে বিতর্কে জড়িয়ে দিতে চাইছেন, যাতে ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ’ রূপকল্প বাস্তবায়ন বাধাগ্রস্ত হয়। বাংলাদেশে ইন্টারনেট মোটেই উদ্বৃত্ত নেই। চাহিদার সামান্য অংশ মাত্র আমাদের কাছে পৌঁছাতে পেরেছে। ইন্টারনেটের বিতরণব্যবস্থা যাঁদের হাতে, তাঁরাই বাড়ি, শিক্ষাকেন্দ্র আর কর্মস্থলে সেই সেবা পৌঁছাতে টালবাহানা করছেন। সময়ক্ষেপণের কৌশলে প্রমাণ করতে চাইছেন দেশে চাহিদা নেই, বিদেশে বিক্রি করে দেওয়া ভালো! বিতরণব্যবস্থার অসংগতির কারণে আমরা বঞ্চিত হচ্ছি ভাগ্য উন্নয়নে।
ডিজিটাল বাংলাদেশের রূপকল্পে কৌশলগত বাস্তবায়ন নির্দেশনা না থাকায় বিটিসিএল হাস্যকর আমলাতান্ত্রিক পদ্ধতিতে ইন্টারনেট সেবা সংযোগ দিয়ে যাচ্ছে। ব্রডব্যান্ডের (উচ্চগতির সংযোগ) ক্ষেত্রে দরখাস্ত করতে হবে। তারা যাচাই-বাছাই করে ‘ডিমান্ড নোট’ দেবে। সেই কাগজ নিয়ে নির্ধারিত ব্যাংকে টাকা জমা দিলে বিটিসিএল সংযোগ দেবে। এর মধ্যে চলে যাবে অন্তত দুই মাস! তাও ঠিক আছে, কিন্তু সংযোগ পেতে হলে আপনার কর্মস্থল পর্যন্ত নিজ খরচে তার টেনে নিতে হবে বিটিসিএল এক্সচেঞ্জ থেকে—তা যত কিলোমিটার দূরত্বই হোক! সঙ্গে আপনাকে কিনে দিতে হবে সংযোগের জন্য প্রয়োজনীয় দুই পাশের আনুষঙ্গিক যন্ত্রপাতি। সঙ্গে চলতে থাকবে তদবির! শেষে ঢাকা মগবাজার এক্সচেঞ্জ থেকে আইপি নিতে বলবে। আবার দরখাস্ত, আবার ডিমান্ড নোট। আইপি পেলেন তো সংযোগ নেই, সংযোগ আছে তো আইপি ঠিক নেই। এ রকম করে করে ন্যূনতম ছয় মাস সময়ে আপনি ১ এমবি (বা বেশি) সংযোগ পেলেও পেতে পারেন।
সহজপ্রাপ্য এমন একটি স্বল্প গতির (শেয়ারড) সেবা দিতে বিটিসিএল চালু করেছে এডিএসএল পদ্ধতি। আপনার বাড়িতে যদি বিটিসিএল ফোন থাকে তাহলে কোনো তার না টেনেই একটি মডেম কিনে আপনি এই সংযোগ পেতে পারেন। কিন্তু এই সেবা দেয় একটি বেসরকারি কোম্পানি। সেখানেও ওই আবেদন, সঙ্গে নানা কাগজপত্র। লাইন চালু হলে মডেম কিনে নেবেন, বিল আসবে টেলিফোন বিলের সঙ্গে। সেবা পেতে মোট লাগবে সাত থেকে ১৫ দিন (তা-ও নির্ভর করে আপনার ফোন লাইন ঠিক আছে কি না, তার ওপর)। এভাবে সময়ক্ষেপণ ও গ্রাহকের ভোগান্তির উৎপাদন মূল্য কত? সরকার কর্জের টাকায় সাবমেরিন সংযোগ সেবা এনেছে, তার অনেক অংশ শোধ করেছে জনগণ কিন্তু সেবাপ্রাপ্তির অঙ্গীকার কোথায়? বিটিসিএলের সবগুলো ইন্টারনেট সেবার ক্ষেত্রে একই পরিস্থিতি। দেশের বেশির ভাগ মানুষকে ইন্টারনেট প্রাপ্তি থেকে বঞ্চিত করে আপনি দাবি করতে পারেন না যে আপনার কাছে পর্যাপ্ত ইন্টারনেট ‘উদ্বৃত্ত’ আছে, যা রপ্তানিযোগ্য।
যে যে ক্ষেত্রে ইন্টারনেট সেবা আমাদের জীবনের চাকা ঘুরিয়ে দিতে পারে, তার কোনো নির্দেশনা ‘ডিজিটাল বাংলাদেশের’ রূপকল্পে নেই। বিশেষ করে, সেবা খাতে (স্বাস্থ্য, শিক্ষাসহ অন্যান্য পরিষেবা) উচ্চগতির ইন্টারনেট বিস্তৃত হওয়া প্রয়োজন ছিল, সুযোগও ছিল। ইউনিয়ন তথ্যকেন্দ্রের নামে ইন্টারনেট সেবার কথা প্রচার করা হয়েছে, যা কোনোক্রমেই বেশির ভাগ মানুষের চাহিদা পূরণ করেনি। এসবের মাত্র কয়েকটি বিটিসিএলের সাময়িক সংযোগ পেয়েছে (STM-1 MUX) যা ঘোষিত পাঁচ হাজার ইউনিয়ন তথ্যকেন্দ্রের বা তদূর্ধ্ব সংখ্যার তুলনায় খুবই সীমিত। বেশির ভাগ ইউনিয়ন তথ্যকেন্দ্র ব্যবহার করে মোবাইল ফোনের মডেম, যা ব্যয়সাশ্রয়ী নয় ও খুবই স্বল্পগতির।
শিক্ষাকেন্দ্রে মাল্টিমিডিয়া শ্রেণী ব্যবস্থাপনায় ইন্টারনেট অপরিহার্য। যে কয়েকটি পাইলট প্রকল্প হয়েছে, সেখানে বিকল্প হিসেবে অফ লাইন শিক্ষা পদ্ধতি নিয়ে চিন্তা হচ্ছে, মোবাইলের মডেম দিয়ে ইন্টারনেট দেওয়ার অকার্যকর চিন্তা চলছে। বিটিসিএলের দাবি সারা দেশে ৪৬ জেলায়, ৫৬ উপজেলায় ইন্টারনেট ও ব্রডব্যান্ড সেবা বিস্তৃত করা হয়েছে। তাহলে উচ্চগতির ইন্টারনেট সেবা থেকে বেশির ভাগ অঞ্চল বঞ্চিত কেন? উপজেলা স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্রগুলোয় সরকারের দেওয়া মোবাইল ফোনকে ‘টেলিমেডিসিন’ সেবা বলে প্রচার করা হলো। এক্সচেঞ্জ থেকে এই কেন্দ্রগুলোয় ফোন-সুবিধা নিয়ে জাতীয় স্বাস্থ্য ডেটাবেইস/নেটওয়ার্ক করে নিতে পারতাম। সহজে বড় ডাক্তারদের পরামর্শ গ্রাম পর্যায়ে বিস্তৃত করে নিতে পারতাম। স্বাস্থ্য শিক্ষা কর্মসূচি স্বল্পমূল্যে গ্রামে গ্রামে সম্প্রসারণ করে নিতে পারতাম।
বিটিসিএল বলছে, সারা দেশে ইতিমধ্যে প্রায় পাঁচ হাজার কিলোমিটারের মতো অপটিক্যাল ফাইবার কেব্ল বিস্তৃত হয়েছে, আইপিভিত্তিক সেবা দেওয়ার জন্য ৪২ জেলার দেড় শতাধিক নোডে মোট ৪৬ হাজার ক্ষমতাসম্পন্ন এডিএসএল এক্সেস নেটওয়ার্ক তৈরি করা হয়েছে। তাহলে গ্রাহক ফল পাচ্ছে না কেন? ২০১২ সালের জুন পর্যন্ত বিটিসিএলের ৭৪৭টি এক্সচেঞ্জের (৬৪ জেলার) সবগুলোতেই অপটিক্যাল ফাইবার সংযুক্ত আছে। দেশে টেলিফোনের সংযোগ ক্ষমতা ১৪ লাখের মতো হলেও তার মাত্র ৬৫ শতাংশ ব্যবহূত হচ্ছে। এই ৬৫ ভাগের অর্ধেকও যদি এডিএসএল সংযোগ পায়, তাতেও চার থেকে পাঁচ লাখ সংযোগের চাহিদা রয়েছে। দেশব্যাপী ইন্টারনেট সেবার চাহিদা নিরূপণে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে কি কখনো?
সরকারের কাছে আবেদন, ইন্টারনেট বিস্তৃতির যে অবকাঠামো ইতিমধ্যেই তৈরি আছে, তা কাজে লাগিয়ে দেশব্যাপী সেবা সম্প্রসারণ করুন। স্বল্পমূল্যে সেবার পরিধি বাড়ান। বিটিসিএলের প্রাতিষ্ঠানিক যোগ্যতার সক্ষম ব্যবহার জরুরি। এ ক্ষেত্রে দরকার বাস্তবসম্মত গ্রামমুখী ইন্টারনেট বিতরণ নীতি। নতুন বিনিয়োগ না বাড়িয়েও নিজেদের মজুত ইন্টারনেট আমরা বিশ্বভুবনে ঠাঁই করায় বিনিয়োগ করতে পারি।
সূত্রদেশে আবার ব্যান্ডউইথ বিক্রির চেষ্টা-তদবির দেখে কিছুটা বিচলিত। বিদেশ থেকে ঋণ করে দেশের উন্নয়নের জন্য এই ইন্টারনেট সেবা আমরা কিনে এনেছি। নিজেরা ব্যবহার করতে পারছি না-এই অজুহাত দেখিয়ে ‘ফেলে রাখা’ ইন্টারনেট বিদেশে রপ্তানি করা কতটা যুক্তিযুক্ত, তা চিন্তা করা দরকার।
যাঁরা আমাদের ইন্টারনেট সেবাসুবিধা নিয়ন্ত্রণ করেন, তাঁরাই ‘ফেলে রাখা’ বা ‘উদ্বৃত্ত’ শব্দ দুটি ব্যবহার করছেন। ইন্টারনেট সেবা দিয়ে এই দেশের কী উপকার করা সম্ভব, তা বোঝার জ্ঞান বা অভিজ্ঞতা তাঁদের নেই। তাঁরা সরকারকে ভুল বুঝিয়ে বিতর্কে জড়িয়ে দিতে চাইছেন, যাতে ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ’ রূপকল্প বাস্তবায়ন বাধাগ্রস্ত হয়। বাংলাদেশে ইন্টারনেট মোটেই উদ্বৃত্ত নেই। চাহিদার সামান্য অংশ মাত্র আমাদের কাছে পৌঁছাতে পেরেছে। ইন্টারনেটের বিতরণব্যবস্থা যাঁদের হাতে, তাঁরাই বাড়ি, শিক্ষাকেন্দ্র আর কর্মস্থলে সেই সেবা পৌঁছাতে টালবাহানা করছেন। সময়ক্ষেপণের কৌশলে প্রমাণ করতে চাইছেন দেশে চাহিদা নেই, বিদেশে বিক্রি করে দেওয়া ভালো! বিতরণব্যবস্থার অসংগতির কারণে আমরা বঞ্চিত হচ্ছি ভাগ্য উন্নয়নে।
ডিজিটাল বাংলাদেশের রূপকল্পে কৌশলগত বাস্তবায়ন নির্দেশনা না থাকায় বিটিসিএল হাস্যকর আমলাতান্ত্রিক পদ্ধতিতে ইন্টারনেট সেবা সংযোগ দিয়ে যাচ্ছে। ব্রডব্যান্ডের (উচ্চগতির সংযোগ) ক্ষেত্রে দরখাস্ত করতে হবে। তারা যাচাই-বাছাই করে ‘ডিমান্ড নোট’ দেবে। সেই কাগজ নিয়ে নির্ধারিত ব্যাংকে টাকা জমা দিলে বিটিসিএল সংযোগ দেবে। এর মধ্যে চলে যাবে অন্তত দুই মাস! তাও ঠিক আছে, কিন্তু সংযোগ পেতে হলে আপনার কর্মস্থল পর্যন্ত নিজ খরচে তার টেনে নিতে হবে বিটিসিএল এক্সচেঞ্জ থেকে—তা যত কিলোমিটার দূরত্বই হোক! সঙ্গে আপনাকে কিনে দিতে হবে সংযোগের জন্য প্রয়োজনীয় দুই পাশের আনুষঙ্গিক যন্ত্রপাতি। সঙ্গে চলতে থাকবে তদবির! শেষে ঢাকা মগবাজার এক্সচেঞ্জ থেকে আইপি নিতে বলবে। আবার দরখাস্ত, আবার ডিমান্ড নোট। আইপি পেলেন তো সংযোগ নেই, সংযোগ আছে তো আইপি ঠিক নেই। এ রকম করে করে ন্যূনতম ছয় মাস সময়ে আপনি ১ এমবি (বা বেশি) সংযোগ পেলেও পেতে পারেন।
সহজপ্রাপ্য এমন একটি স্বল্প গতির (শেয়ারড) সেবা দিতে বিটিসিএল চালু করেছে এডিএসএল পদ্ধতি। আপনার বাড়িতে যদি বিটিসিএল ফোন থাকে তাহলে কোনো তার না টেনেই একটি মডেম কিনে আপনি এই সংযোগ পেতে পারেন। কিন্তু এই সেবা দেয় একটি বেসরকারি কোম্পানি। সেখানেও ওই আবেদন, সঙ্গে নানা কাগজপত্র। লাইন চালু হলে মডেম কিনে নেবেন, বিল আসবে টেলিফোন বিলের সঙ্গে। সেবা পেতে মোট লাগবে সাত থেকে ১৫ দিন (তা-ও নির্ভর করে আপনার ফোন লাইন ঠিক আছে কি না, তার ওপর)। এভাবে সময়ক্ষেপণ ও গ্রাহকের ভোগান্তির উৎপাদন মূল্য কত? সরকার কর্জের টাকায় সাবমেরিন সংযোগ সেবা এনেছে, তার অনেক অংশ শোধ করেছে জনগণ কিন্তু সেবাপ্রাপ্তির অঙ্গীকার কোথায়? বিটিসিএলের সবগুলো ইন্টারনেট সেবার ক্ষেত্রে একই পরিস্থিতি। দেশের বেশির ভাগ মানুষকে ইন্টারনেট প্রাপ্তি থেকে বঞ্চিত করে আপনি দাবি করতে পারেন না যে আপনার কাছে পর্যাপ্ত ইন্টারনেট ‘উদ্বৃত্ত’ আছে, যা রপ্তানিযোগ্য।
যে যে ক্ষেত্রে ইন্টারনেট সেবা আমাদের জীবনের চাকা ঘুরিয়ে দিতে পারে, তার কোনো নির্দেশনা ‘ডিজিটাল বাংলাদেশের’ রূপকল্পে নেই। বিশেষ করে, সেবা খাতে (স্বাস্থ্য, শিক্ষাসহ অন্যান্য পরিষেবা) উচ্চগতির ইন্টারনেট বিস্তৃত হওয়া প্রয়োজন ছিল, সুযোগও ছিল। ইউনিয়ন তথ্যকেন্দ্রের নামে ইন্টারনেট সেবার কথা প্রচার করা হয়েছে, যা কোনোক্রমেই বেশির ভাগ মানুষের চাহিদা পূরণ করেনি। এসবের মাত্র কয়েকটি বিটিসিএলের সাময়িক সংযোগ পেয়েছে (STM-1 MUX) যা ঘোষিত পাঁচ হাজার ইউনিয়ন তথ্যকেন্দ্রের বা তদূর্ধ্ব সংখ্যার তুলনায় খুবই সীমিত। বেশির ভাগ ইউনিয়ন তথ্যকেন্দ্র ব্যবহার করে মোবাইল ফোনের মডেম, যা ব্যয়সাশ্রয়ী নয় ও খুবই স্বল্পগতির।
শিক্ষাকেন্দ্রে মাল্টিমিডিয়া শ্রেণী ব্যবস্থাপনায় ইন্টারনেট অপরিহার্য। যে কয়েকটি পাইলট প্রকল্প হয়েছে, সেখানে বিকল্প হিসেবে অফ লাইন শিক্ষা পদ্ধতি নিয়ে চিন্তা হচ্ছে, মোবাইলের মডেম দিয়ে ইন্টারনেট দেওয়ার অকার্যকর চিন্তা চলছে। বিটিসিএলের দাবি সারা দেশে ৪৬ জেলায়, ৫৬ উপজেলায় ইন্টারনেট ও ব্রডব্যান্ড সেবা বিস্তৃত করা হয়েছে। তাহলে উচ্চগতির ইন্টারনেট সেবা থেকে বেশির ভাগ অঞ্চল বঞ্চিত কেন? উপজেলা স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্রগুলোয় সরকারের দেওয়া মোবাইল ফোনকে ‘টেলিমেডিসিন’ সেবা বলে প্রচার করা হলো। এক্সচেঞ্জ থেকে এই কেন্দ্রগুলোয় ফোন-সুবিধা নিয়ে জাতীয় স্বাস্থ্য ডেটাবেইস/নেটওয়ার্ক করে নিতে পারতাম। সহজে বড় ডাক্তারদের পরামর্শ গ্রাম পর্যায়ে বিস্তৃত করে নিতে পারতাম। স্বাস্থ্য শিক্ষা কর্মসূচি স্বল্পমূল্যে গ্রামে গ্রামে সম্প্রসারণ করে নিতে পারতাম।
বিটিসিএল বলছে, সারা দেশে ইতিমধ্যে প্রায় পাঁচ হাজার কিলোমিটারের মতো অপটিক্যাল ফাইবার কেব্ল বিস্তৃত হয়েছে, আইপিভিত্তিক সেবা দেওয়ার জন্য ৪২ জেলার দেড় শতাধিক নোডে মোট ৪৬ হাজার ক্ষমতাসম্পন্ন এডিএসএল এক্সেস নেটওয়ার্ক তৈরি করা হয়েছে। তাহলে গ্রাহক ফল পাচ্ছে না কেন? ২০১২ সালের জুন পর্যন্ত বিটিসিএলের ৭৪৭টি এক্সচেঞ্জের (৬৪ জেলার) সবগুলোতেই অপটিক্যাল ফাইবার সংযুক্ত আছে। দেশে টেলিফোনের সংযোগ ক্ষমতা ১৪ লাখের মতো হলেও তার মাত্র ৬৫ শতাংশ ব্যবহূত হচ্ছে। এই ৬৫ ভাগের অর্ধেকও যদি এডিএসএল সংযোগ পায়, তাতেও চার থেকে পাঁচ লাখ সংযোগের চাহিদা রয়েছে। দেশব্যাপী ইন্টারনেট সেবার চাহিদা নিরূপণে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে কি কখনো?
সরকারের কাছে আবেদন, ইন্টারনেট বিস্তৃতির যে অবকাঠামো ইতিমধ্যেই তৈরি আছে, তা কাজে লাগিয়ে দেশব্যাপী সেবা সম্প্রসারণ করুন। স্বল্পমূল্যে সেবার পরিধি বাড়ান। বিটিসিএলের প্রাতিষ্ঠানিক যোগ্যতার সক্ষম ব্যবহার জরুরি। এ ক্ষেত্রে দরকার বাস্তবসম্মত গ্রামমুখী ইন্টারনেট বিতরণ নীতি। নতুন বিনিয়োগ না বাড়িয়েও নিজেদের মজুত ইন্টারনেট আমরা বিশ্বভুবনে ঠাঁই করায় বিনিয়োগ করতে পারি।
সূত্র
বিষয়: বিবিধ
১৩৩৬ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন