ইসলামি সিম কার্ডের যাত্রা শুরু
লিখেছেন লিখেছেন গেঁও বাংলাদেশী ২৮ নভেম্বর, ২০১৩, ১০:৩৮:৩৯ রাত
গ্রিসের এক ইঞ্জিনিয়ার ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের জন্য একটি মোবাইল ফোনের সিম-কার্ড বার করেছেন, যা দিয়ে তাঁরা দৈনন্দিন জীবনে ধর্ম সংক্রান্ত আচার-অনুশাসন মেনে চলতে পারেন। বিশ্বে সবচেয়ে বেশি মুসলমানের বাস আফ্রিকা এবং এশিয়া মহাদেশে। এই দু’টি মহাদেশে মোবাইলের চলও বাড়ছে সবচেয়ে তাড়াতাড়ি। ইন্টারন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন ইউনিয়নের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, বিশ্বের অর্ধেক মোবাইল ফোন সংক্রান্ত চুক্তি আজ স্বাক্ষরিত হচ্ছে এশিয়ায়। কিন্তু এশিয়া ও আফ্রিকায় ব্যবহৃত মোবাইল ফোনগুলি স্মার্টফোন নয়, বরং পুরনো মোবাইল। খবর ডয়েচে ভেলের।
ইয়ানিস হাৎসোপুলোস একজন ইলেকট্রিকাল ইঞ্জিনিয়ার, যাঁর বাস গ্রিসের থেসালোনিকিতে। তিনি যে ‘ইসলামি সিম-কার্ড’-টি উদ্ভাবন করেছেন, তা স্মার্টফোন কিংবা পুরনো মডেলের মোবাইল, দু’টোতেই ব্যবহার করা চলবে। ‘‘ব্যবহারকারী এই মোবাইল দিয়ে মক্কা শরীফ কোন দিকে, তা নির্ধারণ করতে পারবেন। এই মোবাইল মুসল্লিকে দিনে পাঁচবার নামাজ পড়ার সময় মনে করিয়ে দেবে রিংটোন বাজিয়ে। এমনকি নামাজ পড়ার সময় ফোন নিজে থেকেই ‘মিউট’ হয়ে যাবে,” বলেছেন হাৎসোপুলোস।
ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের জন্য মোবাইলে নানা ধরনের বিশেষ ‘ফাংশন’-এর ধারণাটা বিশেষ নতুন নয়: সাধারণত সর্বাধুনিক স্মার্টফোনেই এ সব ফাংশন পাওয়া যায়। সে তুলনায় ইসলামি সিম-কার্ড তথাকথিত দ্বিতীয় প্রজন্মের পুরনো মোবাইলেও ব্যবহার করা চলে। অন্যান্য সিম-কার্ড কিংবা অ্যাপ-এর থেকে ইসলামি সিম-কার্ড এখানেই এগিয়ে। আবার নামাজের সময় স্বয়ংক্রিয়ভাবে ‘মিউট’ হয়ে যাওয়ার বৈশিষ্টটাও মসজিদের ইমামদের ভালো লাগার কথা, কেননা নামাজের মাঝখানে হঠাৎ ফোন বাজায় তারাই বিরক্ত হন সবচেয়ে বেশি।
হাৎসোপুলোসের মাথায় ইসলামি সিম-কার্ডের ধারণাটা আসে ২০০৯ সালে, যখন তিনি স্পেনের বার্সেলোনায় মোবাইল ওয়ার্ল্ড কংগ্রেসে অংশগ্রহণ করছিলেন। এলজি সংস্থা সেই কংগ্রেসে একটি মোবাইল পেশ করে, যা-তে মুসলিমদের জন্য বিশেষ ফাংশন ছিল। তা থেকেই হাৎসোপুলোসের মাথায় আইডিয়া আসে: এই সব ফাংশন একটি সহজ সিম-কার্ডে দিতে পারলে মুসলমানরা যে কোনো মোবাইলে সেই সিম-কার্ড ঢুকিয়ে ফোনটিকে একটি ‘ইসলামি মোবাইলে’ পরিণত করতে পারবেন।
হাৎসোপুলোস আপাতত দু’টি আইডিয়া নিয়ে কাজ করছেন। প্রথমত, রমজানের মাসে এই ইসলামি মোবাইল রোজা শুরু করার এবং ইফতার করার সময় জানান দিতে পারবে রিংটোন বাজিয়ে। দ্বিতীয়ত, ইসলামি সিম-কার্ডের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ফাংশনগুলিকে ফেসবুকের সঙ্গে যুক্ত করতে হবে, ‘‘যাতে তরুণ মুসলিমদের কাছে এই বার্তা পৌঁছে দেওয়া যায়।”
বিষয়: বিবিধ
১১৪১ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন