সীমান্তে এয়ারটেলের ১৯১টি অনুমোদনহীন বিটিএস! বিটিআরসি’র ক্ষমা!
লিখেছেন লিখেছেন গেঁও বাংলাদেশী ০৭ আগস্ট, ২০১৩, ১১:২৯:৩৪ রাত
নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিটিআরসি’র অনুমোদন না নিয়ে বিটিএস বসানোর অপরাধে তিনশ কোটি টাকা পর্যন্ত জরিমানা থাকলেও এই আইনকে উপেক্ষা করেই ভারত-বাংলাদেশ এবং মিয়ানমার-বাংলাদেশ সীমান্তে ১৯১টি বিটিএস স্থাপন করেছে মোবাইল ফোন অপারেটর এয়ারটেল।
আবার অনুমোদনহীনভাবে বিটিএস স্থাপনের জন্যে তারা নানা ব্যাখ্যাও দিয়েছে বিটিআরসি’র কাছে। পরে গত ১২ জুন কমিশনের ১৫৪তম বৈঠকে এটিকে ‘ক্ষমা সুন্দর’ দৃষ্টিতে নিয়ে ঘটনাত্তোর বা পোস্ট ফ্যাক্ট অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। তবে শাস্তির জায়গায় ভবিষ্যতের জন্যে তাদেরকে কেবল শতর্ক করা হয়েছ।
বিষয়টি সম্পর্কে ব্যক্তিগত পর্যায়ে এয়ারেটলের অনেক কর্মকর্তা বলেছেন, তারা দেশের আইনকানুনের প্রতি অনেক স্বচ্ছ বলেই তাদেরকে পদে পদে বিপদে পড়তে হচ্ছে। আর মিডিয়াও তাদেরকে নিয়ে খেলছে বলেও দাবি করেন তারা।
তবে দুই দেশের সীমান্তের দুই পাশেই এয়ারটেলের বিটিএস থাকার ক্ষেত্রে বিশেষ সুবিধা পাওয়ার বিষয়টি উড়িয়ে দেন তারা। অন্যদিকে আবার প্রতিদ্বন্দ্বী অপারেটররা বলছে, এয়ারটেল বলেই বিটিআরসি তাদেরকে ঘটনাত্তোর অনুমোদন দিয়ে মাফ করে দিয়েছে। কিন্তু এখানে অন্য কেউ হলেই এর জন্যে কয়েকশ কোটি টাকার জরিমানা গুনতে হতো। এয়ারটেল বরাবরই এই সুবিধা পেয়ে আসছে বলেও দাবি করেন তারা।
সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, সীমান্তে বিটিএস স্থাপনের জন্যে কেবল বিটিআরসি নয়, একই সঙ্গে দেশের সীমান্তবাহিনী বাংলাদেশ বর্ডারগার্ড বাহিনীরও অনুমোদন প্রয়োজন হয়। কিন্তু তার কোনো কিছুই ধার ধারেনি অপারেটরটি। বরং নিয়মকানুনকে থোড়াই কেয়ার করেছেন তারা।
বিষয়টি প্রথম বিটিআরসি’র দৃষ্টিতে আসে যখন মে মাসে ১৫১তম কমিশন বৈঠকে বিষয়টি উত্থাপন করেন ইঞ্জিনিয়ারিং ও অপারেশন বিভাগের কমিশনার এ টি এম মনিরুল আলম।
ওই বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়, “বিটিএস স্থাপন সংক্রান্ত কমিশনের সুস্পস্ট নির্দেশনা থাকা সত্ত্বেও কি পরিস্থিতিতে নিরাপত্তা ছাড়পত্র এবং কমিশনের অনুমোদন ব্যতিরেকে সীমান্তবর্তী বিটিএস স্থাপন করা হয়েছে সে বিষয়ে বিস্তারিত ব্যাখ্যা প্রদানের জন্যে এয়ারটেল বাংলাদেশ লিঃ কে পত্র প্রেরণের সিদ্ধান্ত হল।”
এদিকে বিটিআরসি’র অপর একটি সূত্র জানিয়েছে, এয়ারটেল তাদের ব্যাখ্যা জানিয়েছে, বিটিআরসি’র কঠিন রোল আউট অবলিগেশনের জন্যে দ্রুততার সঙ্গে রোল আউট করতে গিয়ে তারা ‘ভুলক্রমে’ বিটিআরসি’র কাছ থেকে অনুমোদন গ্রহন করেনি।
তাছাড়া অনেক সময় রোল আউটের দায়িত্বে থাকা কর্মকর্তাদের চাকরি ছেড়ে চলে যাওয়াকেও কারণ হিসেবে ব্যাখ্যা করেছে এয়ারটেল।
ব্যাখ্যায় এয়ারটেল কর্তৃপক্ষ বিষয়টি ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখার আহবান জানিয়ে অনুমোদন চায়। বিটিআরসি’র কিছু কর্মকর্তা বলেছেন, স্পর্শকাতর সিদ্ধান্ত বলেই অনেকেই এয়ারটেল বিষয়ে কোনো কথা বলতে চান না। কমিশনের সিদ্ধান্তকেই কেবল উপস্থাপন করতে চান তারা।
বিষয়: বিবিধ
১৩৫৯ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন