আল- কোরআনের সংখ্যাগত মোজেজা : পর্ব -১

লিখেছেন লিখেছেন আলোর পথে আলোকিত ১৯ মার্চ, ২০১৩, ০৫:৩৬:১২ সকাল

মহা গ্রন্থ আল- কোরআনে পৃথিবীর সবচেয়ে বিস্ময়কর নিদর্শন। চৌদ্দশ বছর আগে প্রিয় হযরত মুহাম্মদ (সঃ) এর নিকট মহান রাব্বুল আলামিনের নাজিলক্রীত এই পবিত্র গ্রন্থ খানি সময়, স্থান, প্রভৃতি সব কিছুকেই অতিক্রম করে নিজ মহিমায় ভাস্বর। যারা কোরআনের নির্ভুলতাকে চ্যালেঞ্জ করেছে তারা সবাই নির্বোধ হিসেবে দুনিয়া থেকে বিদায় নিয়েছেন। আর যারা কোরআনকে অপমান করার স্পর্ধা দেখিয়েছে তারা করুন পরিণতির সম্মুখীন হয়েছে । বর্তমান বিজ্ঞানের চরম উৎকর্ষতার এই যুগেও কোরআন প্রতিনিয়ত নির্ভুলতার প্রমান দিয়ে যাচ্ছে। মহান রাব্বু;ল আলামিন কোরআন কে কালোত্তীর্ণ করেই পাঠিয়েছিলেন। যারা বর্তমান বিজ্ঞানের সাথে কোরআনের বৈপরীত্য দেখতে পান তাদেরকে বলি আজ থেকে ২০ বছর আগেও বিজ্ঞান যা বলত তার অনেক কিছুই ভ্রান্ত প্রমানিত হয়েছে। এখন যে সব তত্ত্ব, সুত্র, বৈজ্ঞানিক জ্ঞানকে আমরা ১০০% সত্য হিসেবে মনে করি তার অনেক কিছুই যে সামনে ভুল প্রমানিত হবে সেই ব্যাপারে আমরা সুনিশ্চিত। তাই একটা সন্দেহজনক জ্ঞানের উপর ভিত্তি করে আল- কোরআনের যাচাই করা পুরোপুরি অযৌক্তিক এবং অবিচার হয়ে যাবে।

সবচেয়ে দুঃখজনক ব্যাপার হল আমরা আজ কোরআন থেকে নিজেদের গুঁটিয়ে নিয়েছি। কিছু নির্দিষ্ট সুরা মুখস্ত করে নামায আদায় করা ছাড়া আর কোথাও কোরআনের আদেশ- নিদেশ পালন করতে আমরা একেবারেই অনিচ্ছুক। অথচ আল- কোরআনে আমাদের জিবনের প্রত্যেকটি দিকের ব্যাপারে সুস্পষ্ট নির্দেশনা আছে।

যাই হোক আপনাদের জন্য আজ কোরআনের কিছু মোজেজা তুলে ধরলাম।

“দুনিয়া” ও “ আখেরাত” এই দুটো কথা কোরআনে সম সংখ্যক বার এসেছে, অর্থাৎ সর্বমোট ১১৫ বার করে এসেছে ।

“ ইমান “ ও “কুফর” শব্দ দুটিও সমান সংখ্যক বার বলা হয়েছে, ২৫ বার করে।

গরম ও ঠাণ্ডা যেহেতু দুটি বিপরীতমুখী ঋতু, তাই এই দুটি শব্দ ও সমসংখ্যক বার এসেছে, অর্থাৎ ৫ বার করে এসেছে ।

আরবি ভাষায় “কুল” মানে বল, তার জবাবে বলা হয় “কালু” মানে তারা বলল । সমগ্র কোরআনে এই দুটি শব্দ ও সমান সংখ্যক বার এসেছে, ৩৩২ বার করে।

“মালাকুন” বা “মালায়েকা” মানে ফেরেশতা বা ফেরেশতারা। কোরআনে এটি এসেছে ৮৮ বার। ফেরেস্তাদের চির শত্রু হল “সয়তান” বা “সায়াতিন” – এটি এসেছে সমান সংখ্যক বার।

“আল খাবিস” মানে অপবিত্র আর “আত তায়েব” মানে পবিত্র। সমগ্র কোরআনে এই শব্দদ্বয় সমান সমান সংখ্যক অর্থাৎ ৭বার করে নাজিল হয়েছে।

“ইয়াউমুন” মানে দিন বা দিবস। সমগ্র কোরআনে এই শব্দটি ৩৬৫ টি বার উল্লেখ করা হয়েছে। বছরে যে ৩৬৫ দিন এটা কে না জানে। “ইয়াউমুন” শব্দের বহুবচন হল “আইয়াম” মানে দিবস সমুহ, এই শব্দটি এসেছে ৩০ বার। আরবি ভাষায় চাঁদ হচ্ছে মাসের সূত্র সূচক, গড় বছরের প্রতি মাসে ৩০ দিন, এটাই হচ্ছে চান্দ্র বছরের নিয়ম। হতবাক হয়ে যাই যখন দেখি চাঁদের আরবি শব্দ “কামার” শব্দটি কোরআনে এসেছে ৩০ বার।

“শাহরুন” মানে মাস। এটি কোরআনে এসেছে মোট ১২ বার। “সানাতুন” মানে বছর। কোরআনে এই শব্দটি এসেছে ১৯ বার। বিজ্ঞান সাক্য্ু দিচ্ছে প্রতি ১৯ বছর পর পর সূর্য ও পৃথিবী একি বৃত্তে অবস্থান করে।

কোরআনে “ফুযযার (পাপি)” শব্দটি জতবার এসেছে “আবরার (পুণ্যবান)” শব্দটি এসেছে তার দীগুণ। “ফুযযার” ৩ বার আর “আবরার” ৬ বার । এর কারন হচ্ছে শাস্তির তুলনায় পুরস্কারের পরিমাণ মহান রাব্বুল আলামিন দ্বিগুণ দিবেন বলে ওয়াদা করেছেন। যেমন কোরআন শরীফের সুরা সাবার ৩৭ নম্বর আয়াতে আল্লা তায়ালা বলেছেন

“ তবে যারা বিশ্বাস স্থাপন করে ও সৎকর্ম করে, তারা তাদের কর্মের দ্বিগুণ প্রতিদান পাবে এবং তারা সুউচ্চ প্রাসাদে নিরাপদে থাকবে।“

এই কারনেই দেখা যায় গোটা কোরআনেই পাপী ও পুণ্যবান শব্দের মত “আযাব” শব্দটি জতবার এসেছে “সউয়াব” শব্দটি তার দ্বিগুণ এসেছে। অর্থাৎ “আযাব” ১১৭ বার আর “সউয়াব” ২৩৪ বার।

বিষয়: বিবিধ

১৫৮৭ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File