কোরআন শরীফ অনুবাদের সংক্ষিপ্ত ইতিহাস---১
লিখেছেন লিখেছেন আলোর পথে আলোকিত ১৮ মার্চ, ২০১৩, ০৭:৪৩:২২ সন্ধ্যা
অনুবাদ বা ভাষান্তর এমনিতেই একটি জটিল বিষয় । কোরআনের মত একটি আসমানি কিতাবের ব্যাপারে জটিলতার সাথে স্পর্শকাতরতার বিষয়টিও জড়িত। মানুষের তৈরি গ্রন্থের বেলায় বক্তার কথা হুবহু ছাপা না হলে তেমন কি বা আসে যায় ।বড়জোর বলা যায় অনুবাদক মুল লেখাটির ভাব-বিন্যাস হয়তো পুরোপুরি বুঝতে পারেননি । কিন্তু কোরআনের ক্ষেত্রে বিষয়টি এতই গুরুত্বপূর্ণ যে যেকোনো একটি হরফ বা উচ্চারণ একটু ব্যতিক্রম হয়ে গেলে তা আল্লাহর পবিত্র বানীর অর্থকে পরিবর্তন করে দেয় যা একজন মুসলমানের জন্য কোনভাবেই কাম্য নয়। এজন্য মুসলমানের মধ্যে বহু শতাব্দী ধরে কেউ কোরআনের অনুবাদ করতে সাহস পান নি। এমনকি বিগত শতকের মাঝামাঝি সময় পর্যন্ত মধ্য এশিয়ার আলেমরা ফতোয়ার মাধ্যমে কোরআনের অনুবাদ কে ফতোয়ার মাধ্যমে বন্ধ করে রেখেছিলেন। আফ্রিকা মহাদেশে বিশেষ করে নাইজেরিয়া অ নাইজারে আরবির পরে হাউসা হচ্ছে সবচেয়ে সর্বাধিক সমৃদ্ধ ভাষা । এই ভাষার আলেমরা দীর্ঘদিন পর্যন্ত কোরআনের অনুবাদকে বন্ধ রাখেন এই বলে যে এতে কোরআনের মর্যাদা ক্ষুণ্ণ হওয়ার আশংকা থাকে।এই মহাদেশের ক্যামেরন রাজ্যের সুলতান সাইদ ও আলেমদের তীব্র বিরোধিতার কারণে ফিরে আসেন বামুম ভাসায় কোরআন শরীফ অনুবাদের কাজ থেকে। মুসলিম দুনিয়ার শ্রেষ্ঠ বিদ্যাপীঠ মিসরের আল আজহার বিশ্ববিদ্যালয়ের ফতোয়া বোর্ড ও তো এই সেদিন পর্যন্ত কোরআনের যাবতীয় অনুবাদ কর্মের বিরোধিতা করে আসছিলো ।
সম্মানিত পাঠক ভাইদের মনে হতে পারে কোরআনের অনুবাদের বিরোধিতা-কারীরা ভুল করেছিলেন, কারণ এর মাধ্যমে সাধারণ জনগণ যারা আরবি বুঝেন না তাদের কোরআন বুঝতে সমস্যা হয়। কিন্তু আমাদের লক্ষ্য করতে কারণে বা কি মানুসিকতায় তারা এই বিরোধিতা করেছিলেন। আল্লাহর মহান বানীর অর্থের অনুবাদ মৌলিক ভাবার্থের সাথে সাংঘরশিক হতে পারে এই বিবেচনায় তারা বিরোধিতা করেছিলেন।
এই প্রসঙ্গে রাসুল(স) এর একখানা হাদিস খুবই অর্থবহ।
“প্রত্যেকটি আমল(কর্ম) নিয়তের উপর নির্ভরশীল বা সকল কাজের ফলাফল নিয়ত অনুযায়ী পাবে।“
(বুখারী ও মুসলিম)
চলবে
বিষয়: বিবিধ
১১৯৩ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন