:: ইসলাম ও মঙ্গল: আব্বাসীয়দের পতন :: ১ম পর্ব =======================================
লিখেছেন লিখেছেন আলোর পথে আলোকিত ১৭ নভেম্বর, ২০১৩, ০২:৪৮:৩৩ রাত
ইতিহাসে দুইজন সেনাপতি আছেন যারা জীবনে কোনদিন একটি যুদ্ধেও হারে নি, একজন হযরত খালিদ ইবনুল ওয়ালিদ (রা) [মুসলিমদের বিরুদ্ধে ও মুসলিমদের সাথে যুদ্ধে] ও আরেক জন তেমুদজিন বা চেংগিস খান [‘খান’ অর্থ রাজা বা শাসনকর্তা]। মঙ্গলদের সাম্রাজ্যের [একটানা] মত এত বড় [৩ কোটি ৩০ লক্ষ বর্গ কিলোমিটার] সাম্রাজ্য পুরো পৃথিবীতে কেউ দখল করতে পারেনি!! অবশ্য ব্রিটিশদের ছিল ৩ কোটি ৩৭ লক্ষ বর্গ কিলোমিটার, কিন্তু সেটা ভিন্ন ভিন্ন স্থানে একসাথে নয়! মঙ্গলদের সাম্রাজ্য দখলের যাত্রা শুরু হয় ১২০৬ সালে এবং তাদের সাম্রাজ্যের অগ্রগতির শিখরে উঠে ১২৭৬ সালে।
চেংগিস খান ও তার বংশধরেরা মুসলিমদের সাথে যা করেছে তা ইতিহাসে অভূতপূর্ব। পশ্চিমা ইতিহাসবিদরা বলেন, “তারা পোল্যান্ডে পৌছায়, বুলগেরিয়াতে পৌছায়, মস্কোতে পৌছায় কিন্তু তারা মুসলিমদের সাথে যা করেছে তা নিষ্ঠুরতার দিক দিয়ে অদ্বিতীয়।” যখন তারা বুখারা [উজবেকিস্তানের একটা শহর যেখানে ইমাম বুখারি (র), ইবন্ সিনা প্রমুখ জন্মগ্রহণ করেন] দখল করে তখন তারা সকল মুসলিমদের মসজিদে জড়ো করে এবং হত্যা করে। যখন তারা সমরকান্দ [বর্তমান কাজাকিস্তানের একটি শহর] দখল করে তখন প্রত্যেক মুসলিমকে সমরকান্দের বাইরে নিয়ে আসে এবং প্রত্যেককে হত্যা করে। তারপর তারা তাদের [মুসলিম] মাথা দিয়ে পিরামিড তৈরি করে!! বিখ্যাত ইতিহাসবিদগণ উল্লেখ করেন, যখন তারা গুরগাঁও, জুওয়াইনি দখল করে তখন ৫০,০০০ মঙ্গল সৈন্যের প্রত্যেককে ২৪ টি করে মুসলিম হত্যা করতে দেয়া হয়!! মোট ১২,০০,০০০ [বারো লক্ষ!] মুসলিমকে হত্যা করা হয়!!! এরা ছিল জীবন্ত কিলিং মেশিন!! একবার চিন্তা করেন তখন কোন যন্ত্র ছিল না, প্রত্যেককে তরবারি দিয়ে হত্যা করা লেগেছে অবস্থাটা একবার চিন্তা করেন!!
মঙ্গলরা যখন এই হত্যাযজ্ঞ চালাচ্ছিল সেটা মূলত ছিল পারস্যতে আর সেখানকার অধিবাসীরা ছিল শিয়া মুসলিম। সেই সময় বাগদাদের সুন্নী মুসলিমরা বলেছিল যে শিয়ারা পাপ করেছে, আল্লাহর আদেশ অমান্য করেছে তাই আল্লাহ তাদের এই শাস্তি দিয়েছেন!! সুন্নীরা শিয়াদের দূরবস্থাতে মনে মনে কিছুটা খুশিই হয়েছিল!! কিন্তু তাদের খুশি শিঘ্রই চিরদিনের মতই উবে যায় কারণ এরপর যে ঘটনা ঘটবে সেই ইতিহাসে অদৃশ্যপূর্ব!!!
এরপর তারা কোথায় রওনা দিল! বাগদাদ!! বাগদাদ তখন বিশ্বের সবচেয়ে সমৃদ্ধশালী ও সুন্দর শহর!! পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ চিন্তাবিদ, বিজ্ঞানী, গণিতবিদ, চিকিৎসাশাস্ত্রবিদ, প্রযুক্তবিদ, স্থাপত্যবিদের মিলন মেলা। সেটি ছিল বর্তমানের যুক্তরাষ্ট্র!! জ্ঞানের শহর, আলোর শহর!! পৃথিবীর রত্ন!! তখন খলিফা ছিলেন মুসতাসিম। হালাকু খান যখন বাগদাদের কিনারায় আসলো তখন মুসতাসিম তার উপদেষ্টাদের সাথে পরামর্শ করলো। তার উপদেষ্টারা হালাকু খানের সাথে শান্তিচুক্তির পরামর্শ দিল। হালাকু খান তখন খলিফার কাছে বার্তা পাঠালো যে, যদি বাইরে শান্তি আলোচনার জন্য আসতেই হয় তবে একা না এসে সকল উপদেষ্টদের যেন সাথে নিয়ে আসা হয়!! তাই মুসতাসিম তার সাথে ৭০০ উপদেষ্টা নিয়ে আসলো। হালাকু মুসতাসিমের সাথে ৮০ জনকে তার তাবুতে প্রবেশ করতে দিল আর বাকিদের বাইরে রাখলো এবং প্রত্যেককে হত্যা করলো!!!
চলবে...
ইতিহাসে দুইজন সেনাপতি আছেন যারা জীবনে কোনদিন একটি যুদ্ধেও হারে নি, একজন হযরত খালিদ ইবনুল ওয়ালিদ (রা) [মুসলিমদের বিরুদ্ধে ও মুসলিমদের সাথে যুদ্ধে] ও আরেক জন তেমুদজিন বা চেংগিস খান [‘খান’ অর্থ রাজা বা শাসনকর্তা]। মঙ্গলদের সাম্রাজ্যের [একটানা] মত এত বড় [৩ কোটি ৩০ লক্ষ বর্গ কিলোমিটার] সাম্রাজ্য পুরো পৃথিবীতে কেউ দখল করতে পারেনি!! অবশ্য ব্রিটিশদের ছিল ৩ কোটি ৩৭ লক্ষ বর্গ কিলোমিটার, কিন্তু সেটা ভিন্ন ভিন্ন স্থানে একসাথে নয়! মঙ্গলদের সাম্রাজ্য দখলের যাত্রা শুরু হয় ১২০৬ সালে এবং তাদের সাম্রাজ্যের অগ্রগতির শিখরে উঠে ১২৭৬ সালে।
চেংগিস খান ও তার বংশধরেরা মুসলিমদের সাথে যা করেছে তা ইতিহাসে অভূতপূর্ব। পশ্চিমা ইতিহাসবিদরা বলেন, “তারা পোল্যান্ডে পৌছায়, বুলগেরিয়াতে পৌছায়, মস্কোতে পৌছায় কিন্তু তারা মুসলিমদের সাথে যা করেছে তা নিষ্ঠুরতার দিক দিয়ে অদ্বিতীয়।” যখন তারা বুখারা [উজবেকিস্তানের একটা শহর যেখানে ইমাম বুখারি (র), ইবন্ সিনা প্রমুখ জন্মগ্রহণ করেন] দখল করে তখন তারা সকল মুসলিমদের মসজিদে জড়ো করে এবং হত্যা করে। যখন তারা সমরকান্দ [বর্তমান কাজাকিস্তানের একটি শহর] দখল করে তখন প্রত্যেক মুসলিমকে সমরকান্দের বাইরে নিয়ে আসে এবং প্রত্যেককে হত্যা করে। তারপর তারা তাদের [মুসলিম] মাথা দিয়ে পিরামিড তৈরি করে!! বিখ্যাত ইতিহাসবিদগণ উল্লেখ করেন, যখন তারা গুরগাঁও, জুওয়াইনি দখল করে তখন ৫০,০০০ মঙ্গল সৈন্যের প্রত্যেককে ২৪ টি করে মুসলিম হত্যা করতে দেয়া হয়!! মোট ১২,০০,০০০ [বারো লক্ষ!] মুসলিমকে হত্যা করা হয়!!! এরা ছিল জীবন্ত কিলিং মেশিন!! একবার চিন্তা করেন তখন কোন যন্ত্র ছিল না, প্রত্যেককে তরবারি দিয়ে হত্যা করা লেগেছে অবস্থাটা একবার চিন্তা করেন!!
মঙ্গলরা যখন এই হত্যাযজ্ঞ চালাচ্ছিল সেটা মূলত ছিল পারস্যতে আর সেখানকার অধিবাসীরা ছিল শিয়া মুসলিম। সেই সময় বাগদাদের সুন্নী মুসলিমরা বলেছিল যে শিয়ারা পাপ করেছে, আল্লাহর আদেশ অমান্য করেছে তাই আল্লাহ তাদের এই শাস্তি দিয়েছেন!! সুন্নীরা শিয়াদের দূরবস্থাতে মনে মনে কিছুটা খুশিই হয়েছিল!! কিন্তু তাদের খুশি শিঘ্রই চিরদিনের মতই উবে যায় কারণ এরপর যে ঘটনা ঘটবে সেই ইতিহাসে অদৃশ্যপূর্ব!!!
এরপর তারা কোথায় রওনা দিল! বাগদাদ!! বাগদাদ তখন বিশ্বের সবচেয়ে সমৃদ্ধশালী ও সুন্দর শহর!! পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ চিন্তাবিদ, বিজ্ঞানী, গণিতবিদ, চিকিৎসাশাস্ত্রবিদ, প্রযুক্তবিদ, স্থাপত্যবিদের মিলন মেলা। সেটি ছিল বর্তমানের যুক্তরাষ্ট্র!! জ্ঞানের শহর, আলোর শহর!! পৃথিবীর রত্ন!! তখন খলিফা ছিলেন মুসতাসিম। হালাকু খান যখন বাগদাদের কিনারায় আসলো তখন মুসতাসিম তার উপদেষ্টাদের সাথে পরামর্শ করলো। তার উপদেষ্টারা হালাকু খানের সাথে শান্তিচুক্তির পরামর্শ দিল। হালাকু খান তখন খলিফার কাছে বার্তা পাঠালো যে, যদি বাইরে শান্তি আলোচনার জন্য আসতেই হয় তবে একা না এসে সকল উপদেষ্টদের যেন সাথে নিয়ে আসা হয়!! তাই মুসতাসিম তার সাথে ৭০০ উপদেষ্টা নিয়ে আসলো। হালাকু মুসতাসিমের সাথে ৮০ জনকে তার তাবুতে প্রবেশ করতে দিল আর বাকিদের বাইরে রাখলো এবং প্রত্যেককে হত্যা করলো!!!
চলবে...
বিষয়: বিবিধ
৫৬৫৮ বার পঠিত, ১ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
ভালো লাগছিলো খুব
মন্তব্য করতে লগইন করুন