ক্রুসেড, ক্রসেডারদের বর্বরতা ও নাইট টেম্পলার :: পর্ব-১ ===================================

লিখেছেন লিখেছেন আলোর পথে আলোকিত ২৮ অক্টোবর, ২০১৩, ১২:৪৭:৫০ রাত



লোকজন মনে করে যে ক্রুসেড [মুসলিম ও খ্রিস্টানদের মধ্যে ১০৯৬ থেকে শুরু করে বর্তমান অবধি যে যুদ্ধ চলছে, কারণ ১১ই ডিসেম্বর, ১৯১৭ তে ব্রিটিশ জেনারেল, জেনারেল এডমান্ড এলানবি ফিলিস্তিন দখল করার পর বলেছিল, “The Wars of the Crusaders are now Complete!!”। আর জর্জ বুশ-তো আফগানিস্তান ও ইরাকের যুদ্ধকে ক্রুসেড বলেই চালিয়ে দিয়েছে! যদিও এই পোস্টে ক্রুসেড বলতে ১০৯৬ থেকে শুরু করে মুসলিম ও খৃস্টানদের সাথে যে চারবার যুদ্ধ হয়েছে সেটাকেই বোঝানো হয়েছে, বিশেষ করে প্রথম ক্রুসেড টা।] আসলে করা হয়েছে খ্রিস্টানদের গভীর ধর্মানুভূতি থেকে, প্রকৃতপক্ষে কথাটা প্রায় পুরোটাই মিথ্যা। ক্রুসেডের প্রধান কারণ ছিল অর্থলিপ্সা!! সেই সময়তে ইউরোপ ছিল হতদরিদ্র, তারা মুসলিমদের ধন-সম্পত্তি ও অগ্রগতি সম্পর্কে খুব ভালভাবেই অবগত ছিল। তাদের ধারণা ছিল যে মুসলিমদের অগাধ সম্পত্তি আছে, তাদের সম্পত্তি দখল করতে পারলে সারা জীবন বসে বসেই পার করে দেয়া যাবে! আসলে ক্রুসেডের প্রতি খ্রিস্টানদের আকর্ষণ করেছিল মুসলিমদের এই সম্পত্তি, আর সেই আগুনে ঘি ঢেলেছিল স্বয়ং পোপ দ্বিতীয় উরবান!! প্রায় ১,০০০ বছর খ্রিস্টানরা শান্তশিষ্ট থাকার পর হঠাৎ করেই তাদের “Holy Land” উদ্ধার করার ‘মহৎ’ চিন্তা খোঁচা দিয়ে ওঠে!

১০৯৫ খ্রিস্টাব্দে পোপ দ্বিতীয় উরবান ক্লেরমন্টের কাউন্সিলে ক্রুসেডের ঘোষণা দেন। তার সভাপতিত্বে ৩০০ জন যাজক এটার সমর্থন করে। খ্রিস্টান ধর্মের ভালবাসা ও শান্তির কথা যেগুলো তারা এতদিন ধরে প্রচার করে আসছিল সেগুলো তারা পরিহার করে এবং যুদ্ধজয়ের নীতি তারা গ্রহণ করে। পোপ দ্বিতীয় উরবান ধনী বা দরিদ্র, অভিজাত বা চাষী সবাইকে একত্রিত হতে আহবান জানায়, “Holy Land” মুক্ত করার জন্য মুসলিমদের বিরুদ্ধে যুদ্ধে সবাইকে একতাবদ্ধ হতে আহবান জানায়। তার জন্য এটা ছিল একটা “Holy War!”

ঐতিহাসিকদের মতে পোপ উরবান ছিল একজন ভাল বক্তা। তার ইচ্ছা ছিল খ্রিস্টানদের তুরস্ক ও আরবের মুসলিমদের বিরুদ্ধে উত্তেজিত করা এবং সে সফলও হয়েছিল। সে মিথ্যা অভিযোগ করেছিল যে মুসলিমরা খ্রিস্টান তীর্থযাত্রীদের উপর আক্রমণ করছে এবং খৃস্টানদের পবিত্র স্থানসমূহ লঙ্ঘন করছে!

ঐতিহাসিকরা এটার নিশ্চয়তা দিয়েছেন যে, মুসলিমরা খৃস্টান ও ইহুদিদের প্রতি খুবই সহনীয় ছিল, তারা তাদেরকে প্রার্থনা করতে অনুমতি দিত। ইসলামের নৈতিক রীতি অনুযায়ী সকল সংখ্যালঘুরাই পবিত্র ভূমিতে শান্তির সাথে একে অপরের সাথে থাকতো। কিন্তু তখনকার যোগাযোগ ব্যবস্থা এখনকার ধারে কাছেও ছিল না তাই সঠিক তথ্য ইউরোপের জনগনের কাছে পৌছে নি আর এটাকে হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করে ভ্যাটিকান [দুঃখের কথা কি বলবো ভাই/বোন, এখনকার এত অত্যাধুনিক যোগাযোগ ব্যবস্থা থাকা শর্তেও উল্টাপাল্টা তথ্য দিয়ে মানুষ জঘন্য কাজ করে বেড়াচ্ছে আর তখনকার কথা তো বাদই দিলাম! আল-কায়েদার ৯/১১-এ ‘টুইন টাওয়ার হামলা’, ইরাকে সাদ্দাম হুসাইনের ‘গণ বিধংসী অস্ত্র/WMD’, ইরানের ‘পারমাণবিক অস্ত্র’, সিরিয়ার আসাদ সরকার নিজের দেশের জনগণের বিরুদ্ধে ‘রাসায়নিক অস্ত্র/Chemical Weapon’ ব্যবহার, .... সবই মিথ্যা ও মিডিয়া ব্লাক আউট, ‘Manipulation ও Exploitation’-এর কারণে!! কতগুলো শয়তানের অনুসারীর হাতে বিশ্ব মিডিয়া পড়ে যাওয়ার কারণে এই অবস্থা!]!

ইউরোপের খৃস্টান অধিবাসীরা রোমের ভ্যাটিকানের প্রতি অনুগত ছিল, তারা ইস্টার্ন অর্থোডক্স চার্চ বা গ্রীকভাষী বিজেন্টিয়ামদের সম্পর্কে খুব কমই জানতো, আর ইসলামের কথা তো বাদই দিলাম!!

পোপ উরবান সাধারণ জনগণের আবেগকে কাজে লাগালো। সে ঘোষণা দিল যে, যারা ক্রুসেডে অংশগ্রহণ করবে তাদের সকল পাপ ক্ষমা করে দেয়া হবে!! উৎসাহী লোকদের ক্রুশের প্রতীক সম্বলিত কাপড় প্রদান করা হল এবং তারা “Holy War” নামের শব্দটা চারদিকে ছড়াতে লাগলো!! মজার ব্যাপার হল, এই আহবানের প্রতি ব্যাপক জনগণের সাড়া মিললো এবং খুবই কম সময়ের মধ্যেই বিশাল “ক্রুসেডের সৈন্যবাহিনী” একত্রিত হল। এই বাহিনীতে শুধু পেশাগত যোদ্ধাই ছিলনা বরং হাজার হাজার সাধারণ জনগণও ছিল। কিছু কিছু ঐতিহাসিকগণ বলেন যে, ইউরোপের [খৃস্টান] হত দরিদ্র রাজাগণ প্রাচ্যের মুসলিমদের সম্পদ লুট করার জন্য পোপকে দিয়ে “Holy War” এর আহবান দিতে চাপ দেয়!! আরেক ঐতিহাসিকগণের মতে, পোপ দ্বিতীয় উরবানের “Holy War” ঘোষণার পুরোপুরি ভিন্ন উদ্দেশ্য ছিল, তার উদ্দেশ্য ছিল খৃস্টান জগতে ক্ষমতা ও সম্মান অর্জন যাতে পোপের পদ গ্রহণে তার প্রতিদ্বন্দী কেউ না হতে পারে!! কিন্তু বাস্তবতা হল, বিভিন্ন রাজা, রাজপুত্র, অভিজাত লোকজন এবং যারা পোপের আহবানে সাড়া দিয়েছিল তারা শুধুমাত্র বৈশ্বিক উদ্দেশ্যেই সাড়া দিয়েছিল! যুক্তরাষ্ট্রের University of Illinois –এর একজন প্রফেসর ডোনাল্ড কুয়েলার বলেন, “ফ্রান্সের নাইট-রা চাচ্ছিলো আরো বেশি জমি, ইতালির বনিকেরা তাদের ব্যবসা মধ্যপ্রাচ্যের বন্দর পর্যন্ত তাদের প্রসারিত করতে চাচ্ছিল...... বিশাল সংখ্যক গরীব লোকেরা তাদের প্রতিদিনের দারিদ্রতা থেকে মুক্তি পেতে এই অভিযাত্রায় অংশ নিয়েছিল।”

এই লোভী পঙ্গপালেরা অগণিত মুসলিম এবং ইহুদিকে হত্যা করেছিল শুধু এই আশায় যে তারা তাদের কাছে স্বর্ণ ও বিভিন্ন অলংকার পাবে! ক্রুসেডারদের মধ্যে একটা সাধারণ প্র্যাকটিস ছিল যে তারা তাদের শিকারের নাড়িভূড়ি বের করে দিত এই আশায় যে তারা [তাদের শিকার] ক্রুসেডারদের কাছে থেকে তাদের স্বর্ণ ও অলংকারসমূহ লুকানোর জন্য হয়তো গিলে ফেলেছে!! তাদের অর্থলিপ্সা এত দূর পর্যন্ত পৌছেছিল যে তারা তখনকার খৃস্টান-কন্সট্যান্টিনোপল [বর্তমান ইস্তাম্বুল] লুট করে, শুধু তাই নয় সেখানকার ক্যাথিড্রাল-হেজিয়া সোফিয়া-এর ভিতর স্বর্ণের ফ্রেসকো তুলে ফেলে। যারা তাদের নিজেদের ক্যাথিড্রালে এরূপ করতে পারে তারা মুসলিমদের মসজিদ বা ইহুদিদের টেম্পল বা মুসলিম-ইহুদিদের সাথে কিরূপ আচরণ করতে পারে সেটা আর বলার অপেক্ষা রাখে না!

ইন-শা-আল্লাহ — মুসলিম, ইহুদিদের সাথে ক্রুসেডারদের বর্বরতা আগামী পোস্টে প্রকাশিত হবে।

Photo: ক্রুসেড, ক্রসেডারদের বর্বরতা ও নাইট টেম্পলার :: পর্ব-১ =================================== লোকজন মনেকরে যে ক্রুসেড [মুসলিম ও খ্রিস্টানদের মধ্যে ১০৯৬ থেকে শুরু করে বর্তমান অবধি যে যুদ্ধ চলছে, কারণ ১১ই ডিসেম্বর, ১৯১৭ তে ব্রিটিশ জেনারেল, জেনারেল এডমান্ড এলানবি ফিলিস্তিন দখল করার পর বলেছিল, “The Wars of the Crusaders are now Complete!!”। আর জর্জ বুশ-তো আফগানিস্তান ও ইরাকের যুদ্ধকে ক্রুসেড বলেই চালিয়ে দিয়েছে! যদিও এই পোস্টে ক্রুসেড বলতে ১০৯৬ থেকে শুরু করে মুসলিম ও খৃস্টানদের সাথে যে চারবার যুদ্ধ হয়েছে সেটাকেই বোঝানো হয়েছে, বিশেষ করে প্রথম ক্রুসেড টা।] আসলে করা হয়েছে খ্রিস্টানদের গভীর ধর্মানুভূতি থেকে, প্রকৃতপক্ষে কথাটা প্রায় পুরোটাই মিথ্যা। ক্রুসেডের প্রধান কারণ ছিল অর্থলিপ্সা!! সেই সময়তে ইউরোপ ছিল হতদরিদ্র, তারা মুসলিমদের ধন-সম্পত্তি ও অগ্রগতি সম্পর্কে খুব ভালভাবেই অবগত ছিল। তাদের ধারণা ছিল যে মুসলিমদের অগাধ সম্পত্তি আছে, তাদের সম্পত্তি দখল করতে পারলে সারা জীবন বসে বসেই পার করে দেয়া যাবে! আসলে ক্রুসেডের প্রতি খ্রিস্টানদের আকর্ষণ করেছিল মুসলিমদের এই সম্পত্তি, আর সেই আগুনে ঘি ঢেলেছিল স্বয়ং পোপ দ্বিতীয় উরবান!! প্রায় ১,০০০ বছর খ্রিস্টানরা শান্তশিষ্ট থাকার পর হঠাৎ করেই তাদের “Holy Land” উদ্ধার করার ‘মহৎ’ চিন্তা খোঁচা দিয়ে ওঠে! ১০৯৫ খ্রিস্টাব্দে পোপ দ্বিতীয় উরবান ক্লেরমন্টের কাউন্সিলে ক্রুসেডের ঘোষণা দেন। তার সভাপতিত্বে ৩০০ জন যাজক এটার সমর্থন করে। খ্রিস্টান ধর্মের ভালবাসা ও শান্তির কথা যেগুলো তারা এতদিন ধরে প্রচার করে আসছিল সেগুলো তারা পরিহার করে এবং যুদ্ধজয়ের নীতি তারা গ্রহণ করে। পোপ দ্বিতীয় উরবান ধনী বা দরিদ্র, অভিজাত বা চাষী সবাইকে একত্রিত হতে আহবান জানায়, “Holy Land” মুক্ত করার জন্য মুসলিমদের বিরুদ্ধে যুদ্ধে সবাইকে একতাবদ্ধ হতে আহবান জানায়। তার জন্য এটা ছিল একটা “Holy War!” ঐতিহাসিকদের মতে পোপ উরবান ছিল একজন ভাল বক্তা। তার ইচ্ছা ছিল খ্রিস্টানদের তুরস্ক ও আরবের মুসলিমদের বিরুদ্ধে উত্তেজিত করা এবং সে সফলও হয়েছিল। সে মিথ্যা অভিযোগ করেছিল যে মুসলিমরা খ্রিস্টান তীর্থযাত্রীদের উপর আক্রমণ করছে এবং খৃস্টানদের পবিত্র স্থানসমূহ লঙ্ঘন করছে! ঐতিহাসিকরা এটার নিশ্চয়তা দিয়েছেন যে, মুসলিমরা খৃস্টান ও ইহুদিদের প্রতি খুবই সহনীয় ছিল, তারা তাদেরকে প্রার্থনা করতে অনুমতি দিত। ইসলামের নৈতিক রীতি অনুযায়ী সকল সংখ্যালঘুরাই পবিত্র ভূমিতে শান্তির সাথে একে অপরের সাথে থাকতো। কিন্তু তখনকার যোগাযোগ ব্যবস্থা এখনকার ধারে কাছেও ছিল না তাই সঠিক তথ্য ইউরোপের জনগনের কাছে পৌছে নি আর এটাকে হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করে ভ্যাটিকান [দুঃখের কথা কি বলবো ভাই/বোন, এখনকার এত অত্যাধুনিক যোগাযোগ ব্যবস্থা থাকা শর্তেও উল্টাপাল্টা তথ্য দিয়ে মানুষ জঘন্য কাজ করে বেড়াচ্ছে আর তখনকার কথা তো বাদই দিলাম! আল-কায়েদার ৯/১১-এ ‘টুইন টাওয়ার হামলা’, ইরাকে সাদ্দাম হুসাইনের ‘গণ বিধংসী অস্ত্র/WMD’, ইরানের ‘পারমাণবিক অস্ত্র’, সিরিয়ার আসাদ সরকার নিজের দেশের জনগণের বিরুদ্ধে ‘রাসায়নিক অস্ত্র/Chemical Weapon’ ব্যবহার, .... সবই মিথ্যা ও মিডিয়া ব্লাক আউট, ‘Manipulation ও Exploitation’-এর কারণে!! কতগুলো শয়তানের অনুসারীর হাতে বিশ্ব মিডিয়া পড়ে যাওয়ার কারণে এই অবস্থা!]! ইউরোপের খৃস্টান অধিবাসীরা রোমের ভ্যাটিকানের প্রতি অনুগত ছিল, তারা ইস্টার্ন অর্থোডক্স চার্চ বা গ্রীকভাষী বিজেন্টিয়ামদের সম্পর্কে খুব কমই জানতো, আর ইসলামের কথা তো বাদই দিলাম!! পোপ উরবান সাধারণ জনগণের আবেগকে কাজে লাগালো। সে ঘোষণা দিল যে, যারা ক্রুসেডে অংশগ্রহণ করবে তাদের সকল পাপ ক্ষমা করে দেয়া হবে!! উৎসাহী লোকদের ক্রুশের প্রতীক সম্বলিত কাপড় প্রদান করা হল এবং তারা “Holy War” নামের শব্দটা চারদিকে ছড়াতে লাগলো!! মজার ব্যাপার হল, এই আহবানের প্রতি ব্যাপক জনগণের সাড়া মিললো এবং খুবই কম সময়ের মধ্যেই বিশাল “ক্রুসেডের সৈন্যবাহিনী” একত্রিত হল। এই বাহিনীতে শুধু পেশাগত যোদ্ধাই ছিলনা বরং হাজার হাজার সাধারণ জনগণও ছিল। কিছু কিছু ঐতিহাসিকগণ বলেন যে, ইউরোপের [খৃস্টান] হত দরিদ্র রাজাগণ প্রাচ্যের মুসলিমদের সম্পদ লুট করার জন্য পোপকে দিয়ে “Holy War” এর আহবান দিতে চাপ দেয়!! আরেক ঐতিহাসিকগণের মতে, পোপ দ্বিতীয় উরবানের “Holy War” ঘোষণার পুরোপুরি ভিন্ন উদ্দেশ্য ছিল, তার উদ্দেশ্য ছিল খৃস্টান জগতে ক্ষমতা ও সম্মান অর্জন যাতে পোপের পদ গ্রহণে তার প্রতিদ্বন্দী কেউ না হতে পারে!! কিন্তু বাস্তবতা হল, বিভিন্ন রাজা, রাজপুত্র, অভিজাত লোকজন এবং যারা পোপের আহবানে সাড়া দিয়েছিল তারা শুধুমাত্র বৈশ্বিক উদ্দেশ্যেই সাড়া দিয়েছিল! যুক্তরাষ্ট্রের University of Illinois –এর একজন প্রফেসর ডোনাল্ড কুয়েলার বলেন, “ফ্রান্সের নাইট-রা চাচ্ছিলো আরো বেশি জমি, ইতালির বনিকেরা তাদের ব্যবসা মধ্যপ্রাচ্যের বন্দর পর্যন্ত তাদের প্রসারিত করতে চাচ্ছিল...... বিশাল সংখ্যক গরীব লোকেরা তাদের প্রতিদিনের দারিদ্রতা থেকে মুক্তি পেতে এই অভিযাত্রায় অংশ নিয়েছিল।” এই লোভী পঙ্গপালেরা অগণিত মুসলিম এবং ইহুদিকে হত্যা করেছিল শুধু এই আশায় যে তারা তাদের কাছে স্বর্ণ ও বিভিন্ন অলংকার পাবে! ক্রুসেডারদের মধ্যে একটা সাধারণ প্র্যাকটিস ছিল যে তারা তাদের শিকারের নাড়িভূড়ি বের করে দিত এই আশায় যে তারা [তাদের শিকার] ক্রুসেডারদের কাছে থেকে তাদের স্বর্ণ ও অলংকারসমূহ লুকানোর জন্য হয়তো গিলে ফেলেছে!! তাদের অর্থলিপ্সা এত দূর পর্যন্ত পৌছেছিল যে তারা তখনকার খৃস্টান-কন্সট্যান্টিনোপল [বর্তমান ইস্তাম্বুল] লুট করে, শুধু তাই নয় সেখানকার ক্যাথিড্রাল-হেজিয়া সোফিয়া-এর ভিতর স্বর্ণের ফ্রেসকো তুলে ফেলে। যারা তাদের নিজেদের ক্যাথিড্রালে এরূপ করতে পারে তারা মুসলিমদের মসজিদ বা ইহুদিদের টেম্পল বা মুসলিম-ইহুদিদের সাথে কিরূপ আচরণ করতে পারে সেটা আর বলার অপেক্ষা রাখে না! ইন-শা-আল্লাহ — মুসলিম, ইহুদিদের সাথে ক্রুসেডারদের বর্বরতা আগামী পোস্টে প্রকাশিত হবে।

বিষয়: বিবিধ

৪৪৪৪ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File