খুন গুমের দেশ এখন বাংলাদেশ !
লিখেছেন লিখেছেন ফারদিন ইসলাম ১৩ মে, ২০১৪, ০৬:০৭:৪২ সন্ধ্যা
যে দেশে আইনশৃংখলা বাহিনী সরাসরি গুম খুন হত্যার সাথে জড়িত সে দেশে মানুষ গুম একটি সাধারন বিষয় !
এখন পুলিশ ও অন্যান্য বাহিনীর কাছে কোনো ব্যাপারে অভিযোগ করতে গেলে উল্টো আরো বিপদেই পড়তে হয় ! যেকোনো বিষয়ে সাধারন অভিযোগ করতেও প্রচুর অংকের টাকা ঘুষ দিতে হয় ! টাকা ছাড়া কোনো থানাতেই পুলিশ অভিযোগ গ্রহন করেন না । অথচ পুলিশ বাহিনী কার স্বার্থে কিসের জন্যে ? দেশের আইন শৃংখলা রক্ষার জন্যে যাদের নিয়োজিত করা হয়েছে আজ তারাই আইনশৃংখলার বিঘ্ন সৃষ্টি করছে ! তারাই গুম খুন হত্যার নামে দেশে দিনের পর দিন নৈরাজ্য সৃষ্টি করছে ! আসলে দেশ চলে গেছে কিছু স্বার্থন্বেষী লোকের হাতে,আর এসব স্বার্থন্বেষী লোকেরাই তাদের স্বার্থকে চিরর্তাথ্ব করার জন্যে এসব বাহিনীগুলোকে নিজেদের প্রয়োজনে ব্যবহার করছে ! সাধারন মানুষের পক্ষে এভাবে গুম খুন হত্যা করা সম্ভব নয় । এসব গুম খুন হত্যার সাথে একটি বিশেষ বাহিনী কাজ করছে,আর এজন্যে দেশে দিন দিন অপরাধ প্রবনতা বেড়েই চলছে । যতোদিন এসব বাহিনী প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ্যভাবে রাজনৈতিক দলগুলোকে এসব গুম খুন হত্যা থেকে বিরত না থাকবে ততোদিন দেশে এসব চলতেই থাকবে ! আর এসব বিকৃত বাহিনী দ্বারা মানুষ গুম খুন হতেই থাকবে !
বিষয়: বিবিধ
১২১৯ বার পঠিত, ৭ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
আর বৈষম্যমূলক অর্থনীতি কীভাবে সমাজকে অপরাধ প্রবণ করে তুলছে, তা আমরা ভাবিনা । সাধারন দৃষ্টিতে মনে হবে সুস্থ্য ধারার রাজনীতি ও আইনের শাসন থাকলে সমাজে অপরাধ ঘটত না । কিন্তু রাষ্ট্রে বৈষম্যেমূলক অর্থনীতির ধারা চালু রেখে সমাজকে শান্ত-সুস্থির রাখার যতই স্বপ্ন দেখিনা কেন, তা বাস্তবে সম্ভব নয় । এই রকম চিন্তা-ভাবনা আকাশ-কুসুম কল্পনা বৈ কিছুই নয় ।
বর্তমান অর্থনৈতিক ব্যবস্থায় এক শ্রেনীর মানুষ সম্পদের পাহাড় গড়ছে আর বেশীর ভাগ মানুষ দিন-দিন নিঃস্ব হচ্ছে । সম্পদশালী মানুষরা বিলাসী জীবন-যাপন করছে আর নিরাপদ আয়েসী জীবনের লক্ষ্যে উন্নত দেশে টাকা পাচার করে বাড়ী-গাড়ী গড়ে তুলছেন, নিজ দেশে লুটের টাকায় কলকারখানাও গড়ছেন না । ফলে কর্মসংস্থানের ক্ষেত্রও তৈরী হচ্ছে না । এই চলমান অর্থনীতির বাস্তবস্থায় নিঃস্ব পরিবারে জন্ম নেয়া শিশুটি ৫/৭ বছর পর্যন্ত রাস্তার ধারে ভিক্ষা করে অখাদ্য-কুখাদ্য খেয়ে বাঁচতে পারলে বয়স বেড়ে ১০/১১ দিকে গড়ালে তার চাহিদা বাড়ে কিন্তু ঐ বয়সে সে পারেনা ভিক্ষা করতে, পায়না কর্মের সুযোগ । ফলে শিক্ষা বঞ্চিত এই তরুণ ছেলেটি বাঁচার তাগিদে ছোটখাট চুরি ছিনতাই রাহাজানীর মাধ্যমে অপরাধ জগতে প্রবেশ করলেও ধাপে-ধাপে পরিণত হয় ভয়ন্কর অপরাধীতে ।
এভাবে গরীব পরিবারের সন্তানকে শিক্ষাদীক্ষা ও কর্মসংস্থান বঞ্চিত করে আমরা নিরাপদে জীবন-যাপন করবো, আমাদের ছেলে-সন্তানরা মুক্তিপণের দাবীতে অপহৃত হবেনা, আমি-আপনি ছিনতাই-রাহাজানীর শিকার হবো না, এমনটা ভাববার অবকাশ নেই । আজ বা কাল আমি আপনি শিকার হবোই ।
অন্যদিকে, এই বৈষম্যমূলক অর্থনীতি থেকে সৃষ্ট অপরাধীরা যখন রাজনীতির আশ্রয়-প্রশ্রয় লাভ করে এবং মাদকের ছোঁয়া পায়, তখন এমন কাজ নেই যা তার দ্বারা সম্ভব নয়, খুন-খারাবী এমনকী লাশকে টুকরো টুকরো করতেও বিবেকে বাঁধে না । স্বাভাবিক ভাবেই বলা যায় বর্তমান ধারার রাজনীতি-অর্থনীতি বজায় থাকলে প্রথমদিকে রাষ্ট্র নীতিহীন দূর্বল চিত্তের রাজনীতিবিদ ও লুটেরা ব্যবসায়ীদের হাতে থাকলেও ধীরে-ধীরে তা দুর্নীতিবাজ লুটেরা ব্যবসায়ী ও মাফিয়া চক্রের হাতে চলে যেতে বাধ্য ।
বর্তমান আর্থ-সামাজিক বাস্তবতার কারনে আমাদের সমাজে সন্ত্রাস এখন রাষ্ট্রীয় ক্যান্সারে পরিণত হয়েছে । শরীরে ক্যান্সার ধরা পড়লে যেমনি নিরাময় সম্ভব হয় না বড়জোড় চিকিৎসা দিয়ে একটা নির্দিৃষ্ট সময় পর্যন্ত দমিয়ে রাখা সম্ভব । তেমনি সন্ত্রাস নামক ক্যান্সারের উৎপাত মাত্রাতিরিক্ত পর্যায়ে গেলে র্যাব-পুলিশ দিয়ে ক্রসফায়ারে হত্যা করে সাময়িক ভাবে দমিয়ে রাখছি ।
কী নির্মম সমাজ-রাষ্ট্র তৈরী করছি, একদিকে হতঃ দরিদ্র মানব সন্তানকে আর্থ-সামাজিক ও রাজনীতির মারপ্যাচে সন্ত্রাসী হতে বাধ্য করছি আবার সংখ্যায় বেড়ে গেলে ওকে ক্রসফায়ার নামক নাটকে মেরে ফেলছি আর এই বাস্তবতায় ঐ সন্ত্রাসীর স্বজনরা লাশ নিয়ে আহাজারী করে আর আমরা মিষ্টি বিতড়ন করে সন্ত্রাসীর মৃত্যুকে অভিনন্দিত করছি ।
ধন্যবাদ
মন্তব্য করতে লগইন করুন