যেখানে বির্তক শেষ হয় না !
লিখেছেন লিখেছেন ফারদিন ইসলাম ২৯ এপ্রিল, ২০১৪, ০৫:৪৫:৪৫ বিকাল
বাংলাদেশের স্বাধীনতা মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে যতো বির্তক হচ্ছে বা হয়েছে পৃথিবীর ইতিহাসে আর কোনো দেশে নিজ দেশের স্বাধীনতা মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে এতো বির্তক এতো বিভ্রান্তি এতো মিথ্যাচার হয়নি ! একটি দেশের স্বাধীনতা যেখানে জাতির জন্যে জাতির মানুষের জন্যে গর্বের ও আনন্দের বার্তা বয়ে আনবে সেখানে শুধুই বির্তক আর বির্তক ? কিন্তু কেন এতো বির্তক কেন এতো সমালোচনা কেন এতো বিভ্রান্তি ? পৃথিবীতে প্রতিটি দেশেই স্বাধীনতার পক্ষ ও বিপক্ষ থাকে এবং কোনো একজনের নের্তৃত্বের কল্যানেই অর্জিত হয় সে দেশের স্বাধীনতা;কিন্তু আমাদের দেশের স্বাধীনতা আর মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে সেই স্বাধীনতার পর থেকেই চলছে দ্বন্ধ বির্তক !
দেশের স্বাধীনতা নিয়ে কোনো বির্তক থাকার কথা নয় কিন্তু কেন এই বির্তক চলছে ? আসলে স্বাধীনতা নিয়ে আমাদের কোনো বির্তক থাকার নয় শুধু বির্তক হচ্ছে ব্যক্তি স্বার্থ ও কিছু বিষয় নিয়ে যা খুবই ছোট একটি বিষয় ।
কাদের নের্তৃত্বগুণে দেশ স্বাধীন হয়েছে কাদের আত্নত্যাগের বিনিময়ে দেশ স্বাধীন আমরা সবাই কমবেশী জানি ।
একটি দেশের স্বাধীনতা কখনো একমূখী হতে পারে না ? আজ দেশের স্বাধীনতা মনে হয় একমূখী হয়ে গেছে আর এজন্যে চলছে বির্তক আর এ বির্তকের শেষ যে কোথায় হবে একমাত্র মহান আল্লাহ তায়ালাই বলতে পারেন ।
স্বাধীনতার জন্যে যেসব তরুণ প্রাণ দিয়ে গেছেন তাদের নিয়ে তো কোনো বির্তক নেই তাদের নিয়ে কোনো সমালোচনাও নেই এবং তাদের নিয়ে কেউ কোনো দিন গালিগালাজও করেনি । যে শত শত তরুণের তাজা রক্তের বিনিময়ে অর্জিত হলো স্বাধীনতা সেই তরুনদের নিয়ে যেখানে কোনো বির্তক কোনো সমালোচনা নেই সেখানে যারা সামনে থেকে নের্তৃত্ব দিয়েছেন কেন তাদের নিয়ে আজ অবধি বির্তকের শেষ হয়নি ? যেসকল বীর সৈনিকেরা স্বাধীনতার জন্যে অকাতরে নিজেদের প্রাণ দিয়ে গেলো আজ তাদের পরিবার পরিজন তাদের সঠিক অধিকার এখনো পায়নি !
সেই বীরশ্রেষ্ঠ হামিদুর রহমান বীরশ্রেষ্ঠ মতিউর রহমান তাদের হয়তো কোনো একটি দিনে আমরা স্মরণ করি অথচ তাদের কথাই আমাদের বেশী স্মরণ করার কথা ।
কে স্বাধীনতার ঘোষক ?কে দেশ স্বাধীন করেছেন ? কে স্বাধীনতা চেয়েছেন কে চাননি এসব নিয়েই আজ ৪৩টি বছর শুধুই বির্তক আর বির্তক !
স্বাধীনতা কোনো ১জন আর ২জনের মধ্যে সীমাবদ্ধ নয় ! স্বাধীনতা ছিলো সমগ্র জাতির জন্যে সমগ্র দেশের জন্যে স্বাধীনতা কারো একার ছিলো না পুরো জাতিকে টিকিয়ে রাখার অস্তিত্ব ছিলো ।
কেউ শুধু স্বাধীনতা আর মুক্তিযুদ্ধের কথা বলতে বলতে মুখে শুধু লালাঝরে আর প্রতিপক্ষকে শুধুই স্বাধীনতা মুক্তিযদ্ধ কথা বলে ঘায়েল করার চেষ্টা ছাড়া আর কিছুই না ! স্বাধীনতা সবার জন্যে হয়েছে অথচ আজ সেই মহান মুক্তিযুদ্ধ আর স্বাধীনতাকে নিয়ে আমরা রাজনীতি করছি । শুধুই কাদা ছড়াছড়ি করছি ? স্বাধীনতা কোনো ব্যক্তিস্বার্থের জন্যে হয়নি স্বাধীনতা হয়েছে দেশের জন্যে নিজের মাতৃভূমিকে রক্ষা করার জন্যে নিজের মায়ের ভাষাকে বাঁচিয়ে রাখার জন্যে ?
ব্যক্তিস্বার্থের চেয়ে দেশের স্বার্থ অনেক বড়ো ।
'' স্বাধীনতা নয় কোনো পণ্য ? আজ আমরা স্বাধীনতাকে পুজিঁ করে তরুন প্রজন্মের মধ্যে বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছি । যেই স্বাধীনতার জন্যে ভাষার জন্যে তরুনরা প্রান দিলো তাদেরকে স্মরণ না করে শুধু ব্যক্তিস্বার্থের জন্যে দেশের সব কিছু আমরা একমূখী করে ফেলছি ! এই একমূখী স্বার্থ কখনোই দেশের জন্যে সুফল আনবে না । স্বাধীনতা ছাড়া কি আছে আর এই জাতির ? অথচ আজ আমরা রাজনীতিবিদরা স্বাধীনতাকে পুজি করে সবকিছুইকে একমূখী করার চেষ্টা করছি । দেশের প্রতিটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে শুরু করে প্রশাসনিক কাঠামো অর্থনীতি মূদ্রা বাজার সব একমূখী করে ফেলছি !
দেশের প্রতিটি মূদ্রা এখন একমূখী প্রতিছবি লক্ষ্য করা যায় অথচ স্বাধীনতা মুক্তিযুদ্ধে ও ভাষার জন্যে কতো তরুণ শহীদ হয়েছেন তাদের কোনোই নাম নিশানা নেই ।
স্বাধীনতা আর ব্যক্তিস্বার্থ নিয়ে যে বির্তক তা কি শেষ হবে নাকি চলবে অনন্তকাল ধরে ? আজ রাজনীতিবিদরা হয়ে গেছে দুষ্টু গরুর মতো ! দুষ্টু গরু যেমন মালিক আর পর কিছুই বুঝে না সবাইকে লাথি মারে ! রাজনৈতিক ব্যক্তিরা নিজ স্বার্থের জন্যে সব কিছুই করতে পারে, আর এখনতো রাজনীতি হচ্ছে উপরে উঠার হাতিয়ার,আর হাতিয়ারকেই এসব রাজনৈতিক ব্যক্তিরা ঢাল হিসেবে ব্যবহার করছে । তাই তাদের কাছে স্বাধীনতা আর মুক্তিযুদ্ধ শুধুই কথার ফুলঝুরি ছাড়া আর কিছুই না !
এসব পঁচা বাশি গান্ধা রাজনীতিবিদদের দিয়ে সংসার চললেও দেশ যাবে রসাতলে । এরা গালিগালাজ আর প্রতিহিংসা ছাড়া কিছুই বুঝে না ।
বিষয়: বিবিধ
১৬৫০ বার পঠিত, ৩ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন