জিকা ভাইরাস সম্পর্কে আমাদের যা জানা উচিত
লিখেছেন লিখেছেন মাজহারুল ইসলাম টিটু ০১ ফেব্রুয়ারি, ২০১৬, ০৬:২৫:৪৪ সন্ধ্যা
বর্তমানে আলোচিত হলো ‘জিকা’ ভাইরাস। ভারত, পাকিস্তানে এই ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার খবর পাওয়া গেলেও বাংলাদেশ এখনো এ থেকে মুক্ত। তবে সতর্ক থাকতে হবে।
লক্ষণ
জ্বর, ব়্যাশ (চামড়ায় লাল ফুসকুড়ি), গোঁড়ালিতে ব্যথা, চোখ লাল হয়ে যাওয়া– জিকা ভাইরাসে আক্রান্ত হলে সাধারণত এ সব লক্ষণ দেখা দেয়। এছাড়া পেশীতে ও মাথায়ও ব্যথা হতে পারে। জিকা ভাইরাসে আক্রান্ত প্রতি পাঁচজনের মধ্যে একজনের অসুস্থ হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
নামকরণের ইতিহাস
‘জিকা’ নামটি নেয়া হয়েছে উগান্ডার জিকা বন থেকে। ১৯৪৭ সালে হলুদ জ্বর নিয়ে গবেষণার সময় বিজ্ঞানীরা জিকা বনে একটি খাঁচায় একটি বানর রাখে।
পরে বানরটি জ্বরে পড়লে তার দেহে একটি সংক্রামক এজেন্টের উপস্থিতি শনাক্ত করা হয়। ১৯৫২ সালে এর নাম দেয়া হয় জিকা ভাইরাস। এরপর ১৯৫৪ সালে নাইজেরিয়ায় এক মানুষের দেহে এই ভাইরাস পাওয়া যায়।
যেসব দেশে ছড়িয়েছে
২০১৫ সাল নাগাদ আফ্রিকা, দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া এবং দক্ষিণ ও মধ্য অ্যামেরিকার কয়েকটি দেশে এই ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ে। সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের দুইজন নাগরিকের শরীরেও এই ভাইরাসের সংক্রমণ ধরা পড়েছে।
যেভাবে ছড়ায়
এডিস ইজিপ্টি নামের মশার কামড়ের মাধ্যমে এই ভাইরাস মানুষের শরীরে প্রবেশ করে। ফলে মশার কামড় থেকে বাঁচার যে উপায়গুলো আছে সেগুলো মেনে চললেই এই ভাইরাসের আক্রমণ থেকে বাঁচা যাবে।
গর্ভবতী নারীরা বেশি সাবধান!
সম্প্রতি একটি বিষয়ে নিশ্চিত হতে পারছেন না গবেষকরা। তাদের কারও মত হচ্ছে, কয়েকটি দেশে শিশুদের ‘মাইক্রোসেফালি’ রোগে আক্রান্ত হওয়ার কারণ জিকা ভাইরাসে আক্রান্ত গর্ভবতী মা।
এই রোগ হলে শিশুদের মস্তিষ্কের গঠন ঠিকমতো হয় না, ফলে শিশুর বুদ্ধি প্রতিবন্ধী হওয়া, শারীরিক বৃদ্ধি অস্বাভাবিক বা বিলম্বিত হওয়া থেকে শুরু করে অকালে মারা যাওয়ার আশঙ্কাও বেড়ে যায়। বৈজ্ঞানিকভাবে অবশ্য এটি এখনো প্রমাণ করা যায়নি।
ভ্যাকসিন নেই
এই রোগের চিকিৎসায় এখনো কোনো প্রতিষেধক আবিষ্কৃত হয়নি। ফলে সতর্ক থাকাটাই হবে সবচেয়ে বুদ্ধিমানের কাজ। অবশ্য এই রোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যাওয়ার ঘটনা বিরল।
অনলাইন থেকে সংগ্রহীত।
বিষয়: বিবিধ
১১২৮ বার পঠিত, ৩ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
চিন্তা করছি একের পর এক এইডস,ইবোলা জিকার মত নতুন রোগের উদ্ভব হচ্ছে কিন্তু বিজ্ঞান তার সমাধান দিতে পারছেনা কেন।
এইডস্ এর জীবানু বানিয়ে এখন এরা নিজেরাই ধরা খেয়ে গেছে । তাই এখন তারা ম্যাস ডেস্ট্রাক্টিভ ভাইরাস বানাচ্ছে না । সাধারণ ঔষধে নিয়ন্ত্রন করা যায় এমন ভাইরাসই বানাচ্ছে । তবে তা পুশ করছে এমন দুর্গম জায়গাতে যেখানে পুশ করলে মুঠে মুঠে মানুষ মারা যায় । এক্ষেত্রে আফ্রিকা , এশিয়ার দূর্গম জায়গা খুব কার্যকরী । এসব রোগাক্রান্ত মানুষদেরকে সাহায্য করার জন্য উনারা ছুটে এসে খুব নাম কামাবেন ।
সবই হচ্ছে ব্যবসা
মন্তব্য করতে লগইন করুন