সংখ্যালঘুদের রাজনীতির ঘুটি বানানো হচ্ছে!
লিখেছেন লিখেছেন মোহাম্মদ আব্দুস সাত্তার ১৮ মার্চ, ২০১৩, ০৪:৪৫:০১ বিকাল
যে দেশে একটা শান্তি পুর্ণ মানববন্ধনে পুলিশ ও লীগ গং যৌথ হামলা করে, অনশনে, অবস্থান কর্মসুচিতে নির্বিচারে হামলা করা হয়, হামলা করা হয় শিক্ষকদের অনশন ও অবস্থান কর্মসুচিতে। গ্রাম এলাকার চিত্রও একই।
গত কয়েকদিনের সহিংসতায় যেখানে প্রত্যেক এলাকায়, গ্রামে-গঞ্জে জামায়াত-শিবিরের অথবা বিএনপির সাথে পুলিশের পাশাপাশি লীগ গং সংঘর্ষে জড়িয়েছে এবং গনহত্যা চালিয়েছে। এই অবস্থায় দেশে হিন্দুদের বাড়িতে, স্থাপনায়, মন্দিরে আঘাত করার সময় কোন সংঘর্ষ হয়নি, কেউ ঐসব স্থান থেকে ধরা পড়েনি, কেউ একজনকেও চিনতে পারেনি যে কে কে ছিল!!! সেখানে অনেক কিছুই চিন্তা করতে হয়।
বিরোধীদের একটা ২০-২৫ জনের শান্তিপূর্ণ মিছিলেও ২ মিনিটের মধ্যে পুলিশ হামলা ও গুলি চালায় অথবা চাপাতি-পিস্তল-দেশী অস্ত্র-লগি-বৈঠা নিয়ে লীগ গং এর ধাওয়া ও সংঘর্ষ বাধে। আর গ্রামে ঢুকে হিন্দুদের ঘর বাড়ি আর মন্দির পুড়ায়ে হামলাকারীরা পালিয়ে যাবে, ১টা লোকও আটক হবে না বা ধরা পড়বে না, চিহ্নিত করতে পারলো না কে কে ছিল??!!
এই ডিজিটাল যুগে, ক্যামেরা ওয়ালা মোবাইল আর মাল্টি মিডিয়ার এই যুগে হিন্দুস্থাপনায় হামলা হলে তার কোনও ভিডিও ফুটেজ বা ছবি কিংবা আলামত পাওয়া গেল না !! যে সব লঘিষ্ঠ জনদের বাড়ি আর মন্দির আক্রান্ত হইছে তারা আক্রমনকারী কোনও ব্যক্তিকে চিনল না অথচ দলকে কিন্তু চিনতে ভুল করল না!!!
সেই সব এলাকায় মনে হয় কোন আওয়ামীলীগের সাপোর্টার নাই!!! যদি লীগ সাপোর্টার নাও থাকে তাহলেও সারা বছর কোন হামলা হল না হঠাৎ করে এখন হামলা হওয়া শুরু হল কেন এর কোন ব্যাখ্যা কেউ দিতে পারলো না। হিন্দু স্থাপনায় জামায়াত-শিবির হামলা করলে এতদিন না করে এখন হঠাৎ তাদের নিজেদের এই কঠিন দুর্দিনে কেন হামলা করতে যাবে তার কোন ব্যাখ্যা আছে কি? তাঁরা তো অবশ্যই এটা জানে যে সরকার যে কোন কিছুতে তাদের নিপিড়নের চুতো খুজতেছে সুতরাং হিন্দু স্থাপনায় আঘাত তো সরকার লুফেই নিবে। এসবই যে জামায়াত-শিবির জানে না তা তো নয়। সুতরাং জামায়াত-শিবির ইচ্ছে করে সরকারের হাতে অস্ত্র তুলে দিবে এমন বোকা জামায়াতকে ভাবার কোন কারন তো নাই।
এদেশে একজন হিন্দু মরলে যেভাবে হাইলাইট করা হয় । ১০ জন মুসলমান মরলেও সেভাবে হাইলাইট তো দূরের কথা, খবর পর্যন্ত তেমন গুরুত্ত্ব পায় না। হউক সেটা রাজনৈতিক সহিংসতায়। সংখ্যাগুরু বলে কি তারা বিচার পাবে না । আসলে সংখ্যালঘু/সংখ্যাগুরু এসব কিছু না বলে মানুষ হত্যার প্রতিবাদ করা হলে সবচেয়ে উত্তম হত মানবতার জন্য, দেশের জন্য।
বিরোধীতার কারনে অনেক কিছুই বলা যায়। কিন্তু বাস্তবতা চিন্তা করতে গেলে চিন্তা করতে হবে এই হামলা হলে, কার বিরুদ্ধে মিডিয়া প্রচার করলে, কে রাজনৈতিক ভাবে লাভবান হবে?
যেহেতু এই পুরো ব্যপারটা থেকে রাজনৈতিক ভাবে লাভবান হবে আওয়ামীলীগ তাই আমার ভাবনা হলঃ
পরিকল্পিত রাষ্ট্রীয় ষড়যন্ত্র না হলে এটা কোন ভাবেই সম্ভব না। প্রশাসনের প্রত্যক্ষ মদদে হিন্দুদের রাজনীতির ঘুটি বানানো হচ্ছে! এভাবেই হিন্দুরা বার বার মার খেয়ে যাচ্ছে। সবার ভাবনা সবার কাছে।
আমি মনে করি যারা হিন্দুদের বাড়িঘরে আক্রমন করে তাদের দু একটি উইকেট ফেলতে পারলে জানা যাবে এরা আসলে কারা ?
তাই হিন্দু সম্প্রদায়ের ভাই/বোনদেরকে আহবান জানাবো, যখনই আপনাদের বাড়িঘর মন্দিরে কেউ হামলা চালাতে আসবে আপনারা সবাই ঐক্যবদ্ধ হয়ে স্থানীয় জনগণকে সাথে নিয়ে হামলাকারীদের দুএকটি উইকেট ফেলার চেষ্টা করবেন । তাহলেই ক্লিয়ার হয়ে যাবে কারা এইসব হামলার সাথে জড়িত ? গণপিটুনীর কোন বিচার নেই, গণপ্রতিরোধ আইনী প্রতিরোধ ।
বিষয়: বিবিধ
১১৯৫ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন