অপকৌশলী লীগ-বাম। আওয়ামীলীগ একটা চিজ রে ভাই!!!!
লিখেছেন লিখেছেন মোহাম্মদ আব্দুস সাত্তার ১৭ মার্চ, ২০১৩, ০১:১১:৫৫ দুপুর
বাংলাদেশের রাজনীতিতে জামায়াত-শিবির বিরোধিতা আওয়ামীলীগের রাজনৈতিক ব্যবসার পুজি এতে যদি কেউ সন্দেহ করে তাহলে বুঝে নিতে হবে সে হল আওয়ামী দলান্ধ।
কিছু দিন পর পর তাঁরা তাদের লেজুড় বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী দ্বারা একটা জামায়াত বিরোধী উইং তৈরি করে তার পর আওয়ামীলীগ তার সাথে সংহতি প্রকাশ করে সেটা নিয়ে চালায় কিছুদিন এবং রাজনৈতিক মাঠ দখলে রাখে। লেজুড় তরুন সেন্টিমেন্টকেও কাজে লাগায়, সাথে পায় মিডিয়াকে। এমন ভাবে উপস্থাপন করে যেন জামায়াতই দেশের সব সমস্যার মুল। নিজেরদের হাজার ক্ষুনের ইস্যু, লাখো দুর্নীতির ইস্যু, ধর্ষনে সেঞ্চুরী সহ সকল অপকর্ম ঢেকে দিতে চায় তাঁরা জামায়াত ইস্যুটা সামনে এনে। ক্ষমতার লড়াইয়েও এই ইস্যুটা বেশ কার্যকরি।
১৯৯১ এ জামায়াত কিছুটা বিএনপির সাথে একত্রিত হয়ে নির্বাচন করেছিল। এতেই বিএনপি জামায়াত জোট ভাঙ্গার জন্য শুরু হল তোড় জোড়।
গঠন করা হল "ঘাদানিক"। সংহতি প্রকাশ করে আওয়ামীলীগ শুরু করলো জামায়াত বিরোধী রাজনীতি। অবশেষে জোট ভাংতে সফল। কিছুদিন পরে জামায়াত আওয়ামীলীগের সাথে যুগপথ আন্দোলনের কারনে ঘাদানিক চুপ মাইরা থাকলো। নির্বাচন গেল, আওয়ামীলীগ ক্ষমতায় আসল কিন্তু ঘাদানিকের আর কোন উচ্চ বাচ্য নাই। ততদিনে ঘাদানিকের আসল চেহারা মানুষের সামনে উম্মোচন হয়ে গেল। কেটে গেল সেই সেশান।
২০০১ সালে আবার বিএনপি-জামায়াত জোট নির্বাচন করলো। এবার আওয়ামীলীগ সামনে নিয়ে আসলো "সেক্টর কমান্ডারস ফোরাম" নামে দলীয় লেজুড় একজন/দুইজন সেক্টর কমান্ডার ও কিছু সাব সেক্টর কমান্ডার নিয়ে। ব্যাকআপ দিল মিডিয়া ও লীগ গং।
তাঁরা শুরু করলো জামায়াত বিরোধীতা এবং সে সাথে লীগ সংহতি প্রকাশের নাটক করলো। অবশেষে দেখা গেল সেই সেক্টর কমান্ডার এখন মন্ত্রী হওয়ার পরে বলে সংবিধানে বিসমিল্লাহ থাকলে হরতাল দিবে।
পুরো এই সেশনে সীমাহীন নির্যাতনের পরেও জামায়াত পুরো এক্টিভ দেখে ও জামায়াত বিএনপির ঐক্য ভাংতে না পেরে তরুনদের একটা নির্ভেজাল আন্দোলনকে খুব সু-কৌশলে বানিয়ে নিল দলীয় এজেন্ডা বাস্তবায়নের আন্দোলন। যা এখন উলটো নিজের গলার কাঁটা হয়ে যাচ্ছে দেখে আরেকটা প্লান তৈরি করছে তাঁরা, এবং সেটার প্রতিফলনেই গতকাল বঙ্গবন্ধু সম্মেলন কেন্দ্রে হয়ে গেল একটা জামায়াত-শিবির বিরোধী সম্মেলন যাতে উপস্থিত ছিলেন লেজুড় বুদ্ধিব্যবসায়ীরা।
যা থেকে ঘোষনা আসে জামায়াত শিবির নিষিদ্ধ করন জাতীয় কমিটি হতে যাচ্ছে।
এটা হল ২০১৩।
আওয়ামীলীগ যদি জামায়াত কে বিএনপি থেকে আলাদা করতে পারে এবং আওয়ামীলীগ যদি আবার ক্ষমতায় আসতে পারে তখন দেখবেন এই কমিটিরো বেইল নাই।
এটা ঠিক, যদি আওয়ামীলীগ এবার আবার ক্ষমতায় আসতে পারে তাহলে জামায়াতের কি হবে জানি না, তবে "বিএনপি কে আর পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দিয়েও খুজে পাওয়া যাবে না।
আর যদি বাল-বাম-নাস্তিক-কমিউনিস্টদেরদের বোল পালটানো কৌশল(সকল ইসলামী দল নয় জামায়াত নিষিদ্ধের দাবি) খাটিয়ে জামায়াত - শিবির নিষিদ্ধ করতে সফল হয় তাহলে পরবর্তিতে বাম-নাস্তিক-কমিউনিস্টদেরদের এজেন্ডা অনুযায়ী বাংলাদেশ থেকে সকল ইসলামী রাজনীতি চিরতরে বন্ধ করবেই এই আওয়ামীলীগ।।
এভাবেই তাঁরা বাংলাদেশের "গনতন্ত্র" নামক একটা শব্দের অবসান করতে চায়।
আর এভাবেই বাম-বাল-নাস্তিক-কমিউনিস্ট অবসান চায় "ইসলামী রাজনীতি" নামক দুইটি শব্দের।
বিষয়: বিবিধ
১০১০ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন