মায়ের অনিচ্ছাকৃত আদুরে ভুল, সন্তানের আজীবনের ক্ষতি
লিখেছেন লিখেছেন মোহাম্মদ আব্দুস সাত্তার ৩০ নভেম্বর, ২০১৪, ০৪:১০:৩৪ বিকাল
একজন মা যেমন তার সন্তানের জন্য সব কিছু করতে পারে, সকল কষ্ট সহ্য করতে পারে, এমনকি নিজের জীবন দিয়েও সন্তানের জীবন রক্ষা করতে চাইতে পারে।
ঠিক তেমনি, একজন মায়ের কিছু অনিচ্ছাকৃত ভুলের কারনে তার সন্তান বখে যেতে পারে বা সন্তানের পড়া লেখা নস্ট হয়ে যেতে পারে। বড় হয়েও থেকে যেতে পারে আগের মতই বেয়াড়া!!
ধরুন,
> মায়ের সন্তান কোন ভুল করলো, অনেক মা পরিবারের অন্য গার্জেনদের বকাবকি থেকে সন্তানকে সেইফ করতে, বাচ্চার সামনেই গার্জেনদের কাছে মিথ্যা বললো, বিশেষ করে বাবা বা চাচাদের কাছে। সবাই দেখলো সন্তান একটা অপকর্ম করছে, কেউ হয়তো সেটা নিয়ে কিছু জিজ্ঞেস করছে, বাচ্চাটা কিছু বলার আগেই মা কাউন্টার দিয়ে একটা কিছু মিথ্যা বলে বুঝাতে চাইলো। পরিবারের অন্য গার্জেন থেকে সন্তান বেঁচে গেল। অথচ, এমন হতে পারতো, অন্য গার্জেন হয়তো সেটা শুধরে দিতে পারতো।
> সন্তান পরীক্ষায় খারাপ করলো, অন্য গার্জেনদের কাছে মা হয়তো সেইফ করার জন্য সন্তানের সামনেই বলে দিল সন্তানের রেজাল্ট ভালো হয়েছে। অথচ, অন্য গার্জেন হয়তো তার পড়ার ব্যপারে কেয়ারী হতে পারতো বা আলোচনা করে কি করা যায় সেরকম উপায় বের করতে পারতো।
> সন্তান বাহিরে অযথা সময় নস্ট করছে, মোবাইল/কম্পিউটার ফেবু নিয়ে সারাক্ষন সময় নস্ট করছে, ফোন থেকে লুকিয়ে লুকিয়ে কথা বলছে, বাসা থেকে কিছু একটা লুকিয়ে নিয়ে গেলো। মা সেগুলো কারো কাছে না বলে এদিক সেদিক করছে। গার্জেনরা সবই বুঝলো, কিন্তু কিছুই বলার সুযোগ থাকে না। কারন মা যেখানে কাউন্টার দিচ্ছে!! অথচ, গার্জেনরা হয়তো তাকে বুঝাতে পারতো বা ধমক দিয়ে হলেও কিছুটা কন্ট্রোলে রাখতে পারতো।
> এমন অনেক কিছুই আছে যেগুলো মা লুকাতে থাকে। সেই সাথে অন্যের অগোচরে সেটা সন্তানকে বুঝাতে পারে না, শাসন করতে পারে না। অথচ, বাবা বা অন্য গার্জেনরা জানলে সেগুলো নিয়ে আলোচনা করতে পারে বা সন্তানের ব্যপারে নজর দিতে পারে।
> পরিবারের কারো সাথে মায়ের সমস্যা দেখা দিলে কিছু মা আছে, যারা সন্তানের সামনেই পরিবারের অন্য সদস্য বা অনেক মুরুব্বিদের নিয়েও কটু বা কিছু উল্টা পাল্টা কথা বলে ফেলেন। যা সন্তানরা গ্রোগ্রাসে গিলতে থাকেন। অথচ, কিছুক্ষন পরেই হয়তো মা আবার সবার সাথে মিশে গেল, কিন্তু সন্তানের মনে যেটা ডুকেছে সেটা আর বের হবে না।
এভাবে দিনকে দিন সন্তান কিন্তু ভুল শিক্ষা নিচ্ছে। সে প্রস্রয় পেয়ে গেল, সে ভুল করতে থাকলো আর সেইফ হতে থাকলো। এই ভাবে চলতে থাকলে সন্তানটাও পরিবারের অন্য গার্জেনদের কে আর মানতে চাইবে না।
ধীরে ধীরে পরিবারের অন্য গার্জেনরাও দূরে সরে যেতে লাগলো। কারন মায়ের কাছে প্রস্রয় পেলে অন্যরা আর কতটুকুই বা করতে পারে?!! এভাবেই একজন অসচেতন মা তার সন্তানের বড় ধরনের ক্ষতি করে ফেলেন।
এভাবে চলতে চলতে একসময় সন্তান আর মাকেও মানতে চায় না। কিছু কিছু মা আছেন যারা, এতটুকু অধঃপতন হওয়ার পরেও তার সন্তানকে কাউন্টার দিয়ে দিয়েই সেইফ করতে চায়। অবশেষে যা হবার তাই হয়।
এই সব ক্ষেত্রে মা যদি অন্যের কাছে লুকিয়ে নিজে কন্ট্রোল করতে পারে সে ক্ষেত্রে বিষয়টা খুবই ভালো। তবে সন্তানের সামনেই অন্যের কাছে মিথ্যা বললে সেটা কখনোই কন্ট্রোল করতে পারার কথা নয়।
বিষয়: বিবিধ
১৩১৫ বার পঠিত, ৮ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মায়েরা ছেলেদেরকে বৌয়ের কাছে উত্তম হওয়া থেকে বন্চিত করে ।
ভালো লাগলো লেখাটি। অনেক ধন্যবাদ। কথায় বলে, "মা-ই সন্তানের বড় শত্রু।" - কথাটি একেবারে মিথ্যা নয়।
মন্তব্য করতে লগইন করুন