ঠাকুর ঘরে কেরে??? --- আমি কলা খাইনাই!!!
লিখেছেন লিখেছেন মোহাম্মদ আব্দুস সাত্তার ১২ আগস্ট, ২০১৩, ১০:২৪:২৫ সকাল
অধিকারের সম্পাদক আদিলুর রহমানকে গ্রেফতার করে শয়তানীর ষোলোকলা পূর্ন করলো সরকার/আওয়ামীলীগ। বলতে চায়, "আমরা কিন্তু কলা খাইনাই!"
দেশের পা-চাটা গেলমান স্বভাবের মিডিয়া আর হ্যানত্যান সংস্থা যা করার সাহসটাও রাখেনা, অধিকার সে কাজটা করছিলো। ৫ই মে হেফাজত ম্যাসাকারের নিহতের সংখ্যা বের করার কাজ। ১০ই জুন প্রকাশিত তাদের শেষ রিপোর্টে তখন পর্যন্ত ৬১ জন নিহতের তালিকা তারা করেছিলো, এখন পর্যন্ত্য কত সেটা অবশ্য প্রকাশ করে নি।। আমাদের মেইনস্ট্রিম মিডিয়া সরকারের ঢোলে বাড়ি দিয়ে "তালিকা কই? তালিকা কই?" বলে ছাগলের তিন নাম্বার ছানার মতো লাফিয়েছে ঠিকই, কিন্তু অধিকারের এই রিপোর্টের খবর বড় করে প্রকাশ করার সাহস দেখায়নি।
সরকার থেকে অধিকারকে অনুরোধ করা হয়ছিলো ঐ ৬১ জনের তালিকা সরকারকে দিতে।
প্রশ্ন করতে পারেন তালিকা দিলেই তো পারতো!!!!
"যেখানে প্রধানমন্ত্রী বলে, হেফাজত লাল রঙ লাগিয়ে শুয়েছিল সেখানে, একজন ও মারা যায় নাই, সংসদে শেখ সেলিম বলে এক জন মারা গেছে তার প্রমান দিতে পারলে রাজনীতি চেড়ে দিবে, যেখানে প্রত্যেকটা মাদ্রাসার উপর সো'কজ চলতেছে, যেখানে প্রত্যেকটা মাদ্রাসার শিক্ষকদের উপর মামলার খড়গ, লাখ লাখ জনের বিরুদ্ধে মামলা, সেখানে লিস্ট দিয়ে দিলে কি হত একবার ভেবে দেখুন, যারা মারা গেছে তাদের আত্মীয় স্বজনদের মুখ বন্ধ করার জন্য সরকার কি করতো ভেবে দেখুন, যে মারা গেছে সে যদি ছাত্র হয় তাহলে ঐ মাদ্রাসার কি অবস্থা হবে একবার ভেবে দেখুন!!!"
অধিকার সরকারকে জানিয়েছে সরকারের উদ্দেশ্য নিয়ে তারা সন্দিহান, এবং শুধু নিরপেক্ষ কোনো তদন্ত কমিশনের কাছেই তারা এরকম লিস্ট হস্তান্তর করতে রাজি আছে। অধিকারের আশংকা ছিলো, সরকার হয়তো ঐ ৬১ জনের পরিবারের মুখ চেপে ধরার জন্য প্রশাসনিক অপচেষ্টা চালাতে পারে। অধিকারের সাধারন সম্পাদক আদিলুর রহমানের গ্রেফতার হওয়া, তাদের সেই আশংকারই প্রমান, আদিলুর রহমানের মুখ বন্ধ তো সব "চাপা খিরখিরা"। একইসাথে এই ঘটনাটি এব্যাপারটাও প্রমাণ করে যে, কোনো এক ধরনের ভীতির শিকার হয়েই দেশের মুলধারা মিডিয়া এরকম জঘন্য একটা হত্যাকান্ডের বিরুদ্ধে এমন চুপ হয়ে আছে, সে সাথে লেজুড়বিত্তি তো আছেই।
আমি আগেও বলেছি, এখনও বলি, একদিকে সব মাদ্রাসার উপর শোকজ নোটিশ দিয়ে আরেকদিকে "তালিকা কই? লিস্টি কই" বলে ফাত্রামি করে বেড়ানো যায়। তবে তাতে শুধু এটাই প্রমান হয় যে, কোনো মাদ্রাসাই শোকজের ভীতি মাথার উপর ঝুলানো অবস্থায় মৃতের সংখ্যা বা দাবী নিয়ে আসবেনা। নিহতদের আত্মীয়রা তো আরো বেশি ভয় পাবে!
৫ই মের হেফাজত হত্যাকান্ডের প্রকৃত নিহতের সংখ্যা সম্ভবত খুব নিকট ভবিষ্যতে আমরা জানতে পারবোনা।তবে পাপ বাপরেও ছাড়েনা। এই যে জানতে না দেয়া, এটা যা ক্ষতি করবে, খুনী দলেরই ক্ষতি করবে। এই জানতে না দেয়ার সময়টকালটা যত দীর্ঘ হবে, সাধারণ মানুষের অবিশ্বাস ও সন্দেহ ততই বাড়বে।
আদিলুর রহমানদের সাফল্য এই যে, আমি আপনিও বিশ্বাস করছি যে ঐই রাতের অপারেশনে আসলেই গনহত্যা হয়েছিল সেটা আড়াই হাজার থেকে মতান্তরে খুব বিশ্বাস যোগ্য ভাবে ৬১ হয়েছে। হয়ত প্রক্রিতপক্ষে আরও বেশী। কিন্তু আমরা কখনোই বিশ্বাস করবনা যে রাতেরবেলা কেউই নিহত হয়নি।
এক আদিলুর রহমানের মুখ আজ বন্ধ হলেও আরো বহু আদিলুর বের হবেই আর এই আদিলুর ও থেমে থাকবে না, একদিন বের হবেই।
পাপ বাপকেও ছাড়ে না।
বিষয়: বিবিধ
১১১৯ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন