ফেসবুকে কিছু কম্বল মুজাহিদদের লাফালাফি এবং কিছু কথা
লিখেছেন লিখেছেন দুলাভাই ৩১ মার্চ, ২০১৪, ১২:৪২:৩৯ রাত
ফেসবুকে একদল জিহাদী আছে। এদের কাছে এরদোগান খারাপ। জামায়াতে ইসলামী খারাপ। মুসলিম ব্রাদারহুড খারাপ। ওদের কথা হলো প্রচুর জিহাদ করতে হবে। তাই উনারা ফেসবুকে জামায়াত শিবিরকে শেখ হায়েনার বিরুদ্বে অস্ত্র তুলে নিতে উস্কানি দেয়।
কিন্তু কথা হলো তারা নিজেরাও জিহাদ করে না।
কয়েকদিন আগে আলকায়েদার কথিত ভিডিও নিয়ে এই সব কম্বলিদের কি লাফালাফি। একজনকে বললাম ভাই আল কায়েদা তো বাংলাদেশে জিহাদের ডাক দিয়েছে। কবে নামবেন জিহাদ করতে। উনি বলতেছে কই আলকায়েদা তো জিহাদে নামতে বলে নাই। তাদেরকে জিহাদের কথা বললে বলে আমাকে সিরিয়া , ইরাক পাঠানোর ব্যবস্থা করে দেন। আরে ভাই আপনি এত বড় জিহাদী , বিমানের টিকেট যোগার করতে না পারলে নিজ পায়ে হেটে ইরাক সিরিয়ার পথে রওনা দেন। আবার যদি বলেন সিরিয়া যাওয়ার কি দরকার? বাংলাদেশে ও তো আসাদের মত আরেকজন কসাই বসে আছে। তাদের বিরুদ্বে জিহাদ করেন না কেন ? উত্তরে বলে আমরা তো জামায়াত শিবিরকে আহবান করি কিন্তু তারা আসে না।
আচ্ছা জামায়াত শিবির তো খারাপ তারা তো আসবে না। কিন্তু যারা আপনাদের সাথে ফেসবুকে জিহাদ জিহাদ করতে করতে শেষ হয়ে যাচ্ছে অন্তত ওদের নিয়ে নামেন না। তারপর না হয় আরো কিছু লোক যোগ দিবে।কিন্তু তিনারা তাও করবেন না। উনারা শুধু অন্যদের পিছনে সমালোচনা করতে উস্তাদ। এই সব কম্বল মুজাহিদরা জামায়াত শিবির হটাতে হাসিনার সাথে আতাত করতে দ্বিধাবোধ করবে না।
এরা এরদোগানকে সরাতে কামাল আর্তাতুকের দলের সাথে আতাত করার চেষ্টা করবে। এরা মুসলিম ব্রাদারহুডকে সরাতে রক্ত খেকো সিসির সাথে আতাত করবে। তবু ও ওরা কোনো ইসলামপন্থী দল ক্ষমতায় যাক এটা চাইবে না।
ফেসবুক থেকে সংগৃহিত
বিষয়: বিবিধ
১৩৪০ বার পঠিত, ১৭ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
আজ তুরস্কে একমাস তাই দেখছি..
-------------
নম্মাণিত ভাই, মন্তব্য করবেন সমস্যা নেই। কিন্তু মহান আল্লাহকে ভয় করা উচিত।
===========
সম্মাণিত ভাই, আপনাকে লিখতে বাধ্য হলাম কারণ যতটুকু জানি তাতে মনে হয়েছে দ্বীন হিসেবে আপনি ইসলামকেই মানেন। আল্লাহ আমাদের সবাইকে সত্য বুঝার এবং মানার তাওফিক দান করুন।
ইসলামি আন্দোলনের দরদি এরদোগান ঁ_ঁ
গতকাল ইউটিউবে এক গোপন ভিডীয় প্রকাশিত হয়েছে যাতে দেখা গেছে তুরস্কের প্রধানমন্ত্রি এরদোগান সিরিয়া ইরাকের বিস্তীর্ণ অঞ্চল নিয়ে গঠিত ইসলামি স্টেট অব ইরাক এন্ড শামের বিরুধ্যে মিলিটারি হামলা চালানোর জন্য গোয়েন্দা ও সেনা কর্মকর্তাদের সাথে বৈঠক করছেন।
আলোচনার বিষয়বস্তুঃ
ক. কিভাবে ইরাক ও সিরিয়ায় আগ্রাসন চালানো হবে? ট্যাংক না বিমান দিয়ে?
খ. কথিত আন্ত্ররজাতিক সম্প্রদায়কে কিভাবে বুঝ দেয়া হবে? বলা হবে এটা আল কায়েদার বিপক্ষে তুরস্কের স্বাধীনতা রক্ষার্থে।
গ. যুদ্ধ শুরুর অজুহাত কি হবে? সুলাইমান শাহ কবরে মিসাইল আক্রমনের মাধ্যমে যুদ্ধের সূচনা করা যেতে পারে...
ঘ. রাষ্ট্রদূতদের কিভাবে অন্য ভাবে বুঝিয়ে সুঝিয়ে সেখান থেকে আনা যায়?
ঙ. যুদ্ধের রসদ পত্র গোলাবারুদ কিভাবে পাঠান হবে?
সম্ভাব্য সামরিক আগ্রাসন নিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী আহমেদ দাউদওগলু, গোয়েন্দা প্রধান হাকান ফিদান এবং সামরিক ও কূটনৈতিক কর্মকর্তাদের মধ্যে অনুষ্ঠিত বৈঠকের অডিও টেপ ইউটিউবে প্রকাশ করে দেয়ার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই ইউটিউব বন্ধ করে দেয়া হয়।
প্রকাশিত ঘটনা যদি বাস্তবে রুপ নেয় মুস্তফা কামাল পাশা আর এই এরদোগানের মধ্যে পার্থক্য কি বলুন তো?
মুস্তফা কামাল পাশা যেভাবে খিলাফত ধ্বংস করেছিল একইভাবে এরদোগান খিলাফতের সৈনিকদ্রের বিরুধ্যে যুদ্ধের প্রস্তুতি নিচ্ছে,
মিশরে সিসির গণহত্যার সময় দেখেছিলাম এরদোগানের সেই কি মায়া কান্না!
ও সিরিয়া ইরাকের মানুষেরা বুঝি মুসলিম না? তাদের বিরুধ্যে সামরিক আগারসন চালাতে চাও যারা কিনা আল্লাহর জমিনে আল্লাহর দ্বীন কায়েমের জন্য যুদ্ধ করছে।
সব অভিনয় আমরা যে কবে বুঝব!
মুনাফিক অপেক্ষা কাফের উত্তম আল্লাহ সবাইকে বুঝাড় তৌফিক দিন
-----------
================
ফেসবুকে কিছু আবেগী জিহাদী আছে কিন্তু তাই বলে আপনি সকল মুজাহিদদেরকে কটাক্ষ করবেন এর শিক্ষা আপনাকে ইসলাম দেয় নি। সম্ভবত এই শিক্ষা আপনি আওয়ামী লীগের কাছ থেকে পেয়েছেন।
আজ তুরস্কে একমাস তাই দেখছি..
মন্তব্য করতে লগইন করুন