ধর্মের দিক দিয়া মুসলমানরাই সবচাইতে আধুনিক
লিখেছেন লিখেছেন বুড়া মিয়া ০২ এপ্রিল, ২০১৩, ০৪:৫০:০৫ রাত
ধর্ম একটা বড় বিষয়, বিশ্বে অনেক দেশ-ই আছে কিন্তু অল্প কয়েকটা ধর্ম প্রবর্তিত আছে, বড় ধর্মের মধ্যে যেমন ইব্রাহীমের ধর্ম, সনাতন ধর্ম, বৌদ্ধ ধর্ম ইত্যাদি। ইব্রাহীমের (আঃ) ধর্মের ইতিহাস ইহুদী-খ্রীষ্টান-মুসলমান তিনটা ধর্মের মধ্যেই বলা আছে এবং এই তিনটা ধর্মই ইব্রাহীমের (আঃ) বংশের মধ্যে দিয়া আসছে। ইতিহাসের দিকে তাকাইলে দেখা যায় যে, ধর্ম নামক এই বিষয়টা নিয়া সবার দাবী এইটা আল্লাহ/ঈশ্বর অথবা ভগবান নাযিল করছেন। যেহেতু আল্লাহ/ঈশ্বর অথবা ভগবান যেহেতু সবাই একই দাবী করে, তো আমরা দেখতে পারি যে এই জ্ঞান-বিজ্ঞান-ভোগ-বিলাস বিষয়ে বিভিন্ন মাধ্যমে জ্ঞান প্রদান ছাড়াও উনি এই ধর্ম বিষয়ে সর্বশেষ কুরআন-ই নাযিল করছেন। মূলত সব নবীর ধর্ম-ই তওহীদ বা একত্ববাদের বা এক আল্লাহর ইবাদতের বিষয়ে ছিল যার প্রত্যয়ন আদম (আঃ) থেকে শুরু কইরা একদম মুহম্মদ (সঃ) পর্যন্ত নাম ধইরা কুরআনে, তবে আহকাম এ কিছু পার্থক্য ছিল।
তো আমরা মানুষ হিসাবে সব বিষয় নিয়া যেমন হই-চই করি তেমনি ধর্ম নিয়াও ও ইদানিং দোর্দান্ড প্রতাপের সাথে হই-চই করতেছি।
এইবার আমরা দেখি এই জ্ঞানময়-বিজ্ঞানের যুগে উইকি-র হিসাবে কোনটা কবে আসলো –
সনাতন (হিন্দু) ধর্মঃ কখন কোন-কোন ভেদ, কিতাব কার কার উপরে নাযিল হইছে তার সময়কাল এবং কার উপরে নাযিল হইছে খোদ ঐ ধর্মের লোকেরাসহ কেউ জানেনা। এই ধর্মের কিছু কিছু মিল পাওয়া যায় জেন্দ এর সাথে, তাদের কিছু কিছু দেব-দেবতার নাম মিলা যায় যেমন বরুনা-আসুরা ইত্যাদি। এগুলা কবে কিভাবে আসলো তা জানাও দুস্কর তবে সনাতন/জেন্দ যে প্রথম না তা সহজেই জানা যায় কারণ প্রথম পুরুষ আদি-পিতা আদম (আঃ) এর ইতিহাস ইহুদী-খ্রীষ্টান-মুসলমান তিনটা ধর্মের অনুসারীরাই জানে আর তারা এইটাও জানে যে উনি মুর্তি-পূজক ছিলেননা।
বৌদ্ধ ধর্মঃযানা যায় যে, সিদ্ধার্থ গৌতম বুদ্ধ প্রথমে হিন্দু ধর্মের অনুসারী ছিলেন, পরবর্তীতে উনার ধর্ম পছন্দ না হওয়ার কারণে নিজ মতবাদ প্রচলন করেন যা বর্তমানে বৌদ্ধ ধর্ম হিসাবে পরিচিত। তার জন্ম-মৃত্যু ধারনা করা হয় 563-483 BCE।
ইহুদীঃমূসা (আঃ) তার কিতাব তওরাত নিয়া আসছেন উনার জন্ম-মৃত্যু 1391–1271 BCE এর মধ্যে ধারনা করা হয়। উনার বিশ্বাসযোগ্যতার ব্যাপারে ইহুদী-খ্রীষ্টান-মুসলমান কারও কোন দ্বিমত নাই। উনি ইব্রাহীম (আঃ) এর বংশের।
খ্রীষ্টানঃঈসা (আঃ) তার ইঞ্জিল কিতাব নিয়া আসছেন এবং উনার জন্ম-মৃত্যু 7–2 BC/BCE to 30–36 AD/CE এর মধ্যে ধারনা করা হয়। উনার বিশ্বাসযোগ্যতার ব্যাপারেও খ্রীষ্টান-মুসলমান কারও কোন দ্বিমত নাই। আদম (আঃ) এর মতন উনারো কোন পিতা ছিলেন না তবে মাতা ছিলেন মরিয়ম এতে খ্রীষ্টানদের মধ্যে একটু দ্বিমত থাকলেও মুসলমানদের কোন দ্বিমত নাই।
মুসলমানঃমুহম্মদ (সঃ) আসছেন ইসলাম নিয়া এবং উনার জন্ম-মৃত্যু 570–8 June 632 এর মধ্যে। উনিও ইব্রাহীম (আঃ) এর বংশের।
এই হই-চই এর ব্যাপারে মুসলমানদের আল্লাহ অনেক কিছুই বলছেন, তার মধ্যে দুইটা আয়াত –
সুরা-ইউনুস, আয়াত ১৯ “আর সমস্ত মানুষ একই উম্মতভুক্ত ছিল, পরে পৃথক হয়ে গেছে। আর একটি কথাও যদি তোমার পরওয়ারদেগারের পক্ষ থেকে পূর্ব নির্ধারিত না হয়ে যেত; তবে তারা যে বিষয়ে বিরোধ করছে তার মীমাংসা হয়ে যেত।”
সুরা আল ইমরান, আয়াত ১১০ “তোমরাই হলে সর্বোত্তম উম্মত, মানবজাতির কল্যানের জন্যেই তোমাদের উদ্ভব ঘটানো হয়েছে। তোমরা সৎকাজের নির্দেশ দান করবে ও অন্যায় কাজে বাধা দেবে এবং আল্লাহর প্রতি ঈমান আনবে। আর আহলে-কিতাবরা যদি ঈমান আনতো, তাহলে তা তাদের জন্য মঙ্গলকর হতো। তাদের মধ্যে কিছু তো রয়েছে ঈমানদার আর অধিকাংশই হলো পাপাচারী।”
আর মুশরিক (আল্লাহ ছাড়া যারা অন্যদের ডাকে) এর ব্যাপারে অনেক আয়াতের মধ্যে দুইটা –
সুরা নাহল, আয়াত ৮৬ “মুশরিকরা যখন ঐ সব বস্তুকে দেখবে, যেসবকে তারা আল্লাহর সাথে শরীক সাব্যস্ত করেছিল, তখন বলবেঃ হে আমাদের পালনকর্তা এরাই তারা যারা আমাদের শেরেকীর উপাদান, তোমাকে ছেড়ে আমরা যাদেরকে ডাকতাম। তখন ওরা তাদেরকে বলবেঃ তোমরা মিথ্যাবাদী।”
সুরা আল-ফুরকান, আয়াত ১৯ “আল্লাহ মুশরিকদেরকে বলবেন, তোমাদের কথা তো তারা মিথ্যা সাব্যস্ত করল, এখন তোমরা শাস্তি প্রতিরোধ করতে পারবে না এবং সাহায্যও করতে পারবে না। তোমাদের মধ্যে যে গোনাহগার আমি তাকে গুরুতর শাস্তি আস্বাদন করাব।”
বিষয়: বিবিধ
১৪৮২ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন