সিঁধেল চোর
লিখেছেন লিখেছেন বুড়া মিয়া ২১ অক্টোবর, ২০১৪, ০৩:৩৮:৪৯ রাত
একসময়ের আমাদের দেশের একদল পরিশ্রমী কর্মঠ মানুষ, যারা হাই রিস্ক নিয়ে গায়ে তৈল লাগিয়ে, লুঙ্গি কাছা দিয়ে রাতের আধারে শাবল নিয়ে পরের ঘরের ভিটা কেটে অর্থ সম্পদ হাতিয়ে নিয়ে গেইন করতোঃ তাদেরকে সবাই চিনতো সিঁধেল চোর নামে! এটা সেই যুগের চিত্র যখন মানুষ নিজের ঘরে জমা করে রাখতো শস্য এবং অর্থ সম্পদ, কিছু বাশের ডোলে আর কিছু মাটি-পিতল-কাশার কলসী বা পাত্রে, কিছু মাটির তলেও। এই সিঁধেল চোররা চুরি করলে ঘরের মালিকের ক্ষতিই বা এমন কি হতো, যার জন্য এমন পরিশ্রমী এবং এতো বড় রিস্ক নিয়ে অপারেশন চালানো কিছু সাধারণ মানুষকে সিঁধেল চোর হিসেবে ভূষিত করে অপমান করা হতো?
ঘরের লোকদের কলসী ভর্তি কয়েন বা অর্থ-মুদ্রা খোয়া গেলে তাদের পারচেজ পাওয়ার লস হয়ে যেতোঃ অন্যের গোলামী করে বা নিজেদের ক্ষেতে খামারে পরিশ্রম করে নতুন করে কিছু ফলিয়ে, তা অন্যদের কাছে বেচে খোয়া যাওয়া সে পরিমাণ মুদ্রা আবার অর্জন করে কলসী ভরতে হতো, এতো কঠোর পরিশ্রমের ফলের জিনিস খোয়া গেছে, এটা ঘরের লোকেরা সহ্য করতে পারতো না; তাই তাদেরকে সিঁধেল চোর হিসেবে আখ্যায়িত করতো এবং ধরতে পারলে মেরে তক্তা বানাতো সর্বসম্মতভাবে গৃহীত সামাজিক সিদ্ধান্তে! নানী-দাদীদের বয়সী লোকদের কাছে শুনেছিলাম এরকম গালগল্প আর চিন্তা হয় এখন, এটা কি কোন মানবিক বিচার ছিলো সিঁধেল চোরদের প্রতি কলসী খোয়া যাওয়া মানুষদের?
তারা অবশ্যই মনে হয় ভুল ছিলো, কারণ তারা পারচেজ পাওয়ার লসের কারণে কেনো মারবে সিঁধেল চোরদের; বরঞ্চ তাদের এভাবে চিন্তা করা উচিৎ ছিলো বলে মনে হয়ঃ সিঁধেল চোর না থাকলে তো আমাদের মুদ্রা নতুন করে উপার্জন করে জমানোর ইকোনোমিক প্রোডাকশনের প্রয়োজন হতো না – ইনএ্যাক্টিভ থেকে জমানোগুলো দিয়েই তো খেতাম কাজ না করে; তাই সিঁধেল চোরের চুরি বেড়ে গেলেই বরং সমাজের সব মানুষ ইকোনোমিকালী বেশী এ্যাক্টিভ হয়ে টোটাল আউটপুট বাড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করতে থাকতো এবং এতে করে সমাজের রিয়েল গ্রস-ডোমেষ্টিক-প্রোডাকশন (জিডিপি) এর উন্নতি হতো! এভাবে যেহেতু তারা চিন্তা করতে পারেনি, তাই আমার মনে হয় তাদের কোথাও একটা ভুল ছিলো!
বাবা-চাচাদের বয়সী অনেক লোকের কাছে আবার গালগল্প শুনেছি এবং আজও শুনি যে, তাদের বাবা-মাদের যুগে কলসী ভর্তি মুদ্রার নিরাপত্তা দেয়ার কেউ ছিলো না, তাই তারা নিজেরাই ছোটবেলায় অনেক পরিশ্রম করে কিংবা কখনো সারা রাত কেশে-হাচি দিয়ে জাগ্রত থেকে সেসব পাহারা দিয়ে রাখতো; তারা আরও বলে এখনতো তোমাদের যুগে কতো আরাম, এগুলো পাহারা দেয়ার জন্য গোলা-বারুদ নিয়ে ব্যাংক বসে আছে কলসীর বদলে পাহাড়সম সিন্দুক নিয়ে, ওখানে রেখে আসলেই তোমাদের সিঁধেল চোরের কোন ভয় নেই, উল্টো আরও তোমাদের লাভ হয় সেখানে রাখলে। পরিশ্রম কতো কমে গেছে তোমাদের, তাই না? এছাড়াও আজ ব্যাংকের জন্যই তো এ সমাজে সিঁধেল চোরের সংখ্যা অনেক কমে গেছে, কি বলো?
আমরা হয়তো আমাদের পোলাপানদের বলবোঃ আমাদের নানী-দাদীদের যুগে সিঁধেল চোর লুঙ্গি কাছা দিয়ে গায়ে তৈল মেরে শাবল দিয়ে ভিটে খুদে তাদের পারচেজ পাওয়ার চুরি করতো; আর আমাদের যুগের সিঁধেল চোররা ব্যাংক বানিয়েঃ কোট-টাই পড়ে ঝাঝালো পারফিউম মেরে অর্থনৈতিক বক্তব্যের মাধ্যমে পারচেজ পাওয়ার চুরি করে, আর হয়তো বা আমাদের নাতী-নাতনীদের যুগে তারা বলবে এরকম সিঁধেল চোর ব্যাংকার এবং রাষ্ট্রপরিচালকদের আমরা পিটিয়ে তক্তা বানিয়ে সাবমেরিনে ভরে নদীতে ভাসিয়ে সমুদ্রে পৌছে দিয়েছিলাম!
আমাদের যুগের সিঁধেল চোর এই ব্যাংকিং সিষ্টেম এবং তারা আগের মতো গণপিটুনীও খায় না, তকমা লাগিয়ে ঘুরে বেড়ায় অর্থনীতির বিশাল সঞ্চালক হিসেবে রাষ্ট্রীয় সাপোর্টে! রাষ্ট্রীয় কিছু আইনে তারা ধাপ্পাবাজ হিসেবে ক্রিমিনাল এ্যাক্টিভিটি চালিয়ে নেয়ার অপরাধ করে যাচ্ছে, আবার অন্য কিছু আইন দিয়ে তাদেরকে দায়মুক্তি দেয়া হচ্ছে! এটাই সারা বিশ্বের সমস্ত রাষ্টব্যবস্থা এবং সিঁধেল চোররা এখন কোন প্রকার রিস্ক এবং পরিশ্রম ছাড়াই গেইন করতে পারে অনায়াসে এরকম ব্যাংকিং ব্যবস্থা চালিয়ে!
এর জন্য সবচাইতে বেশি যেটা প্রয়োজন, জাতিকে তাদের মন মতো শিক্ষিত করা; কারণ জাতি যদি প্রচলিত শিক্ষায় অনেক সময়-কাল ব্যয় করে শিক্ষিত না হয়, তবে অনেক কিছুই এসব না পড়েও সাধারণ জ্ঞানেই বুঝে, এ সিঁধেল চোরদের তাদের নানী-দাদীদের যুগের মতো গণপিটানী দিতে যাবেঃ শুদ্ধ ভাষায় এখন পর্যন্ত একে ব্যাংক-রান বলে কারণ, অনেক জায়গায়ই গণপিটানী দিতে গিয়ে রাষ্ট্রীয় বাহিনীর বাধার কারণে, তাদেরকে পেটাতে ব্যর্থ হয়েছিলো সেসব এলাকার লোকজন! প্রচলিত শিক্ষা ব্যবস্থার বলতে গেলে প্রায় ৯০%-ই আমাদের সাধারণ জ্ঞানেরও বিলোপ-সাধন করে অর্থনৈতিক এক ধাপ্পাবাজির শৃংখলে আবদ্ধ করে ফেলে! আর এসব ধাপ্পাবাজী চালিয়ে নেয়ার জন্য রাষ্ট্রীয়ভাবেই সারা বিশ্বে ব্যংকিং-ব্যবস্থাপনাকে টিকিয়ে রাখতে বেইলআউট, কুন্টিটিটেটিভ-ইজিং, ইত্যাদী তত্ত্বের নামে ধান্দাবাজী চলছে সাইক্লিক অর্ডারে!
এর আগের এই পোষ্টে আলোচনা করেছিলামঃ মানি-সাপ্লাই কিভাবে প্রাইসে প্রভাব ফেলে; আর এই পোষ্টে আলোচনা করেছিলামঃ কিভাবে ব্যাংকিং এবং সরকারী ব্যবস্থাপনায় মানি সাপ্লাই প্রসেস চলছে। মানি আমাদের প্রয়োজন পারচেজ-পাওয়ার অর্জনের জন্যঃ আর এরকম বুঝেই সবাই ছোটে মানি-র পেছনে সময় আর শ্রম ফেরী করে বেচতে, এক্সেসিভ মানি সাপ্লাই প্রাইসে আঘাত হানার ফলে এ পারচেজ পাওয়ারকে প্রতিনিয়ত নষ্ট করে বলে ব্যাংকিং সিষ্টেম-কে আদিকালের সেই সিঁধেল চোর হিসেবে সাব্যস্ত করতে কারও কোন দ্বিমত থাকা উচিৎ নয় বলেই আমি মনে করি! আর এভাবে পারচেজ পাওয়ার নষ্ট হয় বলেই মানুষকে সবসময় ইকোনোমিকালী-এ্যাক্টিভ থেকে অর্জন করে যেতে হয় দূর্বল থেকে দূর্বলতর মানি, আর বেশীর থেকে বেশী খরচ করে একই পরিমাণ জিনিস পারচেজ করতে হয়; তাই বলেছিলামঃ আমাদের নানী-দাদীদের যুগে সিঁধেল চোররা চুরি করে হলেও কতো সুন্দরভাবে ইকোনোমিকালী এ্যাক্টিভ রাখতে সহায়তা করতো!
এই যে সিঁধেল চোররা, মানি-ম্যানেজমেন্ট চালিয়ে গেইন করছে, কখনো কি শোনা গেছে যে, তারা এ সারপ্লাস দিয়ে ১০০/২০০ ইঞ্জিনিয়ারকে খাওয়াচ্ছে পড়াচ্ছে গাড়ী বানানোর জন্য লোহা লক্কর মেশীনারী এনে দিয়ে? বা ১০০/২০০ কেমিষ্ট-ফার্মাসিষ্টকে পালছে কিছু একটা ডেভেলপ করার জন্য? অথবা ৫০০ লোককে নিযুক্ত করেছে সাগরে ডুব দিতে বা মাটি খুড়ে নিচ থেকে কিছু বের করার কাজে? নাহ! এগুলোর কোনটাই তারা করে না, কারণ মনে হয় ‘চোরে শুনেনা ধর্মের কাহিনী’; তাদের অনেক ধাপ্পাবাজীর মধ্যে সবার বুঝে আসে কিছু ধাপ্পাবাজী হলোঃ
১/ আমাদের কাছে ডিপোজিট করো আমরা লাভ দিবোঃ কুয়ান্টিটি অফ মানি সবসময় লিটেটেড সরকার দ্বারা, তুমি ধাপ্পাবাজ সিঁধেল চোর কোত্থেকে দিবা এটা প্রথেমেই ক্যালকুলেশন করে দেখাও! এটা ওর পক্ষে কখনোই সম্ভব না প্রমাণ করা, তাই ও যা বলে তা প্রকাশ্য ঠকবাজী!
২/ ডিপোজিট বলতে সবাই বুঝে সেইফ কোন জায়গায় কিছু রাখা, যাতে জিনিসগুলো ইন্ট্যাক্ট থাকে; ও ওর ষ্টেইটমেন্টে বিভিন্ন নামকরণের মাধ্যমে ডিমান্ড এবং টাইম ডিপোজিট দেখিয়ে থাকে, যার ১০%-২০% ছাড়া কিছুই ডিপোজিটোরীতে নাই, এখানেও ও ডিপোজিট হিসেবে বলে ও প্রকাশ করে ধাপ্পাবাজী করে যাচ্ছে!
৩/ ও লোন দিচ্ছে ইন্টারেষ্টে, এটাও গাণিতিকভাবে কখনোই প্রদান করা সম্ভব না, সমস্ত ঋনগ্রহীতাদেরঃ কারণ দেনা সবসময়ই এ্যাকচুয়াল মানি থেকে বেশী হতেই হবে এই পলিসিতে, কিন্তু ও ফোর্সিবলী মানুষকে বাধ্য করছে ক্রিমিনাল-এ্যাক্টিভিটিতে নিযুক্ত হতে, যাতে করে মানুষ লাভের নামে দুর্নীতি করে লোন পরিশোধ করতে হন্যে হয়ে দৌড়ায় এবং আরেকজনের ক্ষতি করে!
এই যে উপরের কয়েকটা ক্রিমিনাল এ্যাক্টিভিটি, এরকম বিশাল ফিরিস্তী দেয়া যাবে এই সব সিঁধেল চোরদের; এগুলো সাধারণ কেউ করলে, এক কন্ট্রাক্ট আইন দ্বারা তাদেরকে সাজা দেয়া যাবে রাষ্ট্রীয়ভাবেই এবং অনেককে দেয়াও হয়। আর একই এ্যাক্টিভিটি ব্যাংক দিয়ে চালিয়ে নিচ্ছে রাষ্ট্রীয়ভাবে এবং সমস্ত দেশবাসীর সাথে এভাবে প্রতারণা করা হচ্ছে, এর বিচার তো দূরের কথা - উল্টো তাদের দায়মুক্তি দেয়া হয় অন্যান্য ব্যাংকিং-রিলেটেড আইন দ্বারাঃ এগুলো কি সুবিচার?
বর্তমান বিশ্বের সমস্ত রাষ্ট্রব্যবস্থা এরকম অনেক ফ্রডুল্যান্ট এ্যাক্টিভিটির সমাহার এবং এর প্রধান চালিকাশক্তি অর্থ/মুদ্রা ব্যবস্থাপনা! আমাদের দেশের মতো দেশগুলোর ক্ষেত্রে রাজনীতি-ই করা হয় অর্থের জন্য; জনগণ এখানে সে অর্থ প্রোডাকশনের মেশিন, কিছু চ্যালা-চামুন্ডা এবং চাকরবাকরও লাগে এ ব্যবস্থাপনা চালাতেঃ রাষ্ট্র সেটা চালায় তার বাজেটের নন-ডেভেলপমেন্ট এবং ডেভেলপমেন্ট এক্সপেন্ডিচার দিয়ে! নন-ডেভেলপমেন্ট দিয়ে চাকরবাকর এবং অন্যান্য কিছু চালায়, এখানেও কিছু টেন্ডারবাজী চলে; আর ডেভেলপমেন্টের বলতে গেলে পুরাটাই টেন্ডারবাজির মাধ্যমে চ্যালা-চামুন্ডাদের পেটে যায়! আর এ বাজেটের ফান্ডিংওঃ ফরেইন-ভিক্ষা এবং লোন, জনগণের পেটে পারা দিয়ে বের করা ভ্যাট-ট্যাক্স-ডিউটি, পাবলিক ও ফ্রড সিঁধেল চোরদের থেকে নেয়া লোন। পাবলিক, বিদেশী এবং ব্যাংকিং লোনও জনগনের পেটে পারা দিয়া বের করে আনা হবে সবসময় ইন্টারেষ্টসহ এ সিষ্টেমে!
এ ব্যবস্থা দিয়ে উন্নতিও অবশ্য করা যাবে বলে মনে হয়, তবে ছ্যাচড়া-পার্টিদের বিতাড়িত করে করতে হবে তা করতে চাইলে! ইসলামী রাজনীতিবিদেরা এসব সিধেল-চুরি, ছ্যাচড়ামী, বান্দ্রামী বুঝেই কি এ ধরনের রাজনীতি-কে সাপোর্ট করেন? গোল্ড-ষ্ট্যান্ডার্ডে ফিরে গেলেও আমার মনে হয় না এ সমস্যার সমাধান হবে! লোভ বিসর্জনের মাধ্যমে মানুষের নৈতিকতা এবং মনুষত্ব্যবোধ ফিরিয়ে আনতে না পারলে কিছুই কাজে দিবে না!
মনে কি হয় লোভ এবং লাভের চিন্তা থেকে মানুষ ফিরে আসবে? আমার মনে হয় এটা আর সম্ভব না, ঈসা-মহদী যুগের গ্যাড়াকলে পড়ে এগুলোর মরা ছাড়া ...
বিষয়: বিবিধ
২৪১১ বার পঠিত, ২৪ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
লেখাটি পড়লাম, লেখনী আরেকটু ছোট করলে ভালো হয়।
সিধেল চোরের কথায়- আমাদের বাড়ীতে সংঘটিত চুরির কথা মনে পড়ে গেল।
সিধল চোর ব্যাটা ভাতের ডেগচি সহ নিয়ে গিয়েছিল।
উপস্হাপনার জন্য অনেক ধন্যবাদ.....।
হিসাবে তো সবাই-ই চোর ...
আপনার কি জন্মই বিদেশে?
ভাষা সারা পৃথিবীতেই জগাখিচুরী হিসেবে ব্যবহৃত হয় বলেই সবাই জানে, ইঙ্গরেজী ডিকশনারী গুলাও এরকম জগাখিচুরীর সমাহার, খুলে দেখেন জেনে থাকলে! এরকম জগাখিচুরী হলেও কোন ভাষাই হারায় নাই এখনও। আপনি যাকে স্বাভাবিক ভাবছেন, সেটাই আসলে অস্বাভাবিক, যোগ্য বিদেশিদের জিজ্ঞেস করে দেখেনঃ আপনার ভুল ভাঙ্গবে আশা করি।
আমাদের দেশের এসব শিক্ষার পুরাটাই বিদেশী, ওদের সাথে মিশে ওসব বিষয়ের কারও কিছু শেখার নাই! আপনি যদি আমার পোষ্টের কোন টার্ম না বুঝে থাকেন, আমাকে জিজ্ঞেস করলে আপনাকে সহজভাবে বোঝানোর চেষ্টা আমি করতে পারি সাধ্যমতো।
আরেকটা জিনিস, হার্ডডিস্ক এবং মাদারবোর্ডের বাঙ্গলা কি একটু জানান, বাঙ্গলা ভাষা যদি বুঝে থাকেন বলে মনে করেন!
তৎসম, তদ্ভব, সংস্কৃত, বিদেশী ইত্যাদী কি কি যেন ছিলো প্রাইমারী-স্কুলের বাঙ্গলা ব্যাকরণে; শিক্ষিত অশিক্ষিত সব লেভেলের বাঙ্গলাভাষীরা আরবী, সংস্কৃত, হিন্দী, উর্দূ, ফার্সী, ইঙ্গরেজী, বাঙ্গলা ইত্যাদী মিলিয়ে জগাখিচুরী পাকিয়েই কথা বলে সর্বত্র প্রতিদিনই এটাও সেই প্রাইমারীতেই জেনেছিলাম; এসব বিষয় নিয়ে এরকম প্রফেশনাল লেভেলের লোকজনের আলোচনা মানায় না কখনোই, বুঝতে হবে এগুলো; ইঙ্গরেজী এবং বাঙ্গলা দুইটা-ই বুঝলে আমার লেখা না বোঝার কিছুই নাই! আপনার কষ্ট হয়েছে মানেঃ কোনটাই আপনে ভালোমতো বোঝেন না!
এটা বলতাম না, তবে আমার এরকম বলায় অনেকে অন্যদের জিজ্ঞাসার উত্তর দিতে পারবে সহজেই, তাই বলে ফেললাম নিঃসঙ্কোচে!
কিছু মনে নিবেন না আশা করি!
কয়দিন আগে না শুনলাম কোনখানে জানি সিঁধেল চোরগো বাড়ীর (ব্যাংকের) সিধ খুইদা লুটপাট করলো! চোরের উপরে বাটপারী কইরা আবার ধরা খাইছে ছিনতাইকারীদের কাছে!
মন্তব্য করতে লগইন করুন