কষ্ট-বেনিফিট বা লাভ-ক্ষতি সবসময় সমান সমান
লিখেছেন লিখেছেন বুড়া মিয়া ১৮ অক্টোবর, ২০১৪, ০৯:১৬:২১ সকাল
এর আগের একটা পোষ্টে ‘সময়-শ্রম’ ক্রয় বিক্রয়ের কথা আলোচনা করেছিলাম এবং ইসলামের আলোকে কিছু উত্তর আশা করেছিলাম, কিছু পেয়েছি এবং কিছু পাই নাই। যেকোন জিনিসের মূল্যের ব্যাপারে লক্ষ্য করলে দুইটা ব্যাপার পাওয়া যায়; ১) বস্তুগত দিক, ২) সে বস্তুতে নিয়োজিত শ্রম।
বস্তুগত ব্যাপারগুলো মানুষের সাধ্যের বাইরে এবং এতে কখোনোই কোন মানুষের পরিবর্তন করার সাধ্য নাই, সেগুলো সৃষ্টিকর্তার প্রকৃতিগত উপহার বা দান; যেমনঃ আম, জাম, মাছ, মাংস, জায়গা-জমি ইত্যাদী। এই উপহার বা দানগুলো মূল্যবান হয় তখনই, যখন এগুলো অধিকার করে নেয় মানুষ, এই অধিকারের ব্যাপারটাই শ্রম; যা মানুষ অধিকারে নিতে পারে নাই এখনও সেগুলোর কোন আর্থিক মূল্য নাই, যেমনঃ বাতাস, আলো, ইত্যাদী। এই অধিকারে নেয়ার জন্যই ব্যক্তিগত বা ব্যবসায়িক বা রষ্ট্রীয় কার্য্যক্রম।
এই বস্তুগত জিনিসগুলোকে বিক্রয়/ভোগ/ব্যবহার-যোগ্য করে তোলার জন্য মানুষের যে সময় ও শ্রম ব্যবহার হচ্ছে, সেটার মূল্য কি হবে এ নিয়ে অনেকে অনেক হৈ-চৈ করলেও, কোন কিছু বের করতে পারে-নি হিসাবগত সমস্যার কারণে এবং এই সময় ও শ্রমের মূল্য হিসেবে যে যতো কম পারছে দিয়ে লাভ করে চলছে নানা ভনিতার মাধ্যমে, সুবিধা করে নেয়ার জন্য। তবে এই যে শ্রম ও সময় বিক্রেতারা (লেবার), এদেরকে বাচিয়ে রাখতে হবে বলে সবাই একমত কারণ, এরা মরে গেলে বা মেরে ফেললে কোন লাভ থাকবে না ছলিমদেরঃ ওদেরই পরিশ্রম করে খেতে হবে তখন!
বস্তুগত জিনিসগুলো কেনা বেচা সহজ কারণ, সহজেই বের করে ফেলা যায় মাপ-জোক করে এগুলোর হিসাব, যেমনঃ কেজি, লিটার, একর ইত্যাদি। লেবারের একটা দিক মাপ-জোক করা যায়, সেটা হচ্ছে সময়, কিন্তু শ্রমের পরিমাণ নির্ধারণ করা অত্যন্ত জটিল; যেমনঃ সফটওয়্যার ম্যানুফ্যাকচারিং এ শ্রমিকের ৮ ঘন্টা পরিশ্রমের সাথে গোল্ড-মাইনিং এ নিয়োজিত শ্রমিকের ৮ ঘন্টা সময়ের দিক দিয়ে সমান হলেও শ্রমের দিক দিয়ে হয় না, তাই প্রশ্ন আসে কার মূল্য কি এবং কিভাবে হিসেব করলে জানা যায় এর মূল্য!
এই মূল্য নিয়ে অনেক হিসাব-নিকাশকারী অর্থনীতিবিদেরাও বিভিন্ন মতবাদ দিয়েছে এবং আজও দিয়ে যাচ্ছে, আর প্রতিষ্ঠিত হয়ে আছে শক্তিমান চোরদের (রাজনৈতিক-ব্যবসায়ী) কাছে ঘেষা পলিটিক্যাল-ইকোনোমিষ্টদের বিভিন্ন মতবাদ; এই শ্রেণীর অর্থনীতিবিদেরা দালালী হিসেবে তাদের মনিবদের সুবিধা করার জন্য বক্তব্য দিয়ে থাকে সবসময়, নিজেরা আর্থিকভাবে আরেকটু ভালো থাকার আশায়। তবে এসব দালালদের বক্তব্য সবসময় ভিত্তিহীন বলে প্রমাণিত হয়েছে সব কিছু বিবেচনায় নিয়ে হিসেব করলেই, এবং আরও বেরিয়ে এসেছে সুন্দরভাবে যে, লেবারদের কষ্ট কতো হয় এবং কিভাবে হয়, যা হিসেব করে দেখেছিলাম এই-পোষ্টে।
কষ্ট-বেনিফিট সমান সমান হয় কি-না, এ প্রশ্নের সোজা এবং যুক্তিসঙ্গত উত্তর হচ্ছেঃ হয় এবং সমান সমান হওয়া ছাড়া কোন উপায় এখানে নেই। যেমন উপরের লিঙ্কের পোষ্টে দেখেছিলাম ৪২০ টাকার ফিক্সড জিনিসপত্রের মূল্যের কোন পরিবর্তন হয়-নি বা কোন বেনিফিট আনার চান্স নেই সেখান থেকে, লেবারদের পরিশ্রম লাগানো ছাড়া; লেবাররা যখনই পরিশ্রম করলো এবং তুলাকে সুতা করে ফেললো, সুতারূপী তুলার সাথে যোগ হলো ১৩০ টাকা এবং সেই সুতার মূল্য হলো ৫৫০ টাকা, এই কষ্ট দিতে রাজী সুতার ক্রেতারা কারণ, তারা সুতা দিয়ে কাপড় বানানোর জন্য হিসেব করে দেখেছেঃ নিজেরা তুলা থেকে সুতা বানাতে গেলে ৫৫০ টাকাই কষ্ট হয়। সোজা কথায় সুতা কিনে যারা কাপড় বানায়, তারা সুতা তৈরীকারকদের দিয়েছে ৫৫০ টাকা নিজেদের কষ্ট হিসেবে, কাপড়ওয়ালা কোন বেনিফিট দেয়-নি সুতাওয়ালাকে!
যেখান থেকে বেনিফিট বের করা হলো, সেটা যে দিয়েছে সে কষ্ট-ই দিয়েছে সুতার বদলেঃ ৫৫০ টাকা কষ্ট সমান সমান সুতা বেনিফিট। এরকম সার্কুলার মডেলেই চলছে সমস্ত লেন-দেন এবং কোন বেনিফিট নাই কোথাও চুরি না করলে। একজন বেনিফিট নিবে তো আরেকজন লস খাবেই; এ জন্যই এক শ্রেণিরা ধনবান হয়, আর অন্যরা গরীব হয়, সমান সমান সবসময়! অনেকটা এভাবে হিসেব করলেও হবেঃ আমি ক্ষেতে আঙ্গুর বেচে লাভ করলাম, আরেকজন তা পরিস্কার করে লাভ করলো, আরেকজন ছেচে লাভ করলো, আরেকজন সময় পার করে ঝাঝালো জুস বানিয়ে লাভ করলো, তার অল্প একটু আমার প্রথম করা লাভ দিয়ে কিনে খেলাম! তাড়াতাড়ি লাভের জন্য জুস বানানোর টেকনিক শিখে সম্পূর্ণটার জুস নিজে বানিয়ে খাওয়া বাদ দিয়ে, কিনে সামান্য জুস খেয়ে হাসি দিলামঃ লাভ না করলে কি আজকে জুস খেতে পারতাম? হ্যা, পারতাম লাভের চিন্তা না থেকে জ্ঞান-অর্জনের চিন্তা থাকলেই!
এখানে যদি কাপড়ওয়ালারা নিজেরাই তুলা থেকে সুতা এবং সুতা থেকে কাপড় বানাতে যায়, তবে কাঙ্ক্ষিত পরিমাণ কাপড় বানানো সম্ভব হবে না এবং সুতার উৎপাদন অযাচিত পরিমাণ বেড়ে যাবে; তাই ওভাবে নিরূপিত কষ্ট, সুতা যারা বানায় তাদেরকে দিয়ে দিয়ে, কাপড় বানানোয় নিযুক্ত হয়েছে আরেকদল লোক; এসব চিন্তা থেকেই এসেছে ডিভিশন অফ লেবার কন্সেপ্ট; মানে সমাজের সবার প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র বানাতে গেলে দলে দলে ভাগ হয়েই কাজ করতে গেলে সহজ ও আরাম হয় সবারই।
এই কষ্ট বেনিফিট সমান সমান না করার মানে একজনের সম্ভাবনাকে আরেকজন নিজের ফল হিসেবে নিয়ে নেয়া, মানে ক্যাপিটালিষ্ট বা ব্যবসায়ী এখানে দালাল বা মধ্যস্ততাকারী; উৎপাদন করছে প্রকাশ্যেই লেবার, আর লেবারের উৎপাদিত ফল আরেকজনের কাছে বেচার দালাল ক্যাপিটালিষ্ট। যদি লেবাররা নিজেরাই উৎপাদন করে সরাসরি বিক্রেতার কাছে বিক্রি করতে পারতো, এ চান্স ক্যাপিটালিষ্ট কখনোই পেতো না!
ক্যাপিটালিষ্ট এ চান্স পাচ্ছে এই জন্যই যে, আমাদের চরিত্রও ক্যাপিটালিষ্টদের মতোই; ক্ষেতের চাইতে ছলিমের কাছে একটু বেশি লাভ করে, ক্ষেতের কামলাকে লস খাওয়াতে পারি বিধায়, ছলিমও আমাদের লস দেয়ার চান্স পেলো! ছলিমরা একটু বেশী ঠকানোর আরও চান্স পায় কারণ, সমস্ত রাষ্ট্রীয় শক্তি এদের পেছনে, এরাই রাজনীতিবিদ অথবা রাজনীতিবিদদের চাদা (ডোনেশন) দেয়া দালাল-পার্টি! রাজনীতিবিদেরাও জেনেশুনেই এটা টিকিয়ে রেখেছে একইভাবে লাভের জন্যই!
এরকম একজন আরেকজনকে লস খাওয়ানোর বা কষ্ট-বেনিফিট এর পার্থক্য না পেলেও অবশ্যই মানুষ কাজ করতে উদ্বুদ্ধ হতোঃ এটার জন্য দরকার যেটা, সেটা হচ্ছে ব্যবস্থাপনা, শিক্ষা এবং নৈতিকতা; প্রত্যেকটা মানুষকে হিসাব-নিকাশ বুঝিয়ে দিতে পারলে এবং মানুষ হিসেবে তার সম্ভাবনা এবং দায়িত্ব কি, তা সম্পর্কে অবগত করা গেলে, অবশ্যই সব মানুষই আরেকজনকে লস না দিয়েই কাজ করতে উদ্বুদ্ধ হবে, আর যদি না হয়ঃ তবে মানুষরূপী এসব আসলেই পশুর চাইতেও অধম!
সারা বিশ্বেই ইনোভেশন, রিসার্সে নিয়োজিত লোকজন কষ্ট বেনিফিট নিয়ে খুব একটা চিন্তা করে না, ঐ লাইনের মানুষগুলা একেবারেই আলাদা! এছাড়াও দেখা যায় এসবে যারা নিযুক্ত রয়েছে, তাদের কেউ অত্যাধিক ধনি কিংবা ক্যাপিটালিষ্ট শ্রেণীও না! ওদের কষ্ট-বেনিফিট এর মোহ থাকে না, তবে কিছু একটা আবিস্কার যদি হয়েই যায়ঃ তবে তাতে তাদের অনেকের কিছু লাভ হলেও হয় অন্যান্য ক্যাপিটালিষ্টরা তাদের নিয়ে ব্যবসা করে বলে, মানে এদেরকে নিয়েও চুরির-প্ল্যান-প্রোগ্রামে গিজগিজ করা ক্যাপিটালিষ্টদের মাথা কাজ না করে কখনও বসে থাকে না! তবে এদের বেশিরভাগই সে লাভ নিজেদের জন্য খরচ করতে থাকে, ক্যাপিটালিষ্টদের মতো এ্যাকুমুলেশনের ধান্দাবাজি এরা করে না! তাদের চিন্তা-চেতনাই হচ্ছে একটা কিছু নিয়ে পড়ে থাকবে, এ জন্য একটা পরিবেশ এবং আনুষাঙ্গিক জিনিসের জন্য খরচপাতি চায় ওরা – সেটা ওদের সরকার বা অন্যান্য ব্যবসা প্রতিষ্ঠানও দেয়।
এরকম কষ্ট বেনিফিটে যে ইনোভেশন এবং সব দিকে সক্ষমতায় কোনই বাধা সৃষ্টি করে না, তার জ্বলন্ত উদাহরণ রাশিয়া! একসময় ফুল সোশালিষ্ট থেকেও সমর-শক্তি, টেকনোলোজীর কোথাও তারা পিছিয়ে ছিলো না এবং এখনও দাপিয়ে বেড়াচ্ছে। অশিক্ষিত কালাশনিকভও আবিস্কার করে ফেলেছিল যুগান্তকারী অস্ত্র; কালাশনিকভ ফাইনান্সিয়াল বেনিফিট পাবে এই আশায় মেশিন ডিজাইন করে নাই, আর হয়তো বা জানতোও না যে, এমন কিছু হবে!
কষ্ট বেনিফিট এর পার্থক্য করলে কি হয় তা আমাদের দেশের দিকে তাকালেই বোঝা যায়ঃ এই পার্থক্য থাকলে এবং এই সারপ্লাস বেনিফিটের অযাচিত ব্যবহার যেখানে সেখানে করা গেলে, একজন মানুষ আরেকজন মানুষের শ্রমের ফল কিনে ফেলতে পারে কোন পরিশ্রম ছাড়াই! এটা যখন সমাজে বদ্ধমূল হয়ে যায়, রাষ্ট্রীয়ভাবে তখন সে সমাজ পুরোপুরি পঙ্গু হয়ে যায়। আমাদের এখানে ক্ষেতের কৃষক থেকে শুরু করে, ক্যাপিটাল ছলিম পর্যন্ত সবার একটাই ধান্দাঃ কিভাবে ফাইনান্সিয়াল বেনিফিট বাড়ানো যায়; এই ফাইনান্সিয়াল বেনিফিট বাড়ানোর ইনোভেশনে আমাদের দেশের শিশু আর বুড়া ছাড়া সবাই নিযুক্ত সক্রিয়ভাবে।
অর্থাৎ, ওরা সবাই নিযুক্ত হয়ে গেলো ফাইনান্সিয়াল বেনিফিট বাড়ানো বা চুরির নিত্য নতুন ইনোভেশনে; একই প্রোডাক্ট/সার্ভিস নিয়ে ১৪/১৫ রকমের দালাল তৈরী হয়ে আছে আমাদের দেশে শুধুই এ্যাকুমুলেশনের জন্য; এটা যদি এদের মধ্যে বদ্ধমূল না হতো, তবে এরা রিয়েল প্রোডাক্টিভ কাজে (ইনোভেশনে) নিয়োজিত হতো অন্য মর্যাদা পাওয়ার আশায় অথবা সুন্দর সময় পার করার জন্য, আর অন্যদের আবিস্কারের প্রোডাক্ট বা একই ধরনের জিনিস নিয়ে এভাবে গেইন করার জন্য দালালী করতো না!
আমাদের দেশে এটা পরিবর্তন করা যে কঠিন তাও না, ম্যাক্সিমাইজ ট্যাক্স রেভিন্যু হিসাব না করে, সরকারের অন্যভাবে ট্যাক্স ইম্পোজ করতে হবে; যেমন ব্যাংক/ইন্স্যুরেন্সে ১০০% ইনকাম ট্যাক্স (কারণ এটা লাভের জায়গা না), গার্মেন্টস-টেক্সটাইল-এক্সেসোরিজে ৯০% ইনকাম ট্যাক্স (এই সেক্টরের ৯০ ভাগ বন্ধ হয়ে গেলেও দেশের মানুষের কোন ক্ষতিই হবে না, ছলিমদের আর্থিক ক্ষতি হবে আর বিদেশিদের ক্ষতি হবে), হাউজিং এবং রিয়েল এষ্টেট ডেভেলপমেন্ট নিয়ে নেয়া উচিৎ সরকারের হাতেই, মানুষকে এসব বানানোর পিছনে না ছুটিয়ে, তা ওরাই বানিয়ে দিয়ে, মানুষকে নিশ্চিন্তে চিন্তা-ভাবনা করার ইনোভেটিভ কাজে নিয়োজিত করলেই ভালো হবে, রিয়েল ন্যাসেসিটি (এ্যাগ্রো, ফিশারী, ডেইরী-পোল্ট্রী) মাথা গুনে গুনে হিসেব করে প্রডিউস করতে হবে ডিভিশন এবং রোটেশন অফ লেবার দিয়ে এতে করে কারও উপরই চাপ থাকবে না, তেমন।
আমাদের দেশে কার্যকরী ও গবেষক শিক্ষক সঙ্কট ব্যাপক কারণ, এরকম কাজের মাথাগুলো ছলিমদের কাছে বিক্রি হয়ে গেছে চুরির কাজে ব্যবহার হওয়ার জন্য! ছলিমদের একটু দমিয়ে দিলেই এরা বেরিয়ে আসবে সেখান থেকে এবং এদেরকে কাজে লাগালে, শিক্ষা এবং গবেষনার বিষয় সমাজে কার্যকরীভাবে ছড়িয়ে পড়বে খুব তাড়াতাড়িই। এই ক্যাপিটালিষ্ট চরিত্র যে খালি ছলিমদের এবং আমাদের মধ্যেই তাও না, এটা ছড়িয়ে গেছে সামরিক বেসামরিক বাহিনীতেওঃ দেশ সেবার শপথ নিয়েও, ছলিমদের দেখে দেখে ওরাও এখন আর পিছিয়ে নেই!
১৯৯০ থেকে এ পর্যন্ত ইউ.এন এর শান্তির মিশনের হিসাব থেকে শুরু করলে, বর্তমানে আমরা বা বাংলাদেশ নাম্বার ওয়ান! ইউ.এন এর নাম্বার ওয়ান পিসকিপার বাংলাদেশের সামরিক-বেসামরিক লোকবল! এখানেও আর্থিক বেনিফিট এর জন্য এরা দেশ ভুলে এখন ইউ.এন এর সোলজার এবং মৃত্যুকেও আলিংগন করতে পিছপা হয় না বেনিফিট এর জন্য সেখানে; আমার এক আত্নীয় মারা গিয়েছিলো ভ্যাকসিনেশনে বসনিয়া মিশনে যাবার প্রাক্কালে, সি.এম.এইচ মরার আগেও বুঝে নাই কেনো মরলো সে! ডাক্তারগুলাও এরকম কারণেই শেষ হয়ে গেছেঃ ওরাও এখন ডাক্তারী গবেষনা বাদ দিয়ে হিসাব করে, কিভাবে ফাইনান্সিয়াল বেনিফিট বাড়াবে!
হয়তো দেখা যাবেঃ এর কোন পরিবর্তন না হলে, যারা এখনও ওদের মতো হয়-নি, ওরাও ওদের চাইতে আরও বেশি বড় চোর হয়ে গেছে! আমাদের দোষে আমরা নষ্ট না, ওদের দোষে আমরা নষ্টঃ এটা খুব স্পষ্ট! এখন যেমন সারাবিশ্বে আমরা চোর, ছ্যাচ্চোর, মিসকিন হিসেবে পরিচিত; এই পরিচিত আরও বেড়ে যাবে আমাদের কেননা সবাই আবিস্কার করে চুরি করে বেনিফিট বাড়ানোর রাস্তা, অন্য কিছু না! অন্যান্য বেশিরভাগ দেশগুলোরও একই অবস্থা, তাই মাঝে মাঝে আমরা চোর হিসেবে পিছিয়ে পড়ি!
বিষয়: বিবিধ
২৩২১ বার পঠিত, ৪ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
আরও মনে হয়, প্রত্যেক শ্রমেরই কিছু ফল আছে মূল্য থাক বা না থাক; আমরা ঘরে ঘরে যে সন্তানদের নৈতিকতার শিক্ষা দেই, সেসবের কোন বাজারমূল্য নেই, কিন্তু এই শ্রমের ফলে সুন্দর জাতি গড়ে উঠতে পারে।
অনেক ধন্যবাদ সবুজ ভাইকে, অভিজ্ঞতার আলোকে মতামত দেয়ায়।
মন্তব্য করতে লগইন করুন