জাতীয়-উন্নতির অন্তরায় আমাদের শিক্ষা-ব্যবস্থা

লিখেছেন লিখেছেন বুড়া মিয়া ১১ অক্টোবর, ২০১৪, ১১:৪৫:২১ রাত

সমাজে অনেক ধ্বজাধারীদেরকে প্রায়ই শিক্ষা শিক্ষা বলে মুখে ফেপড়ী তুলে ফেলতে দেখা যায়, আর তার সাথে যদি নারীদের কোন মওকা তারা পায়, তবে তো কোন কথাই নেই, পারলে যেন রক্তই বিলিয়ে দেবে অকাতরে নারীদের শিক্ষার জন্য। আমার দেখা শিক্ষাব্যবস্থার কিছু বিষয় নিয়ে আলোচনা করে দেখবোঃ এ ব্যবস্থা কি শিক্ষা দেয় আমাদের? আদৌ কি এটা কোন শিক্ষা ব্যবস্থা, না-কি একটা নির্দিষ্ট রকমের মানুষ গড়ে তোলার জন্য একটা পরিবেশে বাধ্যতামূলকভাবে বেধে রাখার কোন ব্যবস্থা?

প্রথমেই বলে দেয়া উচিতঃ এটা শৃঙ্খলিত করে রাখার এক পদ্ধতি বিশেষ; যদি সবাইকে এভাবে শিক্ষা ব্যবস্থায় বেধে না রাখা যায়ঃ তবে এদের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা পুজিবাদীদের পক্ষে সম্ভব নয়, কেননা তাদের মোটা মাথা আজও কাপড় সেলাই এর মতো কাজ ছাড়া তেমন কোন ক্ষেত্র তৈরী করতে পারে নাই – ছাত্রদের জন্য; একই সাথে ছাত্রদের পূর্বপুরুষদের অর্জিত সম্পদ শিক্ষার ফী হিসেবে নিয়ে ব্যবসা চালানোর পদ্ধতি এটা। এছাড়াও কর্মক্ষেত্রে সকাল-সন্ধ্যা বেধে রাখার ট্রেনিং যা ছোটবেলা থেকে শুরু করে কর্মে ঢোকার আগ পর্যন্ত অব্যহত থাকে এবং একই নিয়মে দীর্ঘ-সময় গোলামীতে যেন কোন সমস্যা তাদের না হয় তাই এরকম ব্যবস্থা; আমার মতে প্রায় প্রত্যেক বিষয়ই একটা সামান্য প্রাইমারী লেভেলের শিক্ষাকে এরা সর্বোচ্চ লেভেলেও ভিন্ন মোড়ক দিয়ে পড়ায়; সেখানে নতুন কিছুই শেখা হয় না, অযথা সময় নষ্ট এবং সকাল-বিকাল বন্দী থাকার ট্রেনিং ছাড়া!

শিক্ষা বলতে আমি যা বুঝেছি, তা হচ্ছে বাস্তব নিয়ে গবেষনা; একাডেমিক লেভেল ইচ্ছা করলে টেনথ-গ্রেডেই শেষ করে দিয়ে এর পর সরাসরি গবেষনা বা কর্মক্ষেত্রে নামিয়ে দিলে সবখানেই জাতীয় উন্নয়ন ত্বরান্বিত হবে বলে আমার মনে হয়। আমি কমার্সের ছাত্র ছিলাম একটা সময়, স্কুলে কিছুটা সময় সাইন্স এবং শেষ বেলায় এসে দেখেছি এখানে সাইন্স-কমার্সের তাল-গোল পাকিয়ে কমার্সের নামেই পড়ানো হয়েছে। আমার অনুধাবন যে ম্যাথম্যাটিক্স আর ধর্ম ছাড়া আসলে কোন লেখা পড়া রাখাই উচিত না শিক্ষা ব্যবস্থায়!

আমার এক বোন আর্টসে পড়েছিলো ম্যাথ এর ভয়ে, যাক মোটামুটি রেজাল্ট করে সে এসে ইকোনোমিক্স পড়বে বলে সিদ্ধান্ত নিলো, পড়তে পড়তে এক পর্যায়ে সে এসে বাধ্য হলো প্রিলিমিনারী-ক্যল্কুলাস করতে; মার্জিনাল-কষ্ট, মার্জিনাল রেভিনিউ ইত্যাদীর নামে তার ফার্ষ্ট ডেরিভেটিভ বের করতে হয়! আর কিছু এরিথম্যাটিক এবং এ্যালজেবরা দিয়ে মানি-মাল্টিপ্লাইয়ার, স্পেন্ডিং-মাল্টিপ্লাইয়ার, আর কিছু এ্যাকাউন্টিং দিয়ে, সেন্ট্রাল ব্যাংকের এ্যাসেট-লায়াবিলিটি টি-এ্যাকাউন্ট এর নামে শিখলো। সে বোঝে না এ্যালজেবরা কিন্তু করে ক্যাল্কুলাস আর ব্যাখ্যা করে কার্ভেচার, সে আরও বোঝে নাই এ্যাকাউন্টিং – ব্যালান্স-শীটকে লেজার জেনে টি-এ্যাকাউন্ট হিসেবে বুঝে মানিটারী ম্যানেজমেন্ট শিখলো। এইখানে সে যে ম্যাথগুলো করলো এবং এ্যাকাউন্টিং শিখলো, এগুলো মূলত ক্লাস ৯-১০ এর, সেই অঙ্কগুলোই সে পড়লো অনার্স-মাষ্টার্সে; আমার প্রশ্ন হলো ৯-১০ এর জিনিস পড়ানোর জন্য আমাদের অনার্স-মাষ্টার্স কেনো?

আরেক বোন এফ.সি.পি.এস না-কি এম.পি.এইচ করতে গিয়ে আমার কাছে কিছু বই নিয়ে আসলো একবার, দেখলাম সেখানে মিন/মোড/ভ্যারিয়েন্স/ডেভিয়েশন/হায়পোথিসিস ইত্যাদি পড়াচ্ছে তাকে, এগুলোও ৯-১০ এর জিনিস, পড়ছে এসে এখানে; সে আসলে কিছু সিমটম দেখে এ্যাভারেজ ঔষধ এর নাম লেখা আর কিছু কাটাকাটি ছাড়া কিছুই জানে না! প্রত্যেকটা লোকের শরীরের অবস্থা, রেসিস্ট্যান্স পাওয়ার নিয়ে গবেষনা করে, ম্যাথম্যাটিক্সের মাধ্যমে কার কি ডোজ হবে তা না বুঝে, তারা এ্যাভারেজ ঔষধ দিয়ে যায় অহরহ - এরাই আমাদের দেশের ডাক্তার! তাই আমাদের ধনীরা কালচার এর জন্য ছুটে বিদেশে, কারণ এগুলার প্রেসক্রিপশনের ঔষধ খেয়ে মারা যাওয়াও লাগতে পারে!

আমি পড়তে আসলাম এক প্রফেশনাল জিনিস, সেখানে দেখলাম ফিন্যান্স, এ্যাকাউন্টিং, ষ্ট্যাটিসটিক্স, ইকোনোমিক্স এর ছড়াছড়ি; এ্যালজেবরা এবং ক্যাল্কুলাস সামান্য থাকলেও এবং সেগুলো দিয়ে হিসাব করতে অনেক সহজ হলেও, ওসব বাদ দিয়ে পাটি-গণিত দিয়ে শেখাচ্ছে আমাকে হিসাব-নিকাশ আর চোর ধরার পলিসি এবং এথিক্স! এখানে আমাকে পড়াচ্ছেঃ ডিসকাউন্টিং, কম্পাউন্ডিং, প্রেজেন্ট-ফিউচার ভ্যালু, এন.পি.ভি, এ.পি.ভি, আই.আর.আর, এম.আই.আর.আর, ইত্যাদী টাইপ অনেক কিছু; এগুলোর সব আমি পড়েছি ৬-৮ এই, সেখানে এসব করেছি এইসব নামেঃ সরল-সুদ (সিম্পল ইন্টারেষ্ট), চক্রবৃদ্ধি-সুদ (কম্পাউন্ড ইন্টারেষ্ট), সুদ এতো হলে সুদাসল কতো, আসল অতো হলে সুদ কতো, কতো জমা রাখলে কতোদিন পরে কতো হবে; এখানেও আমাকে পড়ালো ৬-৮ এর জিনিস, আমাকে ৯/১০ এর এ্যালজেব্রা-ক্যাল্কুলাস রিভিউও করতে দিলো না!

আমাকে আরও শেখালো ৩ পৃষ্ঠা ভরে কিভাবে যোগ বিয়োগ করে ব্রেক-ইভেন, শাটডাউন-পয়েন্ট, ম্যাক্সিমাম-প্রফিট-পয়েন্ট বের করতে হয়; অথচ এগুলো ক্লাস ৯ এ লোকাল-গ্লোবাল ম্যাক্সিমা-মিনিমা দিয়ে ২ লাইনে বের করে, কষ্ট আর রেভিন্যু ফাংশন দিয়ে ১ মিনিটে ১ লাইনে বের করে, লিনিয়ার এ্যালজেব্রা বা অপ্টিমাইজেশন প্রব্লেম দিয়ে সলিউশন করে কয়েক সেকেন্ডে! আরও বেশ কিছু বিষয়ও আমি দেখেছিলাম নিজের ইন্টারেষ্টেই, আসলে সময় পার করার জন্য এগুলো আমি পড়তে বাধ্যই হয়েছিলাম!

এইসব ৮-১০ এর শিক্ষার জন্য কলেজ-ইউনিভার্সিটি পড়তে হবে বলে আমাদের দেশের এক শ্রেণীর মানুষের হাহাকার দেখলে আমার হাসি পায়, অথচ ১১ ক্লাসে দেশের সমস্ত ডাটাবেইজ আমাদের কাছে হ্যান্ডওভার করলে আমরা সেগুলো নিয়ে গবেষনা করে ২৫ বছরের মধ্যে বিশ্বের অন্যতম বড় বড় নাপিত বের করতে পারতাম দেশ থেকে! এখানে আমাদের সেসব কখনো দিবে না, খালি মনে করি আর ধরি দিয়ে আজাইরা তথ্য দিয়ে সময় কেড়ে নিচ্ছে আমাদের কাছ থেকে আর ট্রেনিং দিচ্ছে আনুগত হয়ে গোলামীর! আর অন্যান্য বিষয়, যেমন ম্যানেজমেন্ট, এ্যান্থ্রপোলোজি-হেরিটেজ, হিষ্টোরী, এসবতো চায়ের দোকানে আড্ডা দিতে গেলেও শেখা যায় অথবা আশ-পাশ দেখেই বোঝা যায়, পড়ানোর কি দরকার?

এসব দেখে তাই আমার মনে হয়েছে, আসলে আমাদেরকে প্রকৃত শিক্ষায় শিক্ষিত করার জন্য এসব কোন ব্যবস্থা না, ৯-৫ টা অফিসে বন্দী থেকে যাতে আমাদের কাজ করতে অসুবিধা না হয়, তাই আমাদের বেধে রাখার এক পলিসি এসব, আর সেখানে শিক্ষককে স্যার স্যার করে ট্রেনিং নেয়া যে, কিভাবে অফিসে এসে বসদের স্যার স্যার করে ফেনা তুলে ফেলতে হবে মুখে! আর অফিসের কাজ? ওইগুলার সবতো মূর্খও পারে ৩ মাসের ট্রেনিং দিলে ...

কিছুদিন আগে ডাচ-বাংলা ব্যাংক বেশ কিছু লোক ছাটাই করে বক্তব্য দিয়েছিলো এসব স্নাতক-ডিগ্রীধারীরা পিয়নের সমতূল্য, বাস্তব সত্য আসলেই তাই! তারা জানে না রিজার্ভ-রেশিও কি, এস.এল.আর, সি.আর.আর কি, লোন ক্লাসিফিকেশন কি, প্রোভিশনিং কি, রিশিডিউলিং কি, রেপো-রিভার্স রেপো-বন্ড-বিল কি, তারা তো পিয়নের মতো ঘুরে ঘুরে লোনের টার্গেটই ফুলফিল করবেঃ কিন্তু ঐখানেই যে সব লাভ তা কিন্তু ডাচ-বাংলা বলে নাই! এভাবেই আমাদের শিক্ষা-ব্যবস্থা, গোলাম তৈরী করে; তাদের মধ্যে ভাব তৈরী করে, যেন না জানি কি শিখে গেছে মাষ্টার-ডিগ্রী করে; আর কর্মক্ষেত্রে গেলে এভাবে সেই অজ্ঞদের পচিয়ে, অপমান করে, কম বেতনে তাদেরকে বলদের মতো খাটানোর রস্তা করে এরাই, এটাই মনে হয় সি.এস.আর এদের!

আমি মনে করি এই শিক্ষা-ব্যবস্থা পুরাপুরি বন্ধ করে দেয়া উচিৎ! ১-১০ এর মধ্যে ম্যাথ আর ধর্মের যা আছে, সবার জন্য বাধ্যতামূলক করে, সব শেষ করে দিয়ে; ১১ ক্লাস থেকে থেকে একদম রিয়েল এ্যানালাইসিস এ পাঠিয়ে দেয়া উচিৎ সব ছাত্রকে, আর বাধ্যতামূলকভাবে দেশের এবং সবার সমস্ত তথ্য ছাত্রদের দিতে হবে, ঐ শেখা ম্যাথ দিয়ে সব কিছু কিভাবে কি করতে হয় – তা জানতে! ডাক্তারদের করা কিছু ক্যাল্কুলাস দেখেছিলাম কিভাবে ভেলোসিটি বাড়িয়ে ব্লক ছাড়াতে হয় তার অঙ্ক – খুব সুন্দর! আর পাশাপাশি একাডেমীগুলো এসব শিক্ষা বাদ দিয়ে সরাসরি গবেষনায় চলে যাওয়া উচিৎ; নাট-বোল্ট টাইট দেয়া ইঞ্জিনিয়ারও আমাদের দরকার নাই!

বিষয়: বিবিধ

১৯৫২ বার পঠিত, ২৩ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

273273
১১ অক্টোবর ২০১৪ রাত ১১:৫৪
কাজী লোকমান হোসেন লিখেছেন : ভাই আর কিছু বলার আছে ???????


ধন্যবাদ
১২ অক্টোবর ২০১৪ রাত ১২:২৯
217349
বুড়া মিয়া লিখেছেন : একদম পারফেক্ট হয়েছে, আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থা নিয়ে আপনার সচিত্র প্রতিবেদন ...
১২ অক্টোবর ২০১৪ রাত ০২:১৫
217364
বৃত্তের বাইরে লিখেছেন : ভাই এমন বাস্তব চিত্র কোথায় পেলেন? ধন্যবাদ আপনাকে।
273312
১২ অক্টোবর ২০১৪ রাত ০২:১৫
বৃত্তের বাইরে লিখেছেন : বানরের বাঁশ বেয়ে উঠা, চৌবাচ্চার তলায় ফুটা কেন এসব অংক পরবর্তী জীবনে কাজে লাগে কিনা জানিনা তবে আমাদের দেশের সার্টিফিকেটের মূল্য যে বাইরের দেশে নেই তা যারা আসে বুঝতে পারে। ভাল লাগল আপনার বিশ্লেষণ।
১২ অক্টোবর ২০১৪ সকাল ০৫:২৫
217392
বুড়া মিয়া লিখেছেন : নাহ আপু, ঐগুলা ওদের ঐখানেও আছে তবে আমাদের মতো পাটিগণিত দিয়া বলদের মতো ওরা করে না; তিন-বাচ্চা/চৌবাচ্চা নিয়া ট্রাইগোনোমেট্রিক ফাংশন দিয়া অনেক সুন্দর সুন্দর সল্যুউশন করে ওরাও – এগুলা কাজে লাগে এ্যাপ্লাইড-ম্যাথ এ দেখা যায় এগুলার ব্যবহার।

কিছু কিছুর মূল্য আছে, যেমন আমরা যেগুলো পড়েছি, সেটা ইংল্যান্ডের; তিন মাস পইড়া ইংল্যান্ডে একটা সার্টিফিকেট নিলে ঐখানেরও প্রাক্টিশনার আমরা হতে পারি, বইও আমদানী হয় আমাদের ইংল্যান্ড থেকেই; অন্যান্য কিছু দেশের বইও দেখেছিলাম - একই ধাচের; আমার মনে হয় সব দেশেই রাজনীতিবিদরা এভাবে বলদ বানিয়ে রাখে পোলাপানদের, আর মাতবরী করার জন্য ওদের নিজস্ব কিছু লোক ওরা বানিয়ে নেয়, কিন্তু আমাদের এখানে মাতবরীর জন্য কাউকে বানানো হয় না – এটাই পার্থক্য ওদের সাথে আমাদের! আমাদের মাতবরও ওরাই ...

তবে এটা না করে আমাদের নিজস্ব সিষ্টেম থাকা উচিৎ; সব দেশেরগুলা দেখে নতুন একটা সিষ্টেম বানিয়ে ফেলা উচিৎ আমাদের।
273319
১২ অক্টোবর ২০১৪ রাত ০৩:২৭
ভিশু লিখেছেন : আপ্নার সাথে অনেকটা একমত। উচ্চ-মাধ্যমিকের কিছু জিনিস কনসলিডেট করে টেন-গ্রেড পর্যন্ত করে তারপর স্পেশিয়ালাইজড লার্নিং শুরু হলেই ভালো হয়। তবে ডাক্তারদের নিয়ে বলা আপনার অনেক কথাই আমি মানি নাহ... Shame On You Angel
১২ অক্টোবর ২০১৪ সকাল ০৫:২৮
217393
বুড়া মিয়া লিখেছেন : ডাক্তার দেইখা ডাক্তারদের সাফাই গাইলে হবে না ভিশু ভাই; আমি অনেক ডাক্তার দেখেছি, সব আসলে বদ্ধ-পাগল! আর শুনেছি এরা নাকি বিদেশ গেলে কম্পাউন্ডারও হইতে দেয় না – ঘটনা কি সত্যি?

তবে মিডলইষ্ট আলাদা, ওইখানে আমাদের দেশের গুলা গিয়েই নাকি ভালো অবস্থানে থাকে, অন্য কিছু না পড়লেও।

বাদ বাকী মতামতের সাথে আমিও একমতঃ বেইজমেন্ট ঠিক ভাবে গড়ে দেয়া উচিৎ ছাত্র-ছাত্রীদের।
273335
১২ অক্টোবর ২০১৪ রাত ০৪:৪২
কাহাফ লিখেছেন :
বর্তমান সামাজিক বাস্তবতায় বিশ্লেষণধর্মী আপনার প্রতিটা বিষয়ে বাধ্য হয়েই একমত পোষণ করতে হয় শ্রদ্ধেয় ব্লগার বুড়া মিয়া ভাই।
বিদ্যমান সিস্টেমের আমুল পরিবর্তন না হলে অবস্হার উন্নতি হবে না কখনো ই।
সঠিক পরিবর্তনের ঝড়ো হাওয়া একান্ত প্রয়োজন এখন।
১২ অক্টোবর ২০১৪ সকাল ০৫:৩০
217394
বুড়া মিয়া লিখেছেন : অনেক ধন্যবাদ কাহাফ ভাইকে ...
273484
১২ অক্টোবর ২০১৪ দুপুর ০২:৫০
আফরা লিখেছেন : যা বলেছেন অনেক সুন্দর বলেছেন দাদু ভাইয়া আমি আপনার সাথে সম্পুর্ণ একমত ।
১২ অক্টোবর ২০১৪ সন্ধ্যা ০৬:৪৬
217570
বুড়া মিয়া লিখেছেন : ধন্যবাদ আফরামণিকে অনেক ...
273590
১২ অক্টোবর ২০১৪ সন্ধ্যা ০৭:১১
রিদওয়ান কবির সবুজ লিখেছেন : আপনি বিষয়টা অতি সরলি করন করে ফেলেছেন। তবে এটা ঠিক যে আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থাকে আরো অনেক বেশি টেকনিক্যাল ও প্র্যাকটিক্যাল করা প্রয়োজন।
এই বিষয়ে ভারতের শিক্ষা ব্যবস্থা নিয়ে অক্সফোর্ড এর অধ্যাপক তপন রা্য় চেীধুরির উক্তি " এই দেশের শিক্ষার ছাদ অনেক উঁচু কিন্তু মেঝে বলতে কিছু নাই" বাংলাদেশের জন্যও প্রযোজ্য বলে মনে করি।
১২ অক্টোবর ২০১৪ সন্ধ্যা ০৭:২৯
217592
বুড়া মিয়া লিখেছেন : হ্যা আসলেই তাই হয়ে গেছেঃ তবে ম্যাথ এর মধ্যে ইলেক্ট্রিক্যাল, মেকানিক্যাল, ফিজিক্স, কেমিষ্ট্রী, ইত্যাদীর ম্যাথগুলোও আসবে আর সেগুলোর সমাধানের জন্য খাতাকলম বাদ দিয়ে কম্পিউটিং ল্যাংগুয়েজ দিয়ে করতে হবে, আর বড় বড় ম্যাথ এর জন্য এস.কিউ.এল এর ব্যবহারও শিখতে হবে ...

অনেক ধন্যবাদ সবুজ ভাইকে
273644
১২ অক্টোবর ২০১৪ রাত ০৮:৩১
শেখের পোলা লিখেছেন : নাহিদ সাহেবের বিরত্বে বাধা দিতে চান৷ ওরা চায় একশত ভাগ শিক্ষিত৷ নোবেল টোবেলও জুটতে পারে৷
যাইহোক যুক্তি ঠিকই দিয়েছেন৷ ধন্যবাদ৷
১৩ অক্টোবর ২০১৪ রাত ১২:০১
217684
বুড়া মিয়া লিখেছেন : এইসব শিক্ষিতরে তো দেশে এবং বিদেশে সবাই গাধা গরু কয়, কিভাবে এই গাধা গরু বানাইয়া নাহিদরা বীরত্ব প্রকাশ করে, কোনভাবে মিলানো যাচ্ছে না!

অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
273711
১২ অক্টোবর ২০১৪ রাত ১১:২৬
গাজী সালাউদ্দিন লিখেছেন : দামী কথা।
ধন্যবাদ
১৩ অক্টোবর ২০১৪ রাত ১২:০১
217685
বুড়া মিয়া লিখেছেন : ধন্যবাদ আপনাকেও
273841
১৩ অক্টোবর ২০১৪ সকাল ১১:১৯
ফেরারী মন লিখেছেন : আপনার যুক্তিনির্ভর লেখার সাথে আমার দ্বিমত করার কিছু নেই। আমি চাই এর পরিবর্তন দরকার। এই জাতিকে রক্ষা করতে হলে অবশ্যই যুগোপযুগি শিক্ষার পাশপাশি নৈতিক শিক্ষা দিতে হবে।
১৪ অক্টোবর ২০১৪ রাত ০১:৫৩
218028
বুড়া মিয়া লিখেছেন : অনেক ধন্যবাদ ফেরারীকে মূল্যবান মতামত জানানোর জন্য
১০
274104
১৪ অক্টোবর ২০১৪ রাত ০২:৩৮
আবু সাইফ লিখেছেন : আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহ..


লক্ষ্যবিহীন স্রোতের টানে-
এগিয়ে চলে ধ্বংসপানে
অগ্গগতির নাও.....
১৪ অক্টোবর ২০১৪ রাত ০৩:৫৭
218042
বুড়া মিয়া লিখেছেন : নিজেরাও ধ্বংস হইলাম! পরবর্তীগুলারে আরও ধ্বংসের দিকে ঠেলে দেয়া হচ্ছে! সাধারণের জীবনটাই যেন দিন দিন গোলামের হয়ে যাচ্ছেঃ জীবন, ব্যক্তিস্বাধীনতা, উদ্ভাবনী চিন্তা কিছুই যেন আমাদের আর দরকার নাই!
১১
274514
১৫ অক্টোবর ২০১৪ রাত ০৪:০৩
সাদিয়া মুকিম লিখেছেন : বাস্তবতার নিরীখে বিশ্লেষনটি সত্যি যুক্তিসংগত মনে করছি! কিন্তু যাদের এই লিখাটা পড়া দরকার তারাতো পর্দার আড়ালে...

শুকরিয়া ভাই! আপনার এই লিখাগুলো আসলেই ভালো লাগে বরাবর Good Luck
১৫ অক্টোবর ২০১৪ সকাল ০৫:৩৬
218465
বুড়া মিয়া লিখেছেন : সমস্যাগুলো আমাদের নিজেদের, জাতি মানে আমরাই এবং আমাদের সবার পরিবারের সমষ্টি; নিজেরা এগুলো আলোচনায় না আনলে সমাধানের চেষ্টা আসবে না। আবার কেউ শুনবে না বিধায় না বললে দায় থেকে অব্যহতিও মিলবে না মনে হয়।

আমার জানা থেকে আমি বলে গেলাম যাদের শোনার তারা যদি না শোনে তবে একটা গ্যাপ তৈরী হবে এখন, কিন্তু এই গ্যাপ একসময় না একসময় মিলিয়েই যাবে যে করেই হোক ...

আপনার ভালো লাগার জন্য অন্য ধন্যবাদ ...

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File