ভোগ্য-পণ্যের মতো যাদের আচরণ, তারা ভোগের-ই বস্তু!

লিখেছেন লিখেছেন বুড়া মিয়া ০১ অক্টোবর, ২০১৪, ০৫:৫৬:৪৫ বিকাল

এই যে আরেকজন নারী নারীদের অগ্রযাত্রায়া বাধা হয়ে দাড়াচ্ছে, এ নিয়ে কেউ আসলে কিছুই বলে না ভালোভাবে কিন্তু, কিভাবে তারা নারীদের অগ্রযাত্রায় বাধা হয়ে দাঁড়ায়, তা বুঝতে খুব একটা অসুবিধা হয় না কারোই! এই মহিলার দৃষ্টিতে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক চালিকা শক্তি এই নারীরাই – আমার দৃষ্টিতেও অবশ্যই তাই, তবে দেশের অর্থনীতি নয়, কতিপয় ব্যক্তিবর্গের অর্থনীতির চালিকাশক্তি এই নারীরা!

দেশের কর্পোরেট-হাউসগুলোর নারীদের ব্যাপারে আমার কিছু অভিজ্ঞতা রয়েছে এবং নির্দ্বিধায় আমি তাদের ৭০% কে বেশ্যা বলতেও দ্বিধাবোধ করি না, যারা বস এর মুখ বেজাড় দেখলে ওড়না মাথায় তুলে, স্তনযুগল টেবিলে আছড়ে ফেলে জিজ্ঞেস করেঃ স্যার মন খারাপ? আর ছুটির পর ঘরের কোনে দূরে থাক, ড্রাইভার-ওয়ালা গাড়ীর পেছনের সীটেই বসের মনোরঞ্জনের বস্তু হয়ে উপস্থিত হতে কুন্ঠাবোধ করে না! আর এদের শরীর প্রদর্শনীর জ্বালায় জ্বলে-পুড়ে আজকাল অনেক বসরাই অফিসেই একটা বেড রুমও বানিয়ে নিয়েছে! যাই হোক এরা তো গেলো সাজগোজ করা এক শ্রেণীর যৌন-দাসী এবং সংখ্যায় এরা এখনও অনেক হতে পারে নি, সবচাইতে বেশি যেখানে নারীরা রয়েছে, সেটা গার্মেন্টস-টেক্সটাইল।

এ সেক্টরে দেশে সর্বোচ্চ ৭-৮ হাজার প্রতিষ্ঠান রয়েছে, এসব প্রতিষ্ঠানের মালিকদের সংখ্যা খুব বেশি হলে ২০-২৫ হাজার হবে, আর এখানে কর্মীর সংখ্যা প্রায় ৫০ লাখ। এই কর্মীদের মধ্যে ৮০-৯০ ভাগই নারী এবং এদের অনেকেও আবার পালায় পালায় দেশী-বিদেশী মালিক ও অন্যান্য কর্মকর্তা/কর্মচারীদের ভোগের বস্তু হিসেবে দিনে ও রাতে ব্যবহৃত হয়, সে ব্যাপারেও কাছের অনেক বন্ধুদের কাছ থেকেও ভালোভাবেই জেনেছি! যেহেতু এসব নারীরা স্বেচ্ছায় এবং উৎফুল্ল হয়েই এসব করে, এবং ফেরানোর কথা বললে আইনগতভাবে নারী অধিকারে হস্তক্ষেপ হয়ঃ তাই সামান্য একটা গালি বা ‘বেশ্যা’ বলা ছাড়া এদেরকে বাধা প্রদানের ইচ্ছাও আমি পোষন করি না! তবে এখানে নারী এবং অন্যান্য কর্মীদের প্রতি যে অর্থনৈতিক ও সামাজিক বৈষম্য করে সামান্য কিছু ব্যক্তি বিশেষের অর্থনীতি চাঙ্গা হয়, যা তারা দেশের অর্থনৈতিক উন্নতি বলে চালিয়ে দিতে চায়, সে ব্যাপারে আমার দৃষ্টিভঙ্গী বলে একটু হালকা হওয়া যাবে মনে হয়।

প্রথমেই আমার ধারণায় বলবো, কিভাবে এদেরকে গার্মেন্টসে নিয়ে আসা হলোঃ এই নারীদের সবাই নিম্নবিত্ত গ্রামীন ঘরের মেয়ে অথবা ইতোপূর্বে অর্থনৈতিক বৈষম্যের মাধ্যমে গ্রাম থেকে বিতাড়িত কোন পরিবারের মেয়ে। এদের শিক্ষা, স্বাস্থ্য, অধিকার কোন বিষয়েই এসব নারীবাদী বা কারোই কোন দুশ্চিন্তা কখোনোই ছিলো না এবং আজও নেই। তবে চিন্তা একটাই যেন কোনভাবেই এদের বিয়ে না হতে পারে ঐ বয়সে!

গ্রামের ঐ বয়সের গরীব যে মেয়েগুলো রয়েছে, তাদের পরিবার তাদেরকে পালনে অর্থনৈতিক অসুবিধার কারণে এবং গ্রাম্য-রাজনীতিতে জড়িত অসাধু কিছু যুব/বয়স্ক সম্প্রদায়ের হাত থেকে রক্ষার্থে, মেয়ে সাবালিকা বা ১৪-১৫ বছর বয়স হলেই বিয়ে দিয়ে দিতো, এদেরকে বিয়ে দিয়ে দিলে এদের বেশিরভাগই স্বামীর সংসার করতো ও এখনও অনেকেই করে মন দিয়ে এবং তাদের মধ্যে শহুরে বেশ্যা-শ্রেণীর মেয়েদের মতো বিচ্ছেদের হার বেশীও নয়, অতি নগন্য। এরা স্বামীর ঘর যদি গৃহস্থের হয়, তবে পশু, মৎস্য এবং অন্যান্য কৃষিজ কাজে স্বামীকে সহায়তা করতঃ একটা পরিবারের অর্থনৈতিক ভিত্তি মজবুত করে এবং মোটামুটি ভালোভাবেই খেয়ে-দেয়ে দিনাতিপাত করে এবং আগেও করতো।

যেহেতু রাষ্ট্রীয়ভাবে জোড় করে এদেরকে বিয়ে থেকে বিরত করছে, এতে করে একটা সুখী-সমৃদ্ধ পরিবার গড়ে ওঠাও বন্ধ হচ্ছে। এটা বন্ধ করে রাখার জন্য ঐ বয়সের ছেলেদেরকে বৃত্তি (শুধু শুধু টাকা প্রদান) না দিলেও, ঐ বয়সের মেয়েদেরকে আরও কিছুদিন স্বপ্ন দেখিয়ে, লোভের দিকে পরচালিত করতে নারী-বৃত্তি কার্য্যক্রম রয়েছে সরকারীভাবে একটা নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত, যাতে সে কোমলমতী মেয়েরাও দিবা-স্বপ্নে-বিভোর হয়ে বিয়েতে বাবা-মা এর বিরোধীতা করতে পারে। এ বৃত্তি যখন বন্ধ হয়ে যায়, তখন চোখে সর্ষের ফুল দেখে বাবা-মায়ের সাথে এই মেয়েগুলোও, কিন্তু ঐ বয়সেই স্কুলে শিখেছে – নারী তুমি পিছিয়ে থেকো না, স্বাবলম্বী হতে শেখো! আর স্বাবলম্বী হওয়ার জন্য একমাত্র ক্ষেত্র হিসেবে খুজে পায় তার কর্মস্থলঃ শহরের বা শহরতলীর এসব গার্মেন্টস টেক্সটাইল, আর এখানে মজুরী সর্বোচ্চ ৫,০০০/- টাকা! অথচ ১৪/১৫ বছর বয়সে বিয়ে দিলে ১৬-১৮ বছর বয়সের মধ্যে এই নারীরাই এর চাইতে বেশি উপার্জনে সক্ষম হতো গ্রামেই এবং সেই সাথে পরিবার-পরিজন এবং তার কোলের সন্তানকেও সময় দিতে পারতো অফুরন্ত।

শহরে গার্মেন্টসে এসে চেহারা-সুরত একটু ভালো হলে চাইনীজ-জাপানীজ-কোরীয়ান মালিকদের মনোরঞ্জনের বস্তু হয়ে যায় এবং তখন আর সেসব নারীদের শিক্ষা ও স্বাস্থ্যর ব্যাপারেও কারো আর কোন মাথা-ব্যাথা থাকে না! এমনকি পরিবার বা কোলের সন্তানকেও সময় না দিতে পারার জন্য এসব মেয়েকে শিশু নির্যাতনের জন্য তারা অভিযুক্তও করে না বরঞ্চ, তাদের সচিত্র প্রদর্শনী দিয়ে প্রচার করা হয় – আজ আমাদের নারীরা স্বাবলম্বী! ৫,০০০ হাজার টাকায় এরা থাকে বস্তিতে, খেতে পারে না দুই বেলা ভালো মন্দ, কাজ করে ১০-১২ ঘন্টা আর, কোলের শিশুকে করে মায়ের-আদর বঞ্চিত এবং এদের অনেকেই আরেকটু ভালো থাকার আশায় ওভারটাইমও করে কর্মস্থলে – অথচ গ্রামে থাকলে এরাই নিজের খোয়াড় থেকে সপ্তাহে ৩ দিন মুরগী জবাই করে খেতে পারতো, ১ লিটার দুধ খেতে পারতো গরু/ছাগলের আর ছোট একটা ভাগাড় বানিয়ে নিলে কিছু মাছও পেতো খেতে ফ্রী-তেই! এটা ওরা করবে কেনো? এটা ওরা করলে ৫০-৮০ টাকায় ক্রীম-লেস দুধ বেচবে কে, তবে? ৪০ টাকার গোশ্ত ৩০০ টাকায় কে বেচতে বসবে?

এছাড়াও এই নারীরা যদি গার্মেন্টস-টেক্সটাইলে না এসে গার্হস্থ্য-অর্থনীতিতে থাকতো, তবে দেশের ছেলেদের আনেমপ্লয়মেন্ট-রেইট এতো বাড়তো না এবং তাদের মজুরীও কমতো না! তাদের যদি মজুরী না কমানো যায়, তবে কম সময়ে বেশি লাভ কিভাবে অর্জন হবে একটা শ্রেণীর? তাই এখানে ছেলেদের পাশাপাশি মেয়েদেরকেও এভাবে স্বপ্ন দেখিয়ে এবং বাধ্য করে গ্রাম থেকে তাড়িয়ে এনে লেবার-সাপ্লাই দ্বিগুন করে, যাতে অর্ধেক মজুরী দিয়েই এদের পুরো টিম খাটানো যায় সহাস্যে উৎফুল্ল চিত্তে। দ্বিগুন প্রোডাকশন হয় দ্বিগুন শ্রমিক দিয়ে, অর্ধেক দামে! এর আগের এক পোষ্টে এদের একটা আনুমানিক হিসেব দিয়েছিলাম অনেকটা এভাবেঃ

এই সেক্টরে টোটাল রেভিন্যু আনুমানিক ১ লাখ ৩০ হাজার কোটি টাকা, বাজার পুরোপুরি ইউরোপ-এ্যামেরিকা এবং এর নেট লাভ যদি লেবার পেমেন্ট এর পূর্বে ২৫% হয়, তবে লাভের পরিমাণ সাড়ে ৩২ হাজার কোটি টাকা। এই লাভ ঐ ৭-৮ হাজার প্রতিষ্ঠানের ২০-২৫ হাজার মালিকদের মধ্যে বিভিন্ন রেশিওতে বন্টন হয় এবং এ থেকে নারীবাদিদের, সংবাদকর্মী-পত্রিকা-মিডিয়াদের এবং রাজনীতিবিদদের জন্যও কিছু ব্যয় করতে হয় এ ব্যবস্থা রাষ্ট্রীয়ভাবে টিকিয়ে রাখতে। এবার ৫০ লাখ কর্মীর সবাইকে গড়ে যদি ৫,০০০/- টাকা করে বেতন দেয়া হয়, তবে এদের মোট মজুরী ২.৫ হাজার কোটি টাকা – যা দিয়ে তারা যাপন করে বস্তির জীবন, শহরে জীবন-যাপনে টাকার অভাবে এদের স্বামীরাও এদের পোষে না, ক্ষনে ক্ষনে বদলে বদলে শুধু জৈবিক চাহিদা মেটায়; আর এদেরও অনেকে জৈবিক চাহিদায় উন্মাদ হয়ে এবং আরও কিছু টাকার লোভে গার্মেন্টস এর পাশাপাশি পেশাদারী পতিতাবৃত্তিকেও গ্রহণ করে নেয়! যাই হোক, এদের জীবন হয়তো এভাবেই যাবে, আর এদের মজুরীর পরে বাকী ৩০ হাজার কোটি টাকা অন্যান্য সুবিধাভোগী অনেকেই ভাগযোগ করে ইম্পোর্ট করে দেশে বসে কিছু খাবে আর বাকীটা দেশের বাইরে পাচার করে চলবে!

এখন এই নারীবাদীরা বিবাহের ১৬ বছরের এই বয়সকে কেন বাধা দিচ্ছে? কারণ, এই মুহুর্তে যদি গ্রামে ১৫/১৬ বছর বয়সে বিয়ে দেয়া শুরু হয়, মেয়েগুলো এই অমানবিক গার্মেন্টস জীবনে আসার সুযোগ পবে না, তারা সংসার করবে, স্বামী-পরিবার, ছেলে-মেয়েকে সময় দিবে, নিজের পরিবারের অর্থনৈতিক ভিত্তি মজবুত করবে গার্হস্থ্য-অর্থনীতিতে নিযুক্ত থেকে; আর এটা হলে তো গার্মেন্টস-টেক্সটাইল এর লেবার সাপ্লাই অর্ধেক এ নেমে আসবে এবং মজুরী দ্বিগুন বা তার চাইতেও একটু বেশি হবে, এটা হতে দিলে তো নারীবাদি বা এই বয়সে বিবাহের বিরোধীদের ভাগের অর্থ অনেক কম হয়ে যাবে, তাই সর্বশক্তি দিয়েই একে প্রতিহত করতেই হবে – কম সময়ে বেশি লাভ আর সেটা পাচার করতে!

এর আগের এক পোষ্টে দেখিয়েছিলাম, বিশ্বের বেশিরভাগ দেশেই ১৬ বছরেই যৌনকর্ম শুরু হয় এবং এটা উন্নত দেশগুলোয়ও! কিন্তু আমাদের দেশে করলে না-কি, তাদের দৃষ্টিতে এর ফলেঃ সামাজিক, মানসিক এবং শারীরিক সমস্যা হয়ে যাবে আর নারীদের অগ্রযাত্রা রোধ হয়ে যাবে!

এসব ভন্ডদের দাবী আসলে নারীদের অগ্রযাত্রা বা শান্তি ও স্বস্তি নয়, বরং এদের দাবী এদেরকে কম মূল্যে পণ্য হিসেবে অমানুষের মতো ব্যবহার করা! এদের গর্ভের সন্তানদেরকে মাতৃস্নেহ থেকে বঞ্চিত করা এবং পারিবারিক বন্ধন হালকা করে দেয়া; কেননা গার্মেন্টস এর অমানবিক পরিবেশে কাজ করা নিয়ে তাদের কোন মাথাব্যাথা নেই, অমানবিক মজুরী নিয়ে তাদের কোন চিন্তা নেই, বস্তির জীবন-যাপন ও এদের পতিতাবৃত্তি নিয়ে কোন আওয়াজ নেই, ১৪ বছরের মেয়েকে ১৮ বছর বানিয়ে গার্মেন্টস এ কর্মী হিসেবে ব্যবহার করতেও দ্বিধাবোধ নেই, শিশু মাতৃস্নেহ বঞ্চিত হলে কোন চিল্লাচিল্লি নেই, এমনকি সংসার ভেঙ্গে খানখান হলেও কোন দৃষ্টিপাত নেই। তাদের মাথাব্যাথা একটা কারণেই – ১৫/১৬ থেকে সংসার আরম্ভ করলে টেক্সটাইল-গার্মেন্টসে আমাদের দাসী কে হবে? এদেরকে বের করে আনতে না পারলে যে লেবার কষ্ট বেড়ে গিয়ে আমাদের লাভের জোয়াড়ে ভাটা পড়বে - এ চিন্তায়!

আর সব শেষ বলবো, যারা ভোগে ব্যবহার হওয়ার জন্য উদগ্রীব হয়ে স্তন-যুগল, নিতম্ব, রান এবং পারলে পুরো শরীরই প্রদর্শনী দেয়, তাদের আমরা ভোগের বস্তু মনে করবো না? উন্মাদ ছাড়া এমনটা কেউ মনে না করে থাকতেই পারে না! অবশ্যই সেই শ্রেণীর মেয়েরা ভোগের বস্তু এবং এক শ্রেণীর পুরুষ তাদের ভোগ করলেই, তারা আনন্দবোধ করে এবং ভোগ্য-পণ্য হিসেবে ব্যবহৃত হওয়ার জন্য পুরুষদের আকৃষ্ট করার লক্ষ্যেই তারা শরীর প্রদর্শনী দেয়!

বিষয়: বিবিধ

১৬৯৬ বার পঠিত, ৬ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

270598
০১ অক্টোবর ২০১৪ রাত ০৯:০৫
আহ জীবন লিখেছেন : স্যালুট নিন।
০১ অক্টোবর ২০১৪ রাত ১০:২৫
214558
বুড়া মিয়া লিখেছেন :
270610
০১ অক্টোবর ২০১৪ রাত ০৯:২৮
রিদওয়ান কবির সবুজ লিখেছেন : কর্পোরেট জগতের তথাকথিত উচ্চশিক্ষিত নারিদের সম্পর্কে আমার প্রত্যক্ষ অভিজ্ঞতায় আপনার সাথে একমত। তবে নিচের দিকে যারা কাজ করে তাদের সম্পর্কে আমি বলব তারা সাধারনত অনিচ্ছায় অনৈতিক কাজে জড়িয়ে পড়ে। এখন এক শ্রেনির পুরুষ ও আছে যারা স্ত্রি বা কন্যার এই পরিশ্রম এর আয় নেশার পিছনে উড়িয়ে দেয়।
০১ অক্টোবর ২০১৪ রাত ১০:২৯
214560
বুড়া মিয়া লিখেছেন : যে ছেলেগুলো নেশায় বুদ হয়ে আছে, তাদের অনেকেরই যোগ্যতা থাকা সত্ত্বেও কর্মসংস্থান নেইঃ তাদের জায়গা নারীরা দখল করে নিয়েছে; এতে করে এক দিকে ঐ নারীর সন্তানরা মা/বাবা হিসেবে বাসায় পায় কাজের বুয়া বা কাজের ছেলে ছেলে – আর নিজের মা গিয়ে কাজ করে আরেকজনের বাড়ীতে (অফিসে) কেনা-বেচা করতে (প্রয়োজন না থাকলেও)!

দেশের শিশু-সন্তানদের কথা চিন্তা করে এবং সুন্দর পারিবারিক বন্ধনের জন্য নারীদেরকে গার্হস্থ্য-অর্থনীতিতে ঠেলে দিলে একটা ছেলেও বেকার থাকবে না দেশে – তা নিশ্চিত!
270696
০২ অক্টোবর ২০১৪ রাত ০৪:০৯
কাহাফ লিখেছেন :
প্রথমেই অনুসন্ধানী সুন্দর একটি পোস্টের জন্য অনেক ধন্যবাদ ও শুভেচ্ছা জানাচ্ছি।
কর্পোরেট জগতের বর্ণিত অন্ধকার বিষয়গুলোর সাথে একমত পোষণ করছি।নারীদের অনৈতিক অবস্হান দু'একটা ব্যতিক্রম ছাড়া তাদের স্বীয় স্বার্থের কারণেই,স্বীকার না করলেও এটাই বাস্তবতা।
০২ অক্টোবর ২০১৪ সকাল ০৭:২৬
214671
বুড়া মিয়া লিখেছেন : ধন্যবাদ কাহাফ ভাইকে ...

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File