৫০ হাজার কোটি টাকা, লতিফ কাক্কু! কেমনে কি?
লিখেছেন লিখেছেন বুড়া মিয়া ৩০ সেপ্টেম্বর, ২০১৪, ০৭:৫৪:৩৭ সকাল
আমাদের মন্ত্রী সৌদিতে ৫০০ কোটি টাকা খরচ নিয়ে চিন্তায় পড়ে গেছে! যেহেতু উনি অর্থ-সংক্রান্ত বিষয়ে চিন্তা করছে, তাই আমি তার চিন্তাকে বর্ধিত করে ৫০ হাজার কোটিতে নিয়ে যাবার জন্য আরও কিছু চিন্তা ভাবনা যোগ করতে চাচ্ছিলাম। সৌদীর হজ্জ্ব এর প্রেক্ষাপট যেমন তাকে ৫০০ কোটির চিন্তায় ফেলেছে, তেমনি ইউরোপ-আমেরিকার দর্জি-সার্ভিস আমাকে ৫০ হাজার কোটি টাকার চিন্তায় নিয়ে এসেছে, অনেকটা এভাবেঃ
বাংলাদেশ ব্যাংকের হিসাবে দেখা যায় ১৯৮৭-৮৮ অর্থবছরেই সৌদি থেকে দেশে রেমিট্যান্স এসেছে ৭০০ কোটি টাকার উপরে, আর সর্বশেষ ২০১২-১৩ সালে এসেছে ৩০ হাজার কোটি টাকার উপরে! এক নজরে এমন দেখা যায় এই সময়-কালের হিসাবঃ
বর্তমানে ধরে নিলাম ২৬-২৭ লাখ লোক সৌদিতে খেটে এই টাকা দেশে পাঠায়, এরা দেশের কোন রিসোর্স তো ব্যবহার করেই না, উল্টো দেশ ছেড়ে গিয়ে রিসোর্স ভালো কোন কাজে ফ্রী করে দিচ্ছে।
সৌদীর পাঠানো টাকার পরিমানের সাথে যদি দেশের সবচাইতে বড় প্রোডাকশন সেক্টর – গার্মেন্টস-টেক্সটাইল দেখতে যাই, তবে দেখা যায়ঃ এখানে দেশের জায়গা জমি থেকে শুরু করে সব রিসোর্সই ব্যবহার করা হয় এবং এখানে ৫০ লাখেরও বেশী লোক কাজ করে। এই ৫০ লাখ লোক, হাজার হাজার হেক্টর জমি এবং অন্য সব রিসোর্স কাজে লাগিয়ে এখান থেকে আনুমানিক ১ লাখ ৩০ হাজার কোটি টাকা রেভিনিউ আসে, ক্যাপিটাল-মেশিনারী কষ্ট ছাড়াই এর বিপরীতে ৬০% এর মতো ইম্পোর্ট আছে, নেট প্রফিট রেভিন্যু এর ২৫% ধরলে দেশের লাভ হয় সাড়ে ৩২ হাজার কোটি টাকা।
সৌদিরা মাত্র ২৬-২৭ লাখ লোককে খাইয়ে, পড়িয়ে, থাকতে দিয়ে দেশে পাঠাতে দেয় ৩০ হাজার কোটি টাকা; আর গার্মেন্টস-টেক্সটাইল পুরা দেশ জুড়ে জ্যাম-লাগিয়ে, হাঙ্গামা করে, গ্যাস, বিদ্যুৎ, পানি, জমি, ইত্যাদি ব্যবহার করে, ৫০ লাখ লোক নিয়ে খাদ্য ইম্পোর্ট করে খেয়ে-হেগে ইনকাম করা হচ্ছে ৩২ হাজার কোটি টাকা!
কিভাবে কি? কার লাভ হচ্ছে? দেশের? নাকি পাচার করে যারা তাদের? ৫০ লাখ লোকের সব সৌদি বা অন্যান্য দেশে পাঠিয়ে দিলে তো নিশ্চিত আরও অন্তত ৬০ হাজার কোটি টাকা রেমিট্যান্স আসবে!
এছাড়াও গার্মেন্টস-টেক্সটাইল এর মালিকসহ কর্মী সকল ক্ষেতে চাষ দিতে আর গরু-ছাগল-হাস-মুরগী পালতে পাঠালেও মনে হয় দেশের ৩০ হাজার কোটি টাকার খাদ্য-ঘাটতি কমে ৫ হাজার কোটি তে নেমে আসবে; আর পাট, চা, চিংড়ী ইত্যাদির ২.৫ হাজার কোটি টাকার রফতানী-মার্কেট এর সাথে খাদ্য এবং অন্যান্য যোগ হয়ে উপরি হিসেবে আরও ২০-৩০ হাজার কোটি এর এক্সপোর্ট বাড়বে! এইখানে প্রায় ৫০ হাজার কোটি টাকার অপর্চুনিটি দেখা যাচ্ছে।
এখন গার্মেন্টস-টেক্সটাইল এর পিছে লাগা উচিৎ লতিফ-সাহেবের, অন্যান্য সবাইকে নিয়ে এক যোগে; কারণ ৫০ হাজার কোটির কাহিনী এখানে! আরও ক্রিটিক্যালী হিসাব করলে নেট বেনিফিট ১ লাখ কোটি ছাড়িয়ে নেয়া যাবে নিশ্চিত!
বিষয়: বিবিধ
১১৯৩ বার পঠিত, ৮ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
বেজইন্মা এসব কুলাংগাররা যুক্তি-বুদ্ধির কাছেই যাবে না কখনো। কুকুর বেশী ঘেউ ঘেউ করলে মুগর ছাড়া তাড়ানো যায় না,এদের কেও মুগর মারতে হবে এখনই।
টাংগাঈলের এক লোক বল্ল: এই শয়তানের বাপও বহুত খারাপ ছিল,এদের গোড়ায় দোষ।
এরা চায় দেশে শুধুই দুই শ্রেণীর লোক থাকবেঃ
১) ওদের মতো চামার ব্যবসায়ী ও রাজনীতিবিদ; এবং
২) ওদের গোলাম।
আর গুলা কেনো দেশ ছেড়ে যায় না বা আত্নহত্যা কেনো করে না, এদের নিয়ে ওরা চিন্তা করে আর সুযোগ পেলে নির্যাতন কিংবা হত্যাও করে।
ধন্যবাদ আপনাকে ...
নামে আজকে যা হচ্ছে তাকে রাষ্ট্র বিজ্ঞানের কোন
সংজ্ঞায় বৈধতা দেয়া সম্ভব নয়, কারণ
আমরা যে স্বাধীনতার কথা বলছি তা দুই পরিবারের
স্বাধীনতা, জাতীয় স্বাধীনতা নয়।
আর কতদিন অপেক্ষা করলে আমাদের স্বপ্ন
গুলো আলোর মুখ দেখবে তা নিয়ে চিন্তা ভাবনার
সময় কি হয়নি? আমাদের সবার স্বপ্নই কিন্তু
রাতারাতি ৭০ লাখ কামানোর স্বপ্ন নয়, এ স্বপ্ন
দুবেলা দুমুঠো আহারের স্বপ্ন, ছোট্ট একটা চাকরির
স্বপ্ন, মাথার উপর যেনতেন একটা ছাদের স্বপ্ন।
এগুলো কি খুবই বড় স্বপ্ন? রেলের বগিতে জন্ম
নেয়া কালো বিড়াল ধরার স্বপ্ন?
‘তুমি ভুল করবে, আমি ভুল করবো; সিষ্টেম কখনো ভুল করবে না’
দেশ পরিচালনার যে সিষ্টেম তা শুধু দেশ আর দশকে চুষে খাওয়ার সিষ্টেম, তাই তাদের লাভ অর্জনে কোন ভুল হয় না, কমও পড়ে না; আর এ সিষ্টেম সবাই মেনে নেয়ায় দেশ বা সমাজের কোন পরিবর্তন হচ্ছে না, সামগ্রিকভাবে বিশ্বের কাছে দাস হিসেবে নিকৃষ্টতর কাজে আমরা নিযুক্ত হচ্ছি, ঠিক যেমন ৩/৪ হাজার বছর ইহুদীরা ফারাও এর জন্য খালি ইট-ই বানাতো কাদা আর খড়কুটো নেড়ে!
মন্তব্য করতে লগইন করুন