সবগুলা ধইঞ্চা!
লিখেছেন লিখেছেন বুড়া মিয়া ২৭ সেপ্টেম্বর, ২০১৪, ১০:২০:৩০ রাত
আজকেও এই-রিপোর্টে বিভিন্ন শ্রেণী ও পেশার কিছু ধইঞ্চা বিজ্ঞানীরা বিভিন্ন সংস্থা ও কাল্পনিক উপাত্তের ভিত্তিতে মত প্রকাশ করেছে যে, বিয়ের বয়স কমালে সামাজিক সমস্যা বাড়বে! এদেরকে ধইঞ্চা বিজ্ঞানী বলার আমার যুক্তিসঙ্গত কারণ রয়েছে! যেমনঃ
এই ব্লগেই আমার জানামতে অনেক আপু রয়েছে যাদের বাল্য-বিবাহ হয়েছে, তাদের কোন শারীরিক সমস্যা হয় নি, তাদের সন্তানদের সমস্যাতো দূরের কথা তারা দেশ বিদেশে বিভিন্ন শিক্ষা ও সামাজিক কর্মকান্ডে ঈর্ষনীয় অবদান রেখে চলছে; এছাড়াও আমাদের ঠিক পূর্ব প্রজন্মের প্রায় ১০০%-ই বাল্য বিবাহের ফসল (সন্তান), এদের কোন সমস্যা হয়েছে বা এদের পিতা মাতদের? জীবনেও কেউ শোনেনি এমনটা – তাই শুরুতেই চোখ বন্ধ করে বলা যায়: ঐসকল চিকিৎসা বিজ্ঞানী ধইঞ্চা!
সামাজিক বিজ্ঞানীরাও বলেছে যে এতে করে সামাজিক সমস্যা সৃষ্টি করবে, কিন্তু আজকের এই ম্যাগাজিনে প্রকাশিত এই-সংবাদে দেখা যাচ্ছে, ১৫ বছরের এক মেয়ে বিয়ের জন্য কি করলো এগুলো? এই মেয়েটার যদি বিয়ে দিয়ে দেয়া হতো – প্রশাসন, সমাজের অন্যান্য লোক, ছেলে-মেয়ে, দু’টো পরিবার এদের নিয়ে এতো বড় কাহিনীর নাটক জন্ম দিতো না এবং সমাজের প্রোডাক্টিভ টাইম নষ্ট না হয়ে সেটা ভালো কাজে ব্যয় হতো; এছাড়াও মেয়েটার মতো এই কান্ড যদি ছেলেটা করতো, মানে মেয়ের বাড়ীতে অবস্থান-কর্মসূচী গ্রহণ করতো, তবে এই ছেলেকে বখাটে হিসেবে অভিহিত করে তার নামে নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে মামলার মাধ্যমে হামলা করে ছেলেটার এবং তার পরিবারের মানুষের জীবন দুর্বিষহ করে তোলা হতো, এতে করে সামাজিক দ্বন্দ্ব, হানাহানি, শত্রুতা বৃদ্ধির মাধ্যমে – সামাজিক মূল্যবোধের অবক্ষয় হতো। এচাহাড়াও চাহিদা-সম্পন্ন এই রকম ছেলে মেয়েদের বিয়ে না দেয়ার কারণে তারা ব্লু-ফিল্ম দেখে, নয়তো মনস্পটে কল্পনা করে, নয়তো পতিতালয়ে গমন করে অথবা সামাজিক বন্ধনে আবদ্ধ না হয়ে শারীরিক সম্পর্কের মাধ্যমে চাহিদা মেটানোর মাধ্যমে – সামাজিক আচরণের অবক্ষয়ের পাশাপশি দেহটাও অনেকাংশে নষ্ট করবে! যেহেতু চিকিৎসা ও সমাজ বিজ্ঞানীরা এগুলো অনুধাবন করতে অক্ষম – তাই আবারও নির্দ্বিধায় বলতে হবে – ঐসব চিকিৎসা বিজ্ঞানীদের সাথে সাথে এসব সমাজ বিজ্ঞানীগুলোও ধইঞ্চা!
উপরের প্যারার লিঙ্কের সংবাদে জানা গেছে, সেই মেয়ে বিয়ে না করতে রাজী হয়েছে এই শর্তে যে, তাকে মোবাইলে সম্পর্ক রাখতে দিতে হবে এবং প্রশাসন এবং সমাজের লোকজন এটা মেনে, মেয়েকে অবস্থান-কর্মসূচী থেকে উঠিয়ে নিয়েছে; এতে করে বোঝা যাচ্ছে তাদের মানসিক অবস্থা কোন পর্যায়ে নেমে গেছেঃ পড়ালেখা, কাজ-কর্ম এবং এরকম স্বাভাবিক সব কর্মকান্ড থেকে তাদের মন দৈহিক চাহিদা পূরণে কেন্দ্রীভূত হওয়ায়-ই মেয়েটা এমন আচরণ করলো – এটা মনোবিজ্ঞানীরা না বোঝার কারণে – উপরের দুই দল বিজ্ঞানীদের সাথে সাথে মনো-বিজ্ঞানীগুলোও ধইঞ্চা!
এগুলোই আমাদের সামাজিক চিত্র! এর মধ্যে খুব অল্প সংবাদই সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশ পায়! এসব ধইঞ্চা-রা দেশের মানুষকে ফালতু কথা-বার্তা দিয়ে উদ্বুদ্ধকরণের মাধ্যমে – সামাজিক মূল্যবোধ এবং জাতীয় উন্নয়ন এভাবেই বাধাগ্রস্ত করে! সামান্য দৈহিক চাহিদার জন্য কতো কিছু দেখতে পাই এই সংবাদের ঘটনায়ঃ
১) প্রশাসন ও সমাজ যৌন চাহিদায় বাধা সৃষ্টি করে ছেলে-মেয়েগুলোকে হস্তমৈথুনে ঠেলে দিলো, এর সহায়ক হিসেবে মোবাইলে বসে ব্লুফিল্ম দেখবে একটা পর্যায়ের পরে এবং এতে করে অবৈধ বহুগামীতা বেড়ে যাবে দুই জনেরই! এছাড়াও প্রশাসন ও সমাজ এই সময়ে ভালো কাজ করা বাদ দিয়ে ছেলে মেয়েদের খারাপের দিকে ঠেলে দেয়ার পাশাপাশি নিজেরাও ফালতু সময় ব্যয় করলো!
২) ছেলে আর মেয়ে গুলো মোবাইলে কথা বলে, সময় নষ্ট করবে পড়ালেখা বা কাজের, এতে করে তাদের শিক্ষাগত মান তো উন্নত হবেই না উপরন্তু, প্রেমালাপনের জন্য, ডায়লগ শিখতে গিয়ে আজে-বাজে হিন্দী সিনেমা দেখে নানা রকম বাণী দিবে একে অপরকে মোবাইলে এবং মোবাইল কোম্পানীগুলো একদিকে ব্যবসা করবে তাদের সামাজিক দৈন্যদশা নিয়ে এবং তাদের এসবের রেকর্ড রেখে দিবে – সময় সুযোগ মতো এরা এবং দেশের অন্যান্য সংস্থা রেকর্ডকৃত এসব ব্যবহার করে (ভবিষ্যতে যার ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে) – তাদেরকে ইচ্ছামতো অন্য কাজে বাধ্য করবে চরিত্র হননের ভয় দেখিয়ে! আর এই মোবাইলের পেছনে বিদ্যুৎ, টাকা, সময় ব্যয়ের মাধ্যমে জাতীয় ক্ষতি করে চলবে এরা শুধুই বৈধ যৌনতায় সুযোগ দিলো না বলে!
৩) দুইটা পরিবার এদের নিয়ে অন্যান্য চিন্তা করবে, যাতে করে অনেক পারিবারিক ও সামাজিক সমস্যা সৃষ্টি করবে; এগুলো কোন পক্ষ মানা না মানা নিয়ে আরেক সংঘাতময় পরিবেশের সৃষ্টি হবে! এসিড-মারামারি থেকে খুনাখুনি পর্যন্ত অনেক কিছুই হয় এগুলোর প্রতিফল হিসেবে!
সময় নিয়ে বললে, এমন অনেক কিছু বলা যায়, সত্য ও যুক্তিসঙ্গত তথ্য উপাত্ত দিয়ে এদেরকে আরও বেশী ভন্ড হিসেবে প্রমাণ করা যায় নানা ভাবে!
এগুলোই কি দেশের রাজনীতি? আইন বানিয়ে দিয়ে মানুষকে এমনভাবে বিশৃংখল করে রেখে এবং উশৃঙ্খলতা প্রতিহতের নামে হাউ-কাউ ও কাহিনী করে সর্বসাধারনকে সামাজিক শৃঙ্খলা থেকে জোর করে ধাক্কিয়ে বের করে – অকার্যকর মানুষ গড়ে তোলার মাধ্যমে, (রাজনীতিবিদদের) নিজেদের অযোগ্যতাকে তুলনামূলক যোগ্যতর হিসেবে প্রমাণের চেষ্টা করে – হীন উপায়ে ক্ষমতা আকড়ে ধরেঃ দুই পয়সা কামানোর জন্য রাজনীতি করতে কি লজ্জা করে না আমাদের রাজনীতিবিদদের?
বাল্য-বিবাহ বাধ্যতামূলক হিসেবে আইন চাই দেশে!
অথবা যেটা আছে সেটা উঠিয়ে দেয়া হোক এবং
যার মনে চায় বিয়ে করতে দেয়া হোক।
সেই সাথে দেশের পুরুষদের অযথা হয়রানীর মাধ্যমে বিলাই-শ্রেণীর-পুরুষ গড়া বন্ধ করার জন্য নারী ও শিশু নির্যাতন আইনের আশু বিলুপ্তি কামনা করি!
বিষয়: বিবিধ
১৪৮৮ বার পঠিত, ২০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
বাল্য-বিবাহ বাধ্যতামূলক হিসেবে আইন চাই দেশে!
অথবা যেটা আছে সেটা উঠিয়ে দেয়া হোক এবং
যার মনে চায় বিয়ে করতে দেয়া হোক
যথার্থ বলেছেন, সহমত
ধন্যবাদ, জাযাকাল্লাহ
তবে নারী ও শিশু নির্যাতন আইনের বিলুপ্তি না করে সংশোধণ করে নেয়া যেতে পারে। বিলুপ্তি হলে নারী নির্যাতন ব্যাপক হারে বেড়ে যাবে।
যদিও বাংলাদেশে আইনের প্রয়োগ খুব একটা চোখে পড়ে না,তবুও একটা আইন থাকা দরকার।
এই আইন শুধুই ঘরে ও বাইরে বিলাই-শ্রেণীর পুরুষ বানানো তে ভূমিকা রাখছে; অন্যান্য আইন আছে মারামারি নির্যাতনের, এটার কোন দরকার আছে বলে আমার মনে হয় না! এটার ৯৯% ব্যবহার শুধু হয়রানীর জন্য। একটা ঘটনা শেয়ার করিঃ
আমার এক বন্ধু বিয়ে করেছে, তার বউ তার কথা শুনে না, তার বাবা-মায়ের সাথে থাকে না, এ নিয়ে মনোমালিন্য; এতে করে ছেলে তালাক চেয়েছে মেয়েটা দেয় না! এর পর ছেলেটা ইংল্যান্ড যাওয়ার পর মেয়ে প্রকাশ্যে আরেকটা ছেলের বাসায় রাতের পর রাত কাটিয়েছে; ছেলেটা দেশে ফিরে তার সন্তানের মুখের দিকে তাকিয়ে এর পরেও মেয়েটাকে নিয়ে এসেছে বাসায়; এরপরেও সে মেয়েটা পরিবারের কোন দায়িত্ব না নিয়ে রাস্তায় শুধু শুধু ঘুরে বেড়ায় আর টাকা চায়; কোন প্রকার মারামারি না করেই, ছেলেটা সহ্য করতে না পেরে মেয়েটাকে তালাক দিয়েছে, আর সাথে সাথেই মেয়েটা ওর নামে এই আইনের আশ্রয় নিয়ে মামলা দিয়েছে – এখনো মামলা চলছে!
এরকম অনেক ঘটনা আমি নিজে প্রত্যক্ষ্য করেছি এবং এখনও করছি!
নারী ও শিশু নির্যাতন আইনের ট্রু বেনেফিশিয়ারী হল বাংলাদেশ মহিলা সমিতি, আইন ও সালিশ কেন্দ্র, বিএনডব্লিউএলএ টাইপ প্রতিষ্ঠান - যারা এর মাধ্যমে মিলিয়নস অব ডলার অনুদান পেয়েছে, নারী ও শিশুর নামে ঐ নারী ও শিশুর গার্ডিয়ানদের কাছ হতে চাঁদাবাজি করেছে।
এ আইনের দ্বিতীয় বেনেফিশিয়ারী হল পুলিশ ও আইনজীবিরা। তারা অনাহুদ স্বামী ও স্ত্রী উভয় পক্ষ হতে দেদারসে টাকা কামিয়েছে।
এই আইনের সব চেয়ে বেশী ভুক্তভোগী হল নারীরা - যারা তালাক পেয়েছে, কর্মহীন হয়েছে, মানুষিকভাবে অসুস্থ্য হয়েছে।
দ্বিতীয় ভুক্তভোগী শ্রেনী হল পুরুষরা - যারা কর্মউদ্যম হারিয়েছে, চরিত্রহীন হয়েছে, নারী বিদ্বেষী হয়েছে।
নিরপেক্ষ স্টাডিগুলোতে এ সকল উপাত্ত ও মতামত আসলেও বিদেশের ফান্ডিং করা স্টাডি গুলো হতে এ অংশসমূহ বাদ দিয়ে, কিংবা বিকৃত করে উপাত্ত উপস্থাপন করে মানুষকে ধোঁকা দিয়েছে - লক্ষ লক্ষ টাকা মিডিয়া পার্টনারদের পেছনে ব্যায় করে।
বেচারা আলেকজান্ডার এখন কি বলত তাই ভাবছি
তেমনি পরিবারও একটা সংস্থা, এখানেও ভালো মন্দ বিচারের দায়িত্ব একজনের রয়েছে, সেটা চালানোর জন্য একটু-আধটু মারামারি সারা বিশ্বেই হয়। এমন দুই-চারটা চড়-থাপ্পড় যদি কোন মেয়ে সহ্য না করতে পারে – তবে সরকারকে যেমন জনবিচ্ছিন্ন করা হয়, তেমনি স্বামী-স্ত্রীর বিচ্ছেদ করে দেয়াই শ্রেয়। কিন্তু তা না করে এই আইনের আশ্রয় নিয়ে পুরুষকে বিনা কারণে, এমনকি বউকে সামান্য ধমক দেয়ার কারণেও নির্যাতন করা হয়। এমন ক্ষেত্রে কি বিচ্ছেদ হয়ে যাওয়াটা শ্রেয় না – পারস্পারিক শত্রুতা না বাড়িয়ে?
তাই আমি ঐ আইনের বিলুপ্তি চেয়েছি, প্রয়োজনে বিচ্ছেদ হবে স্বামী-স্ত্রীর কিন্তু, নির্যাতন কর যাবে না এক পক্ষকে!
ধন্যবাদ
মূলতঃ আমরা জেনে এসেছি - সামাজিক অবক্ষয় তখনই হয় যখন আপনি ভুল লোককে বারবার আপনার শাসক বানালেন বা শাসক হিসাবে মেনে নিলেন, আর শাসক ভুল উপায়ে আপনাকে শাসন করার জন্য আইন প্রনয়ন করলো বা করতেই থাকলো, আর তারপর আইন প্রয়োগকারী সংস্থাসমূহ ভুলভাবে সে আইনের (ইনডিস্ক্রিমিনেটলী) ব্যবহার করলো - তখন সামগ্রিকভাবে সমাজে যে অসংগতি, অব্যবস্থাপনা, অন্যায়, অবিচার এর সিম্পটম প্রকাশমান হয় - তাকেই তো আমরা এককথায় বলি সামাজিক অবক্ষয়। তাই নয় কি?
সুতরাং সরকার যেটাকে বাল্য বিবাহ বলছে - মানে ১৮ বছরের নিচে কিংবা নতুন আলোচনা অনুযায়ী ১৬ বছরের নিচে - সেটা সঠিক নয়। বরং আমি আপনি আমাদের যেটা নিয়ে সরব হওয়া উচিত তা হল - ছেলে মেয়ে পিউবার্টি লেভেল এ পৌছা মাত্রই তাদের বিয়ের জন্য অপশান ওপেন রাখা উচিত। এর মানে এই নয় যে - অপশান ওপেন থাকা মানে সবাইকে তখন বিয়ে করতে বাধ্য করা। বরং তার মানে হল - কেউ যদি চায় বা কারো গার্ডিয়ান যদি চায় - লেট দ্যাম ডু দ্যাট। ওটাকে ক্রিমিনালাইজেশান করা মানে হবে - আপনি আইন করে সমাজে হাজারটা নারী পুরুষ রিলেটেড ক্রিমিনাল এক্টিভিটির পথ খুলে দিলেন - যা লিখক অলরেডি আলোচনা করেছেন ওনার লিখায়।
আসসালামু আলাইকুম।
মন্তব্য করতে লগইন করুন