বাল্য-বিবাহ নিয়ে আরও কিছু কথা
লিখেছেন লিখেছেন বুড়া মিয়া ১৯ সেপ্টেম্বর, ২০১৪, ০৫:৪২:১১ বিকাল
বাল্য বিবাহের বয়স নিয়ে দেখা যাচ্ছে ফেঃবুঃ তে পাষন্ডগুলো ভ্যাঃভুঃ শুরু করেছে চরমভাবে। জাতিকে কুচিন্তা থেকে দূরে সরিয়ে সুচিন্তায় প্রবেশের জন্য বাল্য-বিবাহের মাধ্যমে তাদেরকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার লক্ষ্যে দল-মত নির্বিশেষে এসব ভ্যাঃভুঃ করা পাষন্ডদের নির্মূল করা উচিৎ সমূলে। এবার এ নিয়ে কিছু ব্যক্তিগত মত দিবো আমার, আশা করি তা আমাদের উৎসাহিত করবে বাল্যবিবাহে।
(১) একটা ছেলে অথবা মেয়ে ১৩/১৪ বছর বয়স থেকেই যৌনতার অভাব উপলব্ধি করে সৃষ্টিগতভাবেই, মানে এর একটা চাহিদা শরীর ও মনে সৃষ্টি হয়ে যায় প্রাকৃতিকভাবেই। এ চাহিদাকে আমরা যদি মেটানোর উপায় না করে দেই, তবে অবশ্যই শারীরিক সমস্যা হবে প্রতিফল হিসেবে, হাবা-গোবা ডাক্তারদের এর বিপক্ষের মতবাদ ধরা যাবে না; কেননা শরীর অভাব বোধ করে কিন্তু আমরা এটাকে বাধাগ্রস্থ করতে চাচ্ছিঃ স্বাভাবিকভাবেই এ বাধার ফলস্বরূপ অসুস্থ শরীর ও হীন-মানসিকতার ছেলে-মেয়ে গড়ে উঠবে!
এসব নিয়ে চিল্লা-ফাল্লা করাদের উদাহরণ অনেকটা এমন যে, তাদের সন্তানদের পেট খাবার চায় – আর তারা সন্তানদের শোনাতে যায় কান্ডজ্ঞানহীন নীতি-কথা যে, ক্ষুধা মেটানোর অবস্থা হয় নি তোমার এখনো! যারা এগুলো বলে – তাদের কারও জামাই বা বউ থাকলে তাদের থেকে সেসব দৃঢ়-হস্তে সারা জীবনের জন্য কেড়ে নিয়ে শিক্ষা দেয়া হোক – ক্ষুধার জ্বালা কাকে বলে!
(২) যেহেতু ঐ বয়সে ছেলে-মেয়েরা এর অভাব বোধ করে, তাই অভাবী অবস্থায় এ চিন্তা থেকে তারা কোনভাবেই মুক্ত থাকতে পারে না। পড়াশোনা বা কাজের সময়ের একটা অংশ এসব চিন্তায় মত্ত থাকবেই ছেলে-মেয়েরা, এতে করে শারীরিক চাহিদার অভাবে শরীর নষ্ট হয় এবং ওসব চিন্তার জন্য পড়ালেখা/কাজের সময়ের সাথে সাথে মনও ভেতর ভেতর নষ্ট হয়। আর কেউ যদি বলে – বিয়ে না করেও আমার ছেলে মেয়ে ভালো রেজাল্ট করেছে/করছে, তবে নিশ্চিত এটা যে বিয়ে দিলে আরও ভালো রেজাল্ট করতো এবং বেশি শিখতে/জানতে পারতো ঠান্ডা মস্তিস্কে।
(৩) এরকম বিয়ের ফলে জনসংখ্যা নিয়ে ঐসব ভ্যাঃভ্যু করা গোষ্ঠীর খুব মাথাব্যাথা হলে, সে বয়সে ছেল-মেয়েকে বিয়ে দিয়ে তাদেরকে আযল করা বা কন্ট্রাসেপটিভ ব্যবহার শিখিয়ে দিক (এখনতো সিলেবাসে আছেই ওসব শেখানোর বিষয় এই বয়সেই, তাই না?), যাতে সেখানে নিয়ন্ত্রণ থাকে, কিন্তু কোনভাবেই প্রোডাক্টিভ-সময়, শরীর এবং মন নষ্টকারী পরিবেশে তাদেরকে ঠেলে দিয়ে তাদের স্বাভাবিক জীবন এবং সামাজিক পরিবেশ নষ্ট করা উচিৎ হবে না!
(৪) ভরণ-পোষনের চিন্তা করার দরকার নেই এবং ফালতু যুক্তি দেয়ারও দরকার নেই; ঐ বয়সের অর্থনৈতিকভাবে অক্ষম ছেলেকে এবং মেয়েকে নিজ ঘরে যদি তাদের পিতা-মাতা লালন-পালন করতে পারে, তবে কেনো তারা বিয়ের পর পালতে পারবে না বা পালবে না? তাদেরকে বিয়ে দিতেই হবে সেসব ছেলে মেয়েদের, যাতে করে ছেলে-মেয়েরা শরীরের ক্ষুধা মিটিয়ে তাদের শরীর ও মন ভালো রেখে সুচিন্তায় মনোযোগী হতে পারে এবং যতোদিন সেসব ছেলে-মেয়ে অর্থনৈতিকভাবে সক্ষম না হয়, দুই পরিবার যৌথভাবে তাদের প্রতিপালন করবে এবং প্রয়োজন হলে সরকারকে ভর্তুকি (ট্রান্সাফার-পেমেন্ট) দিতে হবে নৈতিকতাবোধসম্পন্ন সমাজ ও জাতি গঠন এবং তাদের এগিয়ে নেয়ার লক্ষ্যে।
(৫) এরকম বয়সে বিয়ে বন্ধ করে রাখার ফল হিসেবে এখন-তো আমরা আমাদের সামাজিক চিত্র দেখতেই পাচ্ছি! ১৪-১৬ বছরে ছেলে-মেয়েরা পার্কে/রাস্তায় কুকুরের মতো জড়াজড়ি করছে গ্রামে এবং শহরেও, ক্ষুধার জ্বালায় শিক্ষক/বন্ধুদের কাছে শরীর বিকিয়ে দিতে গিয়ে ভিডিও হয়রানীর শিকার হচ্ছে ঐ বয়সের মেয়েরাই। ওদের বিয়ে দিলে তো রাস্তাঘাটে এবং পত্র-পত্রিকায় এই চিত্র আর দেখা যেতো না, আর ক্লাসেও ছেলে-মেয়েদের একে অপরের প্রতি সম্মান করার হার বেড়ে যেতো; কেননা তারা সবাই জানতো আমারও বউ আছে এবং আমারও জামাই আছে এবং আমার সহপাঠী অবশ্যই এরকমভাবেই কারও বউ বা স্বামী।
তাই আবারও আমার জোড় দাবী, আইন করা হোক বাল্য-বিবাহ দিতেই হবে, প্রয়োজন হলে রাষ্ট্রীয়-মদদে; যারাই বাল্য বিবাহ না দিতে চাইবে বা বিরোধীতা করবে তাদেরকে দন্ডিত করা হবে এ জন্য যে, ক্ষুধাবোধ/চাহিদা-সম্পন্ন ছেলে/মেয়েদের প্রতি অমানবিক আচরনের মাধ্যমে তাদেরকে ক্ষুধাতুর রেখে শারিরীক-মানসিক সমস্যা এবং সর্বোপরি সামাজিক বিশৃংখলা বাড়িয়ে তোলার জন্য হৈ-চৈ করার অপরাধে।
আর এরকম বয়সে বিবাহ বন্ধে দেশে কোন এন.জি.ও কাজ করতে থাকলে, কোনরূপ ব্যাখ্যা ব্যতিরেকেই সরাসরি তাদের কার্য্যক্রম বন্ধ করে দেয়া হোক এখনই।
বিষয়: বিবিধ
২০১৫ বার পঠিত, ১২ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
ভবিষ্যদ্বানী গানিতিক সূত্র ব্যবহার করে বুঝে নিন নিজে নিজেই, আর না বুঝলে আপাতত পাটি-গণিত শেখায় মনোযোগ দিন।
ভাউ তাহলে বাল্যবিবাহ বৈধ হিসেবে আইন পাশ করতেই হবে ? তার মানে আপনার বিশ্লেষণ সঠিক ? হুম এটাই স্বাভাবিক এবং এটাও সত্য আমরা জাতিগত আর জন্মগত ভাবে বাঙ্গালি/বাংলাদেশী এটাই আমাদের সমস্যা ,আমরা সবাই আমি/আপনি নিজেকে ইয়া বড় পদ্মনাথ মনে করি , কিন্তু আমাদের বিশ্লেষণের মধ্যে যে কিছু অকালে মৃত্যুর ফাঁদ আছে সেটা দেখা / বুজার চেষ্টা করিনা , ভাই ক্ষমা করবেন
বাল্য বিবাহের কিছু কারণ নিয়ে একটু আগের আমার এ-পোষ্ট এবং কিছুদিন আগের এ-পোষ্ট একটু দেখুন। সামাজিক এবং ধর্মীয় মূল্যবোধ ধরে রাখতে আমার মনে হয় এর আর বিকল্প নেই!
সমাজের বর্তমান অনৈতিকতার সয়লাব রুখতে হলে বাল্যবিবাহ কার্যকর আইনের বিকল্প নাই।
বিরোধীদের মোকাবেলায় ইস্পাত কঠিন মজবুতি কামনা করি @বুড়া মিয়া থেকে.......।
মন্তব্য করতে লগইন করুন