বাল্য বিবাহ অন্ত্যন্ত জরুরী এবং সময়ের দাবী
লিখেছেন লিখেছেন বুড়া মিয়া ১৯ সেপ্টেম্বর, ২০১৪, ০৩:৩৬:৩১ দুপুর
বাল্য বিবাহের বয়স ১৫-১৮ করা উচিৎ, এর জন্য হেন-তেন গবেষনার কোন দরকার নেই। খোলা চোখেই অনেক কিছু দেখা যায়; এমন কিছু দেখা যাওয়া বিষয় যা পত্র-পত্রিকা এবং অন্যান্য মিডিয়া মারফত আমরা সবাই জেনে এসেছি এবং এখনও জানতে পারছি। যৌনতা অবশ্যই জটিল একটা বিষয় এবং এটাকে আইন দিয়ে ফিরিয়ে রাখার কোন মানে হয় না, এটা ফিরিয়ে রাখলেই বরং উন্নয়নের গতি হ্রাস পায় – ওসবের চিন্তায় ছেলে-মেয়েকে পরোক্ষভাবে ঠেলে দেয়ার মাধ্যমে।
অন্যান্য উন্নত দেশের বিয়ের বয়সের উদাহরন তুলে ধরে আমাদের এখানে কারও কান্নাকাটির কোন দরকার আছে বলে মনে হয় না, বরঞ্চ এসব নিয়ে কেউ কান্নাকাটি করতে আসলে ওকে কষে দুইটা চোপাট লাগানো উচিৎ বলে আমার মনে হয়; দেশের বাইরে আমার থাকা হয় নাই, তবে অনলাইনে একটা সময় বিভিন্ন দেশের কিছু ছেলে-মেয়ে বন্ধু ছিলো এবং তাদের কাছ থেকে তাদের সমাজ-সংস্কৃতির কিছু বিষয়ে জানতেও পারতাম। এরকম একজন বন্ধু ছিলো আমার কানাডার মেয়ে ডোমিনিক এবং আমার সাথে বন্ধুত্বের সেই সময়ে তার বয়স ছিলো ১৪, তার কাছে শুনতাম তাকে প্রায় সময়েই তার ২/৩ বছরের বড় আপন ভাই ঘরেই রেইপ করতো এবং বিষয়টা তার কাছে স্বাভাবিক হয়ে গিয়েছিলো। ১৬ বছরের আগেই স্কুলের বন্ধু-বান্ধবের সাথে তার যৌনতায় মেতে উঠার খবরও জানতাম মাঝে মাঝে আর সর্বশেষ এম.এস.এন/ইয়াহহু/আই.আর.সি আমি যখন ছেড়ে আসি, তখন তার বয়স ১৯ হয়েছিলো এবং জেনেছিলাম ১৮ থেকে ১৯ এর ১ বছরে তার ৩ টা বয়ফ্রেন্ড চেইঞ্জ করার কাহিনী।
ওদের মতো দেশে বিয়ের বয়স ৩০ হলেও কোন সমস্যা নেই এমনকি বিয়ে না হলেও সমস্যা নেই, যেমন সুইজারল্যান্ডের এক ছেলের বিয়ের ব্যাপারে জানতে চাইলে জানা হয়েছিলো যে তার বাবাই বিয়ে করে নাই – সে ওসব নিয়ে চিন্তাই করছে না। যেসব দেশে ১৪ বছর বয়স থেকেই সবাই যৌনতায় মেতে উঠে, তারা প্রাকৃতিক কারণেই তাতে মেতে উঠে এবং এতে কারও কোন বাধা নেই – কারণ ক্ষুধার্থ তার ক্ষুধা মেটাবেই, জেলে পুরে রাখা ছাড়া তাই এটার কোনও সমাধান নেই। এছাড়াও কোন এক রিপোর্টে দেখেছিলাম ইংল্যান্ডের সরকারও তাদের অবাধ যৌনতার বয়স ১৪/১৫ তে নামিয়ে আনবে কি-না তা নিয়ে চিন্তিত কারণ এটা আইন দিয়ে ফেরানো যাচ্ছে না। ওদের যেহেতু যৌনতা নিয়ে এমনিতেই কোন চিন্তা নেই – মানে বিয়ে ছাড়াই সব চলে তাই ওদের উন্নয়ন বাধাগ্রস্ত করার জন্য যৌনতার চিন্তা কোন রকমেই দায়ী হয় না – কেননা ওরা ঐ বয়সে ওসব যৌনক্ষুধায় কাতরানো বাদ দিয়ে ফ্রী-সেক্সের মাধ্যমে চিন্তামুক্ত হয় এবং ভালো চিন্তায় মনোযোগ দেয়।
আমাদের এখানে এটাকে জোর করে বেধে রাখার ফলে দেখা যায় ছেলে-মেয়েরা আসল কাজ বাদ দিয়ে আড়ালে-আবডালে এসব নিয়েই মেতে থাকে, বেশীরভাগ প্রোডাক্টিভ সময়। এরাও যদি ১৪/১৫ বছর বয়স থেকেই ফ্রী-সেক্সের অপশন পেতো তবে এটা নিয়ে তাদের কোন চিন্তাই থাকতো না এবং তারা ওসবের চিন্তায় সময় নষ্ট না করে অন্যান্য ভালো বিষয়ে মনোযোগ দিতে পারতো। আমরা যেহেতু ইসলামী মূল্যবোধকে সম্মান করতে চাই, তাই অবশ্যই আমাদের বাল্য বিবাহের বয়স খালি ১৫-১৮ নয়, বরং প্রত্যেকটা ছেলে-মেয়েকে ১৫-১৮ এর মধ্যে বিয়ে নিশ্চিত করাটাও জরুরী, কেননা এসব চিন্তা থেকে ওরা ততক্ষণ মুক্ত হবে না যতক্ষণ না এ ক্ষুধা নিবারণের পথ পায়। আর এ জন্য এর দায়িত্ব ছেড়ে দেয়া উচিৎ প্রত্যেক সন্তান এর পিতা-মাতার উপর এবং আইন করা উচিৎ প্রত্যেক পিতা-মাতা তার সন্তানকে ১৫-১৮ এর মধ্যেই বিয়ে দিতেই হবে – উন্নয়নের গতি বাড়াতে অবশ্যই প্রজন্ম-কে এসব চিন্তা থেকে মুক্ত করে দিতে হবে – ক্ষুধায় কাতড়ানোর বদলে, সহীহ উপায়ে তা মেটানোর পথ করে দিয়ে, যাতে তারা ওসব থেকে মুক্ত হয়ে অন্য ভালো চিন্তা ও কাজের সুযোগ পায়। আর এটা করতে হলে অবশ্যই বিয়ে নিশ্চিত করতেই হবে সে বয়সে; কেননা ফ্রী-সেক্স আমরা চাই না এবং ক্ষুধায় কাতড়ালে যে ওসব চিন্তা থেকে মুক্ত হওয়া যায় না, তাও বুঝি – তাই একমাত্র সমাধান, ঐ বয়সেই বিয়ে।
বিয়ের পর পড়ালেখা করুক বা সংসার করুক এটা যার যার অবস্থা ও অবস্থানের ব্যাপার, ১৮-২১ বছরের বিয়ের আইন থাকলেও দেশে ১৫ বছরের লক্ষ লক্ষ মেয়ে গার্মেন্টস-কর্মী রয়েছে – তাদের শিক্ষা নিয়ে কারও যখন চিন্তা থাকে না, তাহলে এখানে বিয়ের বয়স নিয়ে এতো মাথা-ব্যাথা কেন?
তাই আমি মনে করি এ নিয়ে আলতু-ফালতু গবেষক নামধারী চামারদের কথা শোনার কোন মানেই হয় না। আমি চাই খালি বয়স ১৫-১৮ করলেই হবে না, ঐ বয়সে বিয়েও নিশ্চিত করতেই হবে, ওসব থেকে চিন্তামুক্ত উন্নত চিন্তাশীল প্রজন্ম গঠনে; আর এজন্য সরকার প্রয়োজনে ট্রান্সফার পেমেন্ট এর ব্যবস্থা করবে, যাতে বিয়ে করেও কোন সমস্যা না হয়!
বিষয়: বিবিধ
২২৪৪ বার পঠিত, ৮ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
সত্য বলেছেন। সহমত
মন্তব্য করতে লগইন করুন