অর্থনৈতিক প্রতিযোগিতা - ৫

লিখেছেন লিখেছেন বুড়া মিয়া ১৮ সেপ্টেম্বর, ২০১৪, ০৩:০০:৫৫ রাত

এবার আবার কিছু উপাত্ত দেখবো আভ্যন্তরীন প্রতিযোগিতায় জয় লাভ করা সফল বাংলাদেশিদের, যারা মালয়েশিয়ার সেকেন্ড-হোম প্রজেক্টের সুবিধা নিয়েছে। ২০০৩ সাল থেকে শুরু করে ২০১৪ সাল পর্যন্ত যে উপাত্ত পাওয়া যায় তাতে করে দেখা যায় মালয়েশিয়াতে এ সুযোগ নেয়া বিভিন্ন দেশের লোকদের মধ্য চায়না ১ নম্বর, জাপান দুই নম্বর এবং আমরা বাংলাদেশিরা ৩ নম্বর পজিশনে রয়েছি। একেক বছর কয়জন করে এ সুবিধা নিয়েছে তাঃ



যদিও এ সুবিধা নেয়াদের দলের ফিক্সড ডিপোজিট এ্যাকাউন্টে একটা নির্দিষ্ট পরিমাণ এ্যামাউন্ট রাখার সিষ্টেম সেখানে আইনীভাবে রয়েছে, কিন্তু আমরা আমাদের মতো ধারণা পেতে আনুমানিক হিসেবে হিসেব করে নেবো আবারও; এখানে ধরে নিলাম বিভিন্ন বছরে এ সুবিধা নেয়া ২,৯৪৩ জন লোকের প্রত্যেকে ২৫ কোটি টাকা নিয়ে গেছে মালয়েশিয়ায় এবং গড়ে ৭০ টাকা ধরবো বাংলাদেশী টাকাকে ইউ.এস. ডলারে কনভার্সন রেইট; এতে করে দেখা যায় এ বছরগুলোতে তারা মোট ১০.৫১ বিলিয়ন ইউ.এস. ডলার নিয়ে গেছে মালয়েশিয়ায় এবং এটা আমার আগের পোষ্টে দেখানো ২০১২ সালের কারেন্ট-প্রাইসে বাংলাদেশের GDP at Factor cost বা Total value addition এর প্রায় ১০%; আর যদি ধরি পদ্মা-ব্রীজের কনষ্ট্রাকশন-কষ্ট ৩ বিলিয়ন ডলার, তবে মালয়েশিয়া এরকম ৩ টা পদ্মা-ব্রীজে লং-টার্ম-ইনভেষ্টমেন্ট প্রজেক্ট হাতে নিতে পারে বাংলাদেশে! অত্যন্ত চমৎকারভাবে আমাদের সম্পদ্গুলো নাই হয়ে গিয়েই শেষ হচ্ছে না, সেটা এভাবেই দায়ে রূপান্তরিত হয়ে যাচ্ছে।

এটা শুধু মালয়েশিয়ার ব্যাপারে বলা হলো, আর মালয়েশিয়া এখনো তেমন আকর্ষনীয় দেশ হয়ে উঠতে পারেনি, তবে এগিয়ে যাচ্ছে। এছাড়াও রয়েছে ইউরোপীয়ান এবং নর্থ-এ্যামেরিকান দেশগুলো, সেখানেও আমাদের দেশের আভ্যন্তরীন প্রতিযোগিতায় সফল ব্যক্তিবর্গ ধুমছে এবং আরও বেশী করে নিয়ে যাচ্ছে বলে বাজারে চাউর!

এই টাকাগুলো তারা না নিয়ে গেলে অবশ্যই দেশে রিইনভেষ্ট হতো এবং এক খাতে না পারলে, আরেক খাতে অন্তত চেষ্টা চালাতে চালাতে অনেকটা এগিয়ে যেতো; এখন রাষ্ট্রীয়-সুবিধায় তারা আনন্দের জায়গায় চলে যেতে পারছে বিধায় দেশে ভালো কোন ইনভেষ্টমেন্টের মওকা তো তৈরী হচ্ছেই না, বেড়ে যাচ্ছে প্রতিযোগিতা – কে কতো নিয়ে যেতে পারে! আর এর জন্য কাগজের (ডলারের) বাজারও অনেক চড়া হয়ে যাচ্ছে প্রতিনিয়ত!

ফলাফল হিসেবে দেশে বেড়ে চলছে দিনরাত খেটে খাওয়া মূল্য কমতে কমতে প্রায় মূল্যহীন হয়ে যাওয়া হাহাকার করা শ্রেণী – কিছুই কিনতে পারে না, নিজেদের মূল্য কমে গিয়ে দামের চাপ বেড়ে যাওয়ায়! মনে হয় গোলাম হোসেনদের কোন মুক্তি নাই!

বিষয়: বিবিধ

১০৬৪ বার পঠিত, ৪ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

266341
১৮ সেপ্টেম্বর ২০১৪ বিকাল ০৪:৩০
আফরা লিখেছেন : বুড়া দাদু আপনি কি মাষ্টার ......।
১৮ সেপ্টেম্বর ২০১৪ রাত ০৯:০০
210119
বুড়া মিয়া লিখেছেন : নাহ, আমি মাষ্টার না!
266385
১৮ সেপ্টেম্বর ২০১৪ রাত ০৮:২৬
সাদাচোখে লিখেছেন : সিচ্যুয়েশানের যথার্থ রিপ্রেলকশান হয়েছে। ইন্টারেস্টিং ব্যাপার হল এই একটা খাতে মালয়েশিয়া তিন টা পদ্মা সেতু বাংলাদেশ হতে চুরি করে বাংলাদেশকে তিনটা পদ্মাসেতুর ইক্যুইভ্যালান্ট দায়ে ফেলেনি। সিম্পলী চুরি করেছে।

অন্যদিকে পশ্চিমা দেশ সমূহ
১। পারমানান্ট রেসিডেন্সি, টায়ার ফোর, বিজনেস ইমিগ্রেশান, স্টুডেন্ট ভিসা, ট্রেনিং এন্ড এক্সপোজার এসবের মাধ্যমে সরাসরি চুরি করছে।
২। গার্মেন্টস, কল সেন্টার, আইটি সহ লেবার ইন্টেনসিভ সেক্টরের মাধ্যমে ইনডাইরেক্টলী চুরি করছে।
৩। খনিজ, বিদ্যুৎ, ডিফেন্স ও স্ট্রেটেজিক পজিশন দখলের মাধ্যমে - বাংলাদেশের মানুষকে অন্ধকারে রেখে চুড়ান্তরকমের নির্ভরশীল, সাবসারভিয়েন্ট লেভেল এ নিয়ে ডাকাতি করছে।
৪। আর ঐ চুরির টাকা, ডাকাতির টাকা আইএমএফ, ওয়ার্ডব্যাংক, জাইকা ইত্যাদির আওতায় বাংলাদেশে কনটিনিউ ঋণ ও এইড এর নামে কতগুলো কাগজের টুকরো বা টয়লেট পেপার রূপী 'ডলার' দিয়ে - টাকার ফ্লো বজায় রেখে কৃত্রিমভাবে অর্থনীতিকে ভাসমান রেখেছে - যাতে শেষ সম্পদটিও কুক্ষিগত হয় ও মানুষ - আগামীতে 'মসীহ উদ দজ্জাল'কে বলা মাত্রই সেজদা করতে বাধ্য হয়।
১৮ সেপ্টেম্বর ২০১৪ রাত ০৯:০০
210118
বুড়া মিয়া লিখেছেন : এখানে ব্যাপারটা শুধু মালয়েশিয়া নিয়ে উদাহরন দিয়েছি যাতে অন্য দেশ ও সংস্থার ব্যাপারগুলো বোঝা যায়; মালয়েশিয়া আসলে আমাদের কাছ থেকে ওসব আগ্রাসী দেশগুলোর তুলনায় কিছুই নেয়নি।

আমার মনে হয় আমাদের বিভিন্ন মুসলিম দেশগুলোর নেতা-নেত্রীরা সেজদা করা আরম্ভ করে দিয়েছে আরও আগে থেকেই – এখন সাধারণ মানুষকেও এতে বাধ্য করানোর জন্য প্রোপাগান্ডা চালিয়ে যাচ্ছে ওদের মতবাদ নিয়ে।

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File