মানিটারী পলিসি এবং আমাদের জিডিপি
লিখেছেন লিখেছেন বুড়া মিয়া ১২ সেপ্টেম্বর, ২০১৪, ০৮:৪২:০৪ রাত
মানিটারী পলিসি আসলে কি জিনিস, বিশেষ করে আমাদের বাংলাদেশের ক্ষেত্রে – এ বিষয়টা আসলে, এ নিয়ে যারা চাপাবাজী করে – তাদের পরিস্কার করার দায়িত্ব রয়েছে, দেশের জনগনের কাছে; কারণ তারা এ বিষয়ে বিজ্ঞ। সাধারণতঃ তারা যেটা চাপাবাজি করে, সেটা হচ্ছে – এ পলিসি দিয়ে যদি বাজারে টাকা প্রিন্ট করে ছেড়ে দেয়া যায়, তবে দেশের উৎপাদনে অন্যরকম এক গতি সঞ্চার হয়ে থাকে, এতে করে দেশে উন্নয়নের জোয়ার বয়ে যায়; এ বিষয়টা আমরাও কিছু বইয়ে পড়েছি এবং সেখানে কিছু অংকও করেছি।
এটা বিভিন্নভাবে হিসাব করা যায়, আমরা নাদানরা অবশ্য এতো কঠিনভাবে যেতে চাই না, কারণ ওগুলো আমরা বুঝি না – আপনাদের শিক্ষা-ব্যবস্থার ব্যর্থতার কারণেই, তাই খুব সহজে আমাদের বুঝতে হবে, যেভাবে আপনারা শিখিয়েছে। আমরা এভাবে হিসাব করবোঃ প্রতি ১ টাকা বাজারে ছাড়ায় বাজারে উৎপাদন কতো হয়েছে, মানে আমরা মোট দেশীয় উৎপাদন-কে ভাগ দিবো মোট কতো টাকা প্রিন্ট করা হয়েছে তা দিয়ে, এতে করে একটা সংখ্যা বের হবে; তো এতে যা বের হয়, তা চিত্রায়িত করলে এরকম দেখা যায় –
এখন কথা হচ্ছে, আমরা কি সব দিক থেকেই ১৯৭২ এ ফিরে গেলাম না-কি? মানে ঐ সময়ে প্রতি টাকায় যতো উৎপাদন হয়েছে, এখন তার চাইতেও কম হচ্ছে এবং এ ধারা সাধারণ চাহিদা রেখার মতো নিম্নমূখী। এখন এ হিসেবে-তো বলতে হয় আমাদের দেশে যতো বেশী টাকা প্রিন্ট করা হয়, উৎপাদনে গতি ততো কমে যায়, কেনো হচ্ছে এমনটা? টাকাগুলো কি দেশীয়-মার্কেটে সঞ্চালিত না হয়ে সোজা অন্য কোথাও চলে যাচ্ছে?
মানিটারী-পলিসির বিজ্ঞজনেরা এ নিয়ে একটা বড়সড় ডিসক্লোজার দিন, আমাদের জন্য – সেখানে আপনারা অংক করে প্রমান করে দিন যে, এর ফলে উন্নয়নের জোয়ার বইয়ে দিয়েছেন আপনারা সত্যিই, তাহলে আমাদের কোন চিন্তা এবং কথা থাকবে না আর!
বিষয়: বিবিধ
১১৬৯ বার পঠিত, ৪ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
বাই দ্য ওয়ে, সেদিন একজন সোনা চোরাচালানের দ্বারা দেশে এলে আমাদের ক্ষতিটি কোথায় জানতে চাইলে, কোনো উত্তর দিতে পারি নাই।
আজ এই প্রসঙ্গে আমাকে সোনার ক্ষতির ব্যাপারটা জানালে উপকৃত হতাম, ভাই।
ধন্যবাদ আজকের লেখার জন্য।
অনেক শুভেচ্ছা।
আর সম্পদের হ্রাস-বৃদ্ধি হিসেবে বলতে হবে – যদি সেটা আন্তর্জাতিক-বাজার মূল্যের থেকে কম মূল্যে বাংলাদেশে ঢুকে থাকে তবে দেশের সম্পদ বেড়েছে, আর উল্টোটা হলে কমেছে। তবে যেহেতু চোরাচালান এর কথা বলেছেন – এখানে সাধারণভাবে সেটা সাধারণ বাজার-মূল্যের চাইতে বেশী হওয়াটা স্বাভাবিক, তাই ক্ষতি হওয়ার সমূহ সম্ভাবনা। তবে ইচ্ছাকৃতভাবে আন্তর্জাতিক দাম থেকে একটু কমিয়ে এবং সেই-সাথে খারাপ-মানের জিনিস দিয়ে নতুন বাজার সৃষ্টি করার পলিসি রাষ্ট্রীয়ভাবেও হয় আন্তঃদেশীয় ক্ষেত্রে।
যেহেতু স্বর্ণটা দেশের বাইরে থেকে আসছে, সেক্ষেত্রে পেমেন্ট দিতে হবে ডলার বা ইউরোতে, তাই দেশের বাজারে সেসব মুদ্রার চাহিদা বেড়ে যাবে, নরমাল অথবা কার্ব মার্কেট থেকে বেশী দাম দিয়ে হলেও সে টাকাটা বিদেশী মুদ্রায় কনভার্ট করে দেশের বাইরে পাচার করবে, এতে করে এক্সচেইঞ্জ-রেইটেও প্রভাব পড়ে।
এ নিয়ে আরও অনেকভাবে চিন্তা করা যায়, আমাদের পাশাপাশি দেশগুলোকে, আমার ঘর, তার ঘর ভেবে একটা নির্দিষ্ট সময়ে সব দেশের সম্পদকে নির্দিষ্ট পরিমাণ ধরে নিজে নিজে হিসেব করলেও – অনেক কিছু বেরিয়ে আসবে আশা করি।
শুভেচ্ছা আপনার জন্য।
মন্তব্য করতে লগইন করুন