ব্যবসায়িক লাভ-ক্ষতি
লিখেছেন লিখেছেন বুড়া মিয়া ২৮ আগস্ট, ২০১৪, ০৯:৩৪:৪০ রাত
প্রচলিত বিশ্বে লাভ-ক্ষতি সম্বন্ধে অনেক রকম ধারণা বিদ্যমান। এক্ষেত্রে প্রধান যে মতবাদগুলো রয়েছে, সেটা প্রধানত দু’রকম –
প্রথম পক্ষের মতেঃ একজন মানুষ পরিশ্রম করে খেয়ে-পড়ে-বেচে থাকার জন্য যা উপার্জন করে সেটা হচ্ছে তার পারিশ্রমিক বা লাভ আর এর চাইতে কম পেলে সেটা হয়ে যায় অন্যায্য বা ক্ষতি।
দ্বিতীয় পক্ষের মতেঃ একজন মানুষ পরিশ্রম করে পারিশ্রমিক হিসেবে খেয়ে-পড়ে-বেচে থাকার পর যে উদ্বৃত্ত পায় সেটা হচ্ছে লাভ, খেয়ে-পড়ে-বেচে সমান সমান চললে লাভ-ক্ষতি শুণ্য বা ব্রেক-ইভেন অপারেশন এবং এর চেয়ে কম হলে ক্ষতি।
প্রথম পক্ষের দৃষ্টিভঙ্গীকে বর্তমান সমাজে সাধারণভাবে সমাজবাদী মতবাদ এবং দ্বিতীয় পক্ষের দৃষ্টিভঙ্গীকে পূজিবাদী মতবাদ বলে অভিহিত করা হয়। এবং এ দু’টোর পক্ষে এবং বিপক্ষে অনেক জোড়ালো বক্তব্য রয়েছে, কাউকেই ফেলে দেয়া যায় না! এছাড়াও অনেক ইসলামী চিন্তাবিদও ব্যবসা বলতে ক্রয়-বিক্রয়ের মাধ্যমে শুধু পারিশ্রমিক পাবার পক্ষেই মত ব্যক্ত করেন, যা মোটামুটি সমাজবাদীদের মতবাদের সাথে মিলে যায়। তবে অধিকাংশ মানুষই যেহেতু উদ্বৃত্ত অন্বেষনে হন্যে হয়ে ছুটছে তাই লাভের ব্যাপারে দ্বিতীয় মতবাদটিকে সমাজের প্রায় সকলেই জেনে অথবা না জেনেই স্রোতের অনুকূলে ভেসে প্রত্যক্ষভাবে বাস্তবায়ন করেছে এবং এখনও করছে।
মূলত লাভের ইচ্ছা প্রত্যেক মানুষের মধ্যেই রয়েছে; এবং সেটা একেক ব্যক্তির অবস্থা ও অবস্থানের আলোকে হয়ে থাকে। একজন কৃষক হয়তো দু’বেলা ভালো খাওয়ার জন্য লাভের ইচ্ছা পোষন করে, অপরপক্ষে একজন বড় ব্যবসায়ী হয়তো একটা দ্বীপ কিনে নিজের থাকার বাড়ী বানাবার জন্য লাভের পেছনে ছোটে! এখানে কিন্তু অবস্থা এবং অবস্থানের প্রেক্ষিতে দু’টোই অর্থনৈতিক দৃষ্টিকোন থেকে যুক্তি-যুক্ত এবং এ আকাঙ্খা বাস্তবায়নের উপায় না থাকলে সাধারণ মানুষ না-কি কাজ-করার/ব্যবসা-করার ইচ্ছা হারিয়ে ফেলবে এবং খুব সম্ভবত হয়েছিলোও তাই – আর এ জন্যই পুজিবাদী মনোভাব প্রাধান্য পেয়ে সবাই-ই লাভের জন্যই মত্ত রয়েছে! আর এ লাভ অর্জনের একমাত্র উপায় পণ্য বিপনন বা সেবা-প্রদান এবং সে পণ্য বা সেবার মূল্য নির্ধারণ!
ন্যায্য মূল্য সম্পর্কে ইসলামীক দৃষ্টিভঙ্গী কি – তা আমার জানা নেই, তবে সেটা অর্থনৈতিকভাবে কিভাবে নির্ধারণ করা যায় সে সম্বন্ধে সামান্য ধারণা রয়েছে আর বিক্রয়-মূল্য কি সেটা আমাদের মোটামুটি সবার-ই জানা রয়েছে ভালো ভাবেই।
ন্যায্য -মূল্যঃ একটা পন্য বা সেবা ভোক্তার কাছে পৌছে দিতে যে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ খরচ হয় এবং এর সাথে নিয়োজিতদের খেয়ে-পড়ে-বেচে থাকার যে খরচ হয় সেটাই হচ্ছে ভ্যালু-এ্যাডিশান বা সংযোজিত মূল্য।
বিক্রয়-মূল্যঃ একটা পন্য বা সেবা ভোক্তার কাছে পৌছে দেয়ার জন্য সংযোজিত মূল্যের উপরে অতিরিক্ত লাভের অংক যোগ করে যে মূল্য নির্ধারিত হয়, সেটা-ই বিক্রয় মূল্য।
সবাই যদি ন্যায্য -মূল্যে পণ্য বা সেবা ক্রয়-বিক্রয়ে উদ্বুদ্ধ হয় তবে সেখানে কারও লাভ বা ক্ষতির আশঙ্কা থাকে না, সবাই-ই পারিশ্রমিক দিয়ে খেয়ে-পড়ে-বেচে থাকে। এক্ষেত্রে কার লিভিং-ষ্ট্যান্ডার্ড কিরকম হবে সেটা প্রশ্নবিদ্ধ বিষয় এবং এ বিষয়টার জন্যই এ মূল্যে কারও আপোষ হয় না!
বিক্রয়-মূল্যে পণ্য বা সেবা বিক্রয় করলে স্বাভাবিকভাবেই অবশ্যই একদলের লাভ হবে এবং আরেক দলের ক্ষতি-ই হবে, এটা কখনও হতে পারে বিক্রেতার এবং কখনও ক্রেতার; এবং এ লাভ-ক্ষতি খুব সহজেই হিসেব করে বোঝা যায়। সবাই এ লাভটা কিভাবে নির্ধারণ করে তা নীচের চিত্রে পরিস্কার বোঝা যায় –
এখানে লাভ বলে সবাই যেটা বুঝে, সেটা হচ্ছে মোট খরচ এবং এটার জন্য নিয়োজিত লোকবলের ন্যায্য যে পারিশ্রমিক তার উপরের অংশ, এর চাইতে কম হলে সেটা ক্ষতি। এখানে এ ধরনের লাভ অর্জনের মানসিকতা-সম্পন্নদের একটা লক্ষ্যনীয় চরিত্রও ফেলে দেয়ার মতো না এবং যে কারণে এ ধরনের লাভকে অনেকেই ঠকবাজী ছাড়া আর কিছুই বলে না! এটার জন্য আমরা ধরে নেবো কল্পিত এক ডাল ব্যবসায়ীর চরিত্র এবং মনে করবো এ ডাল দেশেই কৃষক উৎপাদন করে –
বীজ থেকে শুরু করে সার এবং পরিশ্রমে যে সময় অতিবাহিত হয় তাতে কৃষকের খাওয়া-পরার খরচ যোগ করে ধরে নেবো ডালের দাম নির্ধারণ হয়েছে ১০০ টাকা মণ। এবং কৃষক মোট উৎপাদন থেকে বছরে নিজের খাওয়ার অংশ আলাদা রেখে দিয়ে উদ্বৃত্ত উৎপাদন ১০ মণ ন্যায্য-মূল্য ১০০ টাকা দরে ১,০০০ টাকায় বিক্রয় করেছে এবং কিনেছে এক পাইকার। পাইকার ১০০ টাকা মনের ডাল থেকে নিজের পরিবার নিয়ে খাওয়ার জন্য ৩ মণ রেখে জন্য বাকী সাত মণ বিক্রয় করবে কতো তে, এর জন্য উনি হিসেব করবে এভাবে –
তিন মণ আমি খাবো সেটার খরচ আমি জানি ১০০ টাকাই কিন্তু এর মূল্য আমি বাজার থেকে তুলে আনবো এবং সাথে পারলে আরও কিছু লাভ। এ জন্য সাত মণ ডালের সর্বনিম্ন-বিক্রয়-মূল্য প্রথমেই হবে ১,০০০ টাকা এবং সাথে আরও ৪০০ টাকা লাভ যোগ করলে হয়ে যাবে ১,৪০০ টাকা এবং এভাবেই সকল পণ্যের বাজার-মূল্য নির্ধারিত হয়।
এখানে দেখা যাচ্ছে কৃষক কারও উপর ভরসা না করে নিজেই নিজের উৎপাদিত পণ্য খেয়ে বাচছে এবং উদ্বৃত্ত উৎপাদন অন্যদেরকে খাইয়ে বাচানোর জন্য নায্য-মূল্যে বিক্রয় করছে; পাইকার শুরু করলো ক্রিমিনাল-এ্যাক্টিভিটি, নিজের খাওয়ার খরচ অন্যের উপর চাপিয়ে দেয়েই ক্ষ্যান্ত না হয়ে হাওয়া থেকে আরও ৪০০ টাকা যোগ করে দিলো, এটা কি ন্যায্য মূল্য হলো?
ধরে নিলাম পাইকারের এটাই ন্যায্য -মূল্য, এটা প্রদান করবে খুচরা বিক্রেতা এবং খুচরা বিক্রেতাও একইভাবে মূল্য নির্ধারণ করবে সেটা পরিশোধ করবে চুড়ান্ত ভোক্তা। চুড়ান্ত ভোক্তার লক্ষ্য কি সৎ হবে? কখনোই না! সে-ও পারলে আরেকজনকে ঠক দিয়ে কামাই করে সারপ্লাস/লাভ পকেটে রেখে বাকীটা দিয়ে সেসবের মূল্য পরিশোধ করবে। চুড়ান্ত-ভোক্তা এ টাকা বা লাভ পাবে কোত্থেকে? সে বড়-বড় ব্যাবসায়ীর প্রতিষ্ঠানে ভালো বেতনে কাজ করে এ টাকা অর্জন করবে। ব্যবসায়ী কি তাকে মহৎ উদ্যোগ হিসেবে এমনি এমনি-ই নিজে খেয়ে-পড়ে-বাচার জন্য বেতন দিবে? না, সে আরও বেশী লাভ এ সমগ্র শ্রেণীর থেকে আদায় করে নেবে কড়ায়-গন্ডায়! এবং বর্তমানের সবকিছুই এভাবেই চলছে! এবং এগুলো সুচারুরূপে চালিয়ে নেয়ার জন্য রয়েছে আমাদের অর্থ-ব্যবস্থা।
এখন আমার এবং আমাদের জানার বিষয় হচ্ছে, ন্যায্য মূল্য সম্পর্কে ইসলাম কি বলে? আমার জানা নেই সঠিকভাবে, আশা করি যারা জানেন – এ বিষয়ে, আমাদের জানতে সাহায্য করবেন।
বিষয়: বিবিধ
২১৪৫ বার পঠিত, ১৭ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
আমি ছোট বেলা হতে এমনভাবে বড় হয়েছি - যেখানে পারিবারিকভাবে আমাকে ইসলামের জন্য ফোর্স করা হয়নি, বরং আমাকে ফোর্স করা হয়েছে ডাক্তার ইন্জিনিয়র টাইপের কিছু একটা হতে। কিন্তু কেন যেন আমি আমার বাবার সাথে কমপিটিশান টাইপ কিছু অনুভব করতাম এবং তাই ব্যবসা নিয়ে পড়া ও ব্যবসায়ী হবার ইচ্ছা পোষন করতাম।
নিজের এই স্যেকুলার ও আল্লাহভীরুতা অবস্থান ও অভিজ্ঞতার আলোকে (এ সম্পর্কে কোরান ও হাদীসের ক্লিয়ার কাট জ্ঞান ছাড়া) - আমার মনে হয়
মূলতঃ ইসলাম পন্য মূল্য নিশ্চিত করতে 'ন্যায্য মূল্যে'র কথা বলে নি কোথাও (আমার ধারনা এটা সোশ্যালিস্ট কনসেপ্ট)। বরং ইসলামে পন্য মূল্য বা বাজার এর নীতিতে - যে বিষয়টা ডোমিনেন্ট - তা হলঃ
১। যোগান ও চাহিদা আপনা আপনি যে মূল্য নির্ধারন করবে - তাই ইসলামের দৃষ্টিতে যথার্থ। এ ক্ষেত্রে পন্য বিক্রেতা যেমন কোন কাস্টমারকে ছাড় দিতে পারে - তেমনি অতিরিক্ত ও নিতে পারে।
কিন্তু এই চাহিদা ও যোগান মেইনটেইন করার জন্য বেশ কিছু শর্ত আছে - যা শরীয়া ফোর্স করবে বাজারকে ঠিক রাখার জন্য। যেমনঃ
১। বাজারে নতুন বিক্রেতার ইন ও আউট পুরোপুরি স্বাধীন থাকবে - কোন মেকানিজম (আইন ইত্যাদি) বা ইল-প্রাকটিশ (সিন্ডিকেশান ইত্যাদি) ব্যবহার করা যাবে না - যেখানে কাউকে ইন হতে বা আউট হতে বাধা দেওয়া হয়।
২। কোন বিক্রেতাকে আউট করার নিমিত্তে পন্য মূল্য স্লাশ করা বা অত্যাধিক কমানো যাবে না। (উমর রাঃ এর জীবনী দ্রষ্টব্য)
৩। কোন রকমের সেংশান বা অবরোধ বা বয়কট ব্যবসা - বানিজ্যের ক্ষেত্রে দেওয়া যাবে না।
৪। ক্রাইসিস সময়ের আশায় কোন ব্যবসায়ী পন্য গুদামজাত করে রাখতে পারবে না।
৫। পন্যের ভাল ও খারাপ গুনাগুন এক্সপোজড থাকতে হবে বা বিক্রেতা এক্সপোজ করতে বাধ্য থাকবে।
৬। পন্য বাকিতে বিক্রি করা যাবে কিন্তু বাকিতে বিক্রি করার জন্য অতিরিক্ত অর্থ চার্জ করা যাবে না কোন অবস্থাতেই - তা কাস্টমার দিতে চাইলে ও নেওয়া যাবে না।
সো মূল কথা হল - বাজারটাকে পরিপূর্নভাবে খোলা রাখতে হবে এবং বিক্রেতাকে পরিপূর্নভাবে স্বাধীনতা দেওয়া হবে ঐ পয্যন্ত যেখানে সে অন্য বিক্রেতার সাথে পারস্পরিক ফেয়ার কমপিটিশান করবে কিন্তু কাউকে ইন করিয়ে, ইন হতে কোন রকমের বাধাঁ দিয়ে কিংবা আউট করার অভিপ্রায়ে বা আউট করার স্পৃহায় কোন কিছু করবে না।
আর ক্রেতার সাথে সে সর্বোচ্চ স্বচ্ছ থাকবে প্রোডাক্ট এর ব্যাপারে (প্রাইস এর ব্যাপারে ক্রেতাকে ব্রেকডাউন দিতে হবে না)।
আর এতে করে যে মূল্যই নির্ধারিত হোক না কেন - তাই আমার আন্ডারস্ট্যান্ডিং অনুযায়ী ইসলামীক ওয়েতে পন্য মূল্য নির্ধারনের ভিত্তি।
কারন আমার আন্ডারস্ট্যান্ডিং অনুযায়ী আল্লাহ চান - মানুষ ব্যবসায় নামুক এবং আল্লাহর দেওয়া বরকতে ধনী যেমন হোক তেমনি চুড়ান্ত রকমের লসের ও সন্মুখিন হোক।
আল্লাহ ভাল জানেন।
ধন্যবাদ - আমি শর্ট করতে চেয়ে ও পারলাম না।
আপনার প্রত্যেকটা পয়েন্ট-ই যুক্তিসঙ্গত হয়েছে আমার কাছে, তবে আমিও আপনার মতো (সেক্যুলারভাবে) বড় হওয়ায় এসব সম্বন্ধে অনেক কম জ্ঞান-সম্পন্ন এবং জানার জন্য এ ব্লগে আসি এবং আমার ধারণা উপস্থাপন করছি ইদানিংকালে।
আমার আরও কিছু মত এসেছে আপনার পয়েন্টগুলো থেকে, আশা করি পরের পোষ্টে সেগুলো উল্লেখ করবো। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে এজন্য।
পাইকার শুরু করলো ক্রিমিনাল-এ্যাক্টিভিটি,
এটাকে ক্রিমিনাল-এ্যাক্টিভিটি বলা ঠিক নয় মনে করি!
পণ্যের নায্যমূল্য নির্ধারণে ডিমান্ড-সাপ্লাইএর পাশাপাশি সরকারী নিয়ন্ত্রণ গুরুত্বপূর্ণ!
যেভাবেই বলি- একটি নাগরিক-বান্ধব সরকার ছাড়া উতপাদক-ব্যবসায়ী-ভোক্তার অধিকারে ভারসাম্য ও নায্যতা স্থাপিত হওয়া অসম্ভব!
সংকট মৌসূমে বাস্তব কারণেই সরকারের পক্ষ থেকে সকল স্তরেই ভর্তুকি আবশ্যক হতে পারে!
আমার মনে হচ্ছে আপনি ভোক্তার দিক থেকে আলোচনা সাজিয়েছেন! যদি এটাকে সামগ্রিক ব্যবস্থার প্রতি নজর রেখে সাজানো হতো তবে অনেক কথাই উঠে আসতো!
আমার প্রস্তাব: আপনি অ-নে-ক পর্বে ভাগ করে ধারাবাহিকভাবে আলোচনা করলে ভালো হবে!
তাহলে প্রতি পোস্টেই উপসংহার টানতে হবেনা!
সরকারী-কার্য্যক্রম এর বিষয়ে আপনার সাথে এখানেও একমত, আলোচনাটা পর্ব-আকারে করলে ভালো হতো, কিন্তু আমি আসলে মনে হয় সেভাবে লেখায় এক্সপার্ট না – তাই এভাবে দিচ্ছি; এসব বিষয়ের এ পোষ্টের বিষয়বস্তু লাভ হওয়ায় এটা কয়েকটা স্তরে উল্লেখ করেছি – যেমনঃ উৎপাদনকারী, পাইকারী, খুচরা, ভোক্তা, বড় ব্যবসায়ী। সবার লাভের ইম্প্যাক্ট গিয়ে আসলে চুড়ান্ত ভোক্তার উপর-ই পড়ে।
ন্যায্য লাভই ইসলাম সম্মত। এটি প্রয়েজন থেকে অল্প বেশি হতে পারে ব্যবসা বাড়ানো বা সঞ্চয় এর উদ্দেশ্যে। কিন্তু বর্তমান পুঁজিবাদি বাজারে যে কোন ভাবে লাভ বৃদ্ধির নিতি বৈধ নয়।
পন্য বাকিতে বিক্রয় করলে এর দাম কিছু বৃদ্ধি বৈধ বলেই মত প্রকাশ করছেন অনেক আলেম। এটি সুদের মত টাইম ভ্যালু অফ মানি নয় বরং টাইম ভ্যালু অফ কমোডিটি বা সার্ভিস। একজন বিক্রেতা তাৎক্ষনিক পন্যমুল্য না নিয়ে যদি বাকিতে বিক্রয় করেন সেক্ষেত্রে বাকি সময়টির জন্য ন্যায্য ভাড়া তার অধিকার।
-------------
সবুজ ভাই, আপনি বলেন নি যে - সে সকল আলেম রা কিসের ভিত্তিতে, কি কন্ডিসান এ টাইম ভ্যালু অব কমোডিটি কিংবা সার্ভিস নেওয়া যাবে?
তাদের কি যুক্তি ছিল - যাতে এটা পরিষ্কার হয় যে টাইম ভ্যালু অব মানি হতে তা ভিন্নতর?
অথচ আপনি তারপর আবার বললেন,
*একজন বিক্রেতা তাৎক্ষনিক পন্যমুল্য না নিয়ে যদি বাকিতে বিক্রয় করেন সেক্ষেত্রে বাকি সময়টির জন্য ন্যায্য ভাড়া তার অধিকার।*
Ami confused hoyechi.
মন্তব্য করতে লগইন করুন