ব্যাংক, সুদ, সঞ্চয়কারী এবং পরিস্থিতি

লিখেছেন লিখেছেন বুড়া মিয়া ২৭ আগস্ট, ২০১৪, ০২:২৯:২২ দুপুর

এর আগের দু’টি পোষ্টে বলেছিলাম ব্যাংকিং-ব্যবস্থার সুদের কথা এবং সাধারণ মানুষদের সঞ্চিত অর্থ সেখান থেকে খোয়া যাওয়ার ব্যাপারে। ব্যাংকিং ব্যবস্থার সুদ এর ব্যাপার আসলে কেন্দ্রীয়ভাবে নির্ধারণ হয়ে থাকে ইন্টারন্যাশনাল কিছু চক্রের দ্বারা, সুইজারল্যান্ডের বাসেল-এ বসে সেখানে তারা একেকটা দেশের আর্থ-সামাজিক অবস্থা, সাধারণ মানুষের মতিগতি ইত্যাদী বিশ্লেষনের মাধ্যমে নীতি-নির্ধারণ করে থাকে, আর দেশে দেশে তাদের দোসররা সেসব নীতি বাস্তবায়ন করে সহাস্যে উল্লাসিত চিত্তে, তাছাড়া এসব বাস্তবায়নে তো দেশীয় দোসরদের মোটা দাগের লাভ রয়েছেই!

সুইজারল্যান্ডে বসে এরা বিভিন্ন সময়ে ব্যাসেল-১, ব্যাসেল-২ আর এখন খুব সম্ভবত ব্যাসেল-৩ সিষ্টেমে ফ্র্যাকশনাল রিজার্ভ ব্যাংকিং চালাচ্ছে। এ ধরনের ব্যাংকিং ব্যবস্থায় মূলত – হিস্টোরিক্যাল ডিপোজিট(সঞ্চয়ের লক্ষ্যে মানুষের জমা) এবং ড্রইংস (মানুষের উত্তোলন) এর উপাত্ত গবেষনা করে নির্ধারণ করে, মোট সঞ্চয়ের কতো পার্সেন্ট ব্যাংকগুলো ক্যাশ হিসেবে রাখবে, এ লক্ষ্যে প্রত্যেক দেশের পরিচালকেরা আবার লোকাল রেগুলেশান প্রণয়ন করে সে ধরনের একটা ক্যাশ রিজার্ভ মেইন্টেইন করে। বাংলাদেশে এগুলো ষ্ট্যাটুওটোরী লিক্যুইডিটি রেশিও (এস.এল.আর), ক্যাশ রিজার্ভ রেশিও(সি.আর.আর) এবং ক্যাপিটাল এ্যাডিকুয়েসী রেশিও(সি.এ.আর) নামে পরিচিত ছিলো, অন্যান্য এলাকায়ও একই অথবা সামান্য একটু ঘুরানো-ফিরানো নামে চলছে; যাক সেসব তাত্ত্বিক কথা! মোট কথা সারা দেশের সাধারণ মানুষ সবাই মিলে ১০০,০০০ টাকার সঞ্চয় ব্যাংকে জমা দিলে, সেটা থেকে ১০-১৫ হাজার টাকা হাতে রেখে বাকী টাকা ঋন হিসেবে দিয়ে দিবে ব্যাংকগুলো। এই সামান্য পরিমাণ টাকা হাতে রেখে বাকীগুলো অন্যদের বিলিয়ে দেয়ার কারণে মাঝে মাঝে ঈদের সময় শোনা যায় কম-মানি-রেট এর কথা! ঈদের মধ্যে সাধারণ জনগনের কিছু অংশের মোট সঞ্চয়ের মাত্র ১০/২০ পার্সেন্ট এর চাহিদার তুলনায় ব্যাংকের ভল্ট (সিন্ধুক) এ থাকা ক্যাশ শর্ট হয়ে যাওয়ার কারণে এক ব্যাংক আরেক ব্যাংকের কাছ থেকে ওভার-নাইট লোন নিয়ে থাকে হাই-ইন্টারেষ্টে আর সব ফেইল করলে তো কেন্দ্রীয় ব্যাংক আর টাকশাল আছেই!

এখন আরেকটা জিনিস হচ্ছে, এ ঋনগুলো কাকে এবং কি উদ্দেশ্যে দেয় ওরা? খাতবিহীন যা-তা জায়গায় ওরা ঋন দেয় না এবং যাকে তাকেও ওরা ঋন দেয় না! ঋন নেয়ার আগে বড় বড় টেষ্ট-সমৃদ্ধ রিপোর্ট এবং তদবির ছাড়া কেউ ঋন পাবে না, ভুলে দুই/একজন পায় কি-না সেটাও দেখার জন্য চা-বিস্কুট খেয়ে সেখানকার বোর্ড চশমা লাগিয়ে সেগুলো দেখাশুনা করে থাকে রেগুলার আর কেন্দ্রীয় ব্যাংক তো “ছাল নাই কুত্তার বাঘা নাম” হিসেবে তাদের করা বিভিন্ন সাপ্তাহিক-মাসিক-ত্রৈমাসিক-বাৎসরিক রিপোর্ট এমনি এমনিই দেখে আর মাঝে মাঝে ইন্সেপেকশান এর জন্য গিয়ে চা-বিস্কুট খেয়ে আসে ! তো এক কথায় বলতে গেলে ঋন হিসেবে একটা শ্রেণীই শুধু ব্যাবসা করার জন্য মানুষের ডিপোজিটগুলো হাতিয়ে নিতে পারে; আর সাধারণরা চাইলে – জমি বন্ধক রেখে, বেতন বন্ধক রেখে এবং অন্যান্য নানাবিধ জিনিস বন্ধক রেখে, নাকে খত দিয়ে বড়জোর – হাউজিং-লোন, কার-লোন, এডুকেশান লোন ইত্যাদীই পায়, এর বাইরে কিছুই পায় না পাবেও না! আরেকটা খাত আছে কৃষি – এখানে দিতে হবে কেননা, একে তো ক্ষেতে-যুক্ত সবাইকে সেরকম শিক্ষিত করে গোলামী মানসিকতার আওতায় আনা যায় নি, তার উপর এদের উৎপাদিত পণ্য নিয়ে এ্সব গোষ্ঠিরই ব্যবসা রয়েছে, তাই কৃষিতে দিতেই হয়; তবে সেটা দিয়েও ক্ষেতের কৃষকের কোন লাভ হয় না এবং অনেক ক্ষেত্রে এ খাতে সুদ মাত্রাতিরিক্তভাবে কম হওয়ায় সুবিধাবাদী সে গোষ্ঠী এই খাতের ঋন নিয়ে অন্য কাজও সারে!

এবার আরেকটা কথা হচ্ছে, এই পিচ্চি একটা দেশে এতো ব্যাংক কেন? এখানেতো একটা বা দুইটা ব্যাংক থাকলেই সার্ভিস-কষ্ট কম হয় এবং তাতে করে সাধারণ সঞ্চয়কারীর উপকার হয়। এক/দুই ব্যাংকের বদলে অনেকগুলোর কারণ – যতোগুলো বেসরকারী/বিদেশী ব্যাংক/ফিনান্সিয়াল ইন্সটিটিউট হয়েছে দেশে সব রাজনৈতিক মদদে; মানে কে কার আগে কত বড় মূলা ঝুলিয়ে সাধারণের টাকা নিজের ব্যাংকে এনে সে টাকা নিজেদের নামে-বেনামে থাকা ব্যাবসায় বিনিয়োগ করতে পারবে সে প্রতিযোগীতা, আরেকটা হচ্ছে এটার পরিচালনায় যা লাভ তা নিজেদের কাছে থাকা, এছাড়াও ব্যাংকসম্পৃক্ত লেনদেনের খরচ সরকার বা আরেকজন পাবে কেন? ঐটাও আমাদের কোম্পানীর মানে ব্যাংকের লাভ হিসেবে আমাদেরই থাকুক!

এবারতো নিজেদের গোষ্ঠীর ব্যাংক হয়েই গেছে এবার সাধারণ মানুষের টাকা নেয়ার খেলা, স্যুট-কোট পরিহিত মর্দ গোলাম এবং জিন্স-গেঞ্জী/শাড়ী পরা মাদি খানসামারা মেকাপ মেরে ফেরীওয়ালা হিসেবে ঘোড়ায় (গাড়ী) চড়ে দুই/চারটা ফাইল হাতে নিয়ে সাধারণ মানুষের দ্বারে দ্বারে/ছোট-খাট ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে ঝাপিয়ে পড়ে কে কতো বেশী সুদ দিবে তার হিসাব কষে দেখাতে আর তার বিনিময়ে মানুষের কাছ থেকে কতো টাকা আদায় করতে পারলো তার হিসেব কষতে! মেকাপ-চেকাপ ছাড়াও সাথে আছে ক্যাশ-ইন্সেন্টিভ (কমিশন); ছুটছে তারা বিশাল এক ভঙ্গী নিয়ে ভিক্ষা করতে এবং জয় করে নিয়ে আসছে অনেক বড় বড় ফান্ড! এছাড়াও যাদের কাছে পাঠানোর মতো লোকবল নাই তাদের জন্য রয়েছে পত্রিকা-টি.ভি-রেডিও, ২/৩/৫ বছরের দ্বিগুন স্কীম এর মুলা সেখানেও দিয়ে দিচ্ছে – সধারণরাও চিবিয়ে খাওয়ার জন্যে সঞ্চয় নিয়ে ঝাপিয়ে পড়ছে!

এখানে আরেকটা বিষয়ও রয়েছে, এই যে ব্যাংকের আয়া/খানসামা-গোলামগুলো রয়েছে, খালি বেতন আর বারো মাসে তেরো বোনাসেও তো তাদের পোষে না – বিলাসিতায় শেষ হয়ে যায় সব! এছাড়াও তারা তো স্বচক্ষে দেখে এবং জানে তাদের মনিব-মালিকরা কিভাবে খাচ্ছে এগুলো! আবার চাকরী হারা হয়ে বেতন আর বারো মাসে তেরো বোনাস খোয়া যায় কি না সে জন্য সরাসরি হালুম করেও খেতে পারে না; ওদের জন্য আবার রয়েছে আরেক সুযোগ! সেসব গোষ্ঠির পিয়ন-চাপরাশী হিসেবে এলাকার যতো সাপ্লাই আর পাইকারগুলা আছে ওদের সাথে থাকে গোলামদের কন্ট্রাক্ট – সন্ধ্যায় ভল্ট থেকে টাকা বের করে দেয় পাইকারদের, সারা রাত ভরে ক্যাশ-ব্যাসিসে কেনা বেচা করে নগদ লাভ করে পাইকাররা, আর সে লাভের একটা অংশ এবং ভল্ট থেকে নেয়া আসল টাকা সকালে গিয়ে গোলাম-সর্দারের কাছে বুঝিয়ে দিয়ে চলছে আরেক রমরমা ব্যবসা, সেটা আবার গোলামরা ভাগাভাগি করে খায়! মনিবরা জানে সব, কিন্তু কিছু বলে না, বলবেই বা কেন? সামান্যইতো? খাক ওরা ওদের-ই অনুগত গোলাম যে ওরা!

দেশের আইনশৃংখলা পরিস্থিতির সাথে এসবের সুন্দর একটা যোগসূত্র রয়েছে, মানে কেনো আইন-শৃংখলা পরিস্থিতির উন্নতি হয় না? এটা হলে তো সবাই বেহেশতী এক পরশ পাবে – অনেক মানুষইতো টাকা-পয়সা নিজের কাছেই রাখবে আর নিজেরা নিজেরা সোসাইটি করে অন্য প্ল্যান করবে এবং ব্যাংকে যাবে না; তাই মাঝে মাঝে ছিনতাই, চুরি, ডাকাতির মাধ্যমে প্রেশারে রাখতে হয় জনগণকে, নইলে ডিপোজিট করবে না তো; আর সামাজিকভাবে নিজেদের নিরাপত্তার ব্যবস্থা নিজেদেরও করতে দিবে না, কেননা তারা তো নতুন এক গোষ্ঠী হিসেবে দাঁড়িয়ে যাবে এতে করে।

এবার আসি সুদ এর প্রভাব নিয়ে, যেহেতু প্রিন্ট করে টাকা বাড়ানো ছাড়া সুদ দেয়ার আর দ্বিতীয় কোন রাস্তা নাই, তাই দেশের উৎপাদন এবং ভোগ একই অথবা কাছাকাছি লেভেলে থাকার ফলে জিনিসপত্রের মূল্য বাড়া ছাড়া এটা আর কোন কাজে আসে না! সব পণ্য-সম্পদে যে সমভাবে এর প্রভাব সাথে সাথেই পড়বে তাও না, গড়-পর্তায় সেটার প্রভাব যে কোনভাবেই হোক প্রাইসেই পড়ে আজ অথবা কাল। এছাড়াও সুদ ছাড়া রয়েছে আরও টাকা প্রিন্ট এর মওকা, সেটাও করা হয় বিভিন্ন সময়ে!

এখন দেখবো সাধারণ মানুষের উদ্দেশ্য – এখানে দুই ধরনের মানুষ আছে, একদল অধিক লাভের আসায় টাকা দ্বিগুন, তিনগুন করার লোভে ব্যাংকে টাকা রাখে; আরেকদল দেশের আইন-শৃংখলা পরিস্থিতির কারণে বাধ্য হয়েই ব্যাংক-লকারে টাকা এবং মূল্যবান জিনিসপত্র রাখে! এ টাকাগুলো যখন সেসব গোষ্ঠি লোন হিসেবে নিয়ে নেয়, সে টাকা ডিফর্মড হয়ে যায় পণ্যে; মানে লোনের টাকা নিয়ে মালপত্র/পণ্য ইম্পোর্ট করে ফেলে অথবা অন্য কোথাও বিনিয়োগ এতে করে সেটা আরেকজনের কাছে চলে যায়, ব্যাংকের বা ঋনগ্রহীতার মালিকানায় আর থাকে না এবং এসব লোনের অধিকাংশই দীর্ঘমেয়াদী। ব্যবসায়ী টাকা ফেরত দিবে না কি খেলাপী হবে সে ব্যাপারে ব্যাংক জানে না, জানলেও ওরা-ওরাই তো!

এবার দেখা যাক নাজুক পরিস্থিতিতে কি হয় এরকম সিষ্টেমে, মানে যুদ্ধ, দুর্ভিক্ষ অথবা এরকম সময় কি হয় ও হবে। সঞ্চয়ের টাকা তো লোন হিসেবে ইস্যু হয়ে গেছে, টাকার বদলে এসেছে বিদেশ থেকে মালামাল বা অন্যভাবে বিনিয়োগের ফলে টাকার মালিক আরেকজন; ঐরকম পরিস্থিতিতে ব্যাংক সমস্ত মানুষের ১০০% ডিপোজিট কোত্থেকে দিবে? সামান্য ঈদের সময়েই তো তাদের সামান্য কয়েকজনের মোট সঞ্চয়ের ১০/২০ পার্সেন্ট এর চাহিদা মেটাতে তারা হিমশিম খায়! এরকম পরিস্থিতিতে সারা বিশ্বেই প্রমান হয়েছে আরেকটা বিষয়ের – সেটা হচ্ছে মাত্রাতিরিক্ত ইনফ্লেশান। যেকোন দেশের যুদ্ধ এবং দুর্ভিক্ষের সময় দেখা যায় সেখানে জিনিসপত্রের দাম অত্যাধিক বেড়ে গেছে – এর আবার দুইটা কারণ, এক চাহিদার তুলনায় মালের সরবরাহ কম থাকায় প্রতিযোগীতা হয় ক্রেতাদের মধ্যে; দুই ব্যাংকগুলাতো টাকা দিতে পারার কথা না, তাহলে দাম এতো বাড়লো বা বাড়ে কিভাবে? কি আর করবে মান-ইজ্জত বাচাতে এবং এ সিষ্টেমটা ধরে রাখতে টাকশাল এর মতো প্রতিষ্ঠানতো সব দেশেই রয়েছে প্রিন্ট করে দিয়ে দিছে সঞ্চয়কারীদের সুদসহ, সবাই ১০০% বা কাছাকাছি সঞ্চয় ফেরত পেয়ে যায়, তাই মাত্রাতিরিক্ত ইনফ্লেশান হয়। এতে করে কি সঞ্চয়কারীদের আসলে কোন লাভ হয়? ইতিহাসবিদরা বলে গেছেন হয় না!

যারা গ্রামে-গঞ্জের জমিজমা বিক্রি করে অনেক আগে থেকেই এভাবে ব্যাংকে সঞ্চয় করে আসছে, তারা আজ থেকে ২০ বছর আগের গ্রামের ২০,০০০ টাকার জমির বর্তমান বাজারমূল্য এবং ২০ বছর আগের ২০,০০০ টাকা ডিপোজিট এর ব্যাংক-সুদে সুদাসল কতো হিসেব করে দেখলে নিশ্চিতভাবেই দেখা যাবে, সুদাসল এর চাইতে গ্রামের সেই জমির দামটাই বেশী!

আশা করি এর ধারাবাহিকতায় পরবর্তীতে আরও কিছু লেখা পোষ্ট করবো।

বিষয়: বিবিধ

২৯০৯ বার পঠিত, ৮ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

258765
২৭ আগস্ট ২০১৪ দুপুর ০২:৩৬
কাহাফ লিখেছেন : একাউন্টিং বিষয়ে ধারনা শুণ্য,বুঝি না কিছুই। সুদ কে এড়িয়ে চলার চেষ্টা সবারই কর্তব্য,এ বিষয়ে লিখুন সময় পেলে........। ধন্যবাদ।
২৭ আগস্ট ২০১৪ রাত ০৮:৫৭
202676
বুড়া মিয়া লিখেছেন : ধন্যবাদ কাহাফ ভাইকে, আশা করি এগুলো নিয়ে আমার ধারনা দিয়ে আরও কিছু লেখা লিখবো; বেশ ভালোই সময় কেটে যায় এতে করে।
258832
২৭ আগস্ট ২০১৪ বিকাল ০৪:৫২
মামুন লিখেছেন : সুদ এর প্রভাব, মুদ্রাস্ফীতি- এগুলো সম্পর্কে একটু ধারণা হল আপনার লেখা পড়ে। ধন্যবাদ এরকম একটি লিখার জন্য। শুভেচ্ছা রইলো। Rose Rose Good Luck
২৭ আগস্ট ২০১৪ রাত ০৮:৫৮
202680
বুড়া মিয়া লিখেছেন : এ থেকে আপনি নতুন কিছু জানতে পেরেছেন জেনে আমি আনন্দিত; ধন্যবাদ আপনাকে মামুন ভাই
258844
২৭ আগস্ট ২০১৪ বিকাল ০৫:২৭
সন্ধাতারা লিখেছেন : আসসালামুয়ালাইকুম। কঠিন বেড়াজালে আবদ্ধ, বাস্তব ও জীবনমুখী সুন্দর চেতনায় ভরপুর লিখাটি পড়ে অনেকেই উপকৃত হবে ইনশাল্লাহ।
২৭ আগস্ট ২০১৪ রাত ০৯:০০
202682
বুড়া মিয়া লিখেছেন : ওয়ালাইকুম আসসালাম বৌ-মা;

এসব সম্বন্ধে আমার জানা এবং ধারণা দিয়ে লেখা, কারও উপকার হলে সেটা আমার জন্য অবশ্যই আনন্দের।
258874
২৭ আগস্ট ২০১৪ সন্ধ্যা ০৬:০৯
সাদাচোখে লিখেছেন : অসম্ভব গুছিয়ে লিখেছেন। সুদ ও এ সংশ্লিষ্ট ইকোনমির জনকেরা - পাবলিককে শুষে নিঃড়ে নিতে - পুরো ব্যবস্থাপনাকে - জটিল যেমন করেছেন - তেমনি অনেক গোলকধাঁধাঁ ও তৈরী করেছেন।

আমার মনে হয় আপনি যদি একটা লিখায় অনেক গুলো বিষয় কাভার না করে - একটা কিংবা দুটা ইস্যুকে টার্গেট করেন - তবে পাঠকের উপকার হবে এবং তারা বুঝবেন - তারা কিভাবে প্রতারিত হচ্ছে প্যারালালী তারা জানবে কেন সুদ ভিত্তিক ইকোনমীটা ইসলামে হারাম।

ধন্যবাদ
২৭ আগস্ট ২০১৪ রাত ০৯:০৪
202685
বুড়া মিয়া লিখেছেন : এসব নিয়ে আমি আপনার লেখাও আশা করছি @সাদাচোখ ভাইয়া, হয়তো সেসব থেকে আরও কিছু তথ্য ও ধারণা পাবো।

চেষ্টা করবো সুদ নিয়ে আরও কিছু লিখতে।

অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File