মূলতঃ সাদাচোখ ভাইয়ার জন্য - তাকে অনেক ধন্যবাদ

লিখেছেন লিখেছেন বুড়া মিয়া ২১ আগস্ট, ২০১৪, ০৬:২৭:৩১ সন্ধ্যা

সাদাচোখ ভাইয়ের সাথে আলোচনায় এবং উনার রেফার করা একটি ওয়েবসাইটে ইমরান এন হোসাইন এর সুন্দর করে লেখা THE GOLD DINĀR AND SILVER DIRHAM: ISLAM AND THE FUTURE OF MONEY বইটা পড়ে একটা বিষয়ে আমার কিছু প্রশ্ন জেগেছে, সেটা সাদাচোখ ভাইয়ার কাছ থেকে অথবা এ বিষয়ে অন্য কেউ জেনে থাকলে তার থেকেও জানার জন্য এ পোষ্ট।

যতদূর জানি প্রত্যেকটা দেশই একটা মানি-ষ্টক-এ্যাকাউন্ট মেইন্টেইন করে অর্ডিনারী এ্যাকাউন্টিং প্রিন্সিপলে – এক্ষেত্রে আমাদের দেশের মানি-ষ্টক এ্যাকাউন্ট একবার দেখেছিলাম, তাতে পেয়েছি টোটাল কারেন্সী-ইন-সার্কুলেশন এর এ্যাগেইন্সটে রয়েছে গোল্ড, সিলভার, ফরেইন-কারেন্সী-রিজার্ভ, এস.ডি.আর.রাইট, গভর্নমেন্ট সিক্যুরিটি, ইত্যাদী। যেহেতু ফরেইন-কারেন্সী রিজার্ভের ইউ.এস-ডলার ইররিডীমেবল, এস.ডি.আর আমার কাছে এখনও ধোয়াশা আর গভর্নমেন্ট সিক্যুরিটি বলতে গেলে বেইজলেস, সেহেতু রিডীমেবল অপশন এক্সারসাইজ করতে দিলেও সামান্য কিছু গোল্ড আর সিলভারই পাওয়া যাবে আমাদের দেশে এবং হয়তো অন্যান্য দেশেও – এতে সন্দেহ নেই। শুধুমাত্র এইসব ব্যাপারগুলো নিয়ে আমাদের কোন ইসলামিক স্কলারের ভালো কোন বই পাবো, যাতে এসব বিষয় এবং নীচের প্রশ্নগুলো সম্বন্ধে ভালো ধারণা পাবো?

আমার জানার প্রশ্ন হচ্ছে –

(১) ফার্ষ্ট-টাইম যখন ইউ.এস.এ ব্রেটন উড ষ্ট্যান্ডার্ড বাদ দিলো তখন কি ব্যাসিসে সমস্ত দেশগুলা মানি-ষ্টক এ্যাকাউন্টের ব্যালেন্সগুলো এক দেশ আরেক দেশের সাথে এ্যাডজাষ্ট করলো? জেনারেলি-এ্যাক্সেপ্টেড-প্রিন্সিপল ছাড়াতো কোন দেশ মেনে নেয়ার কথা না বিষয়টা। ঐ এ্যাডজাষ্টিং-রুলটা এবং তখন কোন দেশের এ্যাকাউন্ট ব্যালেন্স কতো ছিলো এগুলো আমি জানতে পারবো কোথায়?

(২) প্রথম প্রশ্নের উত্তরে পাবো বর্তমান সিষ্টেমের বেইজ এ্যাকাউন্ট ব্যালেন্স। সেই ষ্টক থেকে একেক দেশ ষ্টক প্রিন্ট করে বাড়াচ্ছে এবং এভাবেই ইউ.এস.এ, ই.ইউ, চায়না এবং জাপানের ওয়ার্ল্ডের মানি-ইন-সার্কুলেশন এর ৭০-৮০ ভাগ ষ্টক হয়েছে বর্তমানে – এটার বাড়াটাতো কোন এ্যাক্সেপ্টেড-প্রিন্সিপল ছাড়া কোন দেশের মেনে নেয়ার কথা না, এই ক্ষেত্রে ইন্টারেষ্ট এর কারণে এ্যাডিশনাল ষ্টক বানাতে হয় – সেটা ডিসক্লোজড ইনফরমেশনের ভিত্তিতে, সবাই জানে; এর বাইরের প্রিন্টেড কুয়ান্টিটিরও তো সব দেশের একটা এক্সেপ্টেড ফ্লোর-ক্যাপ প্রিন্সিপল থাকার কথা, সেটা কোথায় পাবো? এবং অবশ্যই সে রেকর্ডের টাইম-সিরিজ মেইন্টেইন করা হয়, সে ডাটাবেজ আই.এম.এফ দিয়ে থাকলে সেটা পাবো কোথায় (আমি বেশ আগে চেষ্টা করে হয়তো না বোঝার কারণে পাইনি!)?

(২) প্রথম আর দ্বিতীয় উত্তরের পরে আরেকটা বিষয় এক্সচেঞ্জ-রেটের; অর্ডিনারী বইগুলোতে পাই পারচেজ-পাওয়ার-প্যারিটি, ইন্টারেষ্ট-রেট-প্যারিটি, কারেন্ট-এ্যাকাউন্ট-ব্যালেন্স, এ্যাবসুলুট ইনফ্লেশন ইত্যাদী কন্সিডার করে একটা কারেন্সী আরেকটার তুলনায় ষ্ট্রঙ্গার অথবা উইকার হয়; এর জন্য আসলে সব দেশের এ্যাক্সেপ্টেড রুল কি এবং সেটা কোথায় পাবো? এ প্রশ্নটা জেগেছে কারণ, দেখা যায় সকাল-বিকাল ফরেইন-এক্সেচঞ্জ-রেট চেইঞ্জ হচ্ছে, কিন্তু পারচেজ-পাওয়ার-প্যারিটি, ইন্টারেষ্ট-রেট-প্যারিটি, কারেন্ট-এ্যাকাউন্ট-ব্যালেন্স ইত্যাদীর ইনফরমেশন সকাল বিকাল আপডেট হয় না এবং ইন্ট্রিন্সিক-ভ্যালুলেস পেপার কারেন্সীকে ডিমান্ড-সাপ্লাই এর ইক্যুয়েশনে ফেলে রেট কারও মেনে নেয়ারও কথা না, যদিও মনে হয় ফ্লোটিং-এক্সচেঞ্জ-রেট এই ইক্যুয়েশনের ভিত্তিতেই হয়; এ জায়গাটায় আসলে কি হচ্ছে? কিসের ভিত্তিতে বাড়ছে কমছে? ইন্ট্রিনসিক-ভ্যালুলেস-কারেন্সী কে সব দেশ ডিমান্ড-সাপ্লাই ইক্যুয়েশনে তো মেনে নেয়ার কথা না।

আশা করি এসব বিষয়ে অজ্ঞ আমি কিছু হলেও জানতে পারবো।

বিষয়: রাজনীতি

১৬১৫ বার পঠিত, ১৭ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

256803
২১ আগস্ট ২০১৪ সন্ধ্যা ০৬:৫০
প্রবাসী আব্দুল্লাহ শাহীন লিখেছেন : উত্তরের অপেক্ষায় আমি ও থাকলাম
২১ আগস্ট ২০১৪ সন্ধ্যা ০৭:৪৭
200452
বুড়া মিয়া লিখেছেন : এইটা খুব জরুরী বিষয়, এ নিয়া মাঝে মাঝে কোথাও কোথাও হালকা মন্তব্য করতাম, কখনও সাড়া পাই নাই, সাদাচোখ ভাই এর দেখানো বই দিয়ে অনেক অজানা উত্তর পাওয়া গেছে – তাই আশা আরও গভীরে দেখার।
256816
২১ আগস্ট ২০১৪ সন্ধ্যা ০৭:৩১
আওণ রাহ'বার লিখেছেন : সাদাচোখে ভাইয়া একজন গবেষক এবং দূরদর্শী ব্লগার।
তার মন্তব্যগুলো অনেক ভালো লাগে।
তবে এই পোষ্টের বিষয়বস্তু মাথার উপ্রে দিয়া গেলো।
২১ আগস্ট ২০১৪ সন্ধ্যা ০৭:৪৫
200450
বুড়া মিয়া লিখেছেন : বইটা ডাউনলোড কইরা নাও, খুবই সুন্দর করে লেখা রেফারেন্স উদাহরণ সহ; আমি গুগলে সার্চ দিয়া একটা লিঙ্ক পাইছিলাম, মনে নাই, মাত্র ৪৯ পৃষ্ঠা – ১ ঘন্টার মামলা! অনেক সহজ করেই লেখা আছে – এইটার মতো মাথার উপরে দিয়া যাবে না নিশ্চিত।
256852
২১ আগস্ট ২০১৪ রাত ০৮:৪৮
আবু সাইফ লিখেছেন : খুব গুরুত্বপূর্ণ একটা প্রশ্ন

উত্তর জানার অপেক্ষায় থাকলাম

জাযাকাল্লাহ..


একটা সময় ছিল যখন এলটা প্রশ্ন মাথায় এলে তার জবাব না মেলা পর্যন্ত ছুটে বেড়াতাম-
এখন সে সুযোগ নেই Crying Crying Crying
২১ আগস্ট ২০১৪ রাত ১০:৪০
200527
বুড়া মিয়া লিখেছেন : ইমরান এন হোসাইন এর বইটা বেশ ভালো, আরও অনেক প্রশ্ন ছিলো আমার এসব বিষয়ে, সেগুলোর অনেকগুলার উত্তরই মনে হয় আমি সঠিকভাবেই পেয়েছি, আশা করি আপনিও সময় পেলে পড়ে দেখবেন।
256897
২১ আগস্ট ২০১৪ রাত ১০:৫৪
সাদাচোখে লিখেছেন : সকল প্রশংসা শুধুমাত্র আল্লাহর জন্যই। আপনি কিংবা আওন রাহবার ভাই - যে ভাবে আমাকে প্রশংসা করলেন - আমি আসলে তার উপযুক্ত নই। আমি রিসেন্টলী - ১ বছরেরও কম সময় হবে - অগোছালো ভাবে ইসলাম নিয়ে পড়াশোনা করার চেষ্টা করছি ও বোঝার চেষ্টা করছি - এবং ইতোমধ্যে এ্যামিউজড হয়েছি এর গভীরতা, এর ব্যাপ্তি ও এর বিচক্ষনতা দেখে।

এই ব্লগ এমন একটা প্ল্যাটফর্ম যেখানে আমি আপনাদের মত অনেক ট্রু মুসলিম এর চিন্তাধারার সাথেও যেমন পরিচিত হচ্ছি - তেমনি পশ্চিমা কনটেক্সটে মুসলিমদের দূর্বলতাগুলো সম্পর্কেও শিখছি।

আপনার প্রশ্নগুলোতে অনেক বেশী একাডেমিক টার্মস ব্যবহার করার কারনে এবং ঐ টার্মসগুলোর সবগুলো আমার জানা না থাকার কারনে এবং এই ফিল্ডে কাজ না করার কারনে - আমার উত্তরসমূহ যথাযথ না ও হতে পারে - টার্ম অনুযায়ী ভুল ও হতে পারে। সেজন্য প্রথমেই ক্ষমা চাইছি। তবে আমি আমার জানা শেয়ার করছি - যাতে আপনি নিজে তা একাডেমিক্যালী গুছিয়ে নিতে পারেন।

১) ফার্ষ্ট-টাইম যখন ইউ.এস.এ ব্রেটন উড ষ্ট্যান্ডার্ড বাদ দিলো তখন কি ব্যাসিসে সমস্ত দেশগুলা মানি-ষ্টক এ্যাকাউন্টের ব্যালেন্সগুলো এক দেশ আরেক দেশের সাথে এ্যাডজাষ্ট করলো? জেনারেলি-এ্যাক্সেপ্টেড-প্রিন্সিপল ছাড়াতো কোন দেশ মেনে নেয়ার কথা না বিষয়টা। ঐ এ্যাডজাষ্টিং-রুলটা এবং তখন কোন দেশের এ্যাকাউন্ট ব্যালেন্স কতো ছিলো এগুলো আমি জানতে পারবো কোথায়?

> ১৯৭১ সালের ১৫ই অগাষ্ট তারিখে প্রেসিডেন্ট নিক্সন শুধুমাত্র এই ঘোষনা দিয়েছিল যে, ইউএস ডলারের সাথে স্বর্নের ডাইরেক্ট কনভার্টিবিলিটি বাতিল করা হয়েছে। তিনি আর কিছু বলেন নি।

কিন্তু এর কনসিকোয়েন্স হল - বিভিন্ন দেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংক - থিউরেটিক্যালী - ঐ দিন হতে আমেরিকার সরকারকে আর প্রতি ৩৫ ইউ এস ডলার দিয়ে - তার বিনিময়ে যে ১ আউন্স স্বর্ন ফেরত পাবার কথা ছিল - তা পাবে না - যা ব্রিটন উডস এ্যাগ্রিমেন্ট এর আওতায় তারা দিতে বাধ্য ছিল।

এর ফলশ্রুতিতে, যা হবার কথা ছিল - কিন্তু হয়নি - ঐ দিন বিভিন্ন দেশ সমূহ তাদের ইউএস ডলার এর কারেন্ট ব্যালেন্সকে প্রতি ৩৫ ইউএস ডলার ইক্যুয়ালস টু ১ আউন্স স্বর্ন ধরে নিয়ে - তা তখনকার স্বর্নের বাজারমূল্য ৪০,৬২ ইউ এস ডলার দিয়ে গুন করে - অতিরিক্ত ইউএস ডলার নিজ একাউন্টে নিয়ে ব্রিটন উডসকে বাই বাই জানানো। কিন্তু কেউ তা করেনি - করার সুযোগ ছিল না।

কারন এটা ছিল অনেকটা ডেসটিনির 'ট্রি প্লানটেশান' প্রজেক্ট কিংবা অমন কোন প্রজেক্ট এর মত। যেখানে ডেসটিনি হল আমেরিকা। পৃথিবীর সরকার সমূহ হল ডেসটিনির এক একজন এজেন্ট কেউ গোল্ড, কেউ সিলভার আবার কেউ বা ব্রোন্জ এজেন্ট। আর জনগন হল প্লান্ট ক্রেতা (যদিও এ ক্ষেত্রে তারা জানেনা তাদের নামে প্লান্ট/ডলার কেনা হয়েছে - কারন তাদের কাছে প্লান্ট বা ডলার দেওয়া হয়নি - তাদের সামনে দেওয়া হয়েছে টাকা। সাধারন মানুষ ডলারের বিপরীতে স্বর্ন দেবে না - এর সাথে টাকার কোন সম্পর্ক খুজে পায় নি। আর সরকার সমূহ - যখন দেখলো এ তো তারা জালিয়াতির ফাঁদে আটকা পড়েছে - আর তাদের যুদ্ধে যাবার মুরোদ নেই - সো আর কি করা - লস মেনে নিয়েছিল। ঠিক যেমন আপনি আমি ১০০০ টাকা বন্ধুকে ধার দিয়ে এক বছর পর ১০০০ টাকা ফেরৎ পেয়ে বাজারে গিয়ে দেখি তা দিয়ে মূলতঃ ১ বছর আগের ৯০০ টাকা দিয়ে যা পাওয়া যেত তা পাচ্ছি। সরকার ১০০০ টাকায় - ১০০০ টাকায় পাচ্ছিল কিন্তু স্বর্নের দামের সাথে এ্যাডজাস্ট করতে গিয়ে দেখে প্রতি ৩৫ ডলারের জায়গায় স্বর্ন কিনতে গিয়ে কিংবা গুডস এন্ড সার্ভিসেস কিনতে গিয়ে তাকে এক্সট্রা ৫,৬২ ডলার দিতে হচ্ছে।

বাকি দুটো প্রশ্নের উপর আমার কমেন্ট বাসায় ফিরে দেবার চেষ্টা করবো ইনশাল্লাহ।
২১ আগস্ট ২০১৪ রাত ১১:২৯
200556
আবু সাইফ লিখেছেন :

ইউএস ডলারের সাথে স্বর্নের ডাইরেক্ট কনভার্টিবিলিটি বাতিল করার ডাকাতিটা কি সব দেশই নীরবে মেনে নিয়েছিলো??

নাকি কারো কারো সাথে আমেরিকার আন্ডার-ডেস্ক/ অন্য কোনভাবে লেনেদেন হয়েছিলো??
২২ আগস্ট ২০১৪ রাত ১২:৫৬
200590
সাদাচোখে লিখেছেন : ভিয়েতনাম যুদ্ধে যে হারে আমেরিকা খরচ করছিল - তা দেখেই মূলতঃ ব্রিটিশ সরকারের সন্দেহ জেগেছিল - এবং ব্রিটিশ সরকার এর প্রধানমন্ত্রী এ ইস্যুতে ওয়াশিংটন গিয়েছিল - এমন সংবাদ ডকুমেন্টেড।

ইউ এস প্রেসিডেন্ট - এ্যবনরমালী অতিরিক্ত সময় কেম্প ডেবিড কাটিয়েছিল - বৃটিশ প্রধানমন্ত্রীকে সময় না দিয়ে - এটাও ডকুমেন্টেড এবং সেখান হতে ফিরে উপরোক্ত ডিক্লারেশান দিয়েছিল - এটাও ডকুমেন্টেড। সে সাথে এটাও ডকুমেন্টেড ১৯৪৫ এ ব্রিটন উডস এ্যাগ্রিমেন্ট এ বৃটেন আগ বাড়িয়ে নিজের পাউন্ড - যার স্ট্যাটাস তখন ইউএস ডলারের মত ছিল - তা বাদ দিয়ে ইউএস ডলারকে বেইজ করার আহ্বান জানায় - যাতে ফ্রান্স ভেটো দেয়। কিন্তু মিডেল ইস্ট এর মুসলিম লিডারশিপ!রা যেহেতু বৃটেনের দিকে ছিল - বাধ্য হয়েই - সে এ্যাগ্রিমেন্ট পাশ হয়েছিল।

আর একটা নিউজ এমন আছে যে - যেখানে ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট চার্লস দ্যা গল ব্রিটন উডস এ্যাগ্রিমেন্ট হতে বের হয়ে আসতে চেয়েছিলেন - এমন কিছু একটার অভিযোগে - পরে সে রেসিসটেন্স কনটিনিউ করে নি।

সো ইসরাইল, বৃটেন, কানাডা, নন ইউরো এক্সেপটিং ন্যাশানস যেমন ডেনমার্ক, নরওয়ে ইত্যাদি ও অস্ট্রেলিয়া এবং নিউজিল্যান্ড! একটা ভাগ পাওয়ার সম্ভাবনা আমি সিরিয়াসলী বিশ্বাস করি ও অনুভব করি। কারন আপনি স্ক্যামিং করবেন, পৃথিবীর মানুষের টাকা লুটে নিবেন জালিয়াতি করে - আর কিছু চামছাকে ভাগ দেবেন না - তা হয় না।

আমি এমন কমেন্ট ও শুনেছি - ইসরাইলের প্রতি সিটিজেন অনুযায়ী আমেরিকান সরকার বছরে যে ১৭০০ +/- ডলার দান করে - তা মূলতঃ ১। এই আয়ের টাকা - ২। গ্লোবাল সুদ হতে উপার্জিত টাকা ৩। মিডিল ইস্ট এ অস্থিতিশীলতা নিশ্চিত করার কারনে তেল বিক্রি হতে এক্সট্রা যে রেভিনিউ নিশ্চিত হয় তার বখরা ইত্যাদি।
২২ আগস্ট ২০১৪ সকাল ০৯:০৯
200663
বুড়া মিয়া লিখেছেন : সব দেশের প্রতিনিধিদের সুইজারল্যান্ডে বসে সেন্ট্রালী নীতি-নির্ধারণ, ফ্র্যাকশনাল-রিজার্ভ-ব্যাংকিং সিষ্টেমে সামান্য একটা লিক্যুইডিটি, ক্যাশ রিজার্ভ মেইন্টেইন করে ইন্টারেষ্টের মূলা ঝুলিয়ে সাধারণ মানুষের সঞ্চিত অর্থ স্বেচ্ছায় প্রদানে উদ্বুদ্ধ করে তাদের নিজেদের পরিচালিত ব্যাংকের মাধ্যমে সে টাকাগুলোর বেনিফিট পুরোপুরি নিতে তারা যে কার্য্যক্রম চালাচ্ছে এতে কোনই সন্দেহ নাই এবং যে কোন প্রতিকূল পরিস্থিতিতে এসব সাধারণ সঞ্চয়কারীরারা যে তাদের অর্থও কখনো ফেরত পাবে না, সেটাও পরিস্কার।

এসব দেখে মনে হয় অর্থ বিষয়টা একটা পরিবারই যেন কন্ট্রোল করছে সারা বিশ্বে, আর প্রত্যেক দেশের প্রতিনিধিরা সে পরিবারেরই সদস্য। মুস্লম দেশগুলোর প্রতিনিধিরা যেন এ পরিবারের সদস্য হওয়ার জন্য মরিয়া হয়ে উঠেছে এবং নিজের দেশে কন্ট্রোলিং পাওয়ারে বসে যেন ছোট্ট একটা মুদী-দোকান এর মতো দেশ চালাচ্ছে – আর এ মুদী দোকানের লাভ দিয়ে, গ্রাহককে প্রতারিত করে – পারিবারিক কর্তাদের দেশে তাদের ব্যক্তিগত আর্থিক বিনিয়োগ করে তাদের পরিবারেরই উন্নতি করে যাচ্ছে সম্মিলিতভাবে।

আনষ্ট্যাবল মানি নিয়ে জেনেভায় ফিশারের দেয়া একটা লেকচার দিয়ে ‘The Money Illusion’ নামে একটা ছোট্ট বই যে রচনা করেছে, সেটায় এ ডিভ্যাল্যুয়েশনের এক্সাম্পল এবং ইফেক্ট ভালোভাবেই তুলে ধরেছে। পলিটিক্যাল-ইকোনোমিষ্টরা ষ্ট্যাবল-মানি এর বুলি আওড়িয়ে সাধারণ মানুষকে প্রতারিত ও প্রভাবিত করে এভাবেই তাদের স্বার্থ উদ্ধার করে যাচ্ছে আর আমরা অপারগ হয়ে নির্বিকারভাবে এসবের স্বাক্ষী থেকে যাচ্ছি!
২২ আগস্ট ২০১৪ বিকাল ০৫:৩১
200804
সাদাচোখে লিখেছেন : আপনার নিচের কমেন্টের অংশটুকু - পুরো মনিটরী ব্যবস্থার একটা 'চমৎকার এ্যাট এ গ্লান্স ভিউ' এর মত।

এসব দেখে মনে হয় অর্থ বিষয়টা একটা পরিবারই যেন কন্ট্রোল করছে সারা বিশ্বে, আর প্রত্যেক দেশের প্রতিনিধিরা সে পরিবারেরই সদস্য। মুস্লম দেশগুলোর প্রতিনিধিরা যেন এ পরিবারের সদস্য হওয়ার জন্য মরিয়া হয়ে উঠেছে এবং নিজের দেশে কন্ট্রোলিং পাওয়ারে বসে যেন ছোট্ট একটা মুদী-দোকান এর মতো দেশ চালাচ্ছে – আর এ মুদী দোকানের লাভ দিয়ে, গ্রাহককে প্রতারিত করে – পারিবারিক কর্তাদের দেশে তাদের ব্যক্তিগত আর্থিক বিনিয়োগ করে তাদের পরিবারেরই উন্নতি করে যাচ্ছে সম্মিলিতভাবে।
256925
২২ আগস্ট ২০১৪ রাত ১২:৩৮
সাদাচোখে লিখেছেন : (২) প্রথম প্রশ্নের উত্তরে পাবো বর্তমান সিষ্টেমের বেইজ এ্যাকাউন্ট ব্যালেন্স। সেই ষ্টক থেকে একেক দেশ ষ্টক প্রিন্ট করে বাড়াচ্ছে এবং এভাবেই ইউ.এস.এ, ই.ইউ, চায়না এবং জাপানের ওয়ার্ল্ডের মানি-ইন-সার্কুলেশন এর ৭০-৮০ ভাগ ষ্টক হয়েছে বর্তমানে – এটার বাড়াটাতো কোন এ্যাক্সেপ্টেড-প্রিন্সিপল ছাড়া কোন দেশের মেনে নেয়ার কথা না, এই ক্ষেত্রে ইন্টারেষ্ট এর কারণে এ্যাডিশনাল ষ্টক বানাতে হয় – সেটা ডিসক্লোজড ইনফরমেশনের ভিত্তিতে, সবাই জানে; এর বাইরের প্রিন্টেড কুয়ান্টিটিরও তো সব দেশের একটা এক্সেপ্টেড ফ্লোর-ক্যাপ প্রিন্সিপল থাকার কথা, সেটা কোথায় পাবো? এবং অবশ্যই সে রেকর্ডের টাইম-সিরিজ মেইন্টেইন করা হয়, সে ডাটাবেজ আই.এম.এফ দিয়ে থাকলে সেটা পাবো কোথায় (আমি বেশ আগে চেষ্টা করে হয়তো না বোঝার কারণে পাইনি!)?

>>>> আমি যদি ভুল না করি - আপনি আপনার উপরের বিশ্লেষন করেছেন - অনেকটা এমন ভেবে যে, ১৯৭১ এর আগষ্ট এর পর প্রতিটি দেশ কম্পিলিটলী নতুন করে - নিজস্ব একটা মনিটরী পলিসি এ্যাডাপ্ট করেছে। মূলতঃ কোন দেশ ই কোন কিছুতে র‍্যাডিকেল কোন পরিবর্তন আনে নি - তারা একই ভাবে
১। অন্যান্য রিজার্ভ এর প্যারালালে ইউ এস ডলার ও রিজার্ভে রেখে লোকাল কারেন্সি প্রডিউস করছে।
২। এখনো ডলারকে ইন্টারন্যাশানাল ট্রেডিং এর মেইন নির্ধারক রেখেছে।
৩। এখনো ব্রিটন উডস এ্যাগ্রিমেন্ট এর আওতায় আইএমএফ এর ডিকটেশানের মধ্যে থেকেই কাজ করতে হচ্ছে - এবং আই এম এফ কনস্ট্যান্ট মনিটরিং এ রাখছে প্রতিটি দেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংকে।

এর মধ্যে এক্সেপশান হল - স্মার্ট দেশ সমূহ - ব্রিটন উডস প্রতারনা দলিল হতে মুক্তির জন্য -
১। বিকল্প মুদ্রায় লেনদেন করার চেষ্টা করে সুযোগ পেলে।
২। ডলার রিজার্ভ কমিয়ে গোল্ড, ইউরো ইত্যাদিকে রিজার্ভ করে লোকাল কারেন্সি প্রিন্ট করে।
৩। অতি স্মার্টরা গোল্ড ও সিলভার কয়েন চালু করতে যায় - এবং আই এম এফ এর ওয়ার্নিং পেলে ফিরে আসে। আর না ফিরলে যুদ্ধের মুখোমুখি হয়।


(২) প্রথম আর দ্বিতীয় উত্তরের পরে আরেকটা বিষয় এক্সচেঞ্জ-রেটের; অর্ডিনারী বইগুলোতে পাই পারচেজ-পাওয়ার-প্যারিটি, ইন্টারেষ্ট-রেট-প্যারিটি, কারেন্ট-এ্যাকাউন্ট-ব্যালেন্স, এ্যাবসুলুট ইনফ্লেশন ইত্যাদী কন্সিডার করে একটা কারেন্সী আরেকটার তুলনায় ষ্ট্রঙ্গার অথবা উইকার হয়; এর জন্য আসলে সব দেশের এ্যাক্সেপ্টেড রুল কি এবং সেটা কোথায় পাবো? এ প্রশ্নটা জেগেছে কারণ, দেখা যায় সকাল-বিকাল ফরেইন-এক্সেচঞ্জ-রেট চেইঞ্জ হচ্ছে, কিন্তু পারচেজ-পাওয়ার-প্যারিটি, ইন্টারেষ্ট-রেট-প্যারিটি, কারেন্ট-এ্যাকাউন্ট-ব্যালেন্স ইত্যাদীর ইনফরমেশন সকাল বিকাল আপডেট হয় না এবং ইন্ট্রিন্সিক-ভ্যালুলেস পেপার কারেন্সীকে ডিমান্ড-সাপ্লাই এর ইক্যুয়েশনে ফেলে রেট কারও মেনে নেয়ারও কথা না, যদিও মনে হয় ফ্লোটিং-এক্সচেঞ্জ-রেট এই ইক্যুয়েশনের ভিত্তিতেই হয়; এ জায়গাটায় আসলে কি হচ্ছে? কিসের ভিত্তিতে বাড়ছে কমছে? ইন্ট্রিনসিক-ভ্যালুলেস-কারেন্সী কে সব দেশ ডিমান্ড-সাপ্লাই ইক্যুয়েশনে তো মেনে নেয়ার কথা না।

>>> বিনিময় মূল্য বাড়ে কমে কেন? এ প্রশ্নের সাথে মুদ্রাস্ফীতি সহ - মনিটরী সিস্টেম এর আর যে সমস্ত টার্মস আছে - তার একটা সেন্স পাবেন - যদি আপনি আধুনিক ব্যাংকিং, সুদ ও এ দুটোর শেষ জামানার উৎপত্তি, এর কন্ট্রোল মেকানিজম সম্পর্কে ফ্যাক্টচুয়াল তথ্য বের করতে পারেন। এর জন্য আপনাকে স্যেকুলার সোর্স হতে সাহায্য নিতে হবে - বিশেষ করে যারা খাযারস্‌, ইলোমিনাটিস, আধুনা যিয়োনিস্টদের বিরুদ্ধে কাজ করছে - তাদের গবেষনা কর্ম, ডকুমেন্টারীগুলো দেখতে হবে।

এর জন্য আপনাকে বুঝতে হবে, কিংবা জানতে হবে আমরা যেটাকে আমেরিকার কেন্দ্রীয় ব্যাংক বলি 'ফেডারেল রিজার্ভ সিস্টেম' - সেটা মূলতঃ কিভাবে যিয়ুশ একজন ব্যাক্তির ট্যেকনিক্যালী ওনারশীপে চালু হয় এবং কখনো এর মালিকানা আমেরিকান গভার্নমেন্ট পায় না। কেন আমেরিকান গভার্নমেন্ট ডলার চাপাতে পারে না, কেন আমেরিকান সরকারকে টাকার দরকার হলে আমেরিকান জনগনের হয়ে ফেডারেল রিজার্ভ সিস্টেম এর কাছে লোন চাইতে হয় এবং ট্রেজারী বন্ড দিতে হয়, কিভাবে তারপর ঐ ডলার পৃথিবীর মূল টাকা নিয়ন্ত্রনকারী ৪-৬টি জিয়ুশ ব্যাংক চেইনের মাধ্যমে (অনেকটা যিয়ুশ মিডিয়ার মত) ইন্টারেস্টকে টুলস হিসাবে ব্যবহার করে - কিভাবে টোটাল বিশ্ব ইকোনমির ব্রেথ নিয়ন্ত্রন করে তথা এজেন্ডা তৈরী করে।

যদি আপনি তা জানেন - তখন বুঝবেন মনিটরী পলিসির বেশীর ভাগ টার্মস গুলো হল - ঠিক অমন কিছু টার্মস - যার মাধ্যমে ফ্রন্ট পিকচারকে ভাল দেখিয়ে রাখা হয়, কনফিউজড করা হয় এবং ট্রুথ কে হাইড করা হয় এবং একাডেমিক আলোচনায় গোলক ধাঁধাঁ তৈরী করা হয়।

আমি যখন ফেডারেল রিজার্ভ সিস্টেমের বিষয়টা প্রথম জেনেছিলাম - অবিশ্বাস করেছিলাম। তারপর অনলাইনে ঘাটাঘাটি করতে গিয়ে ব্যাপারটা বুঝে অবাক হয়েছিলাম।

পরে যখন মনে হয়েছিল গভার্নমেন্টগুলো কেন তা মেনে নিচ্ছে। এ নিয়ে পড়তে গিয়ে দেখলাম - সুদ হচ্ছে মেইন ফ্যাক্টর আর তারপর হল - যুদ্ধবাজ আমেরিকার নার্ভ নিয়ে টানাটানির ভয়।

আর ইমরান হোসাইনের বক্তব্য শুনে বুঝলাম - এটা ডিভাইনলী সেট করা হয়েছে - বিপথগামী মানুষের উচিত শিক্ষা দেবার জন্য, সুদকে আপন করে নেবার জন্য।
২২ আগস্ট ২০১৪ সকাল ০৯:১৩
200664
বুড়া মিয়া লিখেছেন : এসব ব্যাপারে আমি সামান্য কিছু পড়েছি নেটেই এখনও পারলে মাঝে মাঝে পড়ি, আপনার দৃষ্টিতে আমার এবং আমাদের উপকার হবে বলে মনে করলে কিছু রিসার্স-লেকচারের লিঙ্ক আমাদের সাথে শেয়ার করলে আশা করি আমরা এসব বিষয়ে আরও কিছু তথ্যসমৃদ্ধ জ্ঞান অর্জন করতে পারবো।
২২ আগস্ট ২০১৪ বিকাল ০৫:৩২
200805
সাদাচোখে লিখেছেন : ইনশাল্লাহ্। আমি পেলে শেয়ার করবো।
257079
২২ আগস্ট ২০১৪ দুপুর ০৩:০৪
চেতনাবিলাস লিখেছেন : কস্ট করে আমার
পাতায় গিয়ে কবিতা পড়ে কমেন্ট
করে আমাকে উত্সাহিত করার জন্য
আপনাকে মুবারকবাদ জানাচ্ছি।
আমি মোবাইল থেকে ব্লগিং করছি। আমার
মোবাইল থেকে আমার পোস্ট এ করা কমেন্ট এর জবাব
দেয়া যায়না। তাই আপনার বাড়িতে এলাম।
২২ আগস্ট ২০১৪ দুপুর ০৩:৪৪
200769
বুড়া মিয়া লিখেছেন : অনেকেইতো দেখা যায় মোবাইল থেকে কমেন্টের রিপ্লাই দিতে পারে; এ ব্যাপারে কে কে যেন পোষ্টও দিয়েছিল, সেটা অবশ্য এখন মনে পড়ছে না।
২২ আগস্ট ২০১৪ বিকাল ০৫:২১
200799
আহ জীবন লিখেছেন : @ চেতনা বিলাস ব্লগার আওন রাহবারের একটি পোস্ট আছে মোবাইল ব্লগিং এর উপর পড়ে দেখতে পারেন। উপকার হতেও পারে।

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File