শেয়ারবাজার ও ঢাকা ষ্টক এক্সচেঞ্জ
লিখেছেন লিখেছেন বুড়া মিয়া ১৯ আগস্ট, ২০১৪, ০৬:৩৮:১১ সন্ধ্যা
প্রত্যেক কর্মদিবসের শুরুতে ঢাক ষ্টক এক্সচেঞ্জ (ডি.এস.ই) কে দেখি একটা সংবাদ প্রকাশ করে বিনিয়োগকারীদেরকে সচেতন করতে, যা তাদের ভাষায় –
Good morning hon'ble Investors; make your investment decision based on company fundamentals, technical analysis, price level, disclosed information; and avoid rumor based speculations
এখানে দেখা যায় নিম্নলিখিত বিষয়ের উপর ডি.এস.ই (পরবর্তীতে ডি.এস.ই-কে লেখা হবে আপনারা/আপনাদের) অত্যন্ত জোর দিয়ে (ট্রেড শুরুর আগেই) প্রত্যেক কর্মদিবসে লিখিতভাবে বলে, এগুলো বিচার-বিবেচনা করে বিনিয়োগীচ্ছুককে বিনিয়োগ করেতেঃ
১) ফান্ডামেন্টাল
২) টেকনিক্যাল এ্যানালাইসিস
৩) প্রাইস লেভেল
৪) ডিসক্লোজড ইনফর্মেশন
এবং সর্বশেষ বিনিয়োগে ইচ্ছুকদেরকে আপনারা উপদেশ দিয়েছেন ফটকা-কারবারীদের রিউমারে ফটকামী (speculations) না করতে!
এসব বিষয় নিয়ে চিন্তা করে দেখলাম – আপনাদের ইচ্ছা এবং উদ্দেশ্য অত্যন্ত সৎ এবং প্রশংসনীয়। যার যার মতো করে গবেষনা করে – বুঝে বিনিয়োগ করবে তারা এবং তাই করা উচিৎ, কিন্তু আপনারা এ লক্ষ্যে কি করেছেন বিনিয়োগকারীদের জন্য তা দেখতে গিয়ে কিছু জিনিস বলতে হয়।
আমার জানামতে, দেশের প্রত্যেকটা লিষ্টেড কোম্পানী (কোম্পানী, মিউচুয়াল ফান্ড, বন্ড-ডিবেঞ্চার ইস্যুয়ার) আপনাদের কাছে তাদের ফিনান্সিয়াল এবং প্রাইস-সেন্সিটিভ-ইনফর্মেশন দিতে বাধ্য এবং তা যে আপনাদের কাছে দেয়, তা আপনাদের ওয়েবেসাইটে প্রদর্শিত কিছু ক্ষুদ্র তথ্য বিশ্লেষনে এবং নিউজে প্রমাণিত হয়। আপনাদেরকে দেয়া ছাড়াও কোম্পানীগুলো বিভিন্ন সময়ে মন চাইলে তাদের হিসাবপত্র শেয়ারহোল্ডারদেরও রিপোর্ট আকারে পৌছে দেয়।
যেহেতু আপনাদের উপদেশটা বিনিয়োগে ইচ্ছুকদের প্রতি, ধরে নিতে হবে বিনিয়োগে ইচ্ছুকরা এখনও সেসব কোম্পানীতে বিনিয়োগকারী হয়-নি, তাই তারা কোম্পানীগুলোর শেয়ারহোল্ডার (শেয়ার, বন্ড, ফান্ড, ডিবেঞ্চার) না, ফলে তাদের কাছে কোম্পানীগুলো ফিনান্সিয়াল ইনফর্মেশন পাঠায় না, তবে কোন কোন কোম্পানী পত্র-পত্রিকা ও অন্যান্যভাবে ফিনান্সিয়াল ইনফর্মেশন বা আর্থিক প্রতিবেদন ছাপিয়ে থাকে। আইনানুযায়ী সবারই নানাভাবে প্রদর্শনের কথা থাকলেও বেশীরভাগই সেসব ইউজলেস-আইন মানে না এবং এতে করে স্বাভাবিকভাবেই আমার বোধ হয় - এ সংশ্লিষ্ট কারও এ বিষয়ে কিছু করার নাই! তবে আপনাদের করার আছে কারণ আপনাদের কাছে তথ্য আছে, প্রদর্শনের সামর্থ্য রয়েছে এবং উপদেশও দেন। আপনাদের ওয়েবসাইটে প্রদত্ত বিভিন্ন তথ্য দেখে যা বোঝা যায়, তাতে করে আপনাদের কাছে রয়েছে –
১) প্রত্যেকটা কোম্পানীর বাজারে প্রবেশের পূর্বেই তার আর্থিক ও অন্যান্য ইতিহাস-সম্বলিত নানাবিধ রিপোর্ট।
২) প্রত্যেকটা কোম্পানীর ত্রৈমাসিক, ষান্মাসিক, নৈমাসিক এবং বাৎসরিক আর্থিক-হিসাব।
তাই আপনারা ইচ্ছা করলেই এসব বিষয় বিনিয়োগে ইচ্ছুকদের প্রদান করতে পারেন। যেহেতু এসবের তথ্যভান্ডার আপনাদের কাছে থাকা সত্ত্বেও আপনারা প্রদর্শন না করে, বিনিয়োগে ইচ্ছুকদের প্রতিদিন উপোরোল্লিখিত উপদেশ দিয়ে থাকেন, তাই আপনাদের কাছে আবেদন সেগুলো প্রকাশ করুন, বিনিয়োগকারীরা যেন এক জায়গা থেকেই রেগুলার সব তথ্য পায়।
আপনারা সামান্য যা কিছু তথ্য প্রদান করেন ওয়েবসাইটের মাধ্যমে তা থেকে বোঝা যায় আপনাদের কাছে এসব তথ্যসমৃদ্ধ ইলেকট্রনিক-ডাটাবেজও রয়েছে এবং তা নিয়মিত আপডেট করেন বলেও প্রতীয়মান হয়, কিন্তু ষ্ট্রাকচারড-ফর্মে তা দেন না কেনো? সম্পূর্ণ তথ্য থেকে কিছু কিছু বিচ্ছিন অংশ সময়-বিশেষ নিউজ আকারে ওয়েবসাইটে দিয়ে থাকেন দেখা যায়। ওয়েবসাইটে সব তথ্যের একটা সার্ভার এবং ডাটাবেজ ম্যানেজার চালাতে বলতে গেলে আপনাদের মতো প্রতিষ্ঠানের খুব বেশী খরচও হবে না!
এসব তথ্য-তো বিনিয়োগকারীরা একসাথে পাওয়ার আর কোন জায়গা নেই। ৫০-১০০ টাকা দরে আপনাদের প্রতিষ্ঠানের নীচে কিছু কোম্পানীর অল্প কিছু বছরের হিসাবাদি পাওয়া যায়, সব-তো সেখানে পাওয়া যায় না। এসবের সবই তো আছে আপনাদের কাছে, সেসব না দিয়ে খালি নিউজে এরকম উপদেশ প্রদান-তো প্রযুক্তির এ-যুগে বড়ই বেমানান। আপনাদের ওয়েবসাইটে সেসব তথ্য দিয়ে যা করেছেন তা হচ্ছে –
১) ফান্ডামেন্টালঃ কোম্পানী বাজারে আসার আগের এবং পরের সব ফিনান্সিয়াল ইনফর্মেশন আপনাদের কাছে থাকা সত্ত্বেও দেখুন কি দিয়েছেন আর দেন-নিঃ
[img]
টীকা-১ টার্ণওভারের ক্ষেত্রে এ্যবসলুট ডাটা না দিয়ে মিলিয়নে ট্রানকেটেড ডাটা দিয়েছেন তাও খালি রিসেন্ট চারটা কুয়ার্টারের; আগের ইনফর্মেশন কিছুই দেন-নি, এতে করে হিষ্টোরিক্যাল ট্রেন্ড এর কিছুই বোঝার নাই বিনিয়োগে ইচ্ছুকদের!
টীকা-২ নেট-লাভের ক্ষেত্রেও ট্রানকেটেড ডাটা দিয়েছেন ২০০০ সাল থেকে, আগের গুলোর কোন হদীস পাওয়া যায় না আপনাদের ওয়েব-সাইটে!
টীকা-৩ ক্যাপিটাল এর ক্ষেত্রে লেটেষ্ট অথোরাইজড এবং পেইড ক্যাপিটাল দিয়েছেন, পূর্ব-বছরগুলোর তথ্য না দেয়ায় এসবের হিষ্টোরিক্যাল চেঞ্জ জানার কোন উপায় নাই!
টিকা-৪ রিসেন্ট রিজার্ভ এ্যান্ড ব্যালেন্স খালি দিয়েছেন, আগেরগুলোর কোন খবর এক্ষেত্রেও নেই! এবং যা দিয়েছেন তার কম্পোজিশন জানার উপায় নাই!
টীকা-৫ রাইট এবং বোনাস শেয়ারের ক্ষেত্রে খুব সম্ভবত যথাক্রমে ১৯৯২ এবং ১৯৮৩ সাল থেকে শুধু লিষ্টেডগুলোর ইনফর্মেশন দিয়েছেন, আর ক্যাশ ডিভিডেন্ড এর ক্ষেত্রে ইনফর্মেশন দিয়েছেন ২০০০ সাল থেকে!
২) প্রাইস লেভেলঃ এগুলোর হিষ্টোরিক্যাল ডাটাবেজ থেকে খুব সামান্যই, মানে ২০১২ সাল থেকে এ পর্যন্ত আপনারা দিয়েছেন; অথচ আপনাদের কার্য্যক্রম শুরু হয়েছে সেই পাকিস্তান আমলে। পাকিস্তান আমল থেকে আপনারা দিন তা আমি বলি না, তবে সেটাও দিলে ভালো, অন্তত বাংলাদেশ আমলের সব ডাটা তো দিতে পারেন। যাও একটু দিয়েছেন তা শুধু ইলেকট্রনিক মার্কেটের, ওভার দ্যা কাউন্টার ট্রেডের কোন ষ্ট্রাকচারড ইনফর্মেশন নেই এবং যেগুলো ডিলিষ্টেড হয়ে গেছে সেগুলোর কোন তথ্য-উপাত্ত দেন-নি! মার্জ হয়ে যে কোম্পানীগুলো চলছে মার্জারের আগের সে কোম্পানীগুলোর কোন উপাত্তও দেন-নি!
৩) টেকনিক্যাল এ্যানালাইসিসঃ এটা আপনারা আরও গভীরভাবে করে দিলে ভালো, না দিলে কোন দোষ দিবো না, যে পারে করে নিবে – না পারলে নাই; শুধু প্রাইস-ভলিউমের টেকনিক্যাল এ্যানালাইসিস কেউ করতে চাইলেও সে তথ্য সে/তারা আপনাদের ওয়েবসাইট থেকে পাবে না, কারণ সে-গুলো আপনারা যে দেন-নি, তা উপরে বলেছি। আর ফান্ডামেন্টাল-ডাটা নিয়ে টেকনিক্যালী, যাকে অনেকেই ফান্ডামেন্টাল এ্যানালাইসিস বলে, বিনিয়োগে ইচ্ছুকরা কিভাবে কি ক্যালকুলেট করবে? আপনারা সেসবের কি দিয়েছেন আর দেন-নি, তাও উপরে বলেছি।
৪) ডিসক্লোজড ইনফর্মেশনঃ এটা আপনারা নিউজ আকারে দিয়ে থাকেন, উল্লেখযোগ্য কোন আপত্তি আপাতত নাই এতে।
৫) এছাড়াওঃ আপনাদের বাজারে কতো সাইনবোর্ড-সর্বস্ব কোম্পানী এলো গেলো (ডিলিষ্টেড) সে সম্বন্ধেও আপনাদের কাছে তথ্য থাকা সত্ত্বেও আপনারা তা দেন–নি, এতে করে বিনিয়োগিচ্ছুকরা এ বাজারের ইতিহাস নিয়েও কোন এ্যানালাইসিস করতে অক্ষম।
৬) আপনাদের অন্যান্য কার্য্যক্রমঃ দেখা যায় কি কি বই যেন আপনারা বের করে বিক্রি করে থাকেন ডি.এস.ই এর মাধ্যমেই, সেগুলো মূলত তেমন কোন কাজের না! তবে আপনারা সেটা করতে পারেন আপনাদের গবেষকদের দিয়ে – তাতে আপত্তি নেই! কাজের না এই জন্যই বললাম তাতে কোন ফান্ডামেন্টাল কিংবা টেকনিক্যাল এ্যানালাইসিস নাই, সামান্য কিছু ডাটা ডাটাবেজ থেকে নিয়ে প্রিন্ট করেন আর সাথে কিছু গতানুগতিক বক্তব্য জুড়ে দেন! এছাড়াও কিছু মাসিক রিপোর্ট দেন ওয়েবে তাও যথাসময়ে আপডেট হয় না!
৭) কিছু ক্যালকুলেশনঃ যেমন নেট এ্যাসেট ভ্যালু পার শেয়ার, কন্টিনিউইং অপারেশনাল ইনকাম ইত্যাদী; এগুলোতে আপনারা একেবারে ব্যালেন্স-শীট আর প্রফিট এ্যান্ড লস এ্যাকাউন্ট ছিড়ে-ছেচে ক্যালকুলেশন করেন! এ ধরনের টার্ম বেশীরভাগ বিনিয়োগকারী বুঝেই না এবং বোঝার জন্য কোন নোটও আপনারা দেন-নি – ক্যালকুলেটেড তথ্য দিয়েছেন সেটা ভালো, কিন্তু বেশিরভাগ বিনিয়োগকারী যা বুঝে, মানে আপনাদের কাছে থাকা ফিনান্সিয়াল ষ্টেটমেন্ট এর বিভিন্ন ম্যাজর-লাইন-আইটেমগুলো আপনারা দেন-নি!
নিউজ-তো রেগুলার দেন তা আমি মাঝে মাঝে দেখি, আসলেই কি আপনারা চান যে বিনিয়োগে ইচ্ছুকরা যে যেরকম বুঝে তার মতো করে – অপারেশনাল, লিক্যুইডিটি, ইফিশিয়েন্সী, ইত্যাদি র্যাশিও নিজেরা ক্যালকুলেট করে বিনিয়োগ করুক? তবে –
এখনই আপনারা, সেক্টর-ওয়াইজ ফিনান্সিয়াল ইনফর্মেশনের ষ্ট্যান্ডার্ডাইজড -ষ্ট্রাকচার করুন আপনাদের ওয়েবসাইটে, যেটা কোম্পানীর পুরো ফিনান্সিয়াল ষ্টেটমেন্ট কভার করবে ম্যাজর-লাইন-আইটেম উল্লেখ থাকবে ও অন্যান্য ইমম্যাটেরিয়াল আইটেম অন্যান্য হিসেবে দিয়ে এবং ডাটাবেজ কানেক্ট করুন সেখানে, যাতে করে পাকিস্তান আমল থেকে না হলেও অন্তত বাংলাদেশ আমলের সমস্ত ফান্ডামেন্টাল ফিনান্সিয়াল ইনফর্মেশন সেখানে প্রদর্শিত হয় – এতে লিষ্টেড, ডিলিষ্টেড, এবং ওভার-দ্যা-কাউন্টার একসংগে দিন আলাদা ট্যাগ করে এবং যেসব কোম্পানী মার্জার এর মাধমে এখন নতুন হিসেবে আছে – মার্জারের আগের কোম্পানীগুলোরও দিন আলাদা ট্যাগে।
এসব যেহেতু বিনিয়োগকারীদের অন্যান্য জায়গা থেকে পাওয়া প্রায় অসম্ভব তাই এটা আপনাদের-ই করা উচিৎ বলে আমার মনে হয়। আর এসব করতে খুব একটা সময় এবং বেগও পেতে হবে না, কেননা দেশে ফিনান্স-এ্যাকাউন্টিং এর প্রচুর ষ্টুডেন্ট রয়েছে যাদের স্বল্প অথবা বিনামূল্যেই হায়ার করা যায় কোর্সের মধ্যেই, এছাড়াও অডিট এবং কষ্ট-ম্যানেজমেন্ট এর ইন্সটিটিউটগুলোতেও প্রচুর ষ্টুডেন্ট রয়েছে – এবং এরা সবাই-ই এসবে এক্সপার্ট, তাদের দিয়েও করিয়ে নিতে পারেন। আমার হিসেবে বাংলাদেশ আমলের সমস্ত ডাটা ইলেকট্রনিক্যালী একটা ষ্ট্রাকচারে সাজাতে বড়জোর সাত দিন সময় লাগবে আর একজন ওয়েব-এক্সপার্টের সেসব ডাটা ওয়েবসাইটে দেয়া-টা মনে হয় কয়েক মিনিটের ব্যাপার!
তাই দেরী না করে এগিয়ে যান আপনারা, বিনিয়োগকারীদের বোঝার রাস্তা করে দিন, মার্কেটটা রিসোর্সফুল করুন তাড়াতাড়ি। বাংলায় সমস্যা হলে ইংরেজীতে হলেও দিয়ে দেন।
বিষয়: বিবিধ
১৫৭৬ বার পঠিত, ১০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
তবে এ মার্কেটে বন্ড এবং ডিবেঞ্চার বা ঋনপত্র আছে, ডিবেঞ্চারগুলো অচল পড়ে আছে; এগুলোর ক্ষেত্রে ফিক্সড-রেট-ইন্টারেষ্ট বা সুদ এর প্রশ্ন আসতে পারে। এখানে কিন্তু বাংলাদেশ ইসলামী ব্যাংক এর মুদারাবা বন্ডও রয়েছে – তবে তাদের প্রোফিট রেট মনে হয় প্রচলিত সুদের মতো ফিক্সড না। এছাড়া প্রশ্নবিদ্ধ হতে পারে মিউচুয়াল ফান্ড এবং ব্যাংক, ননব্যাংকিং ফিনান্সিয়াল অর্গানাইজেশন এবং ইন্স্যুরেন্সে বিনিয়োগ; মিউচুয়াল ফান্ড ম্যানেজাররা আপনার টাকা কোথায় খাটাবে আপনি নাও জানতে পারেন আর সাধারণ-ব্যাংক-ননব্যাংকিং ফিনান্সিয়াল অর্গানাইজেশন-ইন্স্যুরেন্সগুলোর প্রিন্সিপল হয়তো ইসলামের নীতিবিরুদ্ধ তাই হয়তো ইসলামীক ব্যাংক- ননব্যাংকিং ফিনান্সিয়াল অর্গানাইজেশন -ইন্স্যুরেন্স গড়ে উঠেছে এবং সেসব ইসলামীক ব্যাংক- ননব্যাংকিং ফিনান্সিয়াল অর্গানাইজেশন -ইন্স্যুরেন্সের অনেকগুলোই এ মার্কেটে রয়েছে।
এছাড়াও এ বাজারটা সবার জন্য উন্মুক্ত থাকায় এবং যখন খুশী তখন কেনা-বেচায় কোন বাধা না থাকায় অনেক ফইটক্যামীর চান্স রয়েছে এবং অনেকে বাজার থেকে মূলধনের নামে লাভ করার ফইটক্যামী ইচ্ছায়ও কোম্পানী এ বাজারে নিয়ে আসে, তবে আমার মনে হয় ফইটক্যামীর নিয়্যত না থাকলে অন্যান্য দৃষ্টিকোণ থেকে এটা জায়েজ। উপরের বলা জায়গাগুলো ছাড়া মনে হয় আর কোথাও সমস্যা নাই কন্সেপচুয়ালী।
অনেকেই লাভ করে স্রোতে কোন শক্ত কিছু আকড়ে ধরে গা এলিয়ে দিয়ে।
মার্কেটটা মনে হয় ইচ্ছাকৃতভাবেই এরকম করে রেখেছে, যাতে এ থেকেও অনেকে ফায়দা নিতে পারে।
কৃষি নিয়ে আপনার লিখা আর এ মূহুর্তে এ লিখাটি পড়ার পর আমার মনে এলো - আমি কি আপনাকে অনুরোধ করবো - যাতে আপনি আগামী কোন এক সময়ে এমন একটা লিখা লিখেন যেখানে
এ্যাবারেজ ফিক্সড ইনকাম এর মানুষগুলো এমন কিছু আর্থিক ব্যবস্থাপনার টিপস পাবে - যাতে তারা অসৎ পথে না যাবার টেম্পটেশান টা ধরে রাখতে পারে এবং স্টিল নিজেকে দিন শেষে আলহামদুলিল্লাহ দের দলভুক্ত রাখতে পারে।
ধন্যবাদ।
অনেক ধন্যবাদ আপনাকে এটাও পড়ার জন্য।
মন্তব্য করতে লগইন করুন