মুরব্বীর চোখে- রাজনীতি সমগ্র বাংলাদেশ
লিখেছেন লিখেছেন কামেল মুরব্বী ১৯ মার্চ, ২০১৩, ০৫:৩৭:১৮ বিকাল
গুলি, হত্যা, গুম, নির্যাতন, নিপীড়ন, অপহরন, শোষন, শাসন, ধর্ষন, লুটপাট, দূর্ণীতি, পরিবার নীতি, আত্নপ্রীতি, দলীয়করন, ব্যবসা, শিক্ষা, সংস্কৃতি, সংসদ, সমিতি, রাষ্ট্রনীতি, পররাষ্ট্রনীতি, সংগ্রাম, বিদ্রোহ, প্রতিবাদ, প্রতিরোধ, প্রতিশোধ, পরিশোধ, ব্যাংকিং, পত্রিকা, টিভি চ্যানেল, নেতা-নেত্রী, শিক্ষক-শিক্ষিকা, ছাত্র-ছাত্রী, প্রেমিক-প্রেমিকা,স্বামী-স্ত্রী আর মনে পরছেনা কি বলবো।
ব্যক্তি থেকে বিষয়, একা থেকে যুগল, নীতি থেকে দূর্ণীতি, ক্ষুদ্র থেকে বৃহদ বাংলাদেশের এমন কোন জায়গা বা ব্যাক্তি বা প্রতিষ্ঠান নেই যা রাজনীতির বাইরে।
সব গুলো বিষয়ে বিস্তর বলা সম্ভব হবেনা। স্বল্প কিছু বলবো।
বিডিয়ার বিদ্রোহ। মনে হয় কারোই অজানা নয়। শুধুমাত্র রাজনৈতিক বিবেচনার কারণে আজ পর্যন্ত এই বিষাদ বয়ে বেড়াচ্ছে সেদিন নিহত হওয়া ৫৭ জন সেনা কর্মকর্তার স্বজনেরা।
লিমন কে তো আপনারা চিনেন। খুব বেশি কিছু হয়নি তার। শুধু আপনার দুটি পা আর ওর একটি। জানেন কেন লিমনের পা হারালো? র্যাবের অযতা গুলিতে। কিন্তু আজ পর্যন্ত শুধুমাত্র রাজনৈতিক বিবেচনার কারনে লিমন আসামী হিসেবে কাঠগড়ায় হাজিরা দেয়।
ফেলানী কে তো চিনবেনই। কারন হয়তো ফেলানীর পোষ্টমর্টেমের সময় সেলাই করা সুতা দিয়ে গাঁথা হয়েছে ভারত-বাংলাদেশের সম্প্রীতি বন্ধন। আফসোস কাঁটা তারের বেড়ায় ফেলানী ঝুলে ছিলো বাংলাদেশ হয়ে। তবুও নরলনা টনক। সরকারের রাজনৈতিক দর্শনে ফেলানীর জন্য অবশিষ্ট কিছুই ছিলনা।
বিশ্বজিৎ কে ত সবাই চিনেন। নরপশুদের হামলার দৃশ্য আর বিশ্বজিতের ছটফট করে মৃত্যু দেখে হয়তো আপনিও কেঁদেছেন। কিন্তু কি আসে যায় আপনার কান্নায়। ওরাযে দেশ মাতার আশির্বাদপুষ্ট। এখানেও রাজনীতি। ওরা না-কি দেশমাতার ত্যাজ্যপুত্র।
লুট হলো শেয়ার বাজার। এখানেও রাজনীতি। রাজনৈতিক কারনে জানা গেলোনা অতি পরিচিত দুর্বিত্তদের নাম।
এইতো সেইদিনের কথা। কোন বিদ্রোহ নয়। কি কারনে কার জন্য বলার প্রয়োজন মনে করছিনা। এক দিনে পুলিশের গুলিতে মারা গেল ১৭০জন স্বাধীন বাংলাদেশের স্বাধীন মানুষগুলো। চিন্তার কারন নেই। এই হত্যাকাণ্ডগুলোও রাজনৈতিক বিবেচনায়। আফসোস মানুষ মরলো আর এই হত্যাগুলোকে হত্যা না গণহত্যা বলে শুরু হলো চুল ছিড়াছিড়ি।
আমাদের কপালটা বড়ই খারাপ। এমন এক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আমরা পেয়েছি, তিনি বলা শুরু করলেন আন্দোলনের ডাক যিনি দিয়েছেন তিনিই এই হত্যাগুলোর জন্য দায়ী।
তাইলে কি বঙ্গবন্ধুর আহ্বানে যুদ্ধে লিপ্ত হয়ে ৩০ লাখ প্রানহানীর জন্য বঙ্গবন্ধু দায়ী?
আর বলতে চাইনা। তবে একটা কথা। এই রাজনৈতিক দূরাবস্থা দূর করতে হলে রাজনৈতিক ভাবেই মোকাবেলা করে ভালো কিছু উপহার দিতে হবে। মনে রাখবেন পার্মানেন্ট মার্কার পেনের কালি মুছতে হলে আবার ওই মার্কার পেন দিয়েই তুলতে হয়।
তাই এই কামেল মুরব্বীর চোখে শুধুই রাজনীতি। রাজনীতি সমগ্র বাংলাদেশ। আফসোস।।
বিষয়: বিবিধ
১৪১১ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন