কুলাঙ্গার বন্দনা
লিখেছেন লিখেছেন মুকুলসরকার ২০ মার্চ, ২০১৩, ০৪:২৬:৫৮ বিকাল
"আমাদের দেশে হবে সেই ছেলে কবে
কথায় না বড় হয়ে কাজে বড় হবে।"
সুধীজন ও প্রিয় পাঠক! আমার শিরোনাম ও উদ্ধৃত কবিতার লাইনে আপনারা নিশ্চয় কোন সামঞ্জস্য খুঁজে পাচ্ছেন না। আমি দুঃখিত একটি খারাপ শিরোনাম দেয়ার জন্য। সে যাক, বলছিলাম কি আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী পিরোজপুরে গিয়ে মাওলানা দেলোয়ার হোসাইন সাঈদী সম্পর্কে নাকি এশব্দটি ব্যবহার করেছেন। মাওলানা সাঈদী সাহেব আমার জানামতে এমন কোন অপকর্ম করেন নি যার কারণে বাংলাদেশের মানমর্যাদা বিশ্বের নিকট ক্ষুণ্ন হয়েছে। যিনি লোকদেরকে আল-কুরআনের আলোয় উদ্ভাসিত করার জন্য বাংলাদেশের আনাচে কানাচে তাফসীর করে বেড়িয়েছেন। লোকদেরকে শ্বাশত সংবিধান মহাগ্রন্থ আল-কুরআনের বিধান আঁকড়ে ধরার জন্য উৎসাহ দিয়েছেন। তাঁর তাফসীর চলাকালে কুরআনের মাহাত্ম্যে লোকজন মৌচাকে মৌমাছির চাকের ন্যায় নিশ্চুপ-নিস্তব্ধ হয়ে শুনতে থাকে। তাঁর সত্যপ্রচারে মুগ্ধ হয়ে এপর্যন্ত ৬০০ এর অধিক অন্যান্য ধর্মাবলম্বী ইসলামের সুশীতল ছায়াতলে আশ্রয় নিয়েছে। আমি নিজেও এধরনের একটি মাহফিলে উপস্থিত হওয়ার সৌভাগ্য হয়েছিল। তাছাড়া ইন্দ্রিয় পুঁজা, ধর্মহীনতা ও পৌত্তলিকতার গড্ডালিকা প্রবাহে ভেসে যেতে বসা এ জাতির পথের দিশা প্রদানে ও বিভ্রান্ত যুব সমাজকে সঠিক পথের দিশা দিতে তাঁর তাফসীর মাহফিল অনবদ্য ভূমিকা পালন করেছে। তাঁর এভূমিকা ইসলাম বিদ্বেষী চরমপন্থীদের জন্য বিপর্যয়ের কারণ হয়ে দেখা দিয়েছে। আর এ কারণে মতিয়া, সাজেদা, ইনু, মেনন, সুরঞ্জিত, বাদল, বড়ুয়া ও লেলিনরা আজ রাজনৈতিক ভিক্ষুকে পরিণত হয়ে নৌকায় চড়তে বাধ্য হয়েছে। আর এতে শেখ হাসিনার নাখোশ হওয়ার তো কোন কারণ নেই। কিন্তু তারপরও তিনি এত ক্ষেপা কেন্? তিনি কি সেই, যাকে বাংলাদেশের উচ্চ আদালত রংহেডেড বলেছিলেন? তিনি কি সেই যাকে তার প্রিয়ভাজন মইন গং-এর তত্বাবধায়ক সরকার দেশের নিরাপত্তার জন্য হুমকি হিসেবে ফরমান জারি করেছিলেন? তিনি কি সেই যার নামে তার প্রিয়ভাজন মইন গং-এর তত্বাবধায়ক সরকার দুর্নীতির মামলা দায়ের করেছিলেন? সে মামলা তিনি ক্ষমতায় এসে বাতিল করেছিলেন। কিন্তু মাওলানা সাঈদী সাহেব! যার স্বাক্ষীকে হাসিনা সরকার আদালতের গেট থেকে অপহরণ করেছিল। আর সেই মামলায় তাকে ফাসির রায় দিয়েছে।
স্বাধীনতা যুদ্ধের সময়ে সাঈদী সাহেবের ভূমিকা নিয়ে তাঁর অঞ্চলের মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডারগণ আদালতে সাঈদী সাহেবের পক্ষেই স্বাক্ষ্য দিয়েছেন। আর আদালত প্রধানমন্ত্রীর আহবান(?)(নির্দেশনা) মানতে গিয়ে মুক্তিযোদ্ধা স্বাক্ষীদের পক্ষান্তরে মুক্তিযোদ্ধাদের অপমান করলেন কি না সে প্রশ্ন উঠতেই পারে।
সাঈদী সাহেব বাংলাদেশের প্রতিবেশী দেশের অন্যায় অত্যাচার, সীমান্তে গুলি করে পাখির মত মানুষ হত্যা, নদীতে বাঁধ দিয়ে সুজলা-সুফলা বাংলাদেশকে মরুভূমিতে পরিণত করার বিরুদ্ধে কথা বলেছেন বলে, বাংলাদেশের নদীকে মেরে ফেলে মাঝ দিয়ে রাস্তা বানিয়ে দাদা বাবুদের গোলামীর মূল্য দেয়ার বিপক্ষে কথা বলার কারণে মূখ্যমন্ত্রীর(?) এত গোস্বা কি না জাতি জানতে চায়।
সুতরাং কুলাঙ্গার কে ?
বিষয়: বিবিধ
১০৪৭ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন