মহানবী স. বলেছেন: মানুষ তার শাসকদের দ্বীনের(জীবনব্যবস্থা) ওপর অবস্থান করে।
লিখেছেন লিখেছেন মুকুলসরকার ০৭ আগস্ট, ২০১৩, ০৫:০৮:৪২ সকাল
প্রশ্ন হলো যাদের জীবনব্যবস্থা ধর্মনিরপেক্ষতাবাদ, সমাজবাদ, ভোগবাদ এবং বস্তুবাদ এর ওপর ভিত্তি করে গড়ে উঠেছে, সেসব শাসকগোষ্ঠীর অধীনে বসবাস করা লোকদের জীবনব্যবস্থা কি হবে?
ধরুন যদি সে ব্যাক্তি হন:
১. ইমাম/খতিব, মুহাদ্দিস, মুফতিহ, মুফাসসির কিংবা বড় পীর-বুজুর্গ?
২. বিচারপতি, আইনজীবী, বিচারপ্রার্থী কিংবা এতদ সংশ্লিষ্ট কর্মী?
৩. শিক্ষক, ছাত্র, গবেষক, লেখক, বিজ্ঞানী?
৪. ব্যবসায়ী, ব্যবসায় কর্মী ও অন্যান্য পেশাজীবী?
৫. অর্থ-পরিকল্পনা বিভাগের কর্মকর্তা, ব্যাংকার, ঋণদাতা, ঋণগ্রহীতা ও এতদসংশ্লিষ্ট কর্মী?
৬. প্রশাসনিক কর্মকর্তা, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী?
৭. প্রতিরক্ষা বিভাগের কর্মকর্তা, সেনা-নৌ-বিমানবাহিনীর সদস্য?
৮. পররাষ্ট্র বিভাগের কর্মকর্তা ও কর্মী?
৯. সে সব আদর্শের রাজনীতিবিদ ও কর্মী হয়?
এভাবে প্রতিটি ভাগে যারা কাজ করছে তখন তাদের দ্বীন তথা জীবনব্যবস্থা কি হবে? যদিও সে নিজকে মুসলিম দাবী করে?
আমরা অন্য একটি হাদিসের দিকে তাকাই, রাসূল স. বলেছেন:'যে জাহিলি আদর্শের দিকে ডাকে সে জাহান্নামী! সাহাবাগণ বললেন, হে আল্লাহর রাসূল, যদি সে রোযা রাখে ও নামাজ পড়ে? দয়ার নবী স. বললেন: যদিও সে রোজা রাখে, নামাজ পড়ে আর নিজে নিশ্চিত ধারণা পোষণ করে যে নিশ্চয় সে মুসলিম!' আল্লাহ তআলা আমাদের ক্ষমা করুন ও রক্ষা করুন। এখন আমাদের জানতে হবে এবিপদ থেকে বাচাঁর উপায় কি?
বিষয়: বিবিধ
১৩৩৫ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন