"কুষ্টিয়ায় দেড় শতাধিক ছাত্রী ধর্ষণের হোতা পান্না মাস্টার ঢাকায় গ্রেপ্তার" ...... গংরা নিশ্চয় খুশিতে আটখানা হতে পারেন তাদের প্রজন্মের কীর্তি গাথা দেখে । কিন্তু বাংলাদেশের সাধারণ মানুষ কি ভাবছেন?
লিখেছেন লিখেছেন মুকুলসরকার ০৪ আগস্ট, ২০১৩, ১০:২০:০৩ সকাল
অন্তত দেড় শতাধিক ছাত্রীকে নিজের বিকৃত যৌন লালসার শিকার বানানো হেলাল উদ্দিন পান্না মাস্টারকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। শুক্রবার রাজধানী ঢাকার মোহাম্মদপুরের একটি ভাড়া বাসা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশে গোয়েন্দা বিভাগ ডিবি।
ইংরেজি দৈনিক ‘নিউ এজ’ গ্রেপ্তার সংক্রান্ত একটি প্রতিবেদন তাদের অনলাইনে প্রকাশ করে।
এতে বলা হয়েছে, সহকারী কমিশনার (এসি) রায়হানের নেতৃত্বে ঢাকা ডিবির একটি দল দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে মোহাম্মদপুরের চিনু মিয়া রোডের ভাড়া বাসা থেকে পান্না মাস্টারকে গ্রেপ্তার করে।
হেলাল উদ্দিন পান্না কুষ্টিয়া বাড়াদি গ্রামের আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের গণিতের সহকারী শিক্ষক। কুষ্টিয়া শহরের আড়পাড়ার নিজ বাসায় প্রাইভেট টিউশনিতে আসা স্কুল-কলেজের এসব ছাত্রীদের তিনি চার সহযোগী নিয়ে ধর্ষণ করেন।
হেলাল উদ্দিন পান্নার বিকৃত যৌন কেলেঙ্কারির প্রতিবাদে কুষ্টিয়ায় প্রতিবাদ বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে। পরে সাব-ইন্সপেক্টর রবিউল ইসলাম অভিযুক্ত শিক্ষকের অবস্থান সনাক্ত করেন।
পান্না কুষ্টিয়া ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের নির্বাহী প্রকৌশলী আলিমুজ্জামান টুটুল, কুষ্টিয়া যুবলীগ নেতা মনিরুল ইসলাম, যশোর স্থানীয় সরকার বিভাগের সহকারী প্রকৌশলী দুলাল হোসেন ও গাংনী স্থানীয় সরকার বিভাগের সহকারী প্রকৌশলী শরিফুল ইসলাম সজলকে নিয়ে তার বাসায় এই অপকর্ম করতেন।
শুধু তাই নয়, তারা ছাত্রীদের সঙ্গে তাদের এসব মিলন দৃশ্য গোপন ক্যামেরায় ধারণ করতের, যা সম্প্রতি ভিডিও ক্লিপস আকারে এলাকার যুবকদের হাতে হাতে ছড়িয়ে পড়েছে।
এ ঘটনার প্রতিবাদে এবং জড়িতদের গ্রেপ্তার দাবিতে গত ৭ জুলাই শতাধিক এলাকাবাসী ও ছাত্ররা ডিসি অফিসের সামনে বিক্ষোভ করে। এ সময় তারা কুষ্টিয়া-রাজশাহী মহাসড়কের বারখাদা-ত্রিমোহুনীতে অবস্থান নিয়ে সড়ক অবরোধ করে।
এরপর কুষ্টিয়া সদর থানার সাব-ইন্সপেক্টর এম. মনিরুল ইসলাম ৭ জুলাই পর্নোগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ আইন ২০১২ অধীনে পান্নাসহ ৫ জনকে আসামি করে একটি মামলা দায়ের করেন। এছাড়া পুলিশ পান্নার ল্যাপটপ জব্দ করেছে, যাতে এসব ভিডিও ক্লিপস ছিল।
এর আগে পান্না মাস্টারকে গ্রেপ্তারে কুষ্টিয়ার বিভিন্ন এলাকায় একাধিক অভিযান চালায় র্যা ব ও পুলিশ। তবে বারবারই তা ব্যর্থ হয়। অবশেষে ঢাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হলো।
এসব পরিমল, জয়ধর ও পান্না মাষ্টারদের মানস পিতা-মাতা তথাকথিত ধর্মনিরপেক্ষতাবাদী, সমাজবাদী, নারীবাদী ও প্রগতিবাদী ও রোকেয়া প্রাচী গংরা নিশ্চয় খুশিতে আটখানা হতে পারেন তাদের প্রজন্মের কীর্তি গাথা দেখে । কিন্তু বিবেকবান, রুচিশীল ও পরকালে বিশ্বাসী বাংলাদেশের সাধারণ মানুষ কি ভাবছেন?
অথচ আল্লাহ তাআলা বলেন: হে নবী মুমিন পুরুষদের বলুন তারা যেন তাদের চক্ষু অবনমিত রাখে আর তাদের লজ্জাস্থান (অবৈধ ব্যবহার থেকে) হেফাজত করে । আর মুমিন নারীদের বলুন: তারাও যেন তাদের চক্ষু অবনমিত রাখে আর তাদের লজ্জাস্থান (অবৈধ ব্যবহার থেকে) হেফাজত করে, আর তারা যেন সৌন্দর্যকে প্রকাশ করে না বেড়ায় তবে যা স্বত:স্ফূর্তভাবে প্রকাশিত হয়ে যায় আর তারা যেন তাদের বক্ষস্থলে চাদর দিয়ে আবৃত করে রাখে... । (সূরা নূর, আয়াত-৩০-৩১)
বিষয়: বিবিধ
১৪৭০ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন