ওরা কেবল লাশ,হবেনা সারাদেশে গায়েবানা জানাজা, কিংবা কোন বিক্ষোভ অথবা এক আধটু হরতাল। (ফেসবুক শেয়ার)

লিখেছেন লিখেছেন ফাটাকেস্ট ০১ এপ্রিল, ২০১৩, ১০:৪৬:১৩ রাত

ককসবাজারের কুতুবদিয়ার বেশ কিছু এলাকায় চলছে, জলদস্যদস্যুদের রাজত্ব ,প্রায় প্রতিনিয়ত ওরা মাছ ধরে ফিরতি ট্রলার মাছ সহ ছিনতাই করে নিয়ে যায় । অনেক সময় চাহিদা না মিটলে অসহায় জেলেদের বানায় টার্গেট ,চলে মুক্তি পনের বানিজ্য ।

দেশের বাইরে সোমালী জলদস্যদেরকেও হার মানিয়েছে ওরা।যেনো অপ্রতিরোদ্ধ! কিন্তু আজ ওদের বর্বরতা হারমানিয়েছে সাম্প্রতিক সময়ের চলমান সকল ঘটনা প্রবাহকে,

মুক্তিপন না পেয়ে ১৬ জন জেলেকে মানে জিবিকার দায়ে জলের সাথে সংগ্রামী ১৬ টি তাজা প্রাণ লাশ বানিয়ে জলে ভাসিয়ে দিলো ,যে জল ওদের খাবার জোগাত সেই জলেই ওদের জিবনের শেষ হলো ।

Click this link

অধিকাংশ ক্ষেত্রেই জেলেরা শুধু শ্রমের মূল্য পায় ,খাবার পায়, না নৌকো ওদের না জাল। পেটের দায়ে দিনের পর দিন জলে ভেসে ভেসে মাছের সন্ধানে দূর-দুরান্তের অনিশ্চিত ছফর ,হয়তোবা কখনো মাছ জোটে কখনো নয় ।কিন্তু সেই জল আজ, সিগনাল না থাকলেও নিরাপদ নয় ,নিম্নচাপের সময়টাতে প্রতি বছর অনেক জেলে মারা যান ,কিন্তু এখনো সে সময়টা আসেনি।

এখন তাদের ভাসায় জো চলছে মানে সিজন টাইম তাই আগামি ডালা মানে অফ-সিজনের খাবার জোগাতেই ওরা পূরোদমে মাছ ধরতে গিয়েছিলো কিন্তু হয়েগেলো লাশ।

ক'দিন আগে থেকেই স্থানিয় পত্রিকায় দেখেছিলাম যে জলদস্যূরা জেলেদের ছিনতাই করে নিয়ে গেছে তাদের পরিবারে চলছে মাতম,আজ অনলাইন নিউজ মিডিয়া খুলে হতবাক হয়ে গেলাম।

এই জলদস্যূদের তান্ডব চলছে বিগত কয়েক বৎসর যাবত, কিন্তু ওদের নিয়ে কারুর তেমন কোন মাথব্যাথা দেখাযায়নি। মানবাধিকার কমিশন কোন কথা বলেছেন বলে আমি জানিনা।

শুধু মাঝে মাঝে নৌ-বাহিনীর টহল কিছুটা দমিয়ে রাখে।

জলদস্যুদের তো জলে বাড়ি নয়? ঠিকানা আছে পরিচয় আছে, ধরবার মত শিকড় আছে, যদি সবাই সিরিয়াস হত তবে এই দুঃখ জনক ঘটনাটি হয়তো নাও ঘটতে পারত।

আজ কোন মিডিয়াতেই ওদের নিয়ে শোকের মাতম চলছে না ,টক-শো'তে জলদস্যূদের বিরুদ্ধে বিষোদগার হচ্ছেনা ,গ্রেফতারের দাবিতে মিছিল হচ্ছে না , ফাঁসির দাবিতো সুদুর পরাহত ।

ঐ সব অসহায় বনি আদম আজ লাশ হলো ওদের নিয়ে কোন আয়োজন কেউ করবে না ,এক চিলতে হরতাল কেউ ডাকবেনা একটা গাড়িও কেউ ভাংবেনা ।কিংবা ভবিষ্যতে জেলেদের জিবনের নিরাপত্তার দাবিতে কোন মানব বন্ধন হবে না।

এমন কি ওদের নামে কোন বিমা করাও নাই যে ওদের পরিবার কিছু পাবে।

প্রশাসনের যে রুপ আমরা বিগত কয়েক মাস যাবত সারা দেশে দেখছি , এমন কি এই কুতুবদিয়াতেই গত মাসের প্রথম সপ্তাহে বিক্ষোভ দমনে পুলিশ কত কঠোর ছিলো,তার সমান্য ছিঁটে ফোঁটা যদি ঐ সব দস্যূদের দমনে প্রয়োগ কর হয়, তবে জল জেলেদের জন্য নিরাপদ হয়ে যেতো।

কিন্তু এই সব জলদস্যূ রুপী মানবতার শত্রূরা ধরা ছোঁয়ার বাইরেই থেকে গেছে।

যদি এখন সরকার সিদ্ধান্ত নেয় তবে আগামি এক সপ্তাহের মাঝেই এই এলকার সকল জল দস্যূ ধরা পড়তে বাধ্য ,প্রয়োজনে হেলিকপ্টার দিয়ে ওদের ট্রেইল করা হোক।

ইতি পূর্বে বেঁচে ফেরত আসা মাঝিদের সহায়তা নিয়ে ওদের স্থল লোকেশন , ,গডফাদার কিংবা যে কোন শেল্টার গুঁড়িয়ে দেয়া হোক। সকল খুনিদের গ্রেফতার করে যথাযথ শাস্তি দেয়া হোক।

সকল মিডিয়া এব্যাপারে একতাবদ্ধ হয়ে নিউজগুলো কাভার করুক,দেশবাসির সামনে অতীতের ঘটনা গুলো তুলে নিয়ে এসে জনমত তৈরীতে সাহায্য করুক সেই আহবান জানাচ্ছি।

বিষয়: বিবিধ

১৩৩৪ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File