আন্তর্জাতিক ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় চট্টগ্রামঃ প্রতিষ্ঠার লক্ষ্য ও বাস্তবতা(পর্ব,১)
লিখেছেন লিখেছেন আশাবাদি ১২ অক্টোবর, ২০১৩, ১১:২১:৫৬ রাত
স্বপ্ন গড়ার কারিগরদের হাতেই যখন স্বপ্ন বিনষ্ট হয় তখন কিইবা করার থাকে ? তাই ঘুনে ধরা স্বপ্নের বাস্তবতা লিখে মনের কষ্ট লাঘব করার চেষ্টা । যদি কারিগরদের চোখে পড়ে এই প্রত্যাশা ।
সময়টা ২০০৩ সাল । সদ্য এইচ এস সি পাশ করে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তীর জন্য ইনডেক্স এ কোচিং করছি । এর মধ্যে খোজ পেলাম আন্তর্জাতিক ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় চট্টগ্রামের । কিছুটা সিদ্ধান্ত হীনতায় ও ভূগছিলাম । একেতো প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয় তার উপরে অনেক টাকার ব্যাপার । এর মধ্যে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তী পরীক্ষা শেষ এবং রেজাল্ট ও দিল । আমি ওয়েটিং এ ছিলাম পরে কোন সাবজেক্ট পেলাম না । এর মধ্য আই আই ইউ সি সম্পর্কে অনেক খোজ খবর নিলাম । তার মধ্যে ২টি বিষয়কে সামনে রেখে পরিবারকে বুঝালাম এবং ভর্তীর সিদ্ধান্ত নিয়ে নিলাম । বিষয় ২টি হল কোন সেশন জট নেই দ্রুত অনার্স শেষ করা যাবে , আর ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠাতাদের এই বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার মহান লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য । একটি বিষয় বলে রাখা ভাল , ছোটবেলা থেকে পারিবারিক ভাবে ধর্মকর্ম পালন করতে অভ্যস্ত ছিলাম আর দাদা ছিলেন এর কারিগর ।পরে হাই স্কুলে পড়াকালীন সময়ে দাওয়াত পাই দক্ষিনপুর্ব এশিয়ার সবচেয়ে বড় ইসলামী ছাত্র সংগঠনের এবং জাড়িত ও হয়ে পরি । তখন থেকে মনে মনে একটি ইসলামী সমাজ বিনির্মানের স্বপ্ন দেখতাম । আর আন্তর্জাতিক ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় চট্টগ্রাম সেই স্বপ্ন বিনির্মানের অন্যতম একটি মাধ্যম হবে বলে মনে হল । কারন এই বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠাতারা ও আমার স্বপ্নের ধারক এবং বাহক । আর তারা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠাও করেছেন এই লক্ষ্যকে সামনে রেখে । যাই হোক এর মধ্যে আরো ৬ মাস কেটে গেল সিদ্ধান্ত নিতে । ২০০৪ সালে ভর্তী হলাম । তারিখটা এখন ঠিক মনে নেই । ভর্তীর পরে সাফা আর্কেড কমিউনিটি সেন্টার ওরিয়েন্টেশন প্রোগ্রামের আয়োজন করা হল । যথা সময়ে উপস্থিত হলাম । সংগঠনের একজন ভাইয়ের সাথে সেখানে পরিচয় হল ।তাতে মন টা আরো ভাল হয়ে গেল । অনেক মেহমান এবং সম্মানিত শিক্ষক মন্ডলী উপস্থিত ছিলেন সেই অনুষ্ঠানে । অনেকেই অনেক গুরত্বপুর্ণ কথা বললেন । সবার কথা আজ আর মনে নেই । তবে সেই প্রোগ্রাম আমার আকর্ষনের কেন্দ্রবিন্দু ছিলেন একজন । তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের স্টুডেন্ট এফেয়ার্স ডিভিশনের সম্মানিত ডিরেক্টর জনাব আবু জাফর মুহাম্মদ ওবাইদুল্লাহ । স্কুল কলেজ জীবনে ভদ্রলোকের অনেক সাক্ষাতকার পড়েছি,অনেক গল্প শুনেছি । তিনি আবার প্রিয় সংগঠনের সিপাহসালার ছিলেন । সব মিলিয়ে এক দারুন আবেগ আমার মাঝে কাজ করছিল তখন । পুরো প্রোগ্রামে উনাকে দেখছিলাম আর উনি যখন বক্তব্য রাখছিলেন তখন কথাগূলো গোগ্রাসে গিলছিলাম ।ভালোভাবে প্রোগ্রাম শেষ করলাম । ফেরার পথে মনে হল স্বপ্ন পুরোনের পথে যেন একধাপ এগিয়ে গেলাম । এর পর ক্লাস শুরু হবে তাই স্থায়ী ক্যাম্পাসের হলে সিট প্রয়োজন । সিট বরাদ্ধ দেয় আবার স্টুডেন্ট এফেয়ার্স ডিভিশন । সেখানে গিয়েই প্রথম হোচট খেলাম । তাও আবার সেই প্রিয় মানুষ আজম ওবাইদুল্লার কাছ থেকে ।(চলবে)
বিষয়: বিবিধ
১৮৭৭ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন