ভোটের রাজনীতিতে বিভিক্ত ইসলামী দল গুলোর অবস্থা ও সম্মিলিত ইসলামী জোটের সম্ভাবনা
লিখেছেন লিখেছেন আশাবাদি ৩০ সেপ্টেম্বর, ২০১৩, ১২:২০:৪৯ দুপুর
বাংলাদেশের ভোটের রাজনীতিতে ইসলামী দল গুলোর অবস্থান -
১২টি ইসলামি দলের মধ্যে নবম সংসদ নির্বাচনে অংশ নিয়েছিল ১১টি দল। তার মধ্যে চারদলীয় জোটের শরিক জামায়াতে ইসলামী দু’টি আসনে বিজয়ী হয়। তারা ৩৯টি আসনে প্রার্থী দিয়েছিল। ভোট পায় ৪.৭০ শতাংশ। তবে অষ্টম সংসদে জামায়াত ৩১ আসনে প্রার্থী দিয়ে ১৭টি আসন পেয়েছিল। ভোট পেয়েছিল ৪.২৮ শতাংশ।
বাকিদের মধ্যে নবম সংসদে ইসলামী ঐক্যজোট চারটি, জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম সাতটি, ইসলামী আন্দোলন ১৬৭টি, জাকের পার্টি ৩৭টি, বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্ট ১৮টি, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস ৮টি, বাংলাদেশ তরিকত ফেডারেশন ৩১টি, বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলন ৩৩টি, বাংলাদেশ মুসলিম লীগ পাঁচটি ও ইসলামিক ফ্রন্ট বাংলাদেশ দু’টি আসনে প্রার্থী দেয়। কিন্তু কেউ কোনো আসনে বিজয়ী হতে পারেনি। এসব দলের ভোটের হার এক শতাংশেরও নিচে ছিল। অষ্টম সংসদে ইসলামী ঐক্যজোট সাতটি আসনে প্রার্থী দিয়ে দু’টি আসন পেয়েছিল। পরে উপনির্বাচনে আরো একটি আসন লাভ করে। তখন জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম ছিল ইসলামী ঐক্যজোটের সাথে।
ইসলামী আন্দোলন নবম সংসদে ১৬৭ আসনে প্রার্থী দিয়ে ভোট পেয়েছিল ০.৯৪ শতাংশ। আগের নামে (ইসলামী শাসনতন্ত্র আন্দোলন) অষ্টম সংসদে এই দলটি হাতপাখা প্রতীক নিয়ে ৩টি আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে ০.০১ শতাংশ ভোট পায়। নবম সংসদে মহাজোট সমর্থক জাকের পার্টি ৩৭টি (প্রাপ্ত ভোট ০.১৯ শতাংশ), বাংলাদেশ ইসলামিক ফ্রন্ট ১৮টি (০.০৫ শতাংশ), বাংলাদেশ তরিকত ফেডারেশন ৩১টি (০.০৩ শতাংশ) ও ইসলামিক ফ্রন্ট বাংলাদেশ দু’টি (০.০০ শতাংশ) আসনে প্রার্থী দিয়েছিল।
তবে বর্তমান সরকারের ইসলাম বিরোধী কর্মকান্ডের ফলে এবং হেফাযতে ইসলামের ঐতিহাসিক উত্থানের ফলে সাধারন মানুষের কাছে ইসলাম এবং ইসলামী দল গুলোর জনপ্রিয়তা বাড়ছে তাতে করে আগামীতে সম্মিলিত ইসলামী জোটের মাধ্যমে নির্বাচন করলে ভাল ফলাফল আশা করা যায় । যা আগামীতে বাংলাদেশের রাজনীতির মোড় ঘুরিয়ে দিতে পারে ।
বিষয়: রাজনীতি
১৪২৬ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন