সাঈদী সাহেব গেলে পিরোজপুরে আপনার সমাবেশের চাইতে ৫০ গুণ বেশি লোক উপস্থিত হবে
লিখেছেন লিখেছেন কাননা ২২ মার্চ, ২০১৩, ০৫:৫০:৫২ বিকাল
সিলেটের বিশ্বনাথে জামায়াতে ইসলামীর নেতাকে গুলী করে হত্যার নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে এবং প্রধানমন্ত্রীর বিভিন্ন জনসভায় প্রদত্ত ভাষণে মিথ্যাচারের নিন্দা জানিয়ে জামায়াতে ইসলামীর ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা রফিকুল ইসলাম খান গত বুধবার বিবৃতি দিয়েছেন। বিবৃতিতে তিনি জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও সিলেট মহানগরী জামায়াতে ইসলামীর আমীর এডভোকেট এহসানুল মাহবুব জোবায়েরের মুক্তির দাবিতে গত বুধবার সিলেট বিভাগে শান্তিপূর্ণ হরতাল চলাকালে পুলিশের এলোপাতাড়ি গুলীতে জামায়াতে ইসলামীর নেতা গোলাম রববানী নিহত হওয়ার ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে তিনি বলেন, হরতাল একটি গণতান্ত্রিক কর্মসূচি। সরকার এ কর্মসূচি বানচাল করার জন্য পুলিশ দিয়ে গুলী চালিয়ে যে স্বৈরাচারী পন্থা অবলম্বন করছে দেশের জনগণ তা কঠোরভাবে প্রতিহত করবে। হত্যা, সন্ত্রাস, খুন ও রাষ্ট্রীয়ভাবে তান্ডব চালিয়ে জনগণের আন্দোলন দমন করা যাবে না।
বিবৃতিতে তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাস এবং পুলিশ দিয়ে গণহত্যা চালিয়ে ক্ষমতায় টিকে থাকার যে অপচেষ্টা চালাচ্ছেন তা কখনো বাস্তবায়ন হবে না। প্রধানমন্ত্রী নিজের ব্যর্থতা ঢাকার জন্য বিভিন্ন জনসভায় যে মিথ্যাচার চালাচ্ছেন তাতে জনগণ বিভ্রান্ত হবে না। তার এসব বক্তব্যে নিজের দেউলিয়াত্বেরই প্রকাশ ঘটছে। তিনি বলেন, গত ১৮ তারিখে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে এবং গত মঙ্গলবার পিরোজপুরে তিনি দলীয় নেতা-কর্মীদের সমবেত করে যে বক্তব্য দিয়েছেন তা পাগলের প্রলাপ ছাড়া আর কিছু নয়। তিনি বিশ্ববরেণ্য মুফাস্সিরে কুরআন আলvমা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী সম্পর্কে যেসব বক্তব্য দিয়েছেন তা রাজনৈতিক উদ্দেশ্য প্রণোদিত। প্রধানমন্ত্রীর পদে থেকে ঐ ধরনের বক্তব্য তার মুখে মানায় না। আমরা প্রধানমন্ত্রীকে বলতে চাই, আপনি দলীয় ক্যাডার ও পুলিশ বাহিনীর দ্বারা ভয়-ভীতি সৃষ্টি করে ও লোকজন ভাড়া করে পিরোজপুরে জনসভার আয়োজন করেছেন। আপনি দলীয় লোকদেরকে দেখিয়ে বলছেন, পিরোজপুরবাসী সাঈদীর বিচার চায়। আপনি একবার আলvমা সাঈদীকে প্যারোলে মুক্তি দিয়ে পিরোজপুরে যাওয়ার সুযোগ দিয়ে দেখুন, সাঈদীর জনসভায় আপনার সমাবেশের চাইতে ৫০ গুণ বেশি লোক উপস্থিত হয়ে আপনার মিথ্যাচারের জবাব দিবে। জনগণের পক্ষ থেকে আপনার প্রতি এ চ্যালেঞ্জ ঘোষণা করছি। সাহস থাকলে এ চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করচন।
ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি জেনারেল বলেন, প্রধানমন্ত্রী বায়তুল মোকাররমে তালা লাগিয়ে, নাস্তিক বগারদের পক্ষ অবলম্বন করে, আলেম-ওলামা, পীর-মাশায়েখদের বিরচদ্ধে মিথ্যা মামলা দিয়ে, ১ সপ্তাহে ১৫০ জন মানুষকে হত্যা করে, পুলিশ, বিজিবি ও র্যাবকে দলীয় ক্যাডারের মতো ব্যবহার করে জনসভার নামে মিথ্যাচারের যে নাটক মঞ্চস্থ করছেন তা তার পায়ের তলা থেকে মাটি সরে যাওয়ারই নামান্তর। তিনি ইসলামের জন্য মায়াকান্না কাঁদছেন। অথচ তিনি সংবিধান থেকে আলvহর প্রতি পূর্ণ আস্থা ও বিশ্বাস উঠিয়ে দিয়েছেন, সমাজতন্ত্র, ধর্মনিরপেক্ষতা ও বাঙ্গালী জাতীয়তাবাদ পুনঃপ্রবর্তন করেছেন, মুসলিম বিশ্বের সাথে সম্পর্ক উন্নয়নের ধারা বাদ দিয়েছেন, কুরআন সুন্নাহর বিরচদ্ধে নারী নীতিমালা প্রণয়ন করেছেন, মাদরাসা শিক্ষা ব্যবস্থা সংকুচিত করেছেন। তিনি বলেন, বাংলাদেশের ৩০০টি মসজিদে পুলিশী নজরদারি বসিয়েছেন। তার এই ইসলামবিরোধী কর্মকান্ডের বিরচদ্ধে গোটা দেশের মানুষ আজ সোচ্চার। তিনি বিচারের দোহাই দিয়ে আলvমা সাঈদীকে হত্যার যে ষড়যন্ত্র করছেন দেশের মানুষ তা প্রতিহত করবে। গোটা দুনিয়ার মানুষ তার সরকার কর্তৃক গঠিত বিতর্কিত ট্রাইব্যুনাল ও রাজনৈতিক উদ্দেশ্য প্রণোদিত রায় প্রত্যাখ্যান করেছে। আলvমা সাঈদীর জীবন নিয়ে কোনো ষড়যন্ত্র দেশবাসী বরদাশ্ত করবে না।
তিনি আশা প্রকাশ করেন, প্রধানমন্ত্রী অসৎ রাজনৈতিক উদ্দেশ্য বাস্তবায়নের ষড়যন্ত্র থেকে বিরত থেকে শুভবুদ্ধির পরিচয় দিবেন। দেশের সর্বস্তরের মানুষ শান্তি চায়, নিরাপত্তা চায়। প্রধানমন্ত্রী শান্তি ও নিরাপত্তার পরিবর্তে গুলী চালানো অব্যাহত রেখেছেন দেশের মানুষ তা প্রতিহত করবে।
বিষয়: রাজনীতি
১১৬১ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন