Bnp ও সমকালীন আন্দোলন
লিখেছেন লিখেছেন টার্গেট ১৮ মার্চ, ২০১৩, ০৫:১৪:৫৭ বিকাল
১৯৭৫ সালে সিপাহী-জনতার বিপ্লবের মাধ্যমে প্রসিডেন্ট জিয়া ক্ষমতায় আসেন ও পরবর্তীতে bnp প্রতিষ্ঠা করেন। অনেকটা ভাগ্যের জোরেই তিনি ক্ষমতায় আসেন এবং ব্যাপক জনপ্রিয়তা অর্জন করেন।পরবর্তীতে ১৯৮২ সালে প্রসিডেন্ট জিয়া শহীদ হলে, অনেক নাটকীয়তার মাধ্যমে প্রেসিডেন্ট এরশাদ ক্ষমতায় আসেন।একই সময়েই দলকে রক্ষা করার জন্যই বেগম খালেদা জিয়া রাজনীতিতে সক্রিয় হন। তারপর ১৯৯০ সালে প্রেসিডেন্ট এরশাদের পতন হলে, ১৯৯১ সালের নির্বাচনে বেগম খালেদা জিয়া প্রথম ক্ষমতায় আসেন।
তারপর আবার ক্ষমতায় আসেন ২০০১ সালে। পক্ষান্তরে স্বাধীনতার পক্ষের শক্তি আওয়ামী লীগও ১৯৯৬ ও ২০০৯ সালে ক্ষমতায় আসে। আওয়ামী লীগ এখন দ্বিতীয় মেয়াদের ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত।
২ বারে ক্ষমতায় থাকা bnp যত সময় যাচ্ছে, মনে হয় ততটাই দূর্বল হয়ে পড়ছে। দলটার আচরনে মনে হয়না। এই দলটা ২ বার ক্ষমতায় ছিল। ১৯০৭-এর কেয়ার-টেকার সরকার জনাব তারেক জিয়াকে কারাবন্দী করে। তারপর তিনি জামিনে চিকিতসার জন্য বিদেশ যাবার পর থেকে, এখন পর্যন্ত দেশে ঢুকতে পারেননি। তারেক রহমানের আরেক ভাই সম্ভবতঃ অসুস্থ। বেগম জিয়ার বয়স বাড়ছে। এতদিন পর্যন্ত তিনি যতটুকু পারেন দলকে দিয়েছেন।আসলে উনার প্রচুর সংযম আছেন ও মিতভাষী হিসাবে উনার যথেষ্ট সুনাম। জনাব তারেকের দেশে ঢুকতে না পারা,বেগম খালেদা জিয়াকে বাড়ী থেকে বের করে দেয়া,সালাহউদ্দিন কাদেরের মত প্রেসিডিয়ামের সদস্যকে বিচারের মুখে নেয়া, কেয়ার-টেকারের মত বিরাট ইসুতে সময় মতো প্রতিবাদ করতে না পারা bnp কোন ধরনের বাধা সৃষ্টি করতে পারেনি। বড় ধরনের জন-সমর্থন থাকার পরেও, কিছু করতে না পারার কারন হচ্ছে, এমপি-দের কিছু অংশ বামপন্থী। জিয়া যখন দল তৈরী করেছিলেন, তখন পারিপার্শিক কারনে একমাত্র শাহ আজিজুর রহমান ছাড়া যাদের নিয়েছিলেন তারা সবাই ছিল, বামপন্থী(চীনপন্থী)।যদিও এখন সেই রাজনৈতিক প্রক্ষাপট এখন নাই, কিন্তু সেই এমপিদের রাজনৈতিক, ধর্মীয় বিশ্বাসের ধারাবাহিকতা তো থেকেই গেছে। এতবছরেও বিএনপি সেই ভাবধারা থেকে বরে হতে পারেনি। আমার দেশের মালিক মাহমুদুর রহমানের মত ২০ জনই যথেষ্ট।
বর্তমান সরকারের মানুষ গুম,সাগর-রুনি,হলমার্ক,শেয়ার ইত্যাদিরও কোন ধরনের সুবিধা আদায় করতে পারেনি। ভারতের সাথে সম্পর্ক আমাদের রাজনীতিতে একটা বিরাট ব্যাপার সীমান্তে প্রতিদিন মানুষ খুন, নদীর পানির ভাগ সঠিক ভাবে না পাওয়া, বানিজ্য ভারসাম্য ভারতের দিকে, সীমান্ত-চিহ্নিতকরন ইত্যাদি ইস্যু bnp সঠিক ভাবে কাজে লাগাতে পারেনি।
CT নিয়ে বর্তমান সরকারকে বিএনপি কিভাবে মোকাবেলা করবে, সেটা বিএনপির নিজের এবং জাতির কাছে, কারও স্পষ্ট না। হরতাল দিলে বিএনপির একটা সমর্থকও রাস্তায় থাকেনা, সব সমর্থক জামাতের।এই কারনে, জামাতের সাথে একসাথে হরতালের ডাক দিতে, এই দলের কিছু নেতার আপত্তি আছে।বিএনপির বামঘেষা নেতারা চিন্তা করে, এভাবে চলতে থাকলে, একসময় বিএনপি জামাতের মধ্যে ঢুকে যাবে। আবার আলাদা আন্দোলনের ক্ষমতাও বিএনপির নাই। যদি আলাদা নির্বাচন করা হয়, তাহলেও বিএনপি জিততে পারবেনা। এভাবে বেশীদিন চললে, bnp টিকবে না। সব দলছুট নেতাদের নিয়ে তৈরী বিএনপি।
এখন শুরু হয়েছে যুদ্ধপরাধীদের বিচার। বিএনপির নেতাদের মধ্যে বেশীর ভাগই বামপন্থী। যুদ্ধপরাধ আমাদের দেশে একটা খুবই গুরুত্বপূর্ন ব্যাপার। যুদ্ধাপরাধীর বিচারতো ১৯৭২ সালের দাবী। কেয়ার-টেকারের সাথে যুদ্ধাপরাধ ইস্যু যোগ হয়ে, bnp বিশাল চাপে পড়ে গেছে। অন্যরা বের হয়ে যাবে দলের স্থবরিতা ও সিদ্ধান্তহীনতার কারনে। আওয়ামী লীগের নেতারা সবসময় বলছে, জামাত ছাড়া bnp অচল। এটা বলে আওয়ামী লীগ দুই দলের ভাংগন চাচ্ছে।
বেগম জিয়ার বয়স হচ্ছে। আবার দলের বেশীর ভাগ নেতা বয়সী। নেতা-কর্মীরা বামপন্থী কিন্তু সমর্থকরা ডানপন্থী। এই দল বর্তমানকে কিভাবে মোকাবেলা করবে এটা স্পষ্ট না।
=্
বিষয়: রাজনীতি
১৩৮১ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন