কেয়ামত কত কাছে ?
লিখেছেন লিখেছেন টার্গেট ০৭ এপ্রিল, ২০১৩, ১০:০৬:৫৫ রাত
কেয়ামত কত কাছে ?
কেয়ামত নিয়ে মানুষের প্রচুর আগ্রহ আছে।তিনি কোন ধর্মের অনুসারী হন কিংবা নাস্তিকই হোন না কেন, এই ধরনের আলোচনায় সবা্রই অংশগ্রহন থাকে। তবে কুরআন-হাদিসে এর স্পষ্ট বক্তব্য আছে। তবে এটা বিস্ময়ের কথা যে, প্রচুর সংখ্যক মুসলমানই এগুলো কিছুই জানেনা। অনেকে জানলেও ভালভাবে জানেনা। এসব হাদিসের সমস্ত তথ্যই ঠিক হয়েছে, এবং এখনো হচ্ছে। বাকিগুলো ভবিষ্যতে ধারাবাহিক ভাবে হতে থাকবে। এগুলোর কিছু রাজনৈতিক, সামাজিক, অর্থনৈতিক, ঐতিহাসিক কিংবা বিজ্ঞান-ভিত্তিক।
১। খেলাফতের স্থায়িত্ব :- হাদিসে এসেছে, নবীর (সা তৈরী করা এই খেলাফত ৩৬ বছর পর্য্যন্ত স্থায়ী হবে। মূলত: ভবিষ্যত নবীরা জানেনা। মহান আল্লাহ যতটুকু প্রয়োজন মনে করেন,ততটুকু নবীদের জানান। নবীর তৈরী করা খেলাফত থাকবে, ৩৬ বছর পর্য্যন্ত । এরপরে আসবে মানুষের তৈরী করা মতবাদ। এর অর্থ এই না যে, ঈমানদাররা চুপ করে বসে থাকবে। বরং মানুষ ইসলামী-রাষ্ট্রের জন্য চেষ্টা করতে থাকবে। নবী তার উম্মতদের সতর্ক করার জন্য এগুলো জানিয়ে গেছেন।
২. মানুষের মতবাদ ব্যর্থ হবে:- শেষ জমানার ঘটনাপ্রবাহ সম্পর্কে নবী (সা বহুকিছু বলেছেন, যেন মানুষ সাবধান হতে পারে।রাজতন্ত্র, হিটলারের মত স্বৈরাচার, সামরিক শাসনের মাধ্যমে সামরিক স্বৈরাচার আসে, যেগুলো সম্পর্কে হাদিসে বলা আছে। এখন মানুষ আমেরিকা-ইউরোপ democracy (ডেমোক্রেসি) এর স্বাদ ও ব্যর্থতা দুটোই দেখছে। মানুষ এখন দ্রুত গতিতে কুরআন এর দিকে আসছে। বর্তমানে মুসলিম হবার হার পৃথিবীতে সর্বোচ্চ। হাদিসের কথাগুলো সত্য হবার ফলে, মানুষ কিয়ামতের তথ্য জানার জন্য আগ্রহী হয়ে উঠছে। তারপরও মুসলিমদের ভিতরে প্রচুর সংখ্যক না জানা মানুষ রয়েছে যেটা দু:খজনক।
৩. সুদ ভিত্তিক অর্থনীতি:- সুদ-ভিত্তিক পৃথিবীতে দীর্ঘ সময় থেকে চালু আছে। তবে ব্যাংকের লেন-দেনে জড়িত হয়েছে, হয়ত ২০০ বছর থেকে। এই সময়গুলোতে সুদভিত্তিক অর্থনীতিই চলছিল, যেটার ধারক-বাহক ইহুদী-খৃষ্টানরা। ১৯৮০-১৯৮৫ সালের মধ্যে কয়েকটি দেশে সুদবিহীন ব্যংক চালু হবার পর, বাংলাদেশসহ কয়েকটি দেশের ব্যাংকে ইসলামী শাখা চালু হয়েছে। এটা সুদী ব্যাংকের ব্যার্থতার নমুনা। কারন এই নিয়মে খরচ কম পড়ছে আর ব্যবসায়ীরা সুবিধা পাচ্ছে। যদিও বাংলাদেশ ইসলামিক রাষ্ট্র না হবার ফলে, এই ইসলামী ব্যংকে পুরোপুরি সুদমুক্ত করা যাচ্ছেনা। সুদী লেনদেন ধনীকে আরও ধনী, গরীবকে আরও গরীব করে। “আল্লাহ সুদকে হারাম আর ব্যবসাকে হালাল করেছেন।“
৪। পৃথিবীতে মানুষের অবস্থানকাল:- ১৫০০বছর আগেই নবী বলেছেন, কিয়ামত কাছে। এখন হাদিসের দেয়া লক্ষনগুলো মিলিয়ে নিতে হবে।
৫। সর্বমোট মুসলিম সংখ্যা একটা বড় আলামত:- বর্তমানে যদি ৬০০ কোটি মানুষ থাকে, তাহলে এর মধ্যে মোট মুসলিমের সংখ্যা বের করতে হবে। তারপর বাকী অমুসলিমদের মুসলিম হবার হার দিয়ে এটাকে ভাগ করলে ইমাম মেহেদীর আসার সময় বের হয়ে আসবে। প্রথম দিকে হার কম হবে আর পরে বেশী হবে। ডা. জাকির নায়েকের বক্তব্য অনুযায়ী ১৯৩৫-১৯৮৫ সালের মধ্যে মুসলিম হবার হার হচ্ছে ২৫০% । কাজেই মুসলিমের সংখ্যা একটা গ্রহনযোগ্য পর্যায়ে গেলে এবং ইহুদী-খৃষ্টানদের বিশ্ব-নেতৃত্ব হারানোর মত পরিবেশ সৃষ্টি হলে, উত্তেজনা বাড়তে থাকবে। ঐ সময় প্রথম আসবেন ইমাম মেহেদী। কারন সবাই মুসলিম হয়ে গেলে তো আর উনাদের কোন কাজ নাই। আর বিশেষ যোগ্যতাসম্পন্ন নেতা ছাড়া তাদের সংগে বিজয়ী হওয়া যাবেনা।
৫। আর কত সময় লাগতে পারে :- জর্জ বার্নাশ’য়ের মতে এই শতাব্দী হচ্ছে ইসলামের। মুসলমানরা সবচেয়ে বেশী কষ্ট পেয়েছে গত ২০০ বছর। আমার হিসাবে আর সবোর্চ্চ ২০০ বছর লাগতে পারে। ২১০০ সালের দিকে ইমাম মেহেদী। এটা একটা আলোচনা, আর এই আলোচনা ভুল-ঠিক দুটোই হতে পারে। আমি মনে করি সমস্ত মুসলিমের হাদিসের এই লক্ষনগুলো সম্পর্কে পরিস্কার ধারনা থাকা অত্যন্ত জরুরী।
৬। মুসলিম দেশগুলোর মধ্যে ঐক্য :- ইমাম মেহেদী কোন ব্যাক্তির নাম না। এটা হচ্ছে একটা পদের নাম। যেমন pdb এর chairman. ইমাম মেহেদী মূলত একটা প্রতীকি নাম। যেকেউ এই আসনে বসতে পারে। জনাব মেহেদী নিজেও জানবেননা উনি ইমাম মেহেদী। হয়তো উনি কোন দেশের প্রেসিডেন্ট হিসাবে, দায়িত্ব পালন করছেন। একমাত্র নবী ছাড়া কেউ কোন ধরনের declaration দিতে পারবেনা যে “আমি আল্লাহর প্রতিনিধি, কাজেই তোমরা আমার কথা শোন, আমি যা বলছি তা আল্লাহরই কথা”। তার কাজ শেষ হবার পর কিংবা চলা অবস্থায় মানুষ বুঝতে/অনুমান করতে পারবে, সেই নেতাটাই হচ্ছে/ছিল ইমাম মেহেদী। যাদের হাদিস আর সমকালীন বিষয়ের ধারনা থাকবে তারাই ইমাম মেহেদীকে অনুভব করতে পারবে।
৭। মুসলিম দেশের ঐক্য ও মুসলিম হবার হার :- এটা ইমাম মেহেদীর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ন কাজ এবং উনাকে চেনার একটা প্রধান লক্ষন। তার সুযোগ্য নেতৃত্বে সমস্ত দেশগুলোর কঠিন ঐক্য হবে। ইমাম মেহেদী আসার বহু পূর্ব থেকেই এই মেরুকরন শুরু হয়ে যাবে। কারন রাতারাতি হবার কাজ না। তবে উনার সময়ে এটা চূড়ান্ত রুপ লাভ করবে।
জর্জ বার্নাডশ :
“If any religion had the chance of ruling over England, nay Europe within the next hundred years, it could be Islam.”
বাট্রান্ড রাসেল :
“From India to Spain, the brilliant civilization of Islam flourished”
৮। হঠাৎ ইসরাইল-রাষ্ট্রের সৃষ্টি:- এটা আল্লাহর অস্তিত্বের প্রমান। হাদিসে কেয়ামতের শেষ দিকে ইহুদী-খৃষ্টানদের সাথে মুসলমানদের যুদ্ধের কথা বলা আছে। যদিও ইহুদী-খৃষ্টানরা আরব সীমানায় বহু আগে থেকেই আছে, কিন্তু রাষ্ট্রের আকারে ছিলনা। ইহুদী রাষ্ট্র তৈরীর মাধ্যমে তারা সম্পূর্ন প্রস্তুত হয়েছে মুসলিমদের সাথে যুদ্ধ করার জন্য। ইহুদীদের কুরআনে ‘অভিশপ্ত’ বলা হয়েছে। কারন এরা যুগে যুগে ষড়যন্ত্র/হটকারিতা করেছে। সবশেষে আসবেন হযরত ঈসা(আ। উনার আগমনের পরে প্রায় সমস্ত সংখ্যাক খৃষ্টান মুসলিম হয়ে যাবে।খুবই সামান্য সংখ্যক ইহুদী মুসলমান হলে্ও, প্রায় সমস্ত ইহুদীই ঈমান আনবেনা। এতে বুঝা যায় এই অভিশপ্ত জাতিটা কেয়ামতের শেষদিন পর্যন্ত থাকবে খারাপ কাজ করার জন্য এবং এরা ‘দাজ্জালের’ সহযোগী হবে।
৯। ড. জাকির নায়েকের মত আরও ব্যাক্তিত্ব :- পৃথিবীব্যাপী জাকির নায়েকের মত লক্ষ ব্যাক্তিত্বের জন্ম হবে। উনারা ইমাম মেহেদীর আসার পথ পুরোপুরি প্রস্তুত করে রাখবে।
১০। ইমাম মেহেদী ও দাজ্জাল:- ইমাম মেহেদী আসবেন এবং উনার নেতৃত্বে মুসলিম দেশগুলোর সম্মিলিত শক্তি বিজয়ের দ্বারপ্রান্তে উপস্থিত হবে। এসময় দাজ্জালের আবির্ভাবে ইমাম মেহেদীর অগ্রগতি কিছুটা শ্লথ হয়ে পড়বে।
১১। মুসলিমদের বিরোধী-পক্ষ দেখতে কেমন হবে ? :- তারা বেটে ও আনুপাতিক হারে বেশী চওড়া, ছোট চোখ বিশিষ্ট। পায়ে লোমওয়ালা জুতা-স্যান্ডেল। আমার ধারনা এরা চীন, জাপান, কোরিয়া ইত্যাদি দেশের হবে। বর্ননাতে এটা বুঝা যায়। আরেকটা গুরুত্বপূর্ন ব্যাপার হচ্ছে, খেয়াল করলে দেখবেন, এদের মধ্যে মুসলিম হবার হার সবচেয়ে কম। যেভাবে হিন্দু, খৃষ্টানরা হচ্ছে; এরা কিন্তু এভাবে মুসলিম হচ্ছেনা। চীনে যদিও প্রচুর মুসলিম আছে, এরা আগের মুসলিম। এই মুসলিম হবার হার শেষ পর্যন্ত এরকম থেকে যাবার সম্ভাবনাই বেশী।
১২। দাজ্জালের পৃথিবী দখল:- হাদিসে আছে , দাজ্জাল মাত্র ৪০ দিনে পৃথিবী দখল করে ফেলবে। সম্ভবত: তখন media এত শক্তিশালী হবে যে, পৃথিবী দখল করার জন্য এটা প্রচুর সময় বলে মনে হবে। ফেসবুক, ইন্টারনেট, মোবাইল, টিভি ইত্যাদি দাজ্জালের কাজকে সহজ করে দিবে।
১৩। হযরত ঈসা (আ আসবেন:- হযরত ঈসা (আ ফযরের নামাযের পর ‘মসজিদুল আকসাতে’ নামবেন। উনার পরনে থাকবে হলুদ রংয়ের কাপড়। চুল হবে কুচকুচে কালো। এত কালো যে, চুলকে ভিজা মনে হবে। নবী হিসাবে আসবেন না। এসে বাইবেল বাতিল করবেন,ক্রুস ধ্বংস, মদ/শূকরের মাংস হারাম করবেন। হযরত ঈসা নবী হিসাবে আসবেননা।তিনি তার সময় পরিপূর্ন করা এবং জাতিকে ধর্মকে সাহায্য করার জন্য আসবেন। ইমাম মাহদী উনাকে নামাজের ইমামতি করার জন্য বললে, তিনি ইমামতি না করে , জনাব মাহদীকে দিয়ে ইমামতি করাবেন।
১৪। ইহুদী-খৃষ্টান:- প্রায় সমস্ত খৃষ্টান মুসলিম হবে। কম সংখ্যক ইহুদী মুসলিম হবে।হাদিসে আছে, পানিতে লবন যেভাবে গলে যায়, হযরত ঈসা(আকে দেখে দাজ্জাল সেরকম দূর্বল হয়ে পড়বে।সিরিয়া-ইসরাইলের কাছে তার সাথে ‘দাজ্জালের’ দেখা হবে।তিনি সেখানে দাজ্জালকে হত্যা করবেন।
১৫। হযরত ঈসা(আ : ৪০ বছর শাসন করবেন। তিনি বিয়ে করবেন। তারপর তিনি ইন্তেকাল করবেন।
১৬। হযরত ঈসা এর বিদায়ের পর : মানুষের চরিত্র দ্রুত খারাপ হতে থাকবে। ধারাবাহিক ভাবে মহাবিশ্বের ধ্বংস হবার এবং কেয়ামতের চূড়ান্ত লক্ষনগুলো দ্রুত গতিতে প্রকাশ পেতে থাকবে। কিন্তু মানুষ সেদিকে ভ্রক্ষেপও করবেনা। মানুষ তার খারাপ কাজগুলো করতেই থাকবে।
১৭। মানুষ বাড়লে পরিবেশ :- যেহেতু মানুষ সংখ্যায় থাকবে বেশী,কাজেই সবার আগে, পরিবেশ বিপর্যয় হবে।অল্প জায়গায় বেশী মানুষ থাকলে, যেধরনের সমস্যা হয়। পানি, বাতাস,খাদ্য সব বিষাক্ত হয়ে পড়বে।
১৮। সূর্য্য তার উজ্জলতা হারাবে:- সূর্য্যের বয়স কত, আমরা সেটা জানিনা।আল্লাহ নিশ্চয় একটা মেয়াদ দিয়ে এটা বানিয়েছেন। হয়তো এটার সময় শেষ।শেষ জমানায় সমস্ত জ্বালানী হয়তো সূর্য্য-নির্ভর হয়ে পড়বে।বিজ্ঞান/কুরআন বলছে, সূর্য্য তার উজ্জলতা হারাবে।কিছুদিন আগে পত্রিকায় ২০১৮ সালে ‘solar sleep’ যদি হয়, তাহলে পৃথিবী বেশকিছুদিন অন্ধকারাচ্ছন্ন থাকবে। পরবর্তীতে recyle এর মাধ্যমে সূর্য্য আবার তার আলো ফেরত পাবে। এটা এর দূর্বল হয়ে পড়ার উদাহরন।
১৯। ভূমিকম্প হবে :- কারন মানুষ তার প্রয়োজনে মাটির নীচের থেকে সমস্ত সম্পদ যেমন পানি,গ্যাস,তেল, খনিজ-সম্পদ ইত্যাদি দ্রুত-গতিতে তুলবে।
২০। সূর্য্য পশ্চিম দিকে উঠবে:- এখন যেমন মানুষ কুরআন নিয়ে, চিন্তা করছেনা, তখনও এটা নিয়ে চিন্তার সময় মানুষের থাকবেনা্
২১। ইয়াযুজ-মাজুজ আসবে:- ঐ সময়ের প্রবল পরাক্রান্ত জাতি, যারা দূর্দমনীয়।
২২। মেয়েদের সংখ্যা:- মেয়েদের সংখ্যা অসম্ভব বেশী হবে। প্রতিষ্ঠানগুলোতে এর অনুপাত দাড়াবে ৫০:১(প্রায়) ।যুদ্ধ কিংবা বড় কোন মানবিক বিপর্যয় এটাকে ত্বরান্বিত করবে।এমনিতেই মেয়েদের জন্মহার বেশী।সম্ভবত: ইসলামে একারনেই বহু-বিবাহের পথ রাখা হয়েছে।
২৩। হযরত ইসরাফিল(আ:- একটা পর্যায়ে, ইসরাফিল তার সিংগা বাজাবেন। সমস্ত পৃথিবী থেকে এই সিংগা শুনা যাবে। সিংগা বাজার সাথে সাথে তওবার করার পথ বন্ধ হয়ে যাবে। ৬ মাস এই সিংগা বাজতে থাকবে। প্রথমে এই শব্দ অত্যন্ত ভাল লাগবে। কিন্তু ধীরে ধীরে এর শব্দের তীব্রতা বাড়তে থাকবে। কিছুটা বাড়লে এর শব্দে মানুষের কানের পর্দা ফেটে রক্ত বেরুতে থাকবে।কিন্তু শব্দ বাড়তেই থাকবে।শব্দ বাড়ার তালে তালে মহাবিশ্ব ধ্বংস হতে থাকবে।
একমাত্র মহান Allah :- একমাত্র মহান আল্লা্হ ছাড়া যত সৃষ্টি,ফেরেস্তা,জীনসহ সবাই ধ্বংস হবে।এরপর সবাইকে জীবনদান করা হবে এবং সবাই আরাফাতের মাঠে হাজির হবে শেষ বিচারের জন্য।এটাই হাশরের দিন।তবে এটা পৃথিবীর আরাফাতের মাঠ না।
বিষয়: বিবিধ
১৫৯৮ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন