ব্যারিস্টার মইনুলদের দৃষ্টান্তমূলক বিচার দাবি করছি !...
লিখেছেন লিখেছেন দুর দিগন্তে ২২ অক্টোবর, ২০১৮, ০৩:৪৪:০৪ দুপুর
অনাগত সব ব্যারিস্টার মইনুলদের বিচার দাবি করছি, এই কারনে যে- কোনো পতিতালয়ে গিয়ে চরিত্রবান কারো খোজ করা যেমন হাস্যকর । সেখানে গিয়ে কাওকে চরিত্রহীন বলাও তেমন আহাম্মকী বটে । এই আহাম্মকী কান্ডের দন্ড হিসেবে, নি:শর্ত ক্ষমা চাওয়া খুবই লঘু দন্ড মনে করি । এর একটা দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হওয়া দরকার....!
-
একজন বনীআদমের যখন, সকল মৌলিক মানবীয় গুনাবলীগুলো একেএকে বিলুপ্ত হয় । তখন তার বিবেক আত্নহত্যা করে । এই বিবেক মরা মানুষ গুলোই ধীরেধীরে চরিত্রহারা হয়ে বাম রাম অথবা নাস্তিকতার আড়ালে, অমানবিক গোয়েবলসিয় কর্মকান্ডে জড়িয়ে পড়ে । যাদের সামাজিক নাম পদ পদবি ভিন্ন ভিন্ন হলেও তাদের কমন ডাকনাম চরিত্রহীন ।
-
এই চরিত্রহীন বাম ও ভাম মানবরুপি শয়তান গুলোকে বিশ্বের সাম্রাজ্যবাদী, ফ্যাসিবাদী দেশ ও সরকার ব্যাবস্থায় নিজেদের স্বার্থসিদ্ধির জন্য উচ্চমুল্যে কিনে নেয় । যাদেরকে আমরা সহজ ভাষায় বুদ্ধিবিকৃত ভীনদেশী দালাল বলে চিনি । যারা তাদের প্রভূর ইশারা ও ইচ্ছায় মুকাভিনয় করেই জিবিকা নির্বাহ করে বেঁচে থাকে আজীবন ।
-
পাশ্চাত্যের এই পেইড এইজেন্টরা তাদের প্রভূদের এসাইনমেন্ট বাস্তবায়নের জন্য, দেশের ইসলাম বিদ্বেষী সরকার ও দল গুলোর উপর ভর করে । সময়ে অসময়ে কুবুদ্ধি, কুমন্ত্রনা দিয়ে কখনো বুদ্ধিজীবী, কখনো সংস্কৃতিবান, কখনো সুশীল, কখনো বা মিডিয়া ব্যাক্তৃত্ব সেজে, চ্যানেল গুলোর লাইভে এসে মানুষ ও মনুষত্যের চরিত্র হননে ব্যাস্ত থাকে। সমাজের উঁচুশ্রেণীভূক্ত ভদ্র ও ভালো মানুষ গুলোকে বিব্রত করে প্রায়ই ।
-
দিনশেষে যা হয়, তা হলো এজাতীয় চরিত্রহীন বুদ্ধি প্রতিবন্ধিদের দ্বারায় পরিচালিত ও নিয়ন্ত্রিত হয় আমাদের দেশের তাবত প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রানিক মিডিয়া গুলো । সে রকম একটি অঙ্গনে ব্যারিস্টার মইনুলরা কোনো বাচ-বিচার না করে, স্বেচ্ছায় সেখানে গিয়ে কোন একজনকে আলাদা করে চরিত্রহীন বলাটা আমি মনে করি একচোখা নীতি ও একপেশে সিদ্ধান্ত ।
-
যেখানে লাল নীল লাইট ক্যামেরার সামনে ও পেছনে শতশত চরিত্রহীনের আনাগোনা । তারমধ্য থেকে একজনকে চরিত্রহীন বলে বাকীদের অপমান করার কোনো অধিকার-ই ব্যারিস্টার মইনুলদের থাকত পারে না।
-
তাই বলি কি, ব্যারিস্টার মইনুলদের উচিত হবে, বাম রাম নাস্তিক ও চরিত্রহীন ব্যাক্তি বস্তু মিডিয়া বুদ্ধিজীবী সংস্কৃতিজীবী পরজীবী সঞ্চালক সাংবাদিক সহ নাস্তিকমার্কা সব চ্যানেল গুলোকে সম্মিলিত ভাবে বয়কট করা ।
-
যদি বাস্তবতার নিরিখে কোনো টকশো বা লাইভে যেতেই হয়। তবে অন্তত জেনে শুনে যান । কারা থাকছে আপনার পাশের চেয়ার গুলোতে? কে সঞ্চালক? কারা লাইভে যুক্ত হবে? যে অতিথি আসবে তারা আপনার সমমর্যাদার কি না? তাদের প্রোফাইল ঘেঁটে সিদ্ধান্ত নিন। তেমন চরিত্রহীন কেউ একজন যে অনুষ্ঠানে থাকবে সে অনুষ্ঠান আপনাদের জন্য বেমানান । সে সমস্ত চরিত্রহীনদের বয়কট-ই হবে চরিত্রবানদের বলিষ্ঠ প্রতিবাদ । তাই আজ থেকেই শুরু হোক মিডিয়ার চরিত্রহীন বয়কট আন্দোলন।
-
আমাদের পূর্বপুরুষদের কাছে টেলিভিশন শয়তানের বাক্স নামেই পরিচিত ছিলো। হাল আমলে দু-একজন পিয়াস করিম বা ব্যারিস্টার মইনুলদের কালে ভদ্রে সেখানে যাওয়া আসার কারনে শয়তানের বাক্স নামটি আজ অস্তিত্বের সংকটে । যেটি কাম্য হতে পারে না।
-
মোশাররাফ
২০/১০/১৮.
বিষয়: বিবিধ
৯৩০ বার পঠিত, ৫ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন