প্রতিবাদ সভা ও সাংবাদিক সম্মেলন
লিখেছেন লিখেছেন দুর দিগন্তে ১৭ মার্চ, ২০১৩, ০৩:৪০:১৫ রাত
প্রেসনোট/মোশাররাফ/১৫/০৩/১৩ ইতালীর রাজধানী রোমে এক প্রতিবাদ সভা ও সাংবাদিক সম্মেলনে বক্তারা অবিলম্বে বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিশন গঠন করে ইন্টারনেট,ব্লগ,ফেসবুকে যে সমস্ত নাস্তিক ব্লগার ইসলাম ও মহানবী (স.) এর প্রতি কুরুচিপুর্ন বক্তব্য ছড়িয়েছে,তাদের সকলকে বিচারের আওতায় নিয়ে দৃস্টান্ত মুলক শাস্তির দাবি করেন। সংখ্যালঘুদের উপর একটি মহলের পরিকল্পিত ও রহস্যপুর্ন আক্রমনের তীব্র ধিক্কার ও নিন্দা জানান । তারা ৯০ শতাংশ মুসলিম অধ্যুষিত বাংলাদেশে আল্লাহ ও রাসূল সা:-এর বিরুদ্ধে মিথ্যা কুরুচিপূর্ণ কাহিনী প্রকাশ, কুরআন ও হাদিস বিকৃত করে দ্বীন ইসলামের ওপর একটি চিহ্নত ব্লগার চক্ররের নগ্ন হস্তক্ষেপ বন্ধ করার আহ্বান জানান। তারা মাননীয় স্পিকারের নিকট সকল ধর্মের সম্মান মর্যাদা অক্ষুন্ন রাখতে সংসদে একটি নতুন আইন পাশেরও আহবান জানান
আজ ১৫ মার্চ শুক্রবার । বিকাল ৩ টায় সম্মিলিত ইমাম মাশায়েখ পরিষদ রোম ইটালীর উদ্যোগে এক বিশাল প্রতিবাদ সভা ও সাংবাদিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। আহবায়ক হাফেজ মাওলানা মিজানুর রাহমানের সভাপতিত্বে, বাংলাদেশ সমিতি ইটালীর সভাপতি, নুরে আলম সিদ্দীকি বাচ্চুর পরিচালনায় অনুষ্ঠিত প্রতিবাদ সভা ও সাংবাদিক সম্মেলনে রোম শহরের সকল মসজিদ থেকে জুমুয়ার নামাজ বাদ হাজার হাজার মুসল্লী নবী (স.) দ্বীন ও ইমানের মহব্বতে দলমত নির্বিশেষে প্রোগ্রামস্থল পরিপুরর্ন হয়ে যায় ।
প্রথমপর্বে সাংবাদিক সম্মেলন এ, সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন হাফেজ মাওলানা মিজানুর রাহমান,মুফতি ওয়ালি উল্লাহ খান,হাফেজ মাওলানা রুহুল আমিন ,এনটিভির একে জামান এর এক প্রশ্নে আগামী দিনে এজাতীয় কর্মকান্ড পরিচালনা ও আন্দোলন অব্যহত রাখার জন্য স্থায়ী একটি সংগঠন প্রতিষ্ঠার ঘোষনা দেন । এক সাংবাদিক ,,আপনি নিজে ফেসবুকে দেখেছেন ? না শোনা কথায় বলছেন ?,, এমন প্রশ্ন করলে উপস্থিত জনতা বিক্ষুদ্ধ হয়ে তিব্র হৈচৈ শুরু করেন । পরে পরিচালক পরিস্থিতি সান্ত করে সবাইকে দরুদ শরিফ পড়ার পরামর্শ দেন । চ্যানেল এসের সাংবাদিক সুনিদৃষ্ঠ কোন তথ্য উপাত্যের কপি সরবরাহ না করা ,আয়োজকদের কোনো পরিচয় তুলে না ধরায় দৃস্টি আকর্ষন করে প্রোশ্ন রাখেন।
দিতীয়পর্বের প্রতিবাদ সভায় বচ্চিয়া মসজিদের খতিব হাফেজ মাওলানা নাসির উদ্দীন বলেন।সৃস্টির শুরু থেকে আজ মডার্ণ টেকনোলোজির যুগেও মুসলীম মিল্লাত দুটি স্রোতে বিভক্ত । একটি স্রোত প্রবাহিত হচ্ছে মুহাম্মদ (স.)এর পক্ষে ।আরেকটি স্রোত প্রবাহিত হচ্ছে আবু জেহেলদের পক্ষে । তারই ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশে ফেরাউনদের উত্তরসুরী কিছু উল্লুক পয়দা হয়েছে । তারা ইসলাম মহানবী ( স.) সম্পর্কে কুরুচিপুর্ন কথা ছড়িয়ে ইমানদারদের কলিজায় আগুন জালিয়েছে । আমরা তাদের বিচারের জন্য সরকারের কাছে জোরদাবী জানাচ্ছি । এদিকে কিছু নাস্তিক দেশের ইসলামী শিক্ষার বিরুদ্ধে বিষোগার করছে ।যার বিরুদ্ধে আওয়াজ তোলা ইমানী দায়িত্ব ।
মসজিদে রেদিরোমার খতিব হাফেজ ফজলুল করিম বলেন-রাসুলুল্লাহর সাথে বেয়াদবি করে কেও রেহায় পাইনি । বাংলার নাস্তিকদের ও যাইগা হবে না ।অচিরেই তারা ধংশ হয়ে যাবে । মসজিদে মক্কীর খতিব মুফতী ওয়ালি উল্লাহ খান বলেন,যে সমস্ত ব্লগাররা কুরুচিপুর্ন কথা লিখে ইসলাম ও নবীর অবমাননা করেছে । তাদের শাস্তির জন্য সরকারের কাছে আহবান জানাচ্ছি
নাবীজির উপর, ইসলামের উপর হামলা হয়েছে । অবমাননা হয়েছে । এর প্রতিবাদ করা শুধু আলেমদের দায়িত্ত নয় । দলমত সবার দায়িত্ব । রক্তদিয়ে হলেও এ আন্দোলনে সকল মুসলিমের ঐক্যবদ্ধভাবে ঝাপিয়ে পড়া উচিত । তার জালাময়ী বক্তব্য উপস্তিত মুসল্লিদের আপ্লুত করে তুল্লে, তাকবীর ধনীতে প্রকম্পিত হয়ে উঠে । তাতে গায়ে জালা লাগে রাজীব ও শাহবাগী নাস্তিকদের এদেশীয় প্রেতাত্তাদের । তারা নিরিহ মুসল্লীদের উপর গালাগালী ও হট্টগোল শুরু করলে ।পাল্টা ইসলামী জনতা সবাই মুহুর্মুহূ শ্লোগান সুরু করলে ঘাদানিকরা রনে ভঙ্গ দেয় ।
সভাপতির বক্তব্যে মসজিদে রোমের খতিব হাফেজ মিজানুর রাহমান বলেন,দল যার যার, নাবী মুহাম্মাদ ( স.) সবার । সব দলের সমান ইমানী দায়িত্ব চিহ্নিত ব্লগারদের বিচারের আওতায় এনে কঠিন শাস্তি দিতে সরকারকে বাধ্য করা। আমি মসজিদে সবায়কে দাওয়াত দিয়েছিলাম । স্পেশালী আওয়ামীলীগের ভাইদের বলেছিলাম প্রগ্রামে আসার জন্য ।তারা এসেছেন । কিন্তু কিছু উঃশৃংখল শয়তান বিশৃংখলা শুরু করলে তারা ভুমিকা রেখেছেন তাদের নিরসনে । এই জন্য তাদের নেতৃবৃন্দকে মোবারাকবাদ জানাই ।
বিষয়: বিবিধ
১০৮৬ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন