ইতিহাসের পথ
লিখেছেন লিখেছেন দুর দিগন্তে ১৪ মার্চ, ২০১৩, ০২:১২:৪১ রাত
সময় তার পাদপীঠ অতিক্রম করে নিরন্তর অন্তর,
লিখে যায় স্মৃতির পাতায় অবিরাম ইতিহাস,
ইতিহাস সর্বময় অনুগমন করে-
দুটি সমান্তরাল সুড়ঙ্গের সিঁড়ি বেয়ে,
সে পথে প্রবেশ আছে, প্রস্থান নেই;
তাই ইতিহাস স্মৃতিতে বিস্মৃতি নেই ।
সে ইতিহাসের একটি পথে, স্বর্নালী আলোয়-
রচিত হয় মহাকালের শ্রেষ্ঠ মহাকাব্য;
সংরক্ষণ প্রচেষ্ঠায় থাকে প্রানান্তকর,
অন্য পথটি কৃষ্ণকায়, আমবষ্যার জঠরে ইবলীসের ঔরষে-
ক্রমাগত জন্মায়, কুখ্যাত ইতিহাস আঁস্তাকুঁড় । ।
আদম (আ.) থেকে ইব্রাহীম, মুসা, ঈসা, মুহাম্মদ(স.)-
অনুসৃত স্রোষ্ঠার মহাজাগতিক মহানুগ্রহ প্রাপ্ত একটি ইতিহাস,
আরেকটি ইবলীস-সাদ্দাদ, আব্রাহা-নমরুদ, ফিরাউন-হামান,
কারুন-আবুজাহেলদের দম্ভোক্তির গহভরে নরকযাত্রা।
এদুটি ইতিহাসের পথচলায় আছে অপরিহার্য মহাযুদ্ধ,
সত্য-মিথ্যার চিরন্তন দ্বন্দই যার প্রাগৈতিহাসীক স্বীকৃতি,
এ যুদ্ধের সৈন্য সামন্ত নায়ক মহানায়কগণ-
ইতিহাসের সেদুটি পথ ধরেই অগ্রসরমান;
পৃথিবীতে জন্ম নেয়া প্রত্যেক মানব সন্তানই,
আমৃত্যু সে যুদ্ধের বাধ্যানুগত সৈনীক;
এদুই বিনে ভীন্ন কোন পথ নেই, যুদ্ধ নেই, ইতিহাস নেই,
আছে শুধু একটি পথ বেছে নেয়ার, আছে চলার স্বাধীনতা । ।
সে ঐতিহাসিক পথটির যোদ্ধা হতে প্রয়োজন নির্ভূল বিশ্বাস,
কঠিন প্রশিক্ষণ, ধৈর্য-সংগ্রাম, স্বর্গীয় বিধান আনুগত্যের পরম পরাকাষ্ঠা,
এর বাইরে অবশিষ্ঠ সকলেই ভীন্ন পথযাত্রী,
যেপক্ষ ধৈর্য সংযমের শিক্ষায় বলিয়ান-
নবীদের পদাংক অনুস্বরনে সংগ্রামের উচ্চশিখরে,
নিজের নফসকে আবিস্কার করেছে সেই মহাকালের যুদ্ধে প্রকৃত বিজয়ী-
মহাযুগ ইতিহাসের সিংহাসনে বীর সেনাপতি ।
শুহাদার রক্ত ছুয়ে ছুয়ে বিশুদ্ধ আঁত্নারা আমাদের কাফেলাকে-
সে বিজয়ের পথেই চালিত করেছে অনবরত;
কিন্ত কখনো কখনো ইবলিসী রাষ্ট্রযন্ত্র বাঁধার প্রাঁচীর কন্টোকাকীর্ণ গোলোকধাঁধাঁয়,
দুর্গম গীরীপথকে করে পিচ্ছিল করে ক্ষনিকের গতিশ্লোথ,
শতাব্দীর মীনারে গণজোয়ারের ডাক আসে বার বার সমগ্র মহাদেশে
দিয়ে যায় সে নিশ্চিত ইতিহাস বিজয়েরই প্রতীকী ইশতিহার । ।
মোশাররফ
১০.০৩.১৩
বিষয়: বিবিধ
১১০৭ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন