আরেকটি যু্দ্ধের দামামা
লিখেছেন লিখেছেন দুর দিগন্তে ১০ ফেব্রুয়ারি, ২০১৫, ০৪:১৪:১১ রাত
-হুসাইন মুহা: মোশাররফ/০৯.০২.১৮
পৃথিবীতে এমন কোনো মানুষ পাওয়া যাবে না । যারা পরাধীন থাকতে চায় । মনুষ্যত্ব আর স্বাধিনতা পরস্পরের পরিপূরক । এ দুই বিনে মানুষ ও প্রাণীর মাঝে, আর কোনো ফরাক নেই । এ দুইয়ের সমন্বয়েই, পৃথিবী ভাঙ্গাগড়ার ইতিহাস । এ দুইয়ের সমন্বয়হীনতায়, দুনিয়ার তামাম যুদ্ধ বিগ্রহের সূচনা । এ দুইয়ের অবক্ষয়েই, যমীনে নাজিল হয় যতসব অশান্তি । বাংলাদেশ আজ সে সমন্বনয়হীনতার একটি জলন্ত অঙ্গার ।
১৯৬৯ এ বাংলার সাত কোটি মানুষই চেয়েছিলো স্বাধীন ভূখন্ড । চেয়েছিলো পতাকাটা চাঁদ-তারা মুক্ত হোক । তার প্রতিফলনই ছিলো ১৯৭০ এর নির্বাচনের একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা । কিন্ত মুক্তিযুদ্ধ শুরুর প্রক্কালে, মুক্তি আন্দলোনের প্রক্রীয়া নিয়ে, দূঃখজনক ভাবে দুটি পক্ষের জন্ম হয় । প্রথমপক্ষ চায় ,হয় ক্ষমতা নয় ভারতের সহযোগীতায় স্বাধিনতা । দ্বিতীয়পক্ষ চাইলো আপাতত যুদ্ধ নয় , চায় শায়ত্ব শাসন । মুক্তিযুদ্ধ যখন করবো, নিজ শক্তিতে স্বয়ংসম্পন্ন হয়েই করবো । স্বধিনতা ছিনিয়ে আনতে প্রয়োজন প্রস্তুতি । প্রয়োজন সময় ও দক্ষতা । কারো করুনা নিয়ে স্বাধিনতার অর্থ পরাধীনতায় । শুধু মনিবের পরিবর্তন মাত্র ।
পরবর্তী ইতিহাস সবার মূখস্থ । প্রথমপক্ষ তথা ক্ষমতকাঙ্খীরা ক্ষমতার মসনদ না পেয়ে, কোনো প্রস্তুতি ছাড়া ভারতের পেটে গিয়ে যুদ্ধ করে অল্পসময়ে দেশ স্বধীন করলো । যারা ক্ষমতা চেয়েছিলো তারা ক্ষমতা পেয়ে গেলো । কিন্ত বাংলার মানুষ স্বাধীনতার সুফল পেলো না । স্বাধীনতার তলা ও গলা সব চলে গেলো ভারতের হাতে । কিন্ত ইতিহাস থাকে বিজয়ীদের পক্ষেই, এটাও ব্যাতিক্রম হলো না । খড়গ তখন থেকে ঝুলছে প্রতিনিয়ত দ্বিতীয় পক্ষের উপর । যারা চেয়েছিলো নিজ শক্তিতে বলিয়ান হয়ে স্বাধিকার আন্দলোনে নামতে । এমন ভঙ্গুর স্বাধিনতা চায়নি । যারা পিন্ডির পেট থেকে বেরিয়ে, দিল্লির গোলামী চায়নি । আজ সময় এসেছে দ্বিতীয় পক্ষের সেই রীন শোধ করবার ।
আজ বাজছে দামামা, আরেকটি মুক্তিযুদ্ধের । নিজ শক্তিতে বলিয়ান হয়ে এবার মাঠে নেমেছে নতুন মুক্তিযোদ্ধারা । এবার যে স্বাধীনতা অর্জিত হবে । তার সুফল কেউ ছিনতায় করতে পারবে না ইনশাআল্লাহ । কারন ,প্রথম মুক্তিযুদ্ধে অধিকাংশই যেখানে ছিলো ক্ষমতালোভি , ভারত প্রেমীক । এবারের মুক্তিযোদ্ধারা সত্য ন্যায় ও আল্লাহ প্রেমীক । সত্যিকারের দেশপ্রেমীক । তাই হতাশা নয় । ত্যাগের পরীক্ষা একটু দীর্ঘ, রক্তের সাগর বেশি উত্তাল এবং, সময় দ্বীগুন লাগলেও এবার আমাদের পতাকাটা হবে বেশ সুরক্ষিত । এবং এক পরিক্ষিত ও মজবুত ভীতের উপর সুপ্রতিষ্ঠিত । বাংলাদেশ যখন মুক্ত হবে মাথা বিকৃত, ভিনদেশি দালাল থেকে । আমাদের শহীদের রক্তভেজা এ যমীন তখন হবে আরো উর্বর । আরো সুফলা । আরো গতিশীল । আসুন সেই বিজয় প্রত্যাশী যোদ্ধাদের পাশে কাতারবদ্ধ হয়ে দাড়ায় । এদেশ থেকে ফেরাউনের বংশধর বিশ্বাসঘাতকদের পালানোর সময় অতি সন্নিকটে । “সত্যে সমাগত,মিথ্যা অপসৃত,সত্যের বিজয় অবশ্যম্ভাবী”-(আল কুরাআন)
বিষয়: বিবিধ
১০৫৬ বার পঠিত, ৩ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
পক্ষের বাইরে কি আমরা গিয়েছি? একদিন যাবই ইনশাআল্লাহ এ বিশ্বাস আছে৷ আপনার ভবিষ্যত বাণী সফল হোক৷
মন্তব্য করতে লগইন করুন