দূরে বহুদূরে হেরার রাজতোরণ ....
লিখেছেন লিখেছেন রাইয়ান ২২ অক্টোবর, ২০১৫, ০৬:০৩:২০ সকাল
কবি ফররুখ আহমেদ এর কবিতার সাথে আমাদের পরিচয় শৈশব থেকেই। দেশের শিশু কিশোর পাঠ্যক্রমে আগে সেসব বিষয়ই নির্বাচিত করা হত যেসব রচনায় থাকত নিষ্পাপ কচিপ্রাণ শিশু কিশোরদের মন ও মননকে বিকশিত করার সমৃদ্ধ উপাদান। ছোট্ট বেলা থেকেই যেন মনুষ্যত্বের পূর্ণ রূপটি শিশুদের নিষ্পাপ অন্তরে স্থায়ী আসন গড়ে নিতে পারে , শিক্ষা কার্যক্রমে থাকত সেই প্রচেষ্টা। এরই অংশ হিসেবে আমরা পড়েছি কবি কাজী নজরুল ইসলামের কালজয়ী সাহিত্য সম্ভার , কবি গোলাম মোস্তফার অসাধারণ বিনির্মানগুলো , কবি ফররুখ আহমেদের উদ্দীপনাময় কাব্যসৃষ্টি সমূহ। এভাবে পড়তে পড়তে কবে থেকেই যেন ফররুখ আহমেদের পাঞ্জেরীর সাথে আমি হয়ে গেছি একাত্ম , অভিন্ন হৃদয় :
"রাত পোহাবার কত দেরী পাঞ্জেরী ,
এখনো তোমার আসমান ভরা মেঘে
সেতারা , হেলাল এখনো ওঠেনি জেগে ?
তুমি মাস্তুলে, আমি দাঁড় টানি ভুলে
অসীম কুয়াশা জাগে শুন্যতা ঘেরি। "
তাইতো , ফররুখ আহমেদ আমার প্রানের কবি , আত্ম জাগরণের কবি , প্রিয় কবি !
ফররুখ আহমেদ বাংলা সাহিত্যের এক কালজয়ী প্রতিভার নাম। তিনি মুসলিম রেনেসাঁর কবি নামেই বেশি পরিচিত। বাংলা সাহিত্যের যে ক'জন স্বপ্নমুগ্ধ কবি ইসলামী মূল্যবোধ ও ভাবধারার মধ্যে থেকে পাঠকের চোখে ও অন্তরে তাদের স্বপ্ন ও মুগ্ধতাকে সমানভাবে ছড়িয়ে দিয়ে পারঙ্গম হয়েছিলেন , নি:সন্দেহে কবি ফররুখ আহমেদ তাঁদের মধ্যে একজন। ঘুনে ধরা , পাপ দগ্ধ এক সমাজের অন্ধকারের পর্দা সরিয়ে সুবেহ সাদিকের পবিত্র আভায় উদ্ভাসিত এক ভোরের পরম আকাঙ্খী ছিলেন তিনি , যা প্রকাশ পেয়েছে তাঁর ' সাত সাগরের মাঝি ' কবিতার বহু ছত্রে :
" কত যে আঁধার পর্দা পারায়ে ভোর হ'ল জানিনা তা'
নারঙ্গী বনে কাঁপছে সবুজ পাতা
দুয়ারে তোমার সাত সাগরে জোয়ার এনেছে ফেনা ,
তবু জাগলেনা ? তবু তুমি জাগলেনা ? "
যে সুন্দরতম আদর্শকে আশ্রয় করে মানবতা হয়ে ওঠে মহীয়ান , গরীয়ান ... তাকে তিনি বাঙ্ময় কাব্যজ্যোতির প্রদীপ্ততায় উদ্ভাসিত করে ফুঁটিয়ে তুলেছেন তাঁর ' সিরাজুম মুনীরা ' কবিতা নিজস্ব মহিমায় :
" কে আসে , কে আসে সাড়া পড়ে যায়
কে আসে , কে আসে নতুন সাড়া !
জাগে সুষুপ্ত মৃত জনপদ , জাগে শতাব্দী ঘুমের পাড়া।
হারা সম্বিত ফিরে দিতে বুকে তুমি আনো প্রিয় আবহায়াত ,
জানি সিরাজাম-মুনীর তোমার রশ্মিতে জাগে কোটি প্রভাত ,
তব বিদ্যুত্কনা - স্ফুলিঙ্গে লুকানো রয়েছে লক্ষ দিন
তোমার আলোয় জাগে সিদ্দিক , জিন্নুরাইন , আলী নবীন। "
তাঁর অসাধারণ রচনাসমূহের মধ্যে একটি তাত্পর্যপূর্ণ অংশ জুড়ে রয়েছে দিগন্ত ছোঁয়া নীল সমুদ্র , উত্তাল উর্মীমালার বিক্ষুব্ধ সন্তরণ। এর মাধ্যমে তিনি কবিতার ছত্রে ছত্রে ফুঁটিয়ে তুলতে চেয়েছেন সৃষ্টি লগ্ন থেকে মানুষের প্রাত্যহিক জীবনাচারে নিরন্তন সংগ্রাম ও আন্দোলনকেই :
" এ ঘুমে তোমার মাঝি মাল্লার ধৈর্য্য নেইকো আর
সাত সমুদ্র নীল আক্রোশে তোলে বিষ ফেনভার ,
এদিকে অচেনা যাত্রী চলেছে আকাশের পথ ধ'রে
বেসাতী তোমার পূর্ণ করে কে মারজানে মর্মরে ? "
আজ এ যুগে , এ ক্ষয়রোগে ধরা মুমূর্ষ সমাজে , যেখানে পাপ পঙ্কিলতা ও অশুভ আচার নির্বিবাদে বাড়িয়ে চলেছে তাদের অশুভ কালো বাহু , যেখানে অনৈতিকতার বিষবাষ্প সমাজকে পতনের শেষ সীমায় ঠেলে নিয়ে যাচ্ছে একটু একটু করে , সেখানে আজ ফররুখ আহমেদের মত ভোরের নকীবদের আজ বড় প্রয়োজন! যিনি ঝঞ্ঝাবিক্ষুব্ধ সমুদ্রের অশান্ত তরঙ্গমালা সামাল দিয়ে সাত সাগরের মাঝিদেরকে হেরার রাজ তোরণের দিক নির্দেশনা দিতে পারেন , পাঞ্জেরীকে দিতে পারেন ধ্রুব তারার খোঁজ , এমন কবি ও লেখকদেরকেই এ সমাজে আজ বড় বেশি দরকার।
আর তাই , কবিকে বিনম্র শ্রদ্ধায় স্মরণ করে খ্যাতিমান কবি জাহানারা আরজু লিখেছিলেন ,
" এক মঞ্জিল , এক নিশানা হেরার রাজতোরণ
জীবন বোররাখ ছুটে চলেছে ঊর্ধ্বে গতিময়
তৌহিদের বাণী বয়ে , বুকে যার অসীম বিস্ময় ,
কলমের পুষ্পিত পরাগে জাগে অনন্য ভুবন ! "
প্রানপ্রিয় এ কবির জন্য মহান আল্লাহ রাব্বুল আ'লামীন এর দরবারে মাগফিরাত কামনা করি।
বিষয়: বিবিধ
২০৫৬ বার পঠিত, ৩৯ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
কবি ফররুখ ছিলেন একজন মহান মানবতাবাদী ইসলামী কবি। আল্লাহ তাকে জান্নাত নসিব করুন।
প্রানপ্রিয় এ কবির জন্য মহান আল্লাহ রাব্বুল আ'লামীন এর দরবারে মাগফিরাত কামনা করি- আমীন
আমীন , সুম্মা আমীন।
শিহরণ জাগানিয়া কবিতা গুলো পড়লে অসম্ভব ভালো লাগা কাজ করে! রক্তকনিকায় ঝড় তুলে যায়, বিপ্লবী জীবনের আগমনী বার্তা শুনিয়ে যায়!
এটা কি আগেও দিয়েছিলেন?
জাযাকিল্লাহু খাইর আপু! চমৎকার পোস্টটির জন্য আন্তরিক শুকরিয়া!
প্রাণপ্রিয় এ কবির জন্য মহান আল্লাহ রাব্বুল আ'লামীন এর দরবারে মাগফিরাত কামনা করি । আমিন
এক্কেবারে ঠিক ধরেছেন , আগে একবার দিয়েছিলাম , কিন্তু এটি কয়েকঘন্টা ব্লগের পাতায় উপস্থিত ছিল , এরপর কোনো এক অজানা কারণে চিরতরে হারিয়ে গিয়েছিল। ২২ শে অক্টোবর কবির ইন্তেকাল বার্ষিকীতে আবারও লেখাটি দেয়ার সিদ্ধান্ত নিলাম।
অনেক শুকরিয়া আপু , আমার লেখাটিকে মনে রাখার জন্য আর এত প্রেরণাদায়ী মন্তব্যটির জন্য !
যাদের কবিতায় ইসলামের গন্ধ একটু হলেও উপস্থিত থেকেছে , তাদের জীবন থেকে মৃত্যু পর্যন্ত সময় কেটেছে খুবই করুন , যার উদাহরণ আমাদের এই কবি ফররুখ আহমেদ নিজেই !
আল্লাহ আখিরাতে তাঁকে এর উত্তম বিনিময় দান করুন !
শুকরিয়া আপু !
শুকরিয়া আপু !
পাতার আড়ালে জাগে দ্বাদশীর চাঁদ,
কোন্ নির্জন গোলাব শাখায় অশান্ত বুলবুল,
সুরের বন্যা, জোসনা ভাসায় জোয়ারে রাতের বাঁধ;
মধুঘন রাত, স্বপ্ন চোয়ানে শান্ত মুগ্ধ রাত,
গভীর আবেগে তোমার দু'চোখে শিশির-অশ্রুপাত,
ঘুমায় শ্রান্ত তূতি,
ঘুমায় শ্রান্ত নার্গিস আঁখি জাগছে কেবল যুথী;
আখরোট বনে
বাদাম, খুবানি বনে।
কুইজ: বলুনতো আপনার প্রিয় এই শব্দগুলো কোথা থেকে নিয়েছি? )
প্রিয় কবিতা : পাঞ্জেরি
- ফররুখ আহমেদ
-----------------
রাত পোহাবার কত দেরি পাঞ্জেরি?
এখনো তোমার আসমান ভরা মেঘে?
সেতারা, হেলাল এখনো ওঠেনি জেগে?
তুমি মাস্তলে, আমি দাঁড় টানি ভুলে;
অসীম কুয়াশা জাগে শূন্যতা ঘেরি।
রাত পোহাবার কত দেরি পাঞ্জেরি?
দীঘল রাতের শ্রান্তসফর শেষে
কোন দরিয়ার কালো দিগন্তে আমরা পড়েছি এসে?
এ কী ঘন-সিয়া জিন্দেগানীর বা’ব
তোলে মর্সিয়া ব্যথিত দিলের তুফান-শ্রান্ত খা’ব
অস্ফুট হয়ে ক্রমে ডুবে যায় জীবনের জয়ভেরী।
তুমি মাস্তুলে, আমি দাঁড় টানি ভুলে;
সম্মুখে শুধু অসীম কুয়াশা হেরি।
রাত পোহাবার কত দেরি পাঞ্জেরি?
বন্দরে বসে যাত্রীরা দিন গোনে,
বুঝি মৌসুমী হাওয়ায় মোদের জাহাজের ধ্বনি শোনে,
বুঝি কুয়াশায়, জোছনা- মায়ায় জাহাজের পাল দেখে।
আহা, পেরেশান মুসাফির দল।
দরিয়া কিনারে জাগে তক্দিরে
নিরাশায় ছবি এঁকে!
পথহারা এই দরিয়া- সোঁতারা ঘুরে
চলেছি কোথায়? কোন সীমাহীন দূরে?
তুমি মাস্তুলে, আমি দাঁড় টানি ভুলে;
একাকী রাতের গান জুলমাত হেরি!
রাত পোহাবার কত দেরি পাঞ্জেরি?
শুধু গাফলতে শুধু খেয়ালের ভুলে,
দরিয়া- অথই ভ্রান্তি- নিয়াছি ভুলে,
আমাদেরি ভুলে পানির কিনারে মুসাফির দল বসি
দেখেছে সভয়ে অস্ত গিয়াছে তাদের সেতারা, শশী।
মোদের খেলায় ধুলায় লুটায়ে পড়ি।
কেটেছে তাদের দুর্ভাগ্যের বিস্বাদ শর্বরী।
সওদাগরের দল মাঝে মোরা ওঠায়েছি আহাজারি,
ঘরে ঘরে ওঠে ক্রন্দনধ্বনি আওয়াজ শুনছি তারি।
ওকি বাতাসের হাহাকার,- ও কি
রোনাজারি ক্ষুধিতের!
ও কি দরিয়ার গর্জন,- ও কি বেদনা মজলুমের!
ও কি ধাতুর পাঁজরায় বাজে মৃত্যুর জয়ভেরী।
পাঞ্জেরি!
জাগো বন্দরে কৈফিয়তের তীব্র ভ্রুকুটি হেরি,
জাগো অগণন ক্ষুধিত মুখের নীরব ভ্রুকুটি হেরি!
দেখ চেয়ে দেখ সূর্য ওঠার কত দেরি, কত দেরি!!
দরিয়া- অথই ভ্রান্তি- নিয়াছি ভুলে ...
সাত সাগরের মাঝি
- ফররুখ আহমদ
কত যে আঁধার পর্দা পারায়ে ভোর হল জানি না তা ।
নারঙ্গি বনে কাঁপছে সবুজ পাতা ।
দুয়ারে তোমার সাত সাগরের জোয়ার এনেছে ফেনা।
তবু জাগলে না ? তবু, তুমি জাগলে না ?
সাত সাগরের মাঝি চেয়ে দেখো দুয়ারে ডাকো জাহাজ,
অচল ছবি সে, তসবির যেন দাঁড়ায়ে রয়েছে আজ ।
হালে পানি নাই, পাল তার ওড়ে নাকো,
হে নাবিক! তুমি মিনতি আমার রাখো;
তুমি ওঠে এসো, তুমি ওঠে এসো মাঝি মাল্লার দলে
দেখবে তোমার কিশতি আবার ভেসেছে সাগর জলে,
নীল দরিয়ায় যেন সে পূর্ণ চাঁদ
মেঘ তরঙ্গ কেটে কেটে চলে ভেঙে চলে সব বাঁধ ।
তবু তুমি জাগো, কখন সকাল ঝরেছে হাসনাহেনা
এখনো তোমার ঘুম ভাঙলো না ? তবু, তুমি জাগলে না ?
দুয়ারে সাপের গর্জন শোনো নাকি ?
কত অসংখ্য ক্ষুদধিতের সেথা ভির,
হে মাঝি ! তোমার বেসাতি ছড়াও, শোনো,
নইলে যে-সব ভেঙে হবে চৌচির ।
তুমি দেখছ না, এরা চলে কোন আলেয়ার পিছে পিছে ?
চলে ক্রমাগত পথ ছেড়ে আরও নিচে !
হে মাঝি ! তোমার সেতারা নেভেনি একথা জানো তো তুমি,
তোমার চাঁদনি রাতের স্বপ্ন দেখেছে এ মরুভূমি,
দেখো জমা হল লালা রায়হান তোমার দিগন্তরে;
তবু কেন তুমি ভয় পাও, কেন কাঁপো অজ্ঞাত ডরে !
তোমার জাহাজ হয়েছে কি বানচাল,
মেঘ কি তোমার সেতারা করে আড়াল ?
তাই কি অচল জাহাজ ভাঙা হাল
তাই কি কাঁপছে সমুদ্র ক্ষুধাতুর
বাতাস কাঁপানো তোমার ও ফাঁকা পাল ?
জানি না, তবু ডাকছি তোমাকে সাত দরিয়ার মাঝি,
প্রবাল দ্বীপের নারিকেল শাখা বাতাসে উঠেছে বাজি ?
এ ঘুমে তোমার মাঝিমাল্লার ধৈর্য নেইকো আর,
সাত সমুদ্র নীল আকাশে তোলে বিষ ফেনভার,
এদিকে অচেনা যাত্রী চলেছে আকাশের পথ ধরে
নারঙ্গি বনে কাঁপছে সবুজ পাতা ।
বেসাতি তোমার পূর্ণ করে কে মারজানে মর্মরে ?
ঘুমঘোরে তুমি শুনছ কেবল দুঃস্বপ্নের গাঁথা ।
উচ্ছৃঙ্খল রাত্রির আজো মেটেনি কি সব দেনা ?
সকাল হয়েছে । তবু জাগলে না ? তবু তুমি জাগলে না ?
তুমি কি ভুলেছ লবঙ্গ ফুল, এলাচের মৌসুমী,
যেখানে ধূলিতে কাঁকরে দিনের জাফরান খোলে কলি,
যেখানে মুগ্ধ ইয়াসমিনের শুভ্র ললাট চুমি
পরীর দেশের স্বপ্ন সেহেলি জাগে গুলে বকাওলি ?
ভুলেছ কি সেই প্রথম সফর জাহাজ চলেছে ভেসে
অজানা ফুলের দেশে,
ভুলেছ কি সেই জমরুদ তোলা স্বপ্ন সবার চোখে
ঝলসে চন্দ্রলোকে,
পাল তুলে কোথা জাহাজ চলেছে কেটে কেটে নোনা পানি,
অশ্রান্ত সন্ধানী ।
যেখানে ধূলিতে কাঁকরে দিনের জাফরান খোলে কলি,
যেখানে মুগ্ধ ইয়াসমিনের শুভ্র ললাট চুমি
পরীর দেশের স্বপ্ন সেহেলি জাগে গুলে বকাওলি ?
ভুলেছ কি সেই প্রথম সফর জাহাজ চলেছে ভেসে
অজানা ফুলের দেশে,
ভুলেছ কি সেই জমরুদ তোলা স্বপ্ন সবার চোখে
ঝলসে চন্দ্রলোকে,
অসাধারণ ...অসাধারণ ...
তিনি কবিতার জগতে ছিলেন এক মর্দে মুজাহিদ।
আল্লাহপাক তাকে জান্নাত নছিব করুন। আমীন
হাতুড়িতে মরিচা ধরেই যাবে দেখছি !
- কুইজের উত্তর হচ্ছে সাত
সাগরের মাঝি থেকে নেয়া হয়েছে! বাট কবিতার নাম বের করার দায়িত্ব কিন্তু আপনার।
- কদিন আগে সাত সাগরের মাঝি পুরোটা পড়েছি।
- জাজাকিল্লাহ আপু।
- পিডিএফ না থাকলে আমি লিংক দিতে পারবো! শুকরিয়াপ্পি.......
'সাত সাগরের মাঝি ' পুরোটা পরেও আমি এই লাইনগুলো বের করতে পারিনি .... চোখ দুটি গেছে মনে হচ্ছে ....
আমার কাছে পিডিএফ আছে , তবুও আপনি কবিতার লিংক টা দিলে ব্যক্তিগত সংগ্রহে রেখে দেব সুন্দর কবিতাটি !
প্লিজ, কারো দিকে আর তাকিয়ে থাকা নয়, কেউ আসুক অথবা নাই আসুক, আপনি আসছেন, লিখছেন, ভালো কিছু উপহার দেয়ার চেষ্টা করছেন, এটাই নিশ্চিত করুন!
ইনশা আল্লাহ লিখব। কিছু লিখতে পারাটা আমার খুব একান্ত একটি অসাধারণ ভালোলাগার ব্যাপার , এটি আমি কোনো মূল্যেই হারাতে চাইনা। আর যদি এমন পাঠক ভাইয়ারা থাকেন , তবে তো আর কথাই নেই !
মন্তব্য করতে লগইন করুন