পড়ুন কুরআনের আয়াত দুটি , দেখুন কেমন মিলে যায় ভাবনার সাথে !
লিখেছেন লিখেছেন রাইয়ান ১৬ মে, ২০১৩, ১০:৪১:০৯ সকাল
পড়ছিলাম সুরা বাক্বারাহ । পড়তে পড়তে এক জায়গায় এসে থমকে গেলাম, আবারও পড়লাম অংশটুকু । মনে একটু স্বান্তনা পেলাম আবার অন্তরাত্মা ভয়ে কেঁপেও উঠলো । প্রিয় পাঠক, আপনার সুবিধার্থে লাইন কটি লিখে দিলাম এখানে :
--- মানুষের মধ্যে এমন লোক ও আছে, যার কথাবার্তা তোমার কাছে খুব চমত্কার মনে হয় ।
--- নিজের সদিচ্ছার ব্যাপারে সে বারবার আল্লাহকে সাক্ষী মানে ।
--- কিন্তু আসলে সে সত্যের নিকৃষ্ট দুশমন ।
--- যখন সে কর্তৃত্ব লাভ করে,
--- তখন সে তার সমস্ত প্রচেষ্টা সাধনা নিয়োজিত করে পৃথিবীতে অশান্তি ও বিপর্যয় সৃষ্টির কাজে এবং শস্য ক্ষেত ও মানব বংশ ধংশ করার কাজে ।
--- অথচ আল্লাহ অশান্তি ও বিপর্যয় মোটেই পছন্দ করেন না ।
--- আর যখন তাকে বলা হয় - ' আল্লাহকে ভয় করো ' - তখন তার আত্মাভিমান তাকে পাপের পথে ধাবিত করে ।
--- সুতরাং তার ( পুরস্কারের ) জন্য জাহান্নামই যথেষ্ট , যা অতি নিকৃষ্ট আবাস ।
( সুরা আল বাক্বারাহ : আয়াত ২০৪ - ২০৬ )
এবার আসুন এই আয়াতদুটি থেকে বর্ণিত ' ওই লোকের ' কি বৈশিষ্ট্য আমরা খুঁজে পাই :
১) তারা খুব সুন্দর সুন্দর ও চমত্কার কথা বলে ,
২) তারা কসম খেয়ে বলে - আমাদের সদিচ্ছা আছে,
৩) অথচ তারা ভীষণ কলহপ্রিয় এবং শত্রুতাই তাদের লক্ষ্য ।
৪) তারা অন্যদের সাথে কোনো সভায় যোগ দিলে এসব সুন্দর সুন্দর কথা বলে,
৫) কিন্তু তারা যখন কর্তৃত্ব লাভ করে বা নিজের কর্তৃত্বে ফিরে যায়, তখন সর্বত্র বিপর্যয় ও অশান্তি সৃষ্টির কাজে লিপ্ত হয় ।
৬) এরা নিজেদের কর্তৃত্বের জন্য মানবতার বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে,
৭) এরা অবলীলাক্রমে মানুষ হত্যা করে ।
৮) এরা মানুষের জীবিকা ধ্বংস করে এবং খাদ্য সংকট সৃষ্টি করে ।
৯) আল্লাহকে ভয় করতে বললে তাদের সন্মানে আঘাত লাগে ।
১০) ন্যায় নীতি অবলম্বন করতে বললে এরা পাপ ও সীমালংঘনের কাজে ঔদ্ধত্যের সাথে অগ্রসর সাথে অগ্রসর হয় ।
১১) ফলে তাদের এসব প্রচেষ্টা তাদেরকে নিকৃষ্ট আবাস জাহান্নামে নিয়েই ছাড়ে ।
......................................
কি পাঠক, কুরআনে বর্ণিত এই বৈশিষ্ট্য গুলো কারো চরিত্রের সাথে একেবারেই মিলে যায়, তাইনা ? এইতো পবিত্র কুরআন ! এইতো কুরআনের বৈশিষ্ট্য ! যুগে যুগে পথহারা মানবতাকে সহজ সরল পথ দেখাতেই কুরআন এসেছে । এই কুরআন নাজিল হওয়ার সময়ে কাফির, মুশরিক আর মুনাফিকদের যে চরিত্র ছিল, সেই
একই চরিত্র আজ এই দেড় হাজার বছর পরেও এক ও অবিকল আছে । আর এই কুরআন ও সময় ও ইতিহাসের প্রতিটি ধাপে মানুষকে একই রকম ভাবে সতর্ক করে
যাচ্ছে । আমরা যদি সময়মত সাবধান না হই, তাওবার হাত দুটি অবনত মস্তকে আল্লাহর দরবারে না উঠাই , তবে সেদিন বেশি দূরে নয় যেদিন আল্লাহর কঠিন শাস্তি আমাদেরকে পাকড়াও করবে সবদিক থেকেই । আর আল্লাহ ছাড়া সেখানে থাকবেনা আর কোনো সাহায্যকারী ।
বিষয়: বিবিধ
৩০২২ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন